
রাজশাহীতে বৃষ্টি, আমের জন্য আর্শীবাদ
১৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০১:৩২ এএম

রাজশাহীতে চৈত্রের প্রথম দিনে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুর বেলা ৩টার পর বিরতি দিয়ে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘসময় পর এমন বৃষ্টিতে প্রাণ-প্রকৃতিতে সজীবতা ফিরেছে। চৈত্রের খরতাপের আগের এমন বৃষ্টি আমের গুটিসহ কৃষির জন্য আর্শীবাদ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া এটি মৌসুমের দ্বিতীয় বৃষ্টি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, এদিন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ২ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর গত ১১ মার্চ দুপুরে নগরীজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সেদিন ১ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করেছিল আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রবিবার বৃষ্টি শুরুর কিছুক্ষণ পরই তাপমাত্রা নিচে নেমেছিল। এতে কিছুটা ঠান্ডা অনুভব হচ্ছিল। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেঘলা আবহওয়ার কারণে তাপমাত্রা অনেকটাই কম বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম জানান, গত কয়েকদিন ধরেই আকাশ মেঘলা রয়েছে। রবিবার দুপুরের পর কিছু সময় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এরপর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সোমবার (২০ মার্চ) বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে।
এদিকে রাজশাহীতে কয়েক বছরের মধ্যে এবার আম বাগানে সবচেয়ে বেশি গুটি এসেছে। এবার রাজশাহীতে ১ হাজার ৬৩ হেক্টর জমিতে আমের চাষ বেড়েছে। গতবারের তুলনায় এবার প্রায় ২০ হাজার মেট্রিকটন ফলন বাড়তে পারে। মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি নিয়ে অনেকের মধ্যে শঙ্কা থাকলেও কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই বৃষ্টি আমের জন্য আর্শীবাদ।
রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শামসুল ওয়াদুদ বলেন, এই বৃষ্টি কৃষির জন্য প্রত্যাশিত বৃষ্টি। যারা আলু তুলছেন, তাদের জন্য কিছুটা দুর্ভোগের হলেও আমসহ অন্যান্য ফসলের জন্য আর্শীবাদ। বিশেষ করে এই সময় বৃষ্টি না হলে গুটি ঝরে যাওয়ার হার বাড়ত। বৃষ্টির কারণে এখন গুটি ঝরবে না।
উল্লেখ্য, এবার রাজশাহী জেলায় ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমির বাগানে আম চাষ করা হয়েছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর। গতবার আম উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৬ হাজার ১৫৬ মেট্রিকটন। এবার ২ লাখ ২৫ হাজার ৯১২ মেট্রিকটন আম উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।
এসজি