সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নওগাঁর নিভৃত পল্লী গ্রামে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটের আগ্রহ কমাতে দিনব্যাপী বইমেলা

নিভূত পল্লীগ্রাম মশিদপুরে দিনব্যাপী বই মেলা । ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার নিভূত পল্লীগ্রাম মশিদপুর। জেলা শহর থেকে দুরুত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। এটি জেলার মান্দা ও নিয়ামতপুর উপজেলা এবং রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রাম। জেলা, উপজেলা ও সীমান্তবর্তী হওয়ায় অবহেলিত নিভৃত পল্লী গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এ গ্রামে রয়েছে কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও নানা কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার প্রবণতা অনেক বেশি। এতো প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে বর্তমানে বিভিন্ন অবস্থানে রয়েছেন একদল যুবক। নতুন প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তোলা হয়েছে একটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগার’। এ সংগঠনের আয়োজনে সারা বছরই শিক্ষামুলক বিভিন্ন কর্মসূচী করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে বইমেলা অন্যতম। এবার মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২তম বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগারের উদ্যোগে মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বইমেলার আয়োজন করে। সকাল ৯টায় বইমেলা শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মেলায় রাজশাহী ও স্থানীয় ৬টি বইয়ের স্টল অংশ নেয়। যেখানে গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও ছোটদের জন্য ছড়া বই রয়েছে। প্রতিটি বইয়ের মুল্য ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আগ্রহ কমাতে এবং শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ব্যতিক্রম এমন আয়োজন করা হয়। বইমেলার পাশাপাশি আলোচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, গল্প বলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। যেখানে ৪০ টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় হাজার শিক্ষার্থীদের আগমনে মিলন মেলায় পরিনত হয়।

যেখানে শিশু, কিশোর-কিশোরী সহ বিভিন্ন বয়সীরা বই কেনাকাটা করে। শুধু এ গ্রামের মানুষের জন্য এ বইমেলার আয়োজন নয়, আশপাশের তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরা বইমেলাকে কেন্দ্র করে এক দিনের উৎসবে মেতে ওঠে। শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রত্যন্ত এলাকায় বই মেলা হওয়ায় উচ্ছস্বিত শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

মেলায় গুনিজনদের আমন্ত্রন জানানো হয়। তারা শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধলে ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে সচেতনরা বাড়ানোর চেষ্টা করেন।

জানা যায়- শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে বই পড়া, বই কেনা ও শিক্ষার প্রতি নতুন প্রজন্মকে আগ্রহী করে গড়ে তোলার লক্ষে ২০১১ সাল থেকে ‘মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি’ গড়ে তোলা হয়। এ সমিতির ব্যানারেই শিক্ষার প্রসারে নানা কার্যক্রম চলে বছরজুড়েই। বই মেলা উপলক্ষে দিনটির শুরু থেকে গ্রামে যেন এক উৎসব বিরাজ করে। আশপাশে কয়েকটি গ্রাম ও প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মেলায় আসে। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বইমেলা থেকে বিভিন্ন জ্ঞানমুলক বই পেয়ে আন্দিত শিক্ষার্থীর।

কবিতা আবৃতি, কৌতুক, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিমেল সরকার ও অষ্টম সামিয়া ইসলাম বলেন, আমাদের স্কুল মাঠে বইমেলা হচ্ছে। যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসেছে। আমাদের এ প্রত্যন্ত গ্রামে বইমেলায় হওয়ায় অত্যান্ত আনন্দিত। পাঠ্য বইয়ের বাহিরে বই মেলা থেকে বিভিন্ন বই সংগ্রহ করা যায়। যেখান থেকে আমাদের জ্ঞান চর্চায় সহায়ক ভূমিকা রাখে। মেলা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।

মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি সাধারন সম্পাদক শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রত্যন্ত এ গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার পরও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বেশি। এর কারণ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ায় স্কুলে যাওয়ার প্রবণতা কম। এ কারণে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার প্রবনতা বেশি। সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষাবৃত্তি চালু করার পর ঝরে পড়ার প্রবনা কমেছে। বর্তমানে নতুন প্রজন্ম ও শিক্ষার্থী সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝুঁকে পড়েছে। তাদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বইমেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া সমিতির ব্যানারেই বছরজুড়েই চলে শিক্ষার নানা কর্মসূচী। বর্তমানে মানুষের মধ্যে বই পাঠের অভ্যাস গড়ে উঠেছে। এ কারণে গ্রামে পর্যায়ক্রমে এখন শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিভাবকরাও তাদের শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর ক্ষেত্রে আগ্রহী হচ্ছেন।প্রতি বছর শিক্ষাবিদদের ওই গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারা শিক্ষার উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দেন।

বইমেলায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সহ-সভাপতি ও চৌবাড়িয়া হাট কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- নড়াইল জেলার অগ্নীবিণা কেন্দ্রীয় সংসদের চেয়ারম্যান, নজরুল ভাবুক কবি ও সাংবাদিক এইচ.এম সিরাজ।

এসময় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম শাহ, মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ এবং মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বিসিবি সভাপতির হঠাৎ বৈঠক, অধিনায়ক বদলের গুঞ্জন!

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগের চারটিতে হেরেছে সিকান্দার জিম্বাবুয়ে। তবে আজ শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোয়াইটয়াশ ঠেকিয়েছে সিকান্দার রাজার দল। এদিকে মাঠে খেলা গড়ানোর আগে যখন ক্রিকেটাররা প্রস্তুতি সারছিলেন; সে সময় অফিসিয়াল প্রেস কনফারেন্স ছাড়া মাঠের বাইরে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

শুধু তাই নয় এর বাইরেও বড় ঘটনা ঘটেছে হোম অব ক্রিকেটে অবস্থিত বিসিবি অফিস বিল্ডিংয়ে। সভাপতির কক্ষে বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের এক নীতি নির্ধারনী বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ডের ১০ শীর্ষ কর্তা। সেই অনির্ধারিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন, সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন, সিনিয়র পরিচালক জালাল ইউনুস, অন্যতম পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার রহমান মিঠুসহ কয়েকজন।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং বোর্ডের ৮- ৯ জন শীর্ষ পরিচালক বৈঠকে বসেছিলেন একজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে।

জানা গেছে, বিসিবি সভাপতির কক্ষে একান্ত বৈঠকটি হয়েছে মূলত বোর্ড শীর্ষ কর্তা আর অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াাদের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ কী এমন হলো যে, মাহমুদউল্লাহর সাথে বোর্ড নীতি নির্ধারকদের বৈঠক?

প্রেস বক্সে চাপা গুঞ্জন, প্রাণচাঞ্চল্য। এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়লো যে, নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিং ফর্ম ভালো যাচ্ছেনা। বিসিবি সভাপতি পাপনও শান্তর ব্যাটিং নিয়ে খানিক অতৃপ্ত। তাই হয়তো শান্তর বদলে মাহমুদউল্লাহকে বিশ্বকাপে অধিনায়ক করার কথা ভাবছে বিসিবি। সেজন্যই রিয়াদকে ম্যাচ শেষে প্রেসিডেন্ট রুমে ডেকে নিয়ে একান্তে বসা।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ব্যাপারটা তা নয়। শান্তর ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে যে কথা হয়নি, তা নয়। তবে অধিনায়ক রদবদলের কথা আলোচনা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন শীর্ষ পরিচালক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, না, না। এ সময়ে এসে হঠাৎ অধিনায়ক পদে পরিবর্তন করা হবে কেন? শান্তর ক্যাপ্টেন্সি বদল নিয়ে কোনো কথা হয়নি।

ওই দুই পরিচালক জানান, আসলে রিয়াদ ভালো খেলেছে। এই বয়সেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে চলেছে। আজ প্রায় একাই লড়াই করেছে। তাই তাকে বাহবা দিতেই সঙ্গে নিয়ে বসা।

জানা গেছে, মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন বোর্ড পরিচালকরা। বিসিবি প্রধানও মাহমুদউল্লাহকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং এখনই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর চিন্তা বা ঘোষণা না দেওয়ার পরামর্শও নাকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অধিনায়ক শান্তকে সহায়তা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটারকে।

অন্তর্বাসে লুকানো থাকত ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ হতো চাকরির পরীক্ষা

অন্তর্বাসে লুকানো ডিভাইসের সাহায্যে চাকরির পরীক্ষা, গ্রেপ্তার ৭। ছবি: সংগৃহীত

মেয়েদের অন্তর্বাসের মধ্যে এবং ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো থাকতো অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস। একই সঙ্গে কানেক্ট করে পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে রাখা হতো ক্ষুদ্রাকৃতির বল। প্রশ্নপত্রের উত্তর সমাধানের জন্য বাইরে থেকে কাজ করত আরেকটি চক্র। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরপত্র সমাধান করে ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর জানিয়ে দেওয়া হতো পরীক্ষার্থীদের।

বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর সরবরাহ করার সংঘবদ্ধ এই চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জুয়েল খান (৪০), মো. রাসেল (৩০), মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল (৩৯), মো. আব্দুর রহমান (৩৮), মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. আজহারুল ইসলাম (২৯) এবং মো. মাসুম হাওলাদার (২৫)।

শনিবার (১১ মে) তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ১০ টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, ৭ টি মোবাইল ফোন ও ১০ টি সিম কার্ড এবং ১টি পকেট রাউটার জব্দ করা হয়।

চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ছবি: সংগৃহীত

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় পত্রফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর সাপ্লাই করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। প্রথমত তারা পরীক্ষা শুরুর ১ থেকে ২ মিনিট আগে পরীক্ষার কোনো না কোনো কেন্দ্রে ম্যানেজ করে প্রশ্নের কপি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়ে দিত। বাইরে তাদের প্রশ্নপত্র সমাধান টিম পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন সমাধান করে ফেলে। এরপর তারা উত্তরগুলো বলতে থাকে।

হারুন অর রশীদ বলেন, পরীক্ষার্থীর কাছে যে ক্ষুদ্র ডিভাইস থাকে সেটা পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে থাকে। আর পকেটের মধ্যে একটা রাউটার থাকে। অথবা মেয়েদের অন্তর্বাসের বা ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্টেড একটা সিম রাখে। এরপর বাইরে থেকে যখনই টেলিফোন করে সাথে সাথে পরীক্ষার্থী শুনতে পায় এবং ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরগুলো সমাধান করে ফেলে।

ব্রিফ করছেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, দিন দিন এভাবে অপরাধের ধরন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এক সময় আমরা নকল প্রতিরোধের জন্য কাজ করেছি। সে সময় তারা পরীক্ষার হলে বই নিয়ে যেত। আমরাও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে ধরার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করছি। এখন সর্বশেষ আমরা যেটা পেলাম সেটা হচ্ছে তারা ক্ষুদ্রাকৃতির বল ব্যবহার করছে এবং ডিভাইসটা এমন জায়গা রাখছে যেখানে ধরার কোন উপায় নেই।

তিনি আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (তৃতীয় ধাপ), বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট কালেক্টর (গ্রেড-২) ও বুকিং অ্যাসিসটেন্ট (গ্রেড-২), পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস সহায়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, টাঙ্গাইলের অফিস সহায়ক, মৎস্য বিভাগের অফিস সহায়ক, গণপূর্তের হিসাব সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপকসহ আরো বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় এ পন্থা অবলম্বন করেছে।

জব্দকৃত অন্তর্বাস, গেঞ্জি, ডিভাইস, মোবাইলফোন। ছবি: সংগৃহীত

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে, গ্রেপ্তাররা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের সঙ্গে চুক্তি করে। চাকরি ভেদে এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষায় টিকিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং লিখিত ও ভাইভাসহ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে।

ডিবিপ্রধান বলেন, চক্রের মূলহোতা জুয়েল খান বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস সংগ্রহ ও সরবরাহ, প্রশ্নপত্র সংগ্রহ, সমাধান টিমের সদস্য সংগ্রহ ও চক্রের অন্যান্যদের সাথে সমন্বয় করতেন। রাসেল, মাহমুদুল হাসান শাকিল এবং আব্দুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষার্থী সংগ্রহ এবং পরীক্ষার্থীদের কাছে ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ডিভাইসটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তার বিস্তারিত ব্যবহার বিধি শিখিয়ে দিতেন।

তিনি আর বলেন, আরিফুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রের অভ্যন্তর থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর সুবিধামতো সময়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়্যাটসঅ্যাপের মাধ্যমে কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করা চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে পৌঁছে দিতেন। এরপর তাদের সমাধান টিম অতিদ্রুত সেই প্রশ্নপত্র সমাধান করে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে তাদের নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কাছে ডিজিটাল স্পাই ডিভাইসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতো।

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ‌্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সীমান্তের ৪৮ নম্বর পিলারের ওপারে আরাকান আর্মির গুলিতে আবুল কালাম (২৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

রবিবার (১২ মে) সকাল ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪৮নং পিলারের ওপারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কালাম নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বামহাতিরছড়ার মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, রোববার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে সীমান্তের ৪৮নং পিলারের ওপারে ছেলির ঢালা নামক এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করে আবুল কালাম।খাদ্যসামগ্রী বুঝে দিয়ে ফেরার পথে আরকান বিদ্রোহীদের দখলকৃত আরাকান আর্মির ঘাঁটি বরাবর এলে তখন আরাকান আর্মির ডিউটিরত এক সদস্য চাঁদা ফাঁকি দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আরকান আর্মির সেই দায়িত্বরত সদস্য আবুল কালামের মাথায় গুলি করে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আবুল কালাম নিহত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে, সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার শামশুল আলম জানান, নিহত আবুল কালাম আমার এলাকার। তার লাশটি ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। তবে এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, আমরাও বিষয়টি শুনেছি। এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ

মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বিসিবি সভাপতির হঠাৎ বৈঠক, অধিনায়ক বদলের গুঞ্জন!
অন্তর্বাসে লুকানো থাকত ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ হতো চাকরির পরীক্ষা
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বিএনপিকে নিশ্চিহ্নে ক্র্যাকডাউনের পরিকল্পনা করছে সরকার: রিজভী
নওগাঁয় ধান ব্যবসায়ী ও কৃষকদের ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর সুপারিশের কার্যকারিতা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণ শুরু কাল, আবেদন করবেন যেভাবে
ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি হাতিয়ে নিতো চক্রটি
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশ ইসির
মারা গেলেন প্রথম শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনকারী সেই ব্যক্তি
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ: অধ্যক্ষের অপসারণ চান শিক্ষক-কর্মচারীরা
চামড়া ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ পেতে সুপারিশ করা হবে: শিল্পমন্ত্রী
গোবিন্দগঞ্জে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
উড়ন্ত বিমান থেকে লাফ দেওয়ার হুমকি যাত্রীর, তারপর...
রাজশাহীর কোন আম কবে বাজারে আসবে জানালো জেলা প্রশাসন
আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি তা এখানেই সীমাবদ্ধ না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এসএসসিতে ৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল
বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন ভেঙে সান্ত্বনার জয় পেল জিম্বাবুয়ে
বিয়ে করছেন ‘বিগ বস’ তারকা আবদু রোজিক
এসএসসিতে কোন বোর্ডে পাসের হার কত