শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে চান ডেভিড হেম্প

জাতীয় দলের পাইপ লাইন সমৃদ্ধ করার জন্য খেলোয়াড় সরবরাহ যাতে মানসম্পন্ন হয়, তার প্ল্যাটফর্ম হলো এইচপি বা হাই পারফরম্যান্স ক্যাম্প। জাতীয় দল ও এর আশপাশে থাকা ২৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে বুধবার (২৪ মে) থেকে শুরু হয়েছে এবারের ক্যাম্প। এই ক্যাম্প হবে তিন ভাগে। ২৪ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে ফিজিক্যাল ট্রেনিং। ১ থেকে ৮ জুন রাজশাহীতে হবে স্কিল ট্রেনিং। এরপর শেষ ধাপ অনুষ্ঠিত হবে বগুড়ায় ৯ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত। এবারের ক্যাম্পে দেখাশোনা করার জন্য কোচ হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে বারমুডায় জন্মগ্রহণ করা ইংল্যান্ডের কাউন্টি খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডেভিড হেম্পকে।

ডেভিড হেম্প বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার। তার জন্ম ১৯৭০ সালের ৮ নভেম্বর বারমুডার হ্যামিল্টনে। তিনি কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লামারগন ও ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে খেলেছেন। ১৯৯১ সালে যোগ দেন গ্লামারগনে। ওয়ারউইকশায়ারে খেলা শুরু করেন ১৯৯৭ সালে। এরপর আবার গ্লামারগনে ফিরে আসেন ২০০২ সালে। ইংল্যান্ড জাতীয় দলে কখনো খেলার সুযোগ না পেলেও ‘এ’ দলের হয়ে ১৯৯৪-৯৫ সালে ভারত ও বাংলাদেশ সফর করে গেছেন।

ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ দেখে তিনি ফিরে যান নিজ দেশে বারমুডায়। ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে একদিনের ও ২০০৮ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়। ২২টি একদিনের ম্যাচ খেলে তিনি রান করেন ৬৪১। ২০০৯ সালে পচেফস্ট্রুমে কেনিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১০২ রানের একটি ইনিংসও আছে তার। হাফ সেঞ্চুরি ছিল ৪টি। বল হাতে উইকেট ছিল ১টি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ খেলে মাত্র ২টি। রান করেছিলেন ২০। এটিই ছিল তার সর্বোচ্চ রান। এই ২ ম্যাচে তিনি কোনো বোলিং করেননি।

২০০৭ সালে তিনি বারমুডার হয়ে উইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটও খেলেছেন। বারমুডা ছিল বাংলাদেশের গ্রুপে। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৪ রান করার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে কোনো রান করতে পারেননি।

৫২ বছর বয়সী ডেবিড হেম্প প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন ২৭১টি ম্যাচ। ৪৬২ ইনিংসে ব্যাট করে রান করেছিলেন ১৫ হাজার ৫২০। ৩০টি সেঞ্চুরি আর ৮৬টি হাফ সেঞ্চুরি এসেছিল তার ব্যাট থেকে। সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ২৪৭। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৩০৯ ম্যাচের ২৭৮ ইনিংসে ব্যাট করে রান করেছিলেন ৬ হাজার ৮৪৪। ৮টি সেঞ্চুরি আর ৩৪টি হাফ সেঞ্চুরির মাঝে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল অপরাজিত ১৭০। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন ৬৩টি। রান করেছিলেন ১ হাজার ৩৬৭। ৭৪ রানের ইনিংস ছিল তার সর্বোচ্চ। ২০১৩ সালে তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এরপর জড়িত হন কোচিংয়ে।

এইচপি দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে হেম্প পাকিস্তান নারী দলের প্রধান কোচের হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এইচপি ক্যাম্পে তিনি প্রধান কোচের পাশাপাশি ব্যাটিং কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। তাকে সহায়তা করার জন্য বোালিং কোচ হিসেবে ডলার মাহমুদ, ফিল্ডিং ও উইকেটকিপিং কোচ হিসেবে গোলাম মোর্তজা দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয় দলের সাবেক কম্পিউটার অ্যানালাইসিস্ট নাসির আহমেদ নাসুও থাকবেন এই কাজে। এ ছাড়া তুষার কান্তি হাওলাদার ট্রেনার, খাদেমুল ইসলাম শাওন ফিজিও কো-অর্ডিনেটর, খায়রুল ইসলাম ফিজিও। মনোবিদ হিসেবে থাকছেন ডেভিড স্কট।

মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ এসে বুধবার সকালেই ডেভিড হেম্প নেমে পড়েন কাজে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আসার পর তিনি এইচপি ইউনিটের প্রধান বিসিবি পরিচালক নাঈমর রহমান দূর্জয়ের (এমপি) সঙ্গে মিটিং করেন। পরে পরিচিত হন খেলোয়াড়দের সঙ্গে। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন।

প্রথম দিনের কোচিং শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে ডেভিড হেম্প বলেন, ‘আমরা এখানে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিচ্ছি, যেখানে খেলোয়াড়রা শিখতে শিখতে যাবে পরের ধাপে। যাতে তারা একটা পর্যায়ে গিয়ে জাতীয় দলে ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা তাদের সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখতে চাই। বাড়াতে চাই গভীরতা।’

ডেবিড হেম্প চান খেলোয়াড়দের এমনভাবে গড়ে তুলতে, যাতে করে তারা বিশ্বের সব কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিযে নিতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রিকেটারদের এমনভাবে প্রস্তুত করব, যাতে করে তারা বিশ্বের যেকোনো কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। খেলতে পারে।’

তিনি চান জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাহিদা মাফিক খেলোয়াড় তৈরি করতে। হেম্প বলেন, ‘আমরা দেখব জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা কী রকম খেলোয়াড় চাচ্ছেন, স্কিলের কমতি আছে কি না। এজন্য তাদের এই ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে।’

ডেবিড হেম্প ২৫ জনের খেলোয়াড় পেয়েছেন সব ধরনের। এখানে যেমন তরুণ ক্রিকেটার আছে, তেমনি জাতীয় দলে খেলা খেলোয়াড়ও আছে। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক সমন্বয় করতে হবে। এই দলের অনেকে জাতীয় দলে খেলে কিংবা খেলেছে। ৮-৯ জন খেলছে ‘এ’ দলে। এখানে মূল পার্থক্য হচ্ছে বয়সের। আমরা পেয়েছি তরুণ গ্রুপটাকে। আশা করি তাদের দ্রুত উপরের দিকে নিতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘যদি সম্ভব হয় তাহলে যেন আমি জাতীয় দলে তরুণ ক্রিকেটারদের দিতে পারি। কিংবা নির্বাচকরা যাতে করে তাদের দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন, সে রকম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।’

বাংলাদেশে আসার আগে ডেভিড হেম্প চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা বলেছেন কয়েকমাস আগে। সিডন্সের সঙ্গে তার কথা হয়নি এখনো। শিগগির তার সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানান। হেম্প চান তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই বাংলাদেশকে র‌্যাঙ্কিংয়ের উপরের দিকে নিয়ে যেতে। একই সঙ্গে তার ইচ্ছে র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটারকে দেখতে।

এমপি/এসজি

Header Ad

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত

কোটা আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের হাতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।

এ সময় নিহত আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেকদিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে। সেই সময় ভিসি স্যার আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন।

এ ছাড়া পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলেও জানায় আবু সাঈদের পরিবার।

মকবুল হোসেন আরও বলেন, আমার কলিজার টুকরা ছিল আবু সাঈদ। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় আমার সংসার চলতো। সন্তান হারিয়েছি, এ শোকের কোনো সান্ত্বনা নেই। বাবা হয়ে সবচেয়ে ভারী কাজ হলো সন্তানের লাশ কাঁধে নেওয়া।

এখন শুধু সবার কাছে সন্তানের জন্য দোয়া চান বৃদ্ধ এ বাবা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ভিসি মহোদয়ের নির্দেশে আবু সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় যোগাযোগ রাখছে। ভিসি স্যার নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সাড়ে সাত লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের সম্মুখে থেকে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনার পর আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলাজুড়ে। নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ২০৯টি। নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২০৯টি মামলায় ২৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সারাদেশে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। অভিযানে ঢাকায় ৬৩ ও ঢাকার বাইরে ২০৩ জনসহ মোট ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এদিকে আজ নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত অনেকবার গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা বা দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের কারণে তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য তারা এবার পুলিশকেই টার্গেট করেছে।

যারা পুলিশকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, স্বপ্নের মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে। যারা এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে, অর্থ আদান-প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’

বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক বলেছেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা শতকরা পাঁচ ভাগ রেখেছে। এটি মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু পরিষ্কার হওয়া দরকার, বাকি পদে কাদের নেওয়া হবে। আমরা বাকি ৯৫ শতাংশ কোটা নিয়ে আদালতের সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ায় বোঝাপড়া করব।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীর পাঁচদোনায় সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনাসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এই পাঁচদোনা মোড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। স্মৃতিধন্য এই স্থানে নির্মাণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। দুঃখের বিষয়, সেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সেই হামলা চালানো হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী ও বিএনপির ক্যাডাররা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সেই গর্বের ধন আজ পরাজিত শক্তির কাছে আক্রান্ত হচ্ছে।

এসময় তিনি রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, কোটার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামত গ্রহণের জন্যও আদালতকে অনুরোধ জানানো হবে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেটিও আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। বিএনপি, জামায়াত ও রাজাকারের দল এ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে যারা আঘাত করেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডার।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান খান, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো, পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
‘বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত ঝরছে’, মমতাকে কড়া বার্তা দিল্লির
বাজারে সরবরাহ বাড়লেও সবজির দামে এখনো অস্বস্তি