শনিবার, ৩ মে ২০২৫ | ২০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দর্শনায় ভোক্তা অধিকারের বাজার মনিটরিং অভিযান, তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার শিল্পনগরী দর্শনায় বাজার তদারকিতে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (২ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে এ বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলমান এই অভিযানে ঔষধ, কসমেটিক্স, মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। বাজার নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং নিয়ম না মানার কারণে জরিমানাও করা হয়।

অভিযান চলাকালে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৩,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। মো. আব্দুল ওদুদের প্রতিষ্ঠান এম আর স্টোরকে ৪,০০০ টাকা, মো. জহিরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান সরদার স্টোরকে ৪,০০০ টাকা এবং মো. জসিম উদ্দিনের প্রতিষ্ঠান দেওয়ান স্টোরকে ৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এ সময় ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়, অবৈধ মজুদ না রাখা, স্পষ্ট মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসানের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মুশফিকুর রহিম, ক্যাব সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানিয়েছেন, জনস্বার্থে বাজার মনিটরিং ও ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

এবার উটের দুধের ব্যবসায় নামছেন মিষ্টি জান্নাত

অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাত। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয়, চিকিৎসা এবং ব্যবসা—তিন ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতায় নিজেকে তুলে ধরেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় মুখ মিষ্টি জান্নাত। এবার নতুন এক উদ্যোগে চমকে দিলেন সবাইকে। অভিনয়ের পাশাপাশি এবার বাংলাদেশে শুরু করতে যাচ্ছেন উটের দুধের ব্যবসা।

দীর্ঘদিন ক্যামেরার আড়ালে থাকলেও থেমে থাকেননি এই অভিনেত্রী। কাজ করেছেন নিজের চিকিৎসাকেন্দ্র নিয়ে, সময় দিয়েছেন ব্যবসায়িক পরিকল্পনায়। এবার সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে দুবাই থেকে উটের দুধ আমদানি করে বাংলাদেশে বাজারজাত করতে যাচ্ছেন তিনি।

অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাত। ছবি: সংগৃহীত

এক সাক্ষাৎকারে মিষ্টি জানান, ‘আমি নিজে উটের দুধের চা খেতে পছন্দ করি। অনেকেই জানতে চান এর স্বাদ কেমন। তাই ভাবলাম, সবাইকে এই বিশেষ স্বাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই।’ তিনি জানান, ২০০ মিলিলিটারের প্যাকেটে এই দুধ সরবরাহ করা হবে, যাতে সহজেই সবাই গ্রহণ করতে পারেন।

ব্যবসার পাশাপাশি সামনে রয়েছে বড় বাজেটের দুটি সিনেমা ও একটি ওয়েব ফিল্মে অভিনয়ের পরিকল্পনা। ওয়েব ফিল্মটিতে এক সাইকো কিলারের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে।

বাংলাদেশে দাঁতের ক্লিনিক পরিচালনার পাশাপাশি নিউইয়র্কেও একটি শাখা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে এই অভিনেত্রীর। বর্তমানে তিনি দুবাইতে অবস্থান করছেন, যেখানে ব্যবসা ও অবকাশ দুটোই সামলাচ্ছেন একসঙ্গে।

২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ ছবির মাধ্যমে সিনেমায় যাত্রা শুরু করা মিষ্টি জান্নাত এর আগেও শাকিব খান, শাহরিয়ার নাজিম জয় এবং তমা মির্জাকে ঘিরে নানা আলোচনায় ছিলেন। এবার আলোচনার কেন্দ্রে তার নতুন উদ্যোক্তা পরিচয়।

Header Ad
Header Ad

বিতর্কিত সাংবাদিক ময়ূখকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল কলকাতা (ভিডিও)

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল রিপাবলিক বাংলায় কখনও লাফিয়ে, কখনও দৌড়ে- হাত পা ছুঁড়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে সংবাদ উপস্থাপনা করেন তিনি। বাংলাদেশকে নিয়ে যত ধরণের উদ্ভট বানোয়াট কথার মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে হয়েছেন সমালোচনার পাত্র।

তিনি আর কেউ নন- বলছি, কলকাতার মলম বিক্রেতা খ্যাত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের কথা! এ নিয়ে শুধু বাংলাদেশের মানুষের কাছেই নয়, ওপার বাংলার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারাও তাকে নিয়ে সমালোচনা করেন।

বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচারের অভিযোগে কলকাতায় রিপাবলিক বাংলা টিভি চ্যানেলের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, চ্যানেলটির সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে সংবাদ উপস্থাপনার নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছেন।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, রিপাবলিক বাংলার প্রতিবেদনগুলোতে বারবার হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। চ্যানেলটির সংবাদ উপস্থাপনা কৌশলে ব্যক্তিগত মতামত ও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব প্রকাশ পায়, যা সাংবাদিকতার নীতিবিরুদ্ধ। তাঁরা দাবি করেন, এই চ্যানেলের সাংবাদিকরা আসলে ভারতের কট্টরপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠী বিজেপি ও আরএসএস-এর মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন।

চ্যানেলটির প্রধান উপস্থাপক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভিত্তিহীন খবর প্রচার করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর এসব সংবাদে বাংলাদেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা আরও জানান, ময়ূখ রঞ্জনের আচরণ সাংবাদিকতা পেশার জন্য লজ্জাজনক। চিৎকার, অশোভন অঙ্গভঙ্গি ও অপমানজনক শব্দচয়নের মাধ্যমে তিনি “হকার সাংবাদিক” হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর এসব কার্যকলাপে শুধু বাংলাদেশের সুনাম নয়, ভারতের গণতন্ত্র ও সংবিধানের মানও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন যে, যদি দ্রুত ময়ূখ রঞ্জন ঘোষকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হয় এবং রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলটি বন্ধ করা না হয়, তবে আন্দোলন আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করবে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানায় শতাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেন, “এই ধরনের উস্কানিমূলক ও বিভাজনমূলক প্রচার চালানো ব্যক্তিরা সমাজের ক্যান্সার। যত দ্রুত সম্ভব এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে, এবং তার প্রভাব পড়বে রাজ্যের অর্থনীতিতেও।”

আন্দোলনকারীরা সতর্ক করেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আরও তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, যদি তাঁদের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে অন্তত ৫৮ জন নিহত হন: উপ-প্রেস সচিব

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় অন্তত ৫৮ জন নিহত হন। যাদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ৭ সদস্যও ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

শনিবার (৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা জানান তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব লিখেন, যখনই আমি হেফাজতে ইসলামকে কোনো বড় বিক্ষোভ করতে দেখি, তখনই আমার মনে পড়ে যায় শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের ওপর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য আমার অনুসন্ধানের। যখন গোটা বিশ্ব এই গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল, তখন আমি ঢাকায় বিবিসির প্রাক্তন সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সাথে চ্যালেঞ্জিং কাজটি গ্রহণ করি।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার লিখেন, আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। আপনারা যারা এখন সাংবাদিকতার জগতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, মানবাধিকার রক্ষা করছেন, তারা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না যে কাজটি কতটা কঠিন ছিল।

তিনি লিখেন, দুই সপ্তাহ ধরে চলা তদন্তের সময়, রাস্তাঘাট, হাসপাতালের লগবুক খুঁড়ে, নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা করে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে এবং কবরস্থানের প্রমাণ সংগ্রহ করে, মানুষকে খোলাখুলিভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে, আমি সবসময় নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে পড়ে যাওয়ার এবং নিখোঁজ হওয়ার ভয় বহন করতাম।

উপ-প্রেস সচিব লিখেন, নিরাপত্তার কারণে, আমি আগে কখনো আমার কাজের কৃতিত্ব দাবি করতে পারতাম না, কিন্তু যখনই আমি দেখি যে কোনো সহকর্মী সাংবাদিক আমার কাজকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা আমাকে সত্যিই আনন্দ দেয়।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এবার উটের দুধের ব্যবসায় নামছেন মিষ্টি জান্নাত
বিতর্কিত সাংবাদিক ময়ূখকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল কলকাতা (ভিডিও)
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে অন্তত ৫৮ জন নিহত হন: উপ-প্রেস সচিব
মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
হাসিনার মতো ভুল করবেন না, ড. ইউনূসকে হেফাজতের সতর্কবার্তা
ভারতের গোয়ায় পদদলিত হয়ে নিহত ৭
তিন দেশে ৪টি ম্যাচ খেলবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা, সঙ্গে থাকবেন মেসিও
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান জানালেন তারেক রহমান
পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রস্তুত, ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি
সরকারি সফরে কাতার গেলেন সেনাপ্রধান
ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ থামছেই না, হামলায় নিহত ৪৩
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ১৭৬৯৪ হজযাত্রী
আজ হেফাজতের মহাসমাবেশ, ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী নেতাকর্মীদের ঢল
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ: তথ্য উপদেষ্টা
টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, চাপ পড়েছে সৈকত ও হোটেলগুলোতে
বিরল সীমান্তে পতাকা বৈঠক, দুই দেশের নাগরিকদের আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর
অনিশ্চয়তায় ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় নতুন মাত্রা: পাকিস্তানে বিদেশি ঋণ বন্ধে ভারতের তদবির
ভারতে আতঙ্কে কাশ্মীরিরা: বাড়ছে হয়রানি, মারধর ও ধরপাকড়