বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রমজানে পর্যটকশূন্য রাঙামাটি

রমজানে রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো এখন পর্যটকশূন্য। দেখা মিলছে না কোনো পর্যটকের। এতে অলস সময় পার করছেন পর্যটন শিল্পে জড়িতরা। অন্যদিকে রমজান শেষে আবারও পর্যটকের প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

সিম্বল অব রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে নেই কোনো পর্যটকের পদচারণা। সেতুর পাশেই ঘাটে বাঁধা বোট, যে বোট হ্রদের নীল জলে ঘুরে বেড়ানোর কথা, পর্যটকের অভাবে সেই বোটও অলস পড়ে আছে।

মেঘ-পাহাড়-লেক-ঝর্ণার মিতালির জেলা রাঙামাটি। যেখানে সারা বছরই কমবেশি পর্যটকের আগমনে মুখরিত থাকে পুরো জেলা। এই রমজানে ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল, শুভলং ঝর্ণা, সাজেক ভ্যালি সবখানেই পর্যটকশূন্য। এতে লোকসানে আছেন পর্যটন খাতে জড়িতরা। শহরের প্রায় সব হোটেলের কক্ষগুলোই খালি পড়ে আছে পর্যটকের অভাবে।

শুধু বোট বা হোটেল নয়, পর্যটকদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠা পাহাড়ি কাপড়ের দোকান টেক্সটাইল মার্কেটের বিক্রয়কর্মীরাও গ্রাহক না থাকায় অলস সময় পার করছেন।

বোটচালক আব্দুর রহিম বলেন, রমজানে পর্যটক না আসায় কোনো আয় নেই। তাই শুয়ে বসে বেকার সময় পার করছি।

হোটেল ব্যবস্থাপক শফিউল আলম বাবুল বলেন, রমজানের প্রথম থেকে কোনো পর্যটন নেই। তাই প্রায় সব কক্ষ খালি আছে। ঈদে পর্যটক আসার প্রত্যাশায় আছি।

পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শোয়েব ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রমজানে তেমন কোনো পর্যটক আসছে না। তাই বুকিং নেই বললেই চলে। রুম ভাড়ায় অনেক ছাড় দেওয়ার পরও পর্যটক আসছেন না।

রমজান শেষে আবারও পর্যটকে মুখরিত হবে রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো তেমনটাই প্রত্যাশা করছেন পর্যটন খাতে জড়িতরা।

এসজি

Header Ad
Header Ad

সান্ডা কী? এটি খাওয়া কি হারাম না হালাল, কী বলে ইসলাম

মরু প্রাণী- সান্ডা। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে একটি ঘটনা আর কেবল একটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে না। সাম্প্রতিক সময়ে এমনই এক আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে একটি মরু প্রাণী—সান্ডা। এটি নিয়ে তৈরি হয়েছে মিম, রম্যকথা ও নানা ধরনের ভিডিও কনটেন্ট। এরই ধারাবাহিকতায় অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে: সান্ডা কি খাওয়া হালাল, নাকি হারাম? ইসলাম কী বলে এ বিষয়ে? চলুন জেনেই এসব প্রশ্নের উত্তর।

সান্ডা কী?

সান্ডা মূলত একটি মরুভূমিতে বসবাসকারী প্রাণী। দেখতে অনেকটা গিরগিটির মতো হলেও আকারে বড় এবং শরীর পোক্ত। আরবি ভাষায় একে "দাব্ব (ضبّ)" বলা হয়। মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন মরু অঞ্চলে এই প্রাণীটি দেখা যায়। অনেক এলাকায় সান্ডাকে শক্তিবর্ধক বা যৌনউত্তেজক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর তেলও বিক্রি হয় আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য।

সান্ডা। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে সান্ডা খাওয়া হালাল নাকি হারাম?

ইসলামী শরিয়তের বিধান নির্ধারিত হয় মূলত কুরআন, হাদীস ও ফিকহবিদদের ব্যাখ্যার আলোকে। সান্ডা নিয়ে কুরআনে সরাসরি কিছু বলা না থাকলেও হাদীসে রয়েছে একটি প্রসিদ্ধ ঘটনা।

রাসূল (সা.) এর জীবনের একটি ঘটনা:

সহিহ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত, একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে সান্ডা পরিবেশন করা হয়। তিনি তা খাননি। সাহাবারা জানতে চাইলেন- "ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি একে অপছন্দ করেন, নাকি এটি হারাম?" তিনি বললেন, "এটি আমার কওমের খাদ্য নয়, তাই আমি খাই না।" (সহিহ বুখারি: ৫৫৩৭, সহিহ মুসলিম: ১৯৪৪)। এরপর সাহাবাগণ তার সামনেই তা খেয়ে নেন, এবং তিনি এতে কোনো নিষেধ দেননি।

চার মাযহাবের দৃষ্টিভঙ্গি:

হানাফি- মাকরূহ তাহরিমি (না খাওয়াই ভালো), শাফেয়ি- হালাল, মালিকি- হালাল, হাম্বলি- হালাল। হানাফি মাযহাব অনুসারে, এটি একটি অরুচিকর প্রাণী হওয়ায় না খাওয়াই শ্রেয়। অন্য তিনটি মাযহাবের মতে, যেহেতু রাসূল (সা.) নিষেধ করেননি, বরং সাহাবারা খেয়েছেন, তাই এটি সম্পূর্ণ হালাল ও বৈধ।

সান্ডা তেল ও চিকিৎসা:

সান্ডা তেল অনেক আয়ুর্বেদিক ও প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে যৌনস্বাস্থ্য বৃদ্ধির উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণার ঘাটতি রয়েছে। বাজারে যেসব তেল পাওয়া যায়, তার বিশুদ্ধতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত নয়।

তাহলে ইসলামে সান্ডা খাওয়া জায়েজ?

সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায়- কুরআনে সরাসরি নিষেধ নেই। রাসূল (সা.) নিজে খাননি, তবে খেতে নিষেধও করেননি। সাহাবীরা তার সামনেই খেয়েছেন। অধিকাংশ ফিকহ বিশারদ এটিকে হালাল মনে করেন। হানাফি মতে অপছন্দনীয় হলেও হারাম নয়। তবে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকলে কিংবা সন্দেহজনক উপায়ে প্রস্তুতকৃত তেল বা খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম।

Header Ad
Header Ad

টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টির আভাস, হতে পারে শিলাবৃষ্টিও

ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব বিভাগেই আগামী পাঁচ দিন বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে প্রকাশিত ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য কমবে বা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

এদিকে তাপপ্রবাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার পাশাপাশি খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতও হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়—১৫৬ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সাম্যকে নিয়ে একটি গুপ্ত সংগঠন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে : ছাত্রদল সভাপতি

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি গোপন সংগঠন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্য হত্যার বিচার, নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

রাকিব বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলে আসছে। আমরা বারবার জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।” তিনি সাম্যকে সাহসী ছাত্রনেতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সাম্য অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দ্রুত বিচার চাই।”

ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, “সাম্য হত্যাকে ঘিরে যে গোপন সংগঠন মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে একমাত্র ছাত্রদলই মাঠে আছে-অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের কোনো ভূমিকাই নেই।”

এদিকে সাম্য হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা অর্ধদিবস স্থগিত রাখা হয়। শোকপ্রকাশ ও বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীদের নানা কর্মসূচি চলেছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালীমন্দির গেটসংলগ্ন এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। পরে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফখরুল আলমের বাড়ি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সান্ডা কী? এটি খাওয়া কি হারাম না হালাল, কী বলে ইসলাম
টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টির আভাস, হতে পারে শিলাবৃষ্টিও
সাম্যকে নিয়ে একটি গুপ্ত সংগঠন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে : ছাত্রদল সভাপতি
টিকটকে লাইভ করার সময় তরুণীকে গুলি করে হত্যা
জুলাই থেকে ২০ শতাংশ কমছে ইন্টারনেটের দাম: ফয়েজ আহমদ
চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের আম সংগ্রহ উৎসবের উদ্বোধন
ময়মনসিংহ-১১ আসনের সাবেক এমপি কাজিম উদ্দিন গ্রেপ্তার
কোনও অবস্থাতেই মোদীকে বিশ্বাস করা যাবে না: ইমরান খান
এসি মিলানকে কাঁদিয়ে ৫১ বছর পর শিরোপা জিতল বোলোগনা
সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল বিজিবি সদস্যের
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ
অভিনেতা মিশাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, যা জানা গেল
দ্বিতীয় দিনেও রাজপথে জবি শিক্ষার্থীরা, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন
ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা রাবি শিক্ষক, ভিডিও ভাইরাল
ভারতের মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১০
রংপুরের পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কিশোর নিহত
উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপ, অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ
যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আমরা ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরিফ
পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ নার্সিং শিক্ষার্থীরা, শাহবাগে যান চলাচল শুরু