শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

মহিমাগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি দুই ভুয়া সমন্বয়কের!

অভিযুক্ত শুভ ইসলাম ও আলামিন ইবনে রায়হান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চাঁদার টাকা না দেওয়ায় মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন সমন্বয়ক ও সহ সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী দুই যুবক। তবে তাদের কেউ মহিমাগঞ্জের সমন্বয়ক ছিলেন না বলে জানিয়েছেন মহিমাগঞ্জের স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত দুই যুবক হলেন- শালমারা ইউনিয়নের আলামিন ইবনে রায়হান এবং নাকাইহাট ইউনিয়নের শুভ ইসলাম। শুভ অত্র মাদ্রাসার ছাত্র হলেও আলামিন অত্র মাদ্রাসার নিয়মিত ছাত্র নন।

ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে, আল-আমিন মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র হওয়ায় তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তদবির নিয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে আসতেন। অধ্যক্ষ তার অবস্থান থেকে সাহায্য করার চেষ্টাও করেছেন। একসময় তার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অধ্যক্ষ আলামিনের থেকে দূরত্ব তৈরি করেন। তারপর থেকেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় উসকানিমূলক কথা বলতে শুরু করেন আল আমিন।

আরেক অভিযুক্ত শুভ ইসলাম আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র। তার বাড়ি নাকাইহাট ইউনিয়নের হওয়ায় নিয়মিত ক্লাস করতেন না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি মাদ্রাসায় যাতায়াত শুরু করেন। ওই সময় শুভসহ কয়েকজন ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে এসে চাঁদা দাবি করেন এবং জুলাই মাসের মাদ্রাসার মেসের টাকা না নেওয়ার জন্য বলেন ও মেস খোলা রাখার জন্য অধ্যক্ষকে চাপ দেন। পরবর্তীতে তৎকালীন সরকারের হল/মেস বন্ধের নির্দেশনা মোতাবেক হল/মেস বন্ধ করে দেয়া হয়।

পরবর্তীতে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শুভ আবারও চাঁদার দাবি করতে শুরু করেন, এবার দাবি করেন আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করা অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় শুভগং মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন।

এরপর শুরু করেন ফেসবুকে পোস্ট ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি। বর্তমানে এই পরিস্থিতির সুযোগটা নিয়ে ফেলেন এই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক, যার ভিতর অন্যতম মোঃ মাহামুদ হাসান- সহকারী অধ্যাপক এবং মোঃ তাওহীদ ইসলাম- মুহাদ্দিস অত্র মাদ্রাসা। এই ২ জন শিক্ষকের উসকানিতে সমন্বয়ক পরিচয়দানকারীরসহ গুটি কয়েকজন মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যার প্রমাণস্বরূপ, মাহামুদ হাসানের একটি অডিও প্রতিবেদকের কাছে আছে, যেখানে তিনি বলেছেন তোমরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করো, স্থানীয় বিএনপি নেতারা কোন কথা বলার সাহস পাবে না, অপর পাশ থেকে অন্যজন বলেন স্যার, আপনাকে কিন্তু থাকতে হবে। মাহামুদ বলেন ১১ টার পরে আমরা থাকবো।

স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এদের কখনোই এই এলাকায় দেখি নাই। নিজেদের পরিচিতি করতেই এসব করছে এই ছেলেগুলো। মাদ্রাসার একজন অভিভাবক বলেন, গত কয়েক বছর থেকে অধ্যক্ষের পদটি স্থায়ী নেই। ৫ বছরের অধিক সময় বর্তমান অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত হিসাবে পরিচালনা করে আসছেন। যতদূর শুনেছি মাদ্রাসার সাবেক এক শিক্ষক অধ্যক্ষ হিসাবে আসতে চায়। তিনি তার পরিচিত শিক্ষক ও কয়েকজন ছেলেদের দারা এই কাজ করাতে পারেন বলে আমার মনে হয়। কারণ, বর্তমান অধ্যক্ষ থাকলে তিনি এই পদে আসতে পারবেন না।

এছাড়াও ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে মহিমাগঞ্জ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা  বলেন, আন্দোলন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এদের কোথাও দেখলাম না, তারা কীভাবে সমন্বয়ক হয়। এরা অনৈতিক বা নিজেদের স্বার্থে কিছু করলে ছাত্ররাই এদের প্রতিহত করবে। বহিরাগত কেউ এলাকার শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে এটা আমরা মেনে নেব না।

এছাড়াও মহিমাগঞ্জ জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, এরা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এসব করছে। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে এই দুইজন সহ কয়েকজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের দোকান থেকে চাঁদা তুলেছেন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেন। তিনি আরও বলেন, আলামিনের শ্বশুর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক এক সভাপতির বন্ধুর আত্মীয়। আমাদের স্থানীয়দের এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এরা বিএনপি জামাতের লেবাসে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে।

এদিকে মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, এই ছেলেগুলোর সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা নাই। তারা ফেসবুক থেকে পুরাতন কিছু ছবি নিয়ে আমাকে ব্লাকমেইল শুরু করেন। ভয়ভীতি দেখান। আমি চাকরি করি। আল্লাহর অশেষ রহমতে এতো বড় একটা প্রতিষ্ঠান গত ৫ বছর পরিচালনা করে আসতেছি। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার সুবাদে আমার সাথে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ এলাকার সকল মানুষের সাথে আমার সুসম্পর্ক ছিল, এখনো আছেন।

তিনি আরও বলেন, এই ছেলেগুলো শুধু আওয়ামী লীগের লোকজনের ছবি সামনে আনছে কিন্তু আমার সাথে বিএনপি জামাত ঘরনার অনেকের সাথে সুসম্পর্ক আছে সেটা তারা বলতেছেনা। তিনি আরও বলেন, আমাকে এই হয়রানির বিষয়ে আমি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি অবগত করেছি।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সংগৃহীত গম বাংলাদেশে আমদানি হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করতে যাচ্ছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে এই গম আমদানিতে জড়িত বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানও জানাবে দেশটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের ভারতস্থ রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক জানান, বাংলাদেশ সরকারকে বারবার সতর্ক করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। তার ভাষায়, "আমরা একাধিকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি, কিন্তু কোনো জবাব পাইনি। ফলে এখন বিষয়টি ইইউতে তোলা হবে।"

রাষ্ট্রদূতের দাবি, রাশিয়ার কিছু কোম্পানি ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল থেকে শস্য সংগ্রহ করে তা রাশিয়ার উৎপাদিত গমের সঙ্গে মিশিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করছে—যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেআইনি এবং 'অর্থনৈতিক লুটপাটের' শামিল।

রয়টার্সের হাতে থাকা নথিতে বলা হয়, ইউক্রেনের নয়াদিল্লি দূতাবাস এ বছর বাংলাদেশ সরকারের কাছে একাধিক চিঠিতে ১.৫ লাখ টনের বেশি ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার কফকাজ বন্দর থেকে এই গমগুলো আমদানি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল কৃষিভূমি ও ক্রিমিয়া দখল করার পর থেকেই ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ। ২০২২ সালের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। তবে রাশিয়ার দাবি, ওই অঞ্চল এখন তাদের ভূখণ্ড এবং সেখানকার শস্য রপ্তানি বৈধ।

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাংলাদেশ কখনোই চুরি করা গম আমদানি করে না। রাশিয়ার অধিকৃত কোনো এলাকা থেকে গম আনার প্রশ্নই ওঠে না।”

Header Ad
Header Ad

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ অপসারণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি দুর্গা মন্দির ধ্বংসের অভিযোগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

তবে প্রকৃত ঘটনা হলো- গত বছর দুর্গাপূজার সময় পূর্বানুমতি ছাড়াই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জমিতে অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করেছিল। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ শর্তে অনুমতি দেয় যে পূজা উদযাপন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজকরা অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলবেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পূজা শেষ হওয়ার পর আয়োজকরা পারস্পরিক শর্ত লঙ্ঘন করে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা সেখানে একটি ‘মহাকালী’ (কালী মূর্তি) স্থাপন করে।

বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরেও দুর্ভাগ্যবশত তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে মণ্ডপটিকে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, মণ্ডপের আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন রেললাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে নির্মিত শত শত দোকান এবং রাজনৈতিক দলের অফিসসহ সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের জন্য একটি পাবলিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মূলত বিদ্যমান রেললাইনের পূর্ব দিক থেকে ২০০ ফুট দূরে কেবল বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ সেকশন ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় আরও দুইটি রেল ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইন সম্পন্ন করার জন্য এ জমির খুব প্রয়োজন ছিল।

বিগত মাসগুলোতে অবৈধ ভূমি দখলকারীদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করা হয়। গত ২৪ ও ২৫ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে অবশেষে সবাইকে সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয়, যার মধ্যে পূজা আয়োজকদের অস্থায়ীভাবে নির্মিত মণ্ডপটি অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে ২৬ জুন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে খিলক্ষেত এলাকার রেল ট্র্যাক বরাবর সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলাকালীন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে যথাযথ শ্রদ্ধার সঙ্গে অস্থায়ী মণ্ডপের প্রতিমা নিকটবর্তী বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণ একটি নিয়মিত এবং আইনসম্মত প্রশাসনিক কার্যক্রম।

যদিও দেশের আইন অনুসারে নির্মিত কোনো ধর্মীয় স্থাপনার সঙ্গে বৈষম্য না করে সমস্ত উপাসনালয়ের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবুও কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়। অস্থায়ী মণ্ডপের আয়োজকরা তাদের নিজস্ব অঙ্গীকার লঙ্ঘন করে রেল কর্তৃপক্ষের আস্থা এবং সদিচ্ছাকে স্পষ্টতই কাজে লাগিয়েছেন।

বাংলাদেশ সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে উপাসনালয়ের সুরক্ষা। বাংলাদেশকে তার সমন্বিত ঐতিহ্য বজায় রাখতে কখনও বাধা দেয়নি যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাস বা বিশ্বাস নির্বিশেষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উন্মুক্ত সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশ সবাইকে তথ্য এবং বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

আসাদুজ্জামান আলী। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদুজ্জামান আলী নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এনসিপির এ পদে একজন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতার অন্তর্ভুক্তিকে ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক ও সমালোচনা।

গত ২১ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কুমারখালী উপজেলা শাখার ১২ সদস্যের সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষর করেন। এই কমিটিতেই আসাদুজ্জামান আলীকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আসাদুজ্জামান আলী কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং এক সময় কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেন। তবে নানা অভিযোগে তাকে সেখান থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলী ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, মামলা ও ঘুষ বাণিজ্য, সেল্টার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি তার বাবা আবদুর সামাদ পাখির বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আছে।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলীকে পদচ্যুত করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে এনসিপির কমিটিতে আলীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, অতীতের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জানা সত্ত্বেও কীভাবে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এনসিপির মতো একটি দলে নেতৃত্বের জায়গা পেলেন, তা নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জবাবদিহি প্রয়োজন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসাদুজ্জামান আলী খান। তিনি বলেন, “আমি আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে সক্রিয় ছিলাম। সরকার পতনের আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।”

তিনি আরও দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে চাইছে। “আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অপকর্ম প্রমাণ করতে পারলে আমি কুমারখালী ছেড়ে চলে যাব,” বলেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট