শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিচারহীনতার ৯ বছর পেরিয়েও বিচার পায়নি গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালরা

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল সম্প্রদায় ৯ বছর পেরিয়েও নিজেদের ভূমিতে অধিকার প্রতিষ্ঠায় সফল হয়নি। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং তিনজন সাঁওতালের হত্যার ঘটনার স্মরণে প্রতি বছর এই দিনটি ‘সাঁওতাল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে তারা। বিচারহীনতার দীর্ঘ পথে আজও সাঁওতাল পরিবারগুলো অপেক্ষায় আছে ন্যায়বিচারের।

বিচারের দাবি নিয়ে বুধবার সকালে গোবিন্দগঞ্জের জয়পুর গ্রামে অস্থায়ী বেদিতে সাঁওতালরা ফুল দিয়ে, মোমবাতি প্রজ্বলন করে। মাদারপুর ও জয়পুর গ্রাম থেকে জাতীয় ও কালো পতাকা, তীর-ধনুক, বাদ্যযন্ত্রসহ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে গাইবান্ধা শহরে নিয়ে আসে। গাইবান্ধার নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সামনে সমবেত হয়ে, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ আয়োজনে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৬ সালের হামলার ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হলেও ৯ বছরেও মামলার বিচার কাজ শুরু হয়নি। মামলাটি প্রথমে পিবিআই এবং পরে সিআইডি তদন্ত করলেও, মূল আসামিদের বাদ দিয়ে চার্জশিট দেয়ার অভিযোগে বাদী থমাস হেমব্রম নারাজি দেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আদালত গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে নতুন করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়।

১৯৫৪ সালে আখ চাষের জন্য গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্মের প্রায় ১৮৪২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়, যার ২৭ শতাংশ ছিল সাঁওতালদের। এই জমি ফিরে পেতে ২০০২ সালে সাঁওতালরা আন্দোলন শুরু করে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের জমিতে বসতি স্থাপন শুরু করলে, সংঘর্ষ বাধে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী এবং পুলিশের সঙ্গে।

পুলিশ ও চিনিকল কর্তৃপক্ষ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করে; তবে সাঁওতালরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই বেড়া ভেঙে কৃষিকাজ ও মাছ চাষ শুরু করেছে।

এই বিরোধপূর্ণ জমিতে সরকার একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে। সাঁওতালরা ইপিজেডের বিরোধিতা করলেও প্রশাসন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। সরকার বলছে, ইপিজেড হলে স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থানসহ বৃহত্তর রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের উন্নয়ন ঘটবে। তবে, সাঁওতালরা জমি ফেরতের দাবি জানিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

সাঁওতাল হত্যা মামলার বাদী থমাস হেমব্রম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "সারা পৃথিবীতে আমাদের ওপর আগুন লাগানোর ভিডিও, ছবি প্রকাশ পেলেও এখনও পর্যন্ত দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।" সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকে বলেন, "যে দেশ আমরা স্বাধীন করেছি, সেই দেশে আজ নিজ ভূমিতে বেঁচে থাকা নিয়েও যুদ্ধ করতে হচ্ছে।"

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর নতুন তদন্ত শুরু হবে, এবং স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪ জন আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আদালতের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। যশোর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া।

পুলিশ জানায়, আটককৃতরা বিভিন্ন মামলায় পলাতক ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বড়আচড়ার আনারুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন, আলতাফ গাজির ছেলে আল আমিন, সাদিপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে কলিম হোসেন, ভবারবেড়ের আলতাফ হোসেনের ছেলে আল আমিন, গাজিপুরের ইলিয়াছ খার ছেলে এরশাদ আলী, কাগজপুকুরের গোলাম হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন রনি, ভবেরবেড়ের হাবিবুর রহমানের ছেলে আল আমিন, মুনসুর আলীর ছেলে সাঈদ আলী, কাগমারীর মন্টু মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা, নারানপুরের শাহিন সরদারের ছেলে সেলিম সরদার, বড়আচড়ার ইউনুস আলীর ছেলে মশিয়ার রহমান মশি, ভবেরবেড়ের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে কামাল হোসেন, সাদিপুরের পাঞ্জাব আলীর ছেলে মুক্তার আলী এবং কাগজপুকুরের আবুল হোসেনের ছেলে খলিলুর রহমান।

ওসি রাসেল মিয়া জানান, অভিযানের সময় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর ছিল। অভিযান শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পুলিশের এই বিশেষ অভিযানের ফলে পলাতক আসামিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এলাকাবাসী এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আ.লীগের সমাবেশ

যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আ.লীগের সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের আওয়ামী লীগ আগামী ৮ ডিসেম্বর একটি বড় সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেন মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, এই সমাবেশে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল উপস্থিতি কীভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে তিনি মন্তব্য করেন, “ভারত সরকার কীভাবে এই সুযোগ তৈরি করেছে তা তারাই ভালো জানে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি ভার্চুয়ালি এই রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। তবে এটি কীভাবে সংগঠিত হচ্ছে বা ভারতে অবস্থান করেও যুক্তরাজ্যে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, সে বিষয়ে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য করা ঠিক নয়।

ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা এবং নতুন প্রশাসন এলে কোনো পরিবর্তন হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এটি বাণিজ্যিক, কৌশলগত এবং রাজনৈতিক দিক থেকে বহুমাত্রিক। ক্ষমতায় যে দলই আসুক না কেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল বিষয়গুলো অপরিবর্তিত থাকে। তিনি বলেন, "আমরা আগের ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছি এবং নতুন প্রশাসনের সঙ্গেও একইভাবে কাজ করার প্রত্যাশা রাখি।"

আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে বর্তমানে কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে সেবা পুনরায় চালু করা হবে।

যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের সমাবেশ এবং শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল অংশগ্রহণ নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কনস্যুলার সেবা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে।

Header Ad
Header Ad

শেখ পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধ করে থাকলে রাজনীতি ছেড়ে দেব: বুলু

ছবি: সংগৃহীত

শেখ পরিবারের একজনও মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, আজকে যে সংকট ১৯৭১ সালেও এমনই সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। শেখ পরিবারের একজন মানুষও যদি মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধ করে থাকেন আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত দলের সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশের স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। ভারত এ উপমহাদেশের একটি বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ। আমরা চাই জিয়াউর রহমান যে সার্ক গঠন করেছেন সে সার্কের আলোকে এ উপমহাদেশের রাজনীতি চলবে। আমাদের সঙ্গে কারো বৈরিতা নেই, আমাদের সঙ্গে সবার বন্ধুত্বই থাকবে। কিন্তু আমাদের ওপর কেউ প্রভূত্ব করবে বাংলাদেশের মানুষ এটা মেনে নেবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি আমিনুর রশিদ ইয়াসিন, সাবেক এমপি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেনাপোলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪ জন আটক
যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আ.লীগের সমাবেশ
শেখ পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধ করে থাকলে রাজনীতি ছেড়ে দেব: বুলু
বঙ্গবাজারে পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড: সাবেক মেয়র তাপসসহ ৩০ জনের নামে মামলা
টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত
পিরোজপুরে যুব মহিলা লীগ নেত্রী যুথী গ্রেপ্তার
গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
দিল্লিতে মোদি বিরোধী বিক্ষোভে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার অংশগ্রহণ
কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণার গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন
আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ৯ ডিসেম্বর ইইউ ২৮ জন রাষ্ট্রদূত সাথে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা
চীনের সঙ্গে বিআরআই প্রকল্পে চুক্তি করে ভারতকে হতাশ করল নেপাল
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন
সাকিবদের হারিয়ে প্রথম জয় পেল রংপুর রাইডার্স
বারান্দায় গাঁজা চাষের ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট, দম্পতি গ্রেপ্তার
ভারতের পতাকা মাড়ানো ‘ভাইরাল’ সেই ছবি কৃত্রিমভাবে তৈরি
ভারত হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানিদাতার পক্ষে: বিএনপি নেতা ফারুক
বিকালে ধর্মীয় নেতাদের সাথে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা
গাইবান্ধায় তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শুরু
সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন মামুন