বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাবান-লেবু দিয়ে হাত ধুতে বললেন নির্বাচন কর্মকর্তা

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। প্রতিটি ভোটকক্ষে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সামনে ভ্যাসলিনের ছোট কৌটা ও টিস্যুর বাক্স রাখা আছে। আঙুলের ছাপ মেলাতে ভোটারের আঙুলে ভ্যাসলিন ঘষছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

অনেকটা সময় ঘষাঘষির পরও অনেক ভোটার, বিশেষত প্রবীণ ও নারীদের আঙুলের ছাপ মিলছে না। ভুক্তভোগীদের হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে, লেবু দিয়ে কচলে দুপুরের পর আবার কেন্দ্রে আসার অনুরোধ করেছেন কর্মকর্তারা।

শনিবার (৯ মার্চ) সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি থাকলেও ভোট গ্রহণের গতি বেশ ধীর। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ছে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ মেলাতেই বেশি সময় চলে যাচ্ছে। গোপন কক্ষে ইভিএমে ভোট দিতে ভোটাররা সময়ও বেশি নিচ্ছেন।

নারী কেন্দ্রে ভোট দিতে না পেরে ফিরে যাওয়া কয়েকজন জানিয়েছেন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দীর্ঘসময় ধরে তাদের আঙুলের ছাপ মেলানোর চেষ্টা করেছেন। ভ্যাসলিন দিয়ে অনেকক্ষণ আঙুল ঘষলেও কাজ হয়নি।

নির্বাচনে এক কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, একেকজন ভোটারের আঙুলের ছাপ মেলাতে অনেক সময় চলে যাচ্ছে। এভাবে চললে ভোট কত পড়বে বোঝা যাচ্ছে না। এ জন্য অনেককে দুপুরে আবার আসতে বলতে হচ্ছে।

ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রীর সঙ্গে ভ্যাসলিন ও টিস্যু দেওয়া হয়েছে। ইভিএমের ব্যবহার সম্পর্কে ভোটাররা পুরোপুরি জানেন না। এর ফলে দীর্ঘ সময় তাদের সারিতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

তারা বলেন, অনেক ভোটার গোপন কক্ষে যাওয়ার পর বুঝতে পারছেন না, কী করবেন। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসাররা বাইরে থেকে নির্দেশনা দিচ্ছেন কীভাবে ভোট দিতে হবে। গোপন কক্ষ থেকে একজন বের না হওয়া পর্যন্ত অন্য ভোটারের কার্যক্রম শুরু করতে পারছেন না।

ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে ভোগান্তির কথা জানালেন সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক। তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে ভোগান্তি হচ্ছে। ভোটারদের যেন বারবার ঘুরতে না হয়, সেটা দেখতে হবে।

Header Ad

বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপির কারনে আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ’৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতিসেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি।

শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃ স্বাস্থ্য সেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। ‘মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, শপিং মল, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে এসব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন; যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।

চলতি মাসে অবসরে যাচ্ছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ৪ সচিব

ছবি: সংগৃহীত

মেয়াদ শেষ হওয়ায় চলতি মাসেই অবসরে যাচ্ছেন সরকারের চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব। তাদের অবসরের পর সচিব পদে  শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রথমবারের মতো ১৫তম ব্যাচের অভিষেক হতে যাচ্ছে।

তবে এরই মধ্যে সচিব হয়েছেন ১৫তম ব্যাচের খায়রুল ইসলাম। কিন্তু অবসরের শেষ মুহূর্তে তাকে সচিবের পদ দেওয়া হয়। এখন তিনি বিডার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় খায়রুল ইসলামের সচিব পদে পদোন্নতি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। নিয়মিতভাবে ১৫তম ব্যাচ থেকে সচিব পদে নিয়োগ শুরু হতে পারে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সচিব পদে যারা অবসরে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অবসরে যাচ্ছেন ১৮ মে। তপন কান্তি ঘোষের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ১৮ মে। তিনি এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। ১৬ মে তিনি তার শেষ কর্মদিবস। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আর হচ্ছে না।

এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোহাম্মদ হাসিবুল ইসলাম অবসরে যাচ্ছেন ৩১ মে। তবে গুঞ্জন রয়েছে যে তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন। আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, তারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের চুক্তির মেয়াদ ২৫ মে শেষ হচ্ছে এবং একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে তার চুক্তিও নবায়ন হচ্ছে না। এই পদে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলমের আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলম থাকবেন কি না, তা প্রজ্ঞাপন জারির পরই জানা যাবে।

এছাড়াও বহুল আলোচিত আর্থিক খাতের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ চলতি মাসের ২০ মে অবসরে যাচ্ছেন এবং তাকে আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে। আর্থিক খাতের নতুন সচিব কে হবেন তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, চলতি মাসে এই চার গুরুত্বপূর্ণ সচিবের অবসরে যাওয়া ছাড়াও আগামী দিনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সচিবের পদ শূন্য হচ্ছে। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকারের মেয়াদ ১২ জুন শেষ হচ্ছে। তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসনে গুঞ্জন রয়েছে।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোলের চাকরির মেয়াদ ১৫ জুন শেষ হচ্ছে। হাসানুজ্জামান কল্লোল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন না বলে মনে করছেন অনেকে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৫ জুলাই।তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন কি না তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তবে তার নিয়োগ চুক্তিভিত্তিক না হওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে নাম রয়েছে দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার। তাদের মধ্যে রয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। তবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কে হবেন সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি

ছবি:সংগৃহীত

টানা ৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নৃশংস হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। হামলায় পুরো অঞ্চলটিই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাকি রয়েছে শুধু অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির রাফা শহর। শেষমেষ অবরুদ্ধ গাজার লাইফলাইন খ্যাত দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতেও বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

জাতিসংঘ জানায়, এখন পর্যন্ত রাফার দক্ষিণাঞ্চল থেকে সাড়ে ৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি পালিয়ে গেছে। আর শহরটির উত্তরাঞ্চল থেকে জীবন বাঁচাতে আরও এক লাখ লোক পালিয়েছেন।

ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত বোমা হামলার মুখে রাফায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সসহ সেবাদানকারীরা। এতে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গাজার ৮০ শতাংশ হাসপাতাল ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবারও গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে হতাহত হন বেশ কয়েকজন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। এদিন গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়ায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় নেতানিয়াহু বাহিনী।

এদিকে, অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে খাবার, পানি ও বাসস্থানের মতো জনজীবনের মৌলিক উপাদানের সংকট। নতুন করে দেখা দিয়েছে নগদ অর্থের অভাব। এ অবস্থায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গেলো কেটে রাখা হচ্ছে বাড়তি ট্যাক্স। এতে শোচনীয় অবস্থায় দিন পার করছেন নিরীহ বাসিন্দারা।

তারা জানান, বোমা বর্ষণে কারণে ধুলোয় মিশে গেছে গাজার এটিএম বুথগুলো। হাতে গোনা কয়েকটি রয়েছে দক্ষিণের শহর রাফায়। সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলেও কেটে রাখা হয় বিশাল একটি অংক।

অন্যদিকে, এখনো অচলাবস্থায় রয়েছে হামাস-ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির আলোচনা। এ বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘ইসরাইল অবাস্তব লক্ষ্য নির্ধারণ করছে এতে সংঘাতের সমাপ্তির কোনো উপায় পাওয়া যাচ্ছে না।’

তবুও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানায় কাতার।

সূত্র: আল জাজিরা

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী
চলতি মাসে অবসরে যাচ্ছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ৪ সচিব
রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি
মিশা-ডিপজলের কমিটি বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা পাবেন ৬০ হাজার টাকা
বাড়ল সোনার অলংকারের মজুরি
৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন
র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যা বলেছেন ডোনাল্ড লু
লাল পাহাড়ে আরসার আস্তানায় র‌্যাবের অভিযান, গোলাগুলি চলছে
বিদেশে বসে জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়া হয় : দীপু মনি
ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর একাধিক হামলার দাবি কাসসাম ব্রিগেডের
ইরানের সাথে চাবাহার চুক্তি, ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
মোটরসাইকেলের গতি সীমা নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
গলায় লিচুর বিচি আটকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
টাঙ্গাইলে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক কলেজছাত্রের
খারকিভে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া
নিজের পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ক্যানসার মুক্ত হলেন চিকিৎসক
মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকাসহ ১৯ ভরি স্বর্ণ লুট
স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
পাকিস্তানি বলে গুলিস্তানের ড্রেস বিক্রি করতো গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’