
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:২৯ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২৪ এএম

নাটোরের লালপুরে ধর্ষণ মামলায় রাজা হোসেন নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (৩ এপ্রিল) নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাজা হোসেন লালপুর উপজেলার ধনঞ্জয়পাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
নাটোর কোর্ট ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান,২০০২ সালের ৩ জুলাই লালপুর উপজেলার ধনঞ্জয়পাড়া গ্রামের রাজা হোসেন বিয়ের করার কথা বলে পাশের কচুয়া গ্রামের ১৩ বছর বয়সী ওই শিশুকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচি বাদী হয়ে মামলা করেন। দীর্ঘশুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
এসজি

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ২ দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২১ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩০ পিএম

নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, বিরোধীদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে ও উগান্ডার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘জিম্বাবুয়েতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করায় আজ আমি নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির আওতায় যারা জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা অভিযুক্ত, তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) অনুসারে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।’
কোন ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে, সে বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে—নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা ব্যক্তিকে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখা; গণতন্ত্র, শাসন বা মানবাধিকারসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলোর ক্ষমতা সীমিত করা। ভোটার, নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা নাগরিক সমাজকে হুমকি বা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভয় দেখানো।’
এর বাইরে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা ব্যক্তিরাও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন বলে ঘোষণা করেন ব্লিঙ্কেন। তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী মামলার বিচারের সময় বিচার বিভাগের স্বাধীন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করা বা জিম্বাবুয়েতে মানবাধিকারের অপব্যবহার বা লঙ্ঘনে জড়িত ব্যক্তিরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কেবল যেসব ব্যক্তি এসব কাজে যুক্ত থাকবেন, তাঁরাই নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এ ধরনের ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত হতে পারেন। সোজা কথায়, যে বা যাঁরা জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেন—২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময় এবং তার পরে বা আগে—এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি এই আইনের সঙ্গে জড়িত নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য হবে। জিম্বাবুয়ের জনগণের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা নির্দেশিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র জিম্বাবুয়ের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে, যা জনগণের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে এবং গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষাকে শক্তিশালী করে।’
উগান্ডা প্রসঙ্গে পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির গণতন্ত্রকে দমন ও ক্ষুণ্ন করায় ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় উগান্ডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে একটি ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সময় দেশটির সরকারকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া, সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে অনুরোধ করা হয়।
সে প্রক্রিয়ায় কোনো উন্নতি না হওয়ায় বিবৃতিতে বলা হয়, আমি উগান্ডার বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তাদের বা অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভিসা-নীতির সম্প্রসারণ ঘোষণা করছি। যারা উগান্ডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য বা প্রান্তিক সদস্যদের দমন করার লক্ষ্যে নীতি বা কর্মের জন্য দায়ী বা জড়িত তারাই এর লক্ষ্য।
এ ছাড়া পরিবেশকর্মী, মানবাধিকার রক্ষাকারী, সাংবাদিক, এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তি ও সুশীল সমাজ সংগঠকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা এই নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন। জিম্বাবুয়ের মতোই বলা হয়, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্ষুণ্ণকারী ওই সব ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও বিধিনিষেধের অধীন হতে পারেন।

সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ জুলাইয়ে, অংশ নেবে ৮ দল
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০০ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৫ পিএম

দীর্ঘদিনের দাবি ছিল দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চল- সাফের দেশগুলোর সেরা সেরা ক্লাব নিয়ে একটি চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করার। এই দাবি বাস্তবায়ন করা হবে বলে দীর্ঘ সময় পার করে ফেলেছে সাফ নির্বাহী কমিটি। অবশেষে সেই ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আগামী জুলাইয়ে প্রথম সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সাফ নির্বাহী কমিটির সূত্রে জানা গেছে, বহুল প্রতিক্ষিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ক্লাব নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা শুরু হবে আগামী জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে। আজ সাফের কম্পিটিশন কমিটির সভায় এই অঞ্চলের নতুন এই টুর্নামেন্টের ফরম্যাট ও বাইলজ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সভা শেষে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা আজকের সভায় সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের ফরম্যাট ও বাইলজ অনুমোদন করেছি। সাত দেশের মোট আটটি ক্লাব নিয়ে হবে প্রথম এই টুর্নামেন্ট। দুটি দল খেলবে ভারত থেকে। কারণ, তারা এই অঞ্চলে ফিফা র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দেশ। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ মোট ১৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।’
আনোয়ারুল হক হেলাল টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য তারিখও জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খেলা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুলাই। ওইদিন দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।’
সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে এএফসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টের সূচির কোনো সংঘর্ষ হবে কি না? জানতে চাইলে আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে এএফসি কাপ ও এএফসি ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের উইন্ডোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। যে কারণে, এই অঞ্চলের যে ক্লাবগুলো এএফসির টুর্নামেন্টে খেলছে, তারা সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা তৃতীয় দল নতুন এই টুর্নামেন্টে খেলবে। কারা খেলবে সেটা ওই দেশের ফেডারেশন আমাদেরকে নাম পাঠাবে।’

বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের বড় দুঃসংবাদ দিলো যুক্তরাজ্য
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫২ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩০ পিএম

বিদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মী প্রবেশ সীমিত করতে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যে কাজের ভিসা পেতে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতনের সীমা বৃদ্ধি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সীমিত করার সিদ্ধান্ত।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অভিবাসী প্রবেশ ব্যাপক হারে বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে দেশটিতে নতুন অভিবাসীর সংখ্যা ছিল রেকর্ড ৭ লাখ ৪৫ হাজার। এটি যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেও বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে।
চাপের মুখে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, অভিবাসী অনেক বেশি। এটিকে নামিয়ে আনার জন্য আজ আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। অভিবাসন যেন যুক্তরাজ্যের জন্য সবসময় উপকারী হয়, তা নিশ্চিত করবে এই পদক্ষেপগুলো।
ব্রিটিশ সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, কেবল স্নাতকোত্তর গবেষণা ডিগ্রিতে পড়া বিদেশি শিক্ষার্থীরাই পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিতে পারবেন। এর বাইরে কোনো শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যদের নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।
এছাড়া, দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য বিদেশিদের বেতন ন্যূনতম বেতনের সীমাও বাড়াতে চলেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ভিসা পেতে হলে ন্যূনতম ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড আয় করতে হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। বর্তমানে এই আয়ের সীমা হচ্ছে ২৬ হাজার পাউন্ড (৩৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা প্রায়)।
এসব সিদ্ধান্ত আগামী বছরের শুরুর দিকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ক্লেভারলি।
কী কী রয়েছে যুক্তরাজ্যের নতুন পরিকল্পনায়:
১. বিদেশি সেবা কর্মীদের পরিবারের সদস্য নিয়ে আসা বন্ধ করা এবং ভিসা স্পন্সর করার জন্য ইংল্যান্ডের কেয়ার ফার্মগুলোকে কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনে নিবন্ধিত হওয়া। নতুন নিয়মের কারণে ২০২৪-২৫ সাল নাগাদ এই পদ্ধতিতে আগমন ২০ শতাংশেরও বেশি কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২. দক্ষ কর্মী ভিসায় যাওয়া ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক আয় এক-তৃতীয়াংশ বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড করা।
৩. ঘাটতি থাকা পেশাগুলোর জন্য ২০ শতাংশ বেতন ছাড়ের অবসান ঘটানো এবং ঘাটতি পেশার তালিকা সংস্কার করে বিদেশ থেকে কম খরচে কর্মী গ্রহণ বাতিল করা।
৪. পারিবারিক ভিসার জন্য দক্ষ কর্মীদের ন্যূনতম আয়ের (৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড) দ্বিগুণ আয় থাকা।
৫. শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম কঠোর করা। এর জন্য স্নাতক রুট পর্যালোচনা করবে একটি উপদেষ্টা কমিটি।