
বিপিএলে ছাড়ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৯ পিএম | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:১৪ পিএম

এবারের বিপিএলে মানহীন বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিড়ে একমাত্র মানসম্পন্ন ক্রিকেটারা এসেছেন পাকিস্তান থেকে। তাদের জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারই বিপিএলের বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজিতে ভিড়েছেন।
মরুর বুকে আইএলটি টি-টোয়েন্টি ও দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি লিগে টাকার ঝনঝানিতে বিপিএলে তারকা ক্রিকেটারদের ড্রাফটে নাম তুলতে পারেনি। এই দুইটি আসরই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে মানহীন বিদেশি ক্রিকেটারদের ভীড়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা উজ্জ্বল্য ছড়িয়েছেন।
সঙ্গে ছিল দেশি ক্রিকেটারদের আলো। সব মিলিয়ে বিপিএল বেশ জমে উঠেছে। এ রকম অবস্থায় পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিপিএল ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে ২ ফেব্রুয়ারি মধ্যে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। তার মানে ঢাকায় বিপিএল ফিরে আসার পর আর পাওয়া যাবে না পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। বর্তমানে বিপিএল অবস্থান করছে সিলেটে। সেখানে ২৭ জানুয়ারি থকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে সিলেট পর্ব।
এরপর ঢাকায় শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। এবারের বিপিএল যে তিনটি সেঞ্চুরি হয়েছে তার সব কটিই এসেছ পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্সের ম্যচে পাল্টাপাল্টি সেঞ্চুরি করেন চট্টগ্রামের আজম খান অপরাজিত ১০৯ ও খুলনার ওসমনা খান অপরাজিত ১০৩। ফরচুন বরিশালের ইফতেখার আহমেদও অপরাজিত ১০০ রান করেন রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। ২৭৩ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারির তালিকায় চারে আছেন ইফতেখান।
উইকেট প্রাপ্তিতেও এগিয়ে পাকিস্তানের বোলাররা। ১২ উইকেট নিয়ে সবার উপরে আছেন খুলনা টাইগার্সের ওয়াব রিয়াজ। ৯ উইকেট নিয়ে পাঁচে আছেন সিলেট স্ট্রাইকারসের পেসার মোহাম্মদ আমির।
বিপিএলের পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস: মোহাম্মদ রিজওয়ান, হাসান আলী, খুশদিল শাহ, আবরার আহমেদ, নাসিম শাহ।
ফরচুন বরিশাল: ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, হায়দার আলী।
ঢাকা ডমিনেটরস: আহমেদ শেহজাদ, মোহাম্মদ ইমরান, সালমান ইরশাদ।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ওসমান খান, খাজা নাফে।
খুলনা টাইগার্স: ওয়াব রিয়াজ, আজম খান, এমাদ বাট, শারজিল খান ।
রংপুর রাইডার্স: শোয়েব মালিক, হারিস রউফ, মোহাম্মদ নওয়াজ, সাইম আইয়ুব।
সিলেট স্ট্রাইকার্স: মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হারিস, ইমাদ ওয়াসিম।
এমপি/এমএমএ/