
জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি পুরস্কার পেল সাতক্ষীরার লিডার্স
১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫০ এএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৪ এএম

মধ্যপ্রাচ্যের জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি পুরস্কার-২০২৩ পেয়েছে বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে লিডার্স-এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডলের হাতে জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি পুরস্কার তুলে দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়া ও মোজাম্বিকসহ আরও ৭টি দেশের রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিসহ ৫টি বিভাগে নির্বাচিত সেরা দেশের প্রতিনিধিরা।
জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি পুরস্কারর হলো সহনশীলতার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার। এটি চালু হয় ২০০৮ সালে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ২০০৮ সালের বিশ্ব ভবিষ্যত শক্তি শীর্ষ সম্মেলনে পুরস্কারটি চালু করেন। এই পুরস্কারটি প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মানবতাবাদের উত্তরাধিকার এবং টেকসইতার প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ।
জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি প্রাইজ অলাভজনক সংস্থা, ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ এবং স্বাস্থ্য, খাদ্য, শক্তি, পানি এবং গ্লোবাল হাইস্কুলের বিভাগগুলোতে তাদের উদ্ভাবনী এবং অনুপ্রেরণামূলক টেকসই সমাধানের জন্য স্বীকৃতি দেয়। প্রতিবছর পুরস্কারস্বরূপ ৩ মিলিয়ন ইউরো বিজয়ীদের মাঝে প্রদান করা হয়।
উপকূলীয় পানি সংকট নিরসনে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় গড়ে উঠা লিডার্স এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। লিডার্স বিভিন্ন ধরনের পানি প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে উপকূলীয় মানুষের পানি সংকট নিরসনে ২০০৩ সাল থেকে কাজ করছে। সুপেয় পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লিডার্স রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম, পিএসএফ, এমএআর, বায়োস্যান্ড ফিল্টার স্থাপন ও পুকুর খনন করেছে। এ ছাড়া কৃষি ক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ঘটিয়ে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গভীর নলকূপ স্থাপন, খাল খনন এবং মিনি পুকুর খনন করেছে।
লিডার্স বিশ্বাস করে এই পুরস্কার প্রাপ্তি লিডার্সের কার্যক্রমকে আরও মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার জলবায়ুপীড়িত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে লিডার্স অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, লিডার্স ২০১৫ সালে পৃথিবীর মধ্যে তৃতীয় সংগঠন হিসেবে ওয়ার্ল্ড ওয়াটার শোকেজ পুরস্কার এবং ২০২০ সালে দুর্যোগ যোদ্ধা হিসেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-চ্যানেল আই এগ্রো অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। এ ছাড়া লিডার্স সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (GCA) কর্তৃক লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড ২০২২ এর জন্য মনোনীত হয়েছিল।
এনএইচবি/এসজি

মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ পিএম

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।
পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।
ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।
যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।
এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’
এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।
তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ পিএম

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ পিএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।