রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

উদ্বোধনের অপেক্ষায় যমুনা রেল সেতু

বঙ্গবন্ধু সেতুতে চলবে না ট্রেন, বছরে আয় কমবে কোটি টাকা

যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু (বামে) এবং উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা যমুনা রেল সেতু। ফাইল ছবি, সংগৃহীত।

উত্তর-দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২৩ টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগের একমাত্র সংযোগস্থল টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু। এ সেতুটি ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে সেতুটির উপর দিয়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ হাজার যানবাহন এবং ৩০-৩৮ টি ট্রেন পারাপার হচ্ছে। এটির পূর্ব প্রান্ত টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও পশ্চিম প্রান্ত সিরাজগঞ্জের সংযোগস্থল।

২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুটিতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে বলে জানা যায়। ফলে ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এই সমস্যার সমাধানে বিগত সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা একটি রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

এরপর ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই রেল সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। সেতুর ৩০০ মিটার অদূরে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের এই দীর্ঘতম ৪.৮০ কিলোমিটার ‘যমুনা রেল সেতু’। যা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর উপর নির্মিত নতুন এই যমুনা রেল সেতু উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেল সংযোগ থাকলেও চলবে না কোনো ট্রেন। এতে করে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের বছরে কোটি টাকা আয় কমবে। তবে সেতুতে স্থাপিত রেললাইন অপসারণ করে যান চলাচলের রাস্তা প্রশস্ত করা হবে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নতুন রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যা উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এই রেল সেতুটি চালু হলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ফলে বছরে সেতু কর্তৃপক্ষ কোটি টাকা আয় কমবে। তবে, ট্রেন চলাচল বন্ধ হলে সেতুর উপর চাপ কম থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সেতুটির ঢাকা ও উত্তরবঙ্গ লেনের প্রস্থ রয়েছে ৬ মিটার, যেখানে সেতুর প্রস্থ কমপক্ষে ৭.০৩ মিটার থাকা প্রয়োজন। রেল লাইন অপসারণ করা হলে এটি ৮.০৫ মিটার হবে। যান চলাচলে রাস্তা প্রশস্ত (লেন) হবে মর্মে সেতু থেকে রেল লাইন অপসারণের জন্য ২০২৩ সালে সেতু মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, নবনির্মিত যমুনা রেল সেতু দিয়ে সম্প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে একসঙ্গে একজোড়া লোকোমোটিভ ট্রেন পৃথক লাইনে সফলভাবে পরীক্ষামূলক চালানো হয়েছে। চলতি জানুয়ারি শেষের দিকে বা ফেব্রুয়ারিতে সেতুটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে বলে যমুনা রেল সেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এর মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। এরমধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছেন বলে জানায় যমুনা রেল সেতু প্রকল্প।

Header Ad
Header Ad

জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরে সেট্রাল ইন্টেলিজেন্স থেকে পাঠানো চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠি দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর দেওয়া হয়েছে।

গত ২০ মার্চ থেকে চাঁদাবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও দলীয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯-২০১৪ সালে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad
Header Ad

হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান তার নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন, যেভাবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

শারমিন আহমদ বলেন, শেখ মুজিব গ্রেফতার হওয়ার আগে তাজউদ্দিন আহমদকে কোনো নির্দেশনাই দিয়ে যাননি। তিনি নেতাকর্মীদের ছেড়ে নিজের পরিবারকে নিরাপদ স্থানে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাও দেননি এবং কোনো চেইন অব কমান্ডও নির্ধারণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিব জানতেন যে ক্র্যাকডাউন হতে যাচ্ছে। এরপরও তিনি নেতাকর্মীদের কোনো নির্দেশনা না দিয়ে বলেন, ‘তোমরা যা করার করবে।’ সেই রাতে তাজউদ্দিন আহমদ শেখ মুজিবকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই যে, যুদ্ধের মুখে জাতিকে ফেলে দিয়ে নেতা ধরা দিয়েছেন।’ কিন্তু শেখ মুজিব তখনও নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা দেননি।

শারমিন আহমদ আরও উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এতদিন চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে এবং অনেক সত্য এখনো বের হয়ে আসেনি। তিনি দাবি করেন, এই ইতিহাস বাদ দিয়ে সরকার শুধু ৭ মার্চ ও ২৬ মার্চের দিকেই নজর দিয়েছে এবং ১৯৭২ সালের দিকে চলে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর জাতীয় চার নেতার পরিবারের সঙ্গে শেখ পরিবারের বিরোধ সামনে আসে। তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ একাধিকবার অভিযোগ করেছেন যে, তাদের পরিবারকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনা।

Header Ad
Header Ad

২৫ মার্চ সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন

ছবি: সংগৃহীত

গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে এক মিনিটের জন্য প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই (Key Point Installation) এবং জরুরি স্থাপনাগুলো এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। আজ রবিবার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণহত্যা দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ বাণী প্রদান করবেন। একইসঙ্গে দেশের সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণের আয়োজন করা হবে।

২৫ মার্চের দিন সকালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের সকল সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করা হবে। এই কর্মসূচিগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে প্রচার করা হবে।

গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময়ে সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

এছাড়া সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনগুলোতে ২৫ মার্চ রাতে কোনো অবস্থাতেই আলোকসজ্জা করা যাবে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন
২৫ মার্চ সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন
১০ শতাংশ দাম কমছে ইন্টারনেটের
দীর্ঘ ৮ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর হবে মাইলফলক : চীনা রাষ্ট্রদূত
পাওনা আদায়ে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলছে ইসলামী ব্যাংক
সাগরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত
টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় যাত্রীকে মারলেন পাইলট
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত
গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ভারত অবগত ছিল: জয়শঙ্কর
নামাজরত বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করল ছেলে
নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন, তদন্ত কমিটি    
গাজার পর লেবাননেও ইসরায়েলী হামলা  
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস  
টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দুর্ভোগে যাত্রীরা  
রাজধানীর সড়কে বসছে ‘রিকশা ট্র্যাপার’    
ঐকমত্য কমিশনের কাছে প্রস্তাব, দুপুরে যাচ্ছে বিএনপি-এনসিপি