সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের এলএসডিসহ কুদ্দুস আলী নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কাকডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক কুদ্দুস আলী কাকডাঙ্গা গ্রামের তাছের আলীর ছেলে।
বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশরাফুল হক জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদক আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাকডাঙ্গা এলাকায় বিজিবির একটি দল অবস্থান নেয়। এসময় বাইসাইকেলে আসা কুদ্দুস আলী নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে দেহ তল্লাশি চালায় বিজিবি সদস্যরা। তল্লাশিকালে কুদ্দুস আলীর জাম্পারের পকেট থেকে ৩টি বোতলে এলএসডি মাদক ও ২ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত মাদকের মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। আটক কুদ্দুসকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়াসহ দেশটিকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে শুক্রবার (১০ মে)। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ঝাড়লেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। ভোটাভুটির পরপর সাধারণ সভাতেই জাতিসংঘ সনদ ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।
সাধারণ সভায় ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ। যার মধ্যে ছিল ইসরায়েলের ‘বন্ধু’ ভারতও। অন্যদিকে ২৫টি দেশ এই ভোটদান থেকে বিরত থাকে। আমেরিকা ও ইসরাইলসহ ৯টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ভোট নিয়ে প্রস্তাবটি পাস হয়ে যায়।
যার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন, আজকের এই দিনটা অন্যতম কালো দিন হিসাবে লেখা থাকবে। ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এরদান এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের একটি ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, এটি গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন ভেটোকে নস্যাৎ করেছে। এখানেই থেমে থাকেননি ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত। আমি একটা আয়না দেখাতে চাই আপনাদের।
জাতিসংঘে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলা হয়। আজ এমন একটা দেশকে সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানানো হল যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়। জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে সনদ তা আপনারাই আজকে ছিড়ে ফেললেন। আমি তারই প্রতিচ্ছবি।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজও রেজ্যুলেশন পাসের নিন্দা করেছেন। একে একটি ‘অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন, যা ‘জাতিসংঘের পক্ষপাতের দিকটি তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হামাস সন্ত্রাসীদের জন্য একটি পুরষ্কার। কারণ তারা হলোকাস্টের পর থেকে ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালিয়েছে।
WATCH | The Israeli ambassador to the UN tears up the United Nations Charter from the General Assembly podium.
— Al Mayadeen English (MayadeenEnglish) May 10, 2024
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখন নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য অনুরোধ করবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে, তারা সম্ভবত নিরাপত্তা পরিষদে এই ধরনের একটি অনুরোধে ভেটো দেবে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবকে বাধা দিতে তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে।
জাতিসংঘের নথি অনুযায়ী, একটি খসড়া রেজ্যুলুশন পাস করার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পক্ষে কমপক্ষে নয়জন সদস্য থাকতে হবে এবং ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এর স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে কেউ নেই। তারা হল চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকা। সূত্র: এনডিটিভি
যমুনা নদীর বুকে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। নির্মাণাধীন সেতুটির সব কটি স্প্যান বসানো হয়েছে। গত এপ্রিল থেকেই সেতুর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের পুরোটাই দৃশ্যমান। তবে অন্যান্য কিছু কাজ এখনো বাকি। আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১১ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান জানান, রেলওয়ে সেতুর ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১৬ শতাংশ কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে। বাকি কাজের মধ্যে এখন সেতুর ওপর ডুয়েল গেজ রেললাইন বসানোর কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ রেললাইন বসানোর কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু অ্যাডজাস্টমেন্ট বাকি রয়েছে। অ্যালাইনমেন্ট ও লেভেল ঠিক করা হচ্ছে। বিভিন্ন ড্রেনের কাজ ও কালভার্টগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। দুই পাশের স্টেশন বিল্ডিংয়ের কাজ, প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের কাজ ও ট্র্যাকের কাজ চলছে। এতে জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। এর নির্মাণ ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ওপরে রেললাইন স্থাপন শেষ হয়েছে ২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হচ্ছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের সেতুটির নির্মাণকাজ ডিসেম্বরেই শেষ হবে বলে তিনি আশা করেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা বলেন, সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে, সেটা আর থাকবে না।
রাজধানীতে চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীদের গণভবন অভিমুখে পদযাত্রায় বাধা দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীরা। এতে শাহবাগ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
শনিবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে পদযাত্রা নিয়ে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।
এ সময় তারা ‘‘পঁয়ত্রিশ আমার অধিকার’’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, ৩৫ আমার ঠিকানা’, ‘৩০ এর শৃঙ্খল ভেঙ্গে দাও’ ও ‘নির্বাচনী ইশতেহার পালন করতে হবে’ সহ নানা স্লোগান দেন।
সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরি প্রত্যাশী। সবশেষ শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেন তারা। পরে শিক্ষামন্ত্রী চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে সুপারিশ করেন।
এদিন দুপুরে সমাবেশে পরিষদের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শুভ বলেন, আমরা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চাই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ চাই। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছি। সরকারি-বেসরকারি, আধা সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিতসহ দেশে বিদ্যমান সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে। বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।