বিপুল সংখ্যক গ্রাহক হারাচ্ছে "এক্স"

০১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:২৮ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৪ পিএম


বিপুল সংখ্যক গ্রাহক হারাচ্ছে "এক্স"
এক্সের প্রধান নির্বাহী লিন্ডা ইয়াকারিনো

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক কিনে নেওয়ার পর থেকে বিপুল সংখ্যক সক্রিয় গ্রাহক হারাচ্ছে এক্স (টুইটার)। সম্প্রতি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য প্রকাশ করেন এক্সের প্রধান নির্বাহী লিন্ডা ইয়াকারিনো। ৪৫ মিনিটের ওই সাক্ষাৎকারে ইয়াকারিনো জানান, তিনি মাত্র ১২ সপ্তাহ হয়েছে দায়িত্ব নিয়েছেন।

সম্প্রতি ভক্স মিডিয়ার কোড ২০২৩ সম্মেলনে সিএনবিসি’র জুলিয়া বুর্স্টিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক্স সিইও জানিয়েছেন, প্ল্যাটফর্মটিতে বর্তমান দৈনিক সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা ২২ কোটি ৫০ লাখ। ইলন মাস্ক অধিগ্রহণের আগের তুলনায় এটি অন্তত ১১ দশমিক ৬ শতাংশ কম।

গত বছর টুইটার কিনে নেওয়ার সপ্তাহখানেক আগে ইলন মাস্কের শেয়ার করা পোস্টে দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিতে দৈনিক সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা ২৫ কোটি ৪৫ লাখ।

সাক্ষাৎকারের প্রথমদিকে অবশ্য লিন্ডা ইয়াকারিনো এক্সের দৈনিক সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ কোটি বলেছিলেন। পরে নির্দিষ্ট করে এর সংখ্যা ২২ কোটি ৫০ লাখ বলে জানান তিনি।

সম্মেলনের পরে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে দৈনিক সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা ২৪ কোটি ৫০ লাখ বলে জানিয়েছে এক্স। সেই হিসাবেও মাস্কের অধিগ্রহণের পর প্রতিদিন ৩ দশমিক ৭ শতাংশ করে সক্রিয় গ্রাহক হারিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।

ইলন মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছর যে তথ্য শেয়ার করেছিলেন, সেটি হিসাব করলেও বিপুল সংখ্যক সক্রিয় গ্রাহক কমতে দেখা যায় এক্সের। ২০২২ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি এক টুইটে মাস্ক জানিয়েছিলেন, এক্সের দৈনিক সক্রিয় গ্রাহক ২৫ কোটি ৯৪ লাখ। সেই হিসাবে থেকে অন্তত দেড় কোটি গ্রাহক হারিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।

এতো সংখ্যক গ্রাহক হারানোর পরও ২০২৪ সালে এক্স লাভজনক থাকবে বলে আশাবাদী প্রধান নির্বাহী লিন্ডা ইয়াকারিনো। গত ১২ সপ্তাহে প্ল্যাটফর্মটি শীর্ষ ১০০ বিজ্ঞাপনদাতার ৯০ শতাংশই ফিরে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


বৃষ্টিতে ভেসে গেল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:০১ পিএম


বৃষ্টিতে ভেসে গেল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন
বৃষ্টির কারণে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

সকাল থেকেই টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত তাই বেরসিক বৃষ্টির কাছে হার মেনে দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হল চলমান মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা।

এ কারণে ম্যাচের তৃতীয় দিন আবহাওয়া ঠিক থাকলে আধঘণ্টা খেলা বেশি হবে। ম্যাচ শুরু হবে ৯টা ১৫ মিনিটে, দিনের শেষেও বাড়তি খেলা হবে ১৫ মিনিট। দুদিক মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ ওভার খেলা হবে।

আগের দিন আলোকস্বল্পতায় খেলা আগে শেষ হয়। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার কথা ছিল সোয়া নয়টায়। কিন্তু এদিন ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সারাদিনে পিচ থেকে কখনোই কাভার সরানো হয়নি। ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমে সময় কাটিয়েছেন আড্ডায়। দুয়েকজন অবশ্য ইনডোরে গিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করে আসেন। তবে মাঠে আর ক্রিকেট ফিরতে পারেনি।

এর আগে বুধবার প্রথম দিন ছিল বোলারদের দাপট। দু দল মিলিয়ে এদিন ১৫ উইকেট নেন। বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে নিউজিল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৬.২ ওভারে ১৭২ (জয় ১৪, জাকির ৮, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৩৫, শাহাদাত ৩১, মিরাজ ২০, সোহান ৭, নাঈম ১৩*, তাইজুল ৬, শরিফুল ১০; সাউদি ৫.২-৫-০-১, জেমিসন ৪-২-৮-০, এজাজ ১৭-৬-৫৪-২, স্যান্টনার ২৮-৭-৬৫-৩, ফিলিপস ১২-১-৩১-৩)।

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২.৪ ওভারে ৫৫/৫ (ল্যাথাম ৪, কনওয়ে ১১, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, মিচেল ১২*, ব্লান্ডেল ০, ফিলিপস ৫*; শরিফুল ১-১-০-০, মিরাজ ৬-১-১৭-৩, তাইজুল ৫.৪-০-২৯-২)।


প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৮ পিএম


প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার
ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, শুক্রবার সকাল ১০.০০ টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

শাহ রেজওয়ান হায়াত আরও জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত সকল প্রকার সামগ্রী এরইমধ্যে জেলায় পাঠিয়েও দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় (রংপুর ৮, বরিশাল ৬, সিলেট ৪) এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫ এবং কক্ষের সংখ্যা ৮১৮৬।

পরীক্ষা-সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে।


১০ কোটি টাকা পুরস্কার পেলেন বাড়ির উঠোনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষক

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫১ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৭ পিএম


১০ কোটি টাকা পুরস্কার পেলেন বাড়ির উঠোনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষক
ছবি: সংগৃহীত

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়া করানোর উদ্দেশে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের বাড়ির উঠোনে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাকিস্তানের রিফাত আরিফ । কিন্তু অর্থের অভাবে রিফাতের কাছে ছিল না কোনো শিক্ষক কিংবা ভবন । কিন্তু মনোবল ছিল অটুট । আজ সেই মনোবল স্বপ্নকে পুঁজি করেই রিফাত আরিফ এখন সারা বিশ্বের শিক্ষকের কাছে আইকন। অর্থের অভাবে যিনি স্কুল চালাতে পারছিল না । তিনিই আজ কোটিপতি বনে গেলেন ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, রিফাত আরিফ ‘সিস্টার জেফ’ নামেও পরিচিত। এই নারী শিক্ষাবিদের জন্ম পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায়। স্কুল চালানোর অর্থ জোগাড়ের জন্য তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেই প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করার পর সন্ধ্যায় স্কুলে ফিরে এসে চার ঘণ্টা ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। রিফাতের এই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। দীর্ঘ ২৬ বছর পর তাঁর স্কুলে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জন। সবাইকেই তিনি বিনামূল্যে শিক্ষা দেন।

রিফাত আরিফের স্কুল । ছবি: সংগৃহীত

রিফাতের এই মহানুভবতার জন্য গত মাসে তিনি ইউনেস্কোর ‘গ্লোবাল টিচার’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ফ্রান্সের প্যারিসে পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রিফাত বলেন, শিক্ষকতা নিছক কোনো পেশা নয়। এটি এমন এক পেশা, যা পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে। আসুন, আমরা প্রতিটি শিশুকে শেখার সুযোগ দেই, স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেই এবং তাদেরকে ইতিবাচকভাবে বেড়ে উঠতে দেই।

পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ ডলার পেয়েছেন রিফাত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। পুরস্কারের এই পুরো অর্থই তিনি শিক্ষাখাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের অনেক ছোট শহরে পর্যাপ্ত স্কুল নেই, শিক্ষক নেই। অনেক শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’

রিফাত আরিফ বলেছেন, পুরস্কারের এই অর্থ দিয়ে তিনি অনাথ শিশুদের জন্য একটি স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবেন। সারা পৃথিবী থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এসে শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।

অনুসরণ করুন