স্বাভাবিক জীবনে ফেরা জঙ্গিরা জানালেন, তারা জঙ্গি না!

১৬ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৬ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম


স্বাভাবিক জীবনে ফেরা জঙ্গিরা জানালেন, তারা জঙ্গি না!

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, আরএমপির বেলপুকুর থানার অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত ৩৩ জন জঙ্গি স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে। তবে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালো সন্ত্রাস দমন আইনে অভিযুক্ত এসব জঙ্গীরা। বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তারা বললেন, তারা নিতান্তই সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন সময় অন্যায়ভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটকে রেখে নির্যাতন করে মিথ্যা স্বীকারক্তি নিয়েছে। মিথ্যা জঙ্গি মামলা দিয়েছে। অথচ জঙ্গিদের তারা ঘৃণা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে আরএমপির বেলপুকুর থানায় অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত ৩৩ জন আসামি হাজিরা দিতে আসে। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা এসব জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার বিষয়টি জানতে চাইলেই তারা নিজেদেরকে জঙ্গি না দাবি করে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তুলে ধরেন, তাদের প্রতি নানা অন্যায়ের চিত্র। এদেরই একজন হায়াতুল্লাহ। সে বেলপুকুর থানাধীন ভড়াপাড়ার বাসিন্দা।

তিনি বলেন, আমি রড মিস্ত্রির কাজ করি। আমাকে রাস্তার উপর থেকে ধরে নিয়ে এসেছিলো। আমি রাস্তায় যাচ্ছিলাম। কয়েকজন এসে বললো, 'চলো'। আমি বললাম কোথায় যাবে, তারা বললো, স্যার ডেকেছে। কিছু কথা আছে। আমি বললাম, কি কথা এখানেই বলেন। তারা বললো না, যেতে হবে। আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। এক রাত আটকে রেখে নির্যাতন করা হলো।

ধরার সময়, আমার কাছে রড মিস্ত্রির কাজের উপকরণ সব নিয়ে নিয়েছে। পরে সামনে কিছু বই দিয়ে আমাকে মামলা দিয়েছে। বইয়ের মামলা দিয়েছে। আমার কি অপরাধ তাও বলেনি। র‌্যাব ধরেছিলো। এখন থানায় হাজিরা দিচ্ছি। আরেকজন পুঠিয়ার মাহিন্দ্রা এলাকার বাসিন্দা মিজান বলেন, তিনি ছিনতাই মামলায় ১০ মাস জেল খেটেছেন। পরে পুলিশ জিএমবি মামলা দেয়। এখন সেই মামলার হাজিরা দিচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করে আরেকজন গভীর নলকূপ মিস্ত্রি বলেন, আমাকে দিয়ে কাজ করে নিবে বলে ডেকেছিলো। একসঙ্গে বসে চা খেলাম। আমাকে বললো, দেখেন তো গাড়ি তে লোক আছে না কি? গাড়ির কাছে গেলাম। ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তুলে নিলো। এরপর ৭ দিন আটকে রেখে নির্যাতন করা হলো। এরপর রাতে হলিদাগাছি এলাকায় ২ টা জিহাদি বই, ১ টা পিস্তল দিয়ে গ্রেপ্তার করলো। অথচ আমি জীবনে জিএমর কাজ করি নি। আমি মিস্ত্রি মানুষ। কাজ করেই সংসার চলে। এখনও এভাবেই চলছে।

আরেকজন ফার্মেসি ব্যববসায়ী বলেন, আমি আসরের নামাজ পরে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর আমাকে আটক করা হয়েছিলো। পরে গোয়েন্দা সংস্থার লোকই তদন্ত করে বলেছিলো, তোমাকে কেন আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। তোমার তো কোন জঙ্গি সম্পৃক্ততা পায় নি। আর আমি কোন দিনই জঙ্গি ছিলাম না। জঙ্গিকে ঘৃণা করি।

তারপরও ২০১৬ সালে আমার ফার্মেসির দোকান থেকে ডেকে এনে মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছিলো। সেই মামলার জামিনেমুক্ত হয়ে এখনো হাজিরা দিচ্ছি। এভাবে সকলেই নিজেকে নিদোর্ষ দাবি করে গণমাধ্যমকর্মীদের বক্তব্য দেন। এছাড়া অন্য সাধারণ মামলার আসামিদেও জিএমবি মামলা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওছে। যা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে বেলপুকুর থানা পুলিশও।

গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, আমি ২০২১ সালে নভেম্বরে জয়েন্ট করি। এরপর পূর্বে যেসকল জিএমবিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিলো, তাদের শণাক্ত করে কথা বলি। এখন প্রতি মাসে একবার করে হাজিরা দেয়। আর তারা (জঙ্গিরা) যে অভিযোগ করছে তা ঠিক না।

এ বিষয়ে রাজশাহী পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) বলেন, এটি আরএমপির প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম। থানায় নিয়মিত হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জামিনে মুক্ত জঙ্গি মামলার আসামিরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন। আমরাও চাই জঙ্গি মামলার আসামিরা জঙ্গিবাদ হতে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।

এদিকে, পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বেলপুকুর থানায় মোট ৩৮ জন তালিকাভুক্ত জঙ্গি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ জন নিয়মিত থানায় হাজিরা দিচ্ছে ও ১ জন জেল হাজতে রয়েছে। থানায় হাজিরা দেওয়া ৩৩ জনের মধ্যে ৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টের আদেশে জামিনে মুক্ত রয়েছে। বাকি ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জন বিচারাধীন আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছে এবং ১ জনকে মামলা তদন্তকালে অব্যাহতি পেয়েছে। এছাড়া ৪ জন জঙ্গির তথ্য সংগ্রহ সংক্রান্ত গৃহীত কার্যক্রম চলমান আছে।
এএজেড


শীত থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে?

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৪ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২৮ পিএম


শীত থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে?
ছবি সংগৃহিত

পোশাক পরার ক্ষেত্রে অনেকে প্যান্ট, পায়জামা লুঙ্গি টাখনুর নিচে পরে থাকেন, যা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েয। এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘লুঙ্গির যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা জাহান্নামে যাবে।’ (বুখারি, হাদিস, ৫৭৮৭) জাহান্নামে গেলে শরীরের কোনো অংশবিশেষ যাবে না; বরং সমগ্র দেহই যাবে।

টাখনুর নিচে কাপড় পরার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি অহংকার বশে তার লুঙ্গি মাটির সাথে টেনে নিয়ে বেড়াবে, কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দৃষ্টি দিবেন না।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস, ৩৬৬৫)

আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা টাখনুর নিচে কাপড় পরলে ধর্মের কী অসুবিধা? তার সরল উত্তর হলো, অসুবিধা ধর্মের নয়, অসুবিধা আমাদের নিজেদের। কারণ দুনিয়াতেও টাখনুর নিচে কাপড় পরার অপকারিতা কম নয়। পুরুষের পায়ের টাখনুতে থাকে টেস্টোস্টেরন নামক যৌন হরমোন, যা সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের প্রয়োজন। টাখনুকে ঢেকে রাখলে টেস্টোস্টেরন হরমোন শুকিয়ে যায়। যার প্রভাবে শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। শুক্রাণু কমে যায়। ফলে সহজে বাচ্চা হয় না। এ সমস্যাটি আমাদের সমাজে মহামারি আকার ধারণ করছে। তা ছাড়া টেস্টোস্টেরনের অভাব মস্তিষ্ক ‘ঘোলাটে’ করে দেয়। এতে মনোযোগ নষ্ট হয়। স্মৃতিশক্তিও কমে আসে ধীরে ধীরে।

অনেকে ইসলামের বিধান মেনে টাখনুর নিচে কাপড় পড়া থেকে বিরত থাকেন। তবে শীতের সময় ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরতে চান। এবিষয়ে আলেমদের মতামত হলো- শীতের কারণেও টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে না। কারণ এর সমাধান জায়েজ পদ্ধতিতে করা সম্ভব। সেটি হল, মোটা মোজা বা চামড়ার মোজা পরিধান করা। যেহেতু ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার বিকল্প ব্যবস্থা আছে, সেখানে নিষিদ্ধ কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই।

তবে যদি কোথাও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকে, আর ঠান্ডার কারণে পা জমে যাওয়া বা মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, তাহলে টাখনুর নিচে জামা পরিধান জায়েজ হবে ইসলামি শরীয়তের এই মূলনীতির ভিত্তিতে, যেখানে বলা হয়েছ, তীব্র প্রয়োজন নিষিদ্ধ বস্তু হালাল করে দেয়। তবে যখনি তীব্র প্রয়োজন দূর হয়ে যাবে, সঙ্গেসঙ্গে আবার তা হারাম হয়ে যাবে এবং আবারও কাপড় টাখনুর ওপর উঠাতে হবে। (শরহু কাওয়ায়িদিল ফিক্বহিয়্যাহ লিজযারক্বা, কায়দা নং-২০)

 


নাসুমকে ডেকে কথা বলল বিসিবির তদন্ত কমিটি

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১২ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২৮ পিএম


নাসুমকে ডেকে কথা বলল বিসিবির তদন্ত কমিটি
নাসুমকে ডেকে কথা বলল বিসিবির তদন্ত কমিটি। ছবি: সংগৃহীত

বড় রকমের প্রত্যাশা নিয়েই ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ৫০ ওভারের বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞে ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিতেছে লাল-সবুজেরা, এমনকি অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও পরাজয়ের মুখ দেখেছে টাইগাররা। শুধু আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পেরেছে সাকিব-শান্তরা। এরমধ্যে লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।

এদিকে বিশ্বমঞ্চে এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচকদের কাঠগড়ায় অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচকসহ দল সংশ্লিষ্ট সবাই। এমন ভরাডুবির পেছনের কারণ উৎঘাটনে গত বুধবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই মধ্যে জোরেশোরে কাজও শুরু করেছে সেই কমিটি।

ক্রিকেটারদেরও সেই কমিটির কাছে নিজেদের হতশ্রী পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ক্রিকেটার নাসুম আহমেদ। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি। এরপর বিসিএল খেলতে আবারও সেখানে ছুটেন তিনি। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, প্রধান কোচ নাকি এই স্পিনারকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়নি।

এর আগে, রোববার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কাজ শুরু করেছে এই তদন্ত কমিটি। প্রথমদিন বিকেলে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিসিবি অফিসে শুরুতেই আসেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এরপর আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকেও সেখানে দেখা যায়। তবে তাদের কেউই গণমাধ্যমে কথা বলেননি। তাদের দাবি, তদন্ত চলাকালে কথা বলা নিষেধ।

এই দুই নির্বাচকের পর সেখানে একে একে হাজির হতে থাকেন ক্রিকেটাররাও। কমিটির কাছে শুরুতে নিজের জবাব দেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এদিন তদন্ত কমিটির সঙ্গে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজনও উপস্থিত ছিলেন।

এরপর সন্ধ্যার দিকে সেখানে আসেন ওপেনার লিটন দাস। তদন্ত কমিটির কাছে আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা করেন তারা। বের হওয়ার সময়ে এই দুই ক্রিকেটারও মুখে কুলুপ আঁটেন। এরপর ধাপে ধাপে কোচ, অধিনায়ক সবার কাছ থেকেই ব্যাখ্যা চাইবে তদন্ত কমিটি।

প্রসঙ্গত, ৩ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষ এই কমিটিতে আছেন এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুব আনাম ও আকরাম খান। এর মধ্যে সিরাজকে আহ্বায়ক এবং মাহবুব ও আকরামকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২৫ পিএম


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট (স্নাতক) প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এবারের ভর্তিযুদ্ধ।

এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান, বাণিজ্য ১ মার্চ এবং ২ মার্চ চারুকলা অনুষদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এবারও ঢাকাসহ মোট আট বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। এছাড়া অন্যান্য নিয়মও বিগত বছরকে অনুসরণ করে হবে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

সারাদেশের কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা বিভাগের পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, সিলেট বিভাগের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বরিশাল বিভাগের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে, খুলনা বিভাগের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রংপুর বিভাগের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ময়মনসিংহ বিভাগের পরীক্ষা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

নম্বর বন্টন-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত এবং এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে ৪৫ মিনিট করে। তবে চারুকলা ইউনিটে ৪০ (সাধারণ জ্ঞান) নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ও ৬০ (অংকন) নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউর জন্য সময় থাকবে ৩০ মিনিট ও লিখিতের জন্য সময় থাকবে ৬০ মিনিট।

এর আগে গত ২৬ নভেম্বর ২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, পরীক্ষায় পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন পরীক্ষার্থী।

অনুসরণ করুন