শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ওয়াইফাইতে ভালো স্পিড পেতে ঘরের কোথায় রাউটার রাখবেন

ছবি সংগৃহিত

অনেক দামি রাউটার বেশি গতির ইন্টারনেট কানেকশন নিয়েও অনেকেই ঝামেলায় পড়েন। দেখা যায় কোনো কিছু ব্রাউজিং করতে গেলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘসময়। এছাড়া ওয়াই-ফাইয়ের গতি কম থাকার কারণে জরুরি কাজ সারতে অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয়।

বর্তমান সময়ে WiFi রাউটার অতি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। যেহেতু WFH চলছে তাই প্রায় সকলের বাড়িতেই রয়েছে রাউটার। Wifi রাউটারের সুবিধা রয়েছে একাধিক। যেমন একটি ইন্টারনেট কানেকশন থেকে একাধিক ডিভাইস চালানো সম্ভব। ফোন, একাধিক ল্যাপটপ, একাধিক ডেস্কটপ, স্মার্ট টিভি সহ একাধিক ডিভাইস চালানো সম্ভব একটি মাত্র ইন্টারনেট কানেকশনে। কিন্তু এর কয়েকটি সমস্যাও রয়েছে। তা হল সঠিক জায়গায় যদি Wifi রাউটার না বসানো থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সিগন্যাল পেতে সমস্যা হয়। যার ফলে নেট স্পিড কম হয়। খুব সহজে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু এই সমস্য থেকে মুক্তি কীভাবে? কয়েকটি খুব সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই Wifi রাউটারের ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। জেনে নিন সেই নিয়মগুলি-

কোথায় রাখবেন রাউটার

বাড়িতে নতুন ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার সময় রাউটার সচরাচর যে পথে ইন্টারনেটের তার বাড়িতে ঢুকেছে, তার আশপাশে কোথাও রাখা হয়। এখানে বলে রাখা ভালো, যিনি সংযোগ দিয়ে যান, সংযোগ দেওয়াই তাঁর কাজ। কোথায় রাউটার রাখলে আপনার কাজের সুবিধা হবে, তা আপনাকেই ভেবে ঠিক করতে হবে।

বাড়ির মাঝামাঝি জায়গায় রাখুন

অনেকের কাছে একটি বিষয় হয়তো অজানা যে, Wifi রাউটার কোনও একটি নির্দিষ্ট দিকে সিগন্যল দেয়না। রাউটারটি যে কোনে থাকে তার চারিদিকে সম দূরতে সিগন্যাল দিতে থাকে। যদি কোনও রাউটারকে বাড়ির কোনও একটি কোনে রাখা হয় তাহলে বাড়ির ঠিক বিপরীত কোনে সিগন্যাল পেতে সমস্যা হতে পারে। তাই সবসময় বাড়ির ঠিক মাঝ অংশে Wifi রাউটার রাখা প্রয়োজনে। কারণ এতে নেটের স্পিড বাড়ির যে কোনও অংশ থেকে সমান পাওয়া সম্ভব।

উঁচু কোথাও রাখুন

রাউটার থেকে নিচের দিকেও সিগন্যাল আসে। তাই উঁচু কোথাও সেটি রাখা ভালো। তাই বলে ছাদের সঙ্গে স্কচটেপ দিয়ে আটকে রাখতে হবে না। হয়তো বইয়ের তাকের ওপর রাখলেন কিংবা দেয়ালে কোথাও আটকে দিতে পারেন।

Wifi অ্যান্টেনার পজিশন সঠিক রাখা দরকার

প্রতিটি রাউটারের অন্তত একটি অ্যান্টেনা থাকে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে একাধিক থাকে। যে সব ক্ষেত্রে একাধিক অ্যান্টেনা থাকে সেক্ষেত্রে দুটি অ্যান্টেনা উল্লম্বভাবে রাখা উচিত। এতে ইন্টারনেটের স্পিড বেশি পাওয়া সম্ভব। তাই অ্যান্টেনা সর্বদা উল্লম্বভাবে রাখা দরকার।

কোনও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস থেকে দূরে রাখতে হবে

টিভি, রেফ্রিজারেটর বা ব্লুটুথ সবসময় অন থাকে এই জাতীয় কোনও ডিভাইস থেকে রাউটারকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। কারণ এই ডিভাইসগুলো কাছে থাকলে রাউটারের পারফর্মেন্সের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। কমে যেতে পারে ইন্টারনেট স্পিড। তাই ইলেকট্রনিক্স বা ব্লুটুথ ডিভাইস থেকে রাউটার দূরে রাখুন।

এয়ার ওয়েভ থেকে রাউটার দূরে রাখতে হবে

অধিকাংশ রাউটারের ক্ষেত্রে 2.4Ghz ওয়ারলেস ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে রাউটারের কাছাকাছি যদি কোনও কোনও ব্লুটুথ বা অন্য কোনও ওয়ারলেস ডিভাইস থাকে, তবে তার ফলে Wifi এর কার্যক্ষমতার উপর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকে ।

আয়না থেকে দূরে রাখতে হবে Wifi রাউটার

যে কোনও Wifi রাউটারের ভালো পার্ফমেন্সের জন্য আয়না থেকে দূরে রাখতে হবে ওই ডিভাইস। কারণ, আয়নার মাধ্যমে Wifi সিগন্যাল রিফ্লেক্ট হয়ে যায়। সেকারণে আয়না থেকে Wifi রাউটার দূরে রাখা দরকার।

সব শেষে স্মার্টফোন নিয়ে এ–ঘর ও–ঘর করে বোঝার চেষ্টা করুন কোথায় নেটওয়ার্ক সবল আর কোথায় দুর্বল। এরপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।

 

 

Header Ad

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবিতে নেওয়া ওই তিন সমন্বয়ক হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

নাহিদ, আসিফ ও আবু বাকের তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে এই তিনজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নাহিদ হাসপাতালের সপ্তম তলার ৭০৩ নম্বর কক্ষে আর আসিফ তৃতীয় তলার ৩১১ নম্বর কক্ষে ভর্তি ছিলেন। নাহিদের সঙ্গে তার স্ত্রী আর আসিফের সঙ্গে বাকের ছিলেন।

আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। ফলে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। বিপাকে পড়েছেন এসব ইউজাররা। যদিও দিন দুয়েক আগে চালু করা হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কম। সীমিত পরিসরে চালু হওয়া এই ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের সুবিধা অনেকেরই নেই।

এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে গত সপ্তাহে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, রবি-সোমবারের মধ্যেই চালু হবে কাঙ্ক্ষিত মোবাইল ইন্টারনেট।

প্রতিমন্ত্রী পলক আশ্বাস দিয়েছেন, রবি সোমবারের মধ্যেই দেশে পুরোদমে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হবে।

তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা যাবে কি না সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

এদিকে দেশে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করতে গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজি অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি)।

জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

এর আগে, পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা মিলছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে কলকাতায় গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে কেউ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার।

মমতার এমন মন্তব্যে আপত্তিও জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পৌঁছে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবহিত। আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি আমি অন্যদের থেকে ভালো জানি। আমাকে শেখানোর দরকার নেই। বরং সঠিক নিয়মগুলো ওরাই শিখে নিক।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটায় তাহলে আমি তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেবো। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উদ্বাস্তু হলে তাকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা, উত্তেজনাতে না যাই। ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আপত্তি জানায়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ধরনের মন্তব্যে বিভ্রান্তি বাড়বে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল জানিয়ে দেন, অন্য কোনও রাষ্ট্র সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন।

সর্বশেষ সংবাদ

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট
'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে