রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আম ক্যালেন্ডারে আর্থিক ক্ষতির দাবি সাতক্ষীরার চাষী-ব্যবসায়ীদের

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি অফিসের সমন্বয়ে প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডারের কারণে পথে বসতে শুরু করেছে প্রান্তিক পর্যায়ের আম চাষীরা। গেল দুই বছরের ব্যবধানে চলতি বছর গোবিন্দভোগ ও আম্রপালি প্রজাতির আম ভাঙতে পেছানো হয়েছে ১০/১১ দিন। ২০২১ সালে ২ মে গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার অনুমতি দেওয়া হলেও দুই বছরের ব্যবধানে এই আম ভাঙতে ১০দিন বৃদ্ধি করে ১২ মে করেছে জেলা প্রশাসন। আর আম্রপালি আম ভাঙতে ১১ দিন বৃদ্ধি করে ৪ জুনের পরিবর্তে করা হয়েছে ১৫ জুন।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলার চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করেছেন ১৩ হাজার ১০০ চাষি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৫ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৭০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮৩৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরে ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।

এ জন্য গত ১৬ এপ্রিল সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় ১২ মে থেকে সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপঘাস, বৈশাখীসহ আরও কয়েকটি প্রজাতির আম, ২৫ মে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন আম্রপালি ভাঙার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।

অথচ আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত কয়েক বছর ধরে কোনো প্রকার আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয় না। আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধামতো গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করে বাজারজাত করেন। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন সেখানকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। সেখানে সাতক্ষীরার মতো আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিসংগত? জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী? সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

আম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভৌগলিক কারণে দেশে প্রথম আম পাকে সাতক্ষীরায়। সেখানে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানোর কারণে প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এ জন্য আম ক্যালেন্ডার বাতিল করে জনসচেতনতা ও বাজার মনিটরিংয়ের উপরে গুরুত্ব দিতে জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তারা।

তবে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডার নামমাত্র করা। নির্ধারিত তারিখের আগে যদি কোনো বাগানে আম পাকে তা হলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন তারা।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার আম ব্যবসায়ী সুফিয়ান জানান, প্রতি বছর প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে আম চাষ করেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের প্রকাশিত আম ক্যালেন্ডারের কারণে প্রতি বছর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে গেল কয়েক বছরের চেয়ে এবার ক্ষতির পরিমাণটা অনেকাংশে বেশি বলে জানান তিনি।

শফিকুল ইসলাম নামে অপর এক আম ব্যবসায়ী জানান, কয়েক লাখ টাকা দিয়ে এবার ৪০টি আম বাগান কিনেছেন তিনি। এর ভিতরে ৫টা বাগানের গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম পাকলেও ভাঙতে পারছেন না। এতে করে আর্থিকভাবে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এই আম ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের হাতে জেলা প্রশাসন থেকে একটা লিফলেট দেওয়া হয়। সেখানে ১২ মে থেকে গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম, ২৫ মে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন আম্রপালি ভাঙার জন্য বলা হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্ধারিত তারিখের আগে আম পাকলে করণীয় কী সেই সম্পর্কিত বিষয়ে জেলা প্রশাসনের দেওয়া ওই লিফলেটে কোনো কিছু লেখা ছিল না। তবে কৃষি বিভাগ যদি বলে থাকে আমাদেরকে আম পাকা সম্পর্কিত কোনো নির্দেশনার লিফলেট দিয়েছে তাহলে সেটা তাদের ভুল হবে।

সুফিয়ান-শফিকুলের মতো একাধিক আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা আম ক্যালেন্ডার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১২ মে থেকে গোবিন্দভোগ প্রজাতির আম ভাঙার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। তবে ওই তারিখে অধিকাংশ বাগানে হিমসাগর আম পাকবে। আর গোবিন্দভোগ প্রজাতির অধিকাংশ আমের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এভাবে আম ক্যালেন্ডার করে চাষী-ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার অধিকার কী কারও আছে? বলে প্রশ্ন রাখেন তারা।

এ সময় তারা আরও বলেন, এভাবে আম ক্যালেন্ডার না করে প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং করা। তৃণমূলের চাষীদের সাথে মতবিনিময় ও জনসচেতনতা করা।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, দেশের অধিকাংশ জায়গায় আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ না করা হলেও সাতক্ষীরায় প্রকাশ করা হয়। একমাত্র ল্যাংড়া আম ব্যতিত প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয় এই জেলাতে। এতে করে দুর্যোগ কবলিত এই অঞ্চলের আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হন। গেল কয়েক বছরের ব্যবধানে এবার বিভিন্ন প্রজাতির আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয়েছে ১০/১১ দিন। এতে করে সাতক্ষীরা থেকে প্রতি বছর যে আম ইউরোপের বাজারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো এবার বিশ্ব বাজারে সেই আম রপ্তানিতে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার আম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন এজেন্ট। কেননা, আম ভাঙ্গার যে ক্যালেন্ডার জেলা প্রশাসন প্রকাশ করেছে সেই সময়ে দেশের অন্যান্য জায়গার আমে পাক ধরে। আর সাতক্ষীরার চেয়ে বাজার দর কম ও পরিবহন খরচ কম হওয়াতে ওই সমস্ত এলাকায় ঝুঁকছেন এজেন্টরা। এতে করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সাতক্ষীরার আম চাষীরা।

অথচ আমের আতুরঘর হিসেবে পরিচিত চাপাইনবাবগঞ্জে ২০২১ সাল থেকে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে না সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। এই বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। চাষকৃত ওই আম কেউ যাতে অপরিপক্ব অবস্থায় ভাঙতে বা বাজারজাত করতে না পারে সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করলেও তারা কোনো প্রকার আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করিনি। মূলত, আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেন তারা।

এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ. কে. এম গালিভ খান বলেন, একটা সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হতো। এতে (আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করলে) চাষী-ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হয়। এ কারণে, গেল কয়েক বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয় না। বাগানে আম পাকলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধামতো বাজারজাত করেন। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ তাদেরকে সহযোগিতা করেন। তবে কেউ যাতে অপরিপক্ব আম বাজারজাত করতে না পারেন এ জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ নিয়মিত আমবাগানসহ বাজার মনিটরিং করেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা কৃষিসম্প্রসারণ (খামারবাড়ি) অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, 'আম ক্যালেন্ডারের কারণে কোনো চাষী ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না।'

‘চাষী-ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত’- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নির্ধারিত তারিখের আগে যদি কোনো বাগানে আম পাকে তাহলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাজারজাত করতে পারবেন।’

‘ভৌগলিক কারণে সাতক্ষীরার আম আগাম পাকে অথচ প্রতি বছর আম ভাঙার তারিখ পেছানো হয় অথচ চাপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার হয় না তাহলে সাতক্ষীরাতে কেন?’-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আম ক্যালেন্ডারটি না করলে নই বলে করা। মূলত জেলায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা অপরিপক্ব অবস্থায় আম ভেঙে বাজারজাত করে। এ কারণে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে আম ভাঙার একটি প্রাথমিক তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ব আম বাজারজাত করতে না পারে।'

এসআইএইচ

Header Ad

দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার পর তালাক দিয়েছেন পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর রবিউল আওয়াল। তার স্ত্রী পাপিয়া আক্তার এমন অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, সাত বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৭ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতে রবিউল ও পাপিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের ১০ মাস পর রবিউল আওয়াল পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর পদে ফেনিতে যোগদান করেন। সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর ২০১৮ সালে এই দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। ২০২০ সালে এক নারী শিক্ষকের সঙ্গে কেলেঙ্কারির ঘটনার পর পটিয়াতে বদলি করা হয় রবিউলকে।

পটিয়াতে যাওয়ার পর ওই নারী শিক্ষকের (ফেনির ফুলগাজী পশ্চিম বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা আক্তার) সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যান। স্বামীর পরকীয়ার কথা জানার পর তাকে সংশোধনের চেষ্টা করলে পাপিয়ার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন রবিউল । একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই স্বামীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন পাপিয়া।

লিখিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মুচলেকা দিয়ে আসেন রবিউল। পরবর্তীকালে ২০২২ সালের ২০ আগস্ট দ্বিতীয় বিয়ের জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর চান রবিউল। ওই স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর না করায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাত্র বেড়ে যায়। পরে ২০২৩ সালে জুলাই মাসে পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর (সাধারণ) রবিউল আওয়ালকে মানিকগঞ্জে বদলি করা হয়। কেন বদলি করা হলো এই কথা জানতে চাইলে পাপিয়ার ওপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন রবিউল। দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় পাপিয়াকে তালাক দেন ২০২৩ সালে নভেম্বর মাসে। পরে মানিকগঞ্জ সদর থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী পাপিয়া।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের মধ্যস্থতায় তাদের পুনরায় বিয়ে হয় তাদের। কয়েকদিন যেতে না যেতে আবার দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতির জন্য চাপাচাপি শুরু করেন রবিউল। বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় পুনরায় তালাকের নোটিশ পাঠান রবিউল।

পাপিয়া আক্তার বলেন, আমি আমার স্বামীকে এই পথ থেকে সরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তিনি ফিরে আসছেন না। তিনি (রবিউল আওয়াল) দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চেয়ে বারবার আমাকে নির্যাতন করছেন, কোনোভাবেই আমার কাছ থেকে অনুমতি না পেয়ে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন । আমার একটাই দাবি আমার সন্তান যেন তার বাবা ও পরিবার না হারায়।

রবিউল পাপিয়া দম্পতির একমাত্র মেয়ে বলে, আমাদের সুন্দর একটি হ্যাপি ফ্যামিলি ছিল, আমি বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে চাই।

এ বিষয়ে পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর রবিউল আওয়াল বলেন, আমাদের তালাক হয়ে গেছে সে (পাপিয়া আক্তার) আমার বৈধ স্ত্রী নয়। সে আমার শরীরে বিভিন্ন সময় হাত তুলেছে, যে কারণে তার সঙ্গে সংসার করা সম্ভব না। দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতির জন্য পাপিয়াকে নির্যাতন করেছেন কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার তো দ্বিতীয় বিয়ের প্রয়োজন নেই, কেন তাকে নির্যাতন করবো এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

কুয়েত বিমানবন্দরে এক বাংলাদেশি যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিমান বাংলাদেশের বিজি ৩৪৪-এ চড়ার আগ মুহূর্তে ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়ে প্রাণ মারা যান এ প্রবাসী বাংলাদেশি।

নিহতের নাম দেলোয়ার হোসেন (৫০)। বাড়ি নোয়াখালী, পিতা সিদ্দিকুর রহমান।

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম মিনিস্টার মোহাম্মদ আবুল হোসেন স্থানীয় সময় রবিবার রাতে বিমানবন্দরে তার মারা যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া ওই একই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন কুয়েতে ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আরেক প্রবাসী ইব্রাহিম খলিল রিপন।

তিনি বলেন, ‘রবিবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে একটায় কুয়েতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশের বিজি ৩৪৪-এর ফ্লাইটটি উড়াল দেওয়ার কথা। দেলোয়ার হোসেন ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ২১ নম্বর গেইট অতিক্রম করেন। বিমানে পা রাখার অল্প কিছুক্ষণ মাত্র বাকি। ঠিক তখনই আকস্মিকভাবে মারা গেলেন তিনি।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা ধারণা করছে, দেলোয়ার হোসেন ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। পরে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে তার মরদেহ নিয়ে যায়।

ইব্রাহিম খলিল রিপন জানান, প্রায় ২৪ বছর আগে কুয়েতে আসেন দেলোয়ার। প্রথম দিকে তার বসবাসের বৈধতা থাকলেও একসময় অবৈধ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি কুয়েত সরকারের দেওয়া সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

দূতাবাসের শ্রম মিনিস্টার মোহাম্মদ আবুল হোসেন জানান, বর্তমানে নিহত দেলোয়ার হোসেনের মরদেহ কুয়েতের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে।

বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে বেড়েই চলেছে বজ্রপাতে প্রাণহানি। আর এমন অবস্থায় বজ্রপাতে থেকে বাঁচার কৌশল বলে দিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। এ বিষয়ে আজ রবিবার আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে অধিদপ্তর।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়েছে। সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কাও রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।

বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশলয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙ্গুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।

চলমান দাবদাহের বিষয়ে বিষয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, আগামীকাল সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে আগামীকাল থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।

সর্বশেষ সংবাদ

দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা
নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ