বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনির মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিবকে বাইরে রেখে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সভাপতি, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির প্রতিনিধি। এদিকে এ নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ-বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরবার একটি লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় মনির বেপারী নামে এক ব্যক্তি।

অভিযোগে বলা হয়, মাদারীপুর ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ২৯ অক্টোবর সকালে মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, একজন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, একজন অফিস সহায়ক ও একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই নিয়োগ বোর্ডে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তারা হলেন, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী আকন, ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ডিজির প্রতিনিধি সুবল চন্দ্র দাস, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রাজ্জাক মিয়া। নিয়োগ পরীক্ষার আগেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে নিয়োগ বোর্ডের বাকি ৩ সদস্য মিলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে তারা বেরিয়ে আসেন। পরে নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হলেও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিবকে (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) তেমন কোনো ভূমিকায় রাখেননি তারা।

স্থানীয়রা আরও জানান, অফিস সহায়ক পদে সভাপতির আপন ভাইয়ের ছেলে প্রার্থী ছিলেন। তাই গোপন বৈঠকে কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে ভেবে অফিস সহায়ক পদের প্রার্থীরা উপস্থিত থেকেও পরীক্ষায় অংশ নেয়নি কেউ। প্রধান শিক্ষক পদে ৮ জন, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট পদে ৮ জন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে ৭ জন অংশ নেন।

স্থানীয় বাসিন্দা হিরন শিকদার বলেন, নিয়োগ নিরপেক্ষ করার ইচ্ছা থাকলে কালকিনি উপজেলায় বা স্কুলেই পরীক্ষা হতো মাদারীপুর নিত না। যাকে নিয়োগ দিছে সে তো প্রশ্ন আগেই পাইছে। পরীক্ষা আবার হোক, স্কুলে বসে হোক কোনো আপত্তি নেই। টাকার বিনিময়ে বা স্বজনপ্রীতি যেন না হয়।

অভিযোগকারী মো. মনির বেপারী জানান, সভাপতি সাহেবের বড় ছেলে সরকারি বড় চাকরি করেন। তিনি এলাকায় এসে গোপন বৈঠকে করে সরকারি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে যান। তার বাবা (সভাপতি) ও পরিবার মিলে এ নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বজনপ্রীতি করেছেন। কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসেবে নিয়োগে দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির জামাইয়ের ছোট ভাইকে। সবার কাছ থেকেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগ বাতিলের জন্য সব দপ্তরে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়ে আবেদন করেছি। সরকার এসব বিষয় দেখবে বলে আশা করি।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ. রাজ্জাক মিয়া ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমি মূলত সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে প্রার্থী ছিলেন বলে আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষার আগে অফিস কক্ষ থেকে আমাকে বের করে দিয়ে নিয়োগ বোর্ডের অন্য তিন সদস্য প্রায় আধা ঘণ্টা গোপন বৈঠক করেন। নিয়োগ কার্যক্রমে আমার তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। সভাপতি, শিক্ষা অফিসার ও ডিজির প্রতিনিধি যে রেজাল্ট শিট তৈরি করে দিয়েছেন সেখানে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছে। আমি স্বাক্ষর করে দিয়েছি। বাকি কিছু জানি না।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী আকন বলেন, নিয়োগ ঠিকঠাক মতো হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে বলেন এলাকার সবাই আত্মীয়। কোনো টাকার-পয়সার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যারা অভিযোগ করেছে তারা তাদের স্বার্থে করেছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, সভাপতির সঙ্গে ব্যক্তিগত একটি কথা ছিল তাই হেড মাস্টারকে বাইরে যেতে বলছিলেন তিনি। আগে বা পরেও তো কথা বলতে পারতেন এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি। মাহাবুবর রহমান জানান, নিয়োগ কার্যক্রম যা যাচাই বাছাই সম্পর্কে তিনি তেমন কিছু জানেন। ডিজির প্রতিনিধি ও ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র দাস বিস্তারিত বলতে পারবেন। তবে নিয়োগ কার্যক্রম সঠিক হয়েছে বলে মনে
করেন তিনি।

ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র দাস ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যারা অভিযোগ করেছে করতে বলেন। নিয়োগ কার্যক্রম সঠিক করেছি। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, তিনি বাড়িতে আছেন। সরাসরি দেখা করলে বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন।

কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু এরসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্তকর্তা জড়িত। সেজন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করার জন্য জানানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএন

 

Header Ad

রোনালদোর পর সিকান্দার রাজাও সংবাদ সম্মেলনে কোমল পানীয়র বোতল সরালেন

ছবি: সংগৃহীত

বছর দুয়েক আগে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালে একবার সংবাদ সম্মেলনে এসে টেবিলে রাখা কোমল পানীয়র একটি বোতল সরিয়ে রেখেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকার এমন কাণ্ডে সেবার তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। এমনকি রোনালদোর বোতল সরানোর ঘটনায় কোম্পানিটিরও বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল বলে জানা যায়। এবার একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন সিকান্দার রাজাও।

ফিটনেস নিয়ে বরাবরই একটু বেশি সচেতন রোনালদো। যে কারণে এ বয়সেও খেলে যাচ্ছেন তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। নিজের সন্তানের উদাহরণ দিয়ে এর আগেও অনেকবারই কোমল পানীয় ও জাঙ্ক ফুড বর্জনের কথা বলেছেন এ পর্তুগাল তারকা।

তাই, কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে তার পরিবর্তে সাধারণ পানির বোতল উঁচিয়ে ধরেছিলেন রোনালদো। পরিষ্কারভাবেই ইঙ্গিত ও তাগিদ দিয়েছিলেন পানি খাওয়ার।

এদিকে আজ (২ মে) ম্যাচের আগের দিনের নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে আসেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ডায়াসে এসে বসা মাত্রাই তার চোখ পড়ে সামনে থাকা কোমল পানীয়র দিকে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটা সরিয়ে ফেলেন। পাশের একজন তা তার হাত থেকে নিয়ে ক্যামেরা ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যান।

বিষয়টি গণমাধ্যমে চোখ এড়ায়নি। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। সেখানে বেশিরভাগ মন্তব্যকারীই তাকে বাহাবা জানিয়েছেন। তবে, ঠিক কোন কারণে তিনি বোতলটি সরিয়েছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।

এদিকে, বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে বিসিবি। আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম তিনটি ম্যাচ চট্টগ্রামে হলেও বাকি দুটি হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।

রাঙামাটিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৩ জনের

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এর ফলে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এরই মাঝে রাঙামাটিতে স্বস্থির বৃষ্টি নেমে আসে। তবে এ সময় বজ্রপাতে কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে বাঘাইছড়ি ও রাঙামাটি সদরে এ নিহতের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।

জানা গেছে, বজ্রপাতের আঘাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলার বড়াদম মুসলিম ব্লক এলাকায় বাহারজান নামের ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারী নিহত হয়েছেন। একই সময়ে একটি গরু মারা যায়। এ ছাড়া সাজেকে লংথিয়ান পাড়ায় তনিবেলা ত্রিপুড়া নামে এক নারীও নিহত হয়েছেন।

বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে উপজেলার বড়াদম গ্রামে স্বপন চাকমার দোকানে বজ্রপাতের ফলে সাতজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন তরুণ চাকমা, তৃণা চাকমা, রবীন্দ্রনাথ চাকমা, সুষমলাল চাকমা, অক্ষয় মণি চাকমা, পাত্থর চাকমা ও অমর জ্যোতি চাকমা। তারা এখনো চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাঙামাটি শহরের সিলেটি পাড়া এলকায় কাপ্তাই হ্রদে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মো. নজির (৫০) গুরুতর আহত হয়। পরে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক প্রধান ডা. শওকত আকবর জানান, সকালে শহরের সিলেটি পাড়া থেকে একজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

ছবি: সংগৃহীত

তাপপ্রবাহে অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা চালুর দাবি ও ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে অনতিবিলম্বে নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

জনস্বার্থে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহারিয়ার এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। যদি একান্তই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হয় তাহলে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সময়ে ক্লাসের সময় সকাল শিফট ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং ডে শিফট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চালু রাখার কথা বলা হয়। পাশাপাশি প্রচলিত পেপার পেন্সিল পরীক্ষার পরিবর্তে শুধু অ্যাসাইনমেন্ট, প্রকল্পভিত্তিক কাজ, অনুসন্ধানমূলক কাজ এর মাধ্যমে মূল্যায়নের বিষয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিখিত নির্দেশনা জারির ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে। ফলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে ২৪ এপ্রিল প্রকাশ করা ‘তাপপ্রবাহ: বাংলাদেশ, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুসারে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র তাপপ্রবাহের বিপদে রয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমস এর তথ্যানুসারে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রবল তাপদাহে ভুগছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং হিট স্ট্রোক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়েছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতা তাপমাত্রাকে আরও অসহ্য করে তুলেছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ১-৭ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েছে। তাপমাত্রার পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্য রয়েছে। একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। এ কারণে মানুষের শরীরে প্রচুর ঘাম হচ্ছে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় শরীরের ঘাম সহজেই শুকচ্ছে না।

লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়েছে পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল–কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে হিট অ্যালার্ট ও তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল স্কুল-কলেজ চালু হয়। তবে প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়।

অথচ শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে আরও বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাংবিধানিক এখতিয়ার আছে, সেখানে এ বিষয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত (আদালতে) হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আমরা তার উপরের আদালতে, আপিল বিভাগে যাব। একটু আগে শুনেছি, আদালত একটা নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী হাইকোর্ট জনদুর্ভোগ বিবেচনায় কোনো আদেশ দিলেই কথায় কথায় আপিল বিভাগে চলে যান এবং সেখানে উন্নত দেশের বিভিন্ন উদাহরণ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। অথচ একেক দেশের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেই দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুসারে। এটি কি শিক্ষামন্ত্রী আসলে বুঝতে চান না, নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করেন? আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলোতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পার্টটাইম কাজ করে নিজের গাড়ি, বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্পন্ন করার আগেই করে ফেলে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, সব শিক্ষার্থী ভাতা পান, অনলাইন ও অফলাইন দুই ব্যবস্থাতেই শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ আছে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পড়া শেষ করার পাশাপাশি পরীক্ষাও নেওয়া হয় ওপেন বুক পদ্ধতিতে।

লিগ্যাল নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেন, আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও সবার আগে মাথায় রাখতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে, একটা শিশু যদি কোনো কারণে মারা যায়, এর পুরো দায়ভার সরকার ও সমগ্র জাতির উপর এসে বর্তাবে। দাবদাহ ও হিট অ্যালার্ট একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখাটাই উচিত। করোনার সময়েও দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল।

লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী এর আগেও চলতি বছরের রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকবৃন্দদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিলেন। আবারও প্রচণ্ড দাবদাহ ও হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অবর্ণনীয় কষ্ট ও ভোগান্তি প্রদান করছেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, আপনার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিতর্কিত হচ্ছে। তাই আপনি ১ নাম্বার নোটিশ গ্রহীতা উন্নত দেশগুলোর মন্ত্রীদের মতো জনমনে আপনার বিষয়ে যে ক্ষোভ আছে তা নিরসনে তথা জনদুর্ভোগ অনুধাবন করতে আপনি ব্যর্থ সেই দায়ভার কাঁধে নিয়ে অনতিবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

সর্বশেষ সংবাদ

রোনালদোর পর সিকান্দার রাজাও সংবাদ সম্মেলনে কোমল পানীয়র বোতল সরালেন
রাঙামাটিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৩ জনের
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
ঢাবির সিনেট সদস্য হলেন গাইবান্ধা-৫ আসনের এমপি মাহমুদ হাসান
আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন
আগেই মিষ্টি কিনেছিলেন রিঙ্কুর বাবা, কিন্তু জায়গা হলো না বিশ্বকাপে
ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করল কলম্বিয়া
শনিবার থেকে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ, রোববার প্রাথমিক
মামলা হলে মিল্টনের স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করা হবে: ডিবিপ্রধান
সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে
বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দল ঘোষণা, নেই স্মিথ-ম্যাকগার্ক
এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস
‘আওয়ামী লীগ কোনো ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি’
যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতকে নতুন প্রস্তাব পাকিস্তানের
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
নাম্বার ওয়ান বলেই কি ফোন ফেলে দেবে সাকিব, বিচার দিলেন জায়েদ খান
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থীদের ওপর ইসরায়েলপন্থীদের হামলা