বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঈদের ছুটিতে জবই বিলে প্রকৃতিপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড়

জবই বিল নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় ভারত সীমান্তে অবস্থিত উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ ঐতিহ্যবাহী বিল। পাখি, মাছ, জলজ প্রাণী ও উদ্ভীদের নিরাপদ আবাসস্থল প্রাকৃতিক এই জলাভূমি উপজেলা প্রশাসনের সাম্প্রতিক উদ্যোগে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়েছে। ঈদ ও অন্যান্য সামাজিক উৎসবে হাজারো পর্যটক ভিড় জমছে এখানে। এবার ঈদুল ফিতরের দিন হতে জবই বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করছেন ছুটিতে বাড়ি ফেরা এবং স্থানীয় হাজারো মানুষ।

সরেজমিনে রবিবার (২৩ এপ্রিল) দেখা যায়, এখন বর্ষাকালের বিশাল জলরাশি ও পরিযায়ী পাখির কলতান না থাকলেও বিস্তীর্ণ সবুজ ও সোনালি ধান খেত, বিল পাড়ের মুক্ত হাওয়ার পাশাপাশি এবারের ঈদে মূল আকর্ষন ছিল উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক সম্প্রতি নির্মিত মৎস্য সম্পদের প্রতীক ৪টি মাছের সমন্বিত নান্দনিক ভাস্কর্য “জবই বিল মাছ চত্বর”। ভাস্কর্যটি ঈদের ঠিক আগের দিন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া বিলের মধ্যদিয়ে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই ধারে লাল, হলুদ, সাদা রঙে সুসজ্জিত সারি সারি পিলার, প্রবেশমুখে 'জবই বিল' লেখা সেলফি পয়েন্ট, রাস্তার দুই ধারে দৃষ্টিনন্দন বসার ১২টি বেঞ্চ, জবই ব্রিজের পশ্চিম পাশে নির্মিত "বিল বিলাস" নামক দুটি ভিউ পয়েন্ট দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।



পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, গত বছরেও বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এইসব নান্দনিক অবকাঠামো ছিলনা। দর্শনার্থীরা জবই বিল কেন্দ্রিক পর্যটন আকর্ষন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহিত এই সকল নান্দনিক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ইউএনও আব্দুল্যাহ আল মামুনকে ধন্যবাদ জানান।

বরেন্দ্র এগ্রো পার্কের স্বত্বাধিকারী জাতীয় যুব পুরস্কারপ্রাপ্ত সোহেল রানা জানান, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন ঐতিহ্যবাহী এই বিলটিকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করতে গত এক বছরে ‘বিল বিলাস’ নামক ২টি ভিউ পয়েন্ট, ‘জবই বিল’ লেখা সেলফি পয়েন্ট, ১২টি কনক্রিটের বেঞ্চ, ‘জবই বিল মাছ চত্বর’ নির্মাণসহ বেশকিছু বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। 'জবই বিল মাছ চত্বর' একটি নান্দনিক, শৈল্পিক ও আইকনিক স্থাপনা। মাছ চত্বর নির্মাণের এই অসাধারণ উদ্যোগের জন্য ইউএনও মামুনকে সাপাহারের একজন বাসিন্দা হিসেবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিল এলাকায় বসানো হয়েছে বজ্রপাতনিরোধক যন্ত্র।

নওগাঁ শহর থেকে ঘুরতে আসা রফিকুল ইসলাম মিলু জানান, জবই বিল কোলাহলমুক্ত খোলা হাওয়ার উপভোগের এক চমৎকার জায়গা। গত বছর এখানে বসার বা অন্য কোন অবকাঠামো ছিল না। এবার মাছ চত্বর, সেলফি পয়েন্ট, বিল বিলাস ভিউ পয়েন্ট ও পাবলিক টয়লেট সহ অনেক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকে ঐতিহ্যবাহী জবই বিলকে পর্যটন বান্ধব হিসেবে তোলার জন্য ধন্যবাদ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ঐতিহ্যবাহী জবই বিল দেশীয় প্রজাতির মাছ, জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী এবং পরিযায়ী ও দেশি পাখির জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থল। প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যে ভরপুর এই ঐতিহ্যবাহী বিলটিকে সারা দেশে একটি অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে স্থানীয় সকলের সহযোগিতায় আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।

/এএস

Header Ad

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর কখনোই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, "আওয়ামী লীগ যে মতাদর্শ এবং প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করেছে, তাতে তাদের আর রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে, তবে তা হবে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা। আমরা আমাদের জীবন থাকতে তা হতে দেব না।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পদত্যাগ করেননি। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, যা স্পষ্ট। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বাংলাদেশের ছাত্র জনতা। এ অবস্থায়, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে কিনা, তা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। একটি ফ্যাসিস্ট দল কখনোই গণতান্ত্রিক কাঠামোতে রাজনীতি করতে পারে না।"

নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, "ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকে ফ্যাসিবাদী শাসনের সূত্রপাত হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের পর থেকে ছাত্র নেতৃত্বের উত্থান ঘটে। সরকার এই আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে দমন করতে চেয়েছিল। পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হলে জনগণ রুখে দাঁড়ায়। আমাদের লড়াই ছিল আত্মমর্যাদা ও সম্মানের লড়াই।"

তিনি আরও বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তুলনা করা ভুল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি নির্ধারিত সময়ের জন্য নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। কিন্তু এবারকার সরকারকে সংস্কার করতে হবে। না হলে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা মসৃণ হবে না।"

Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

দিনের ব্যবধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একান্ত সচিব হিসেবে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর একদিন আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (পরিচিতি নং ২০৯), মহাপরিচালক এবং মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন, বাংলাদেশ দূতাবাস, চীন-কে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তার চাকরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়েছে।

মোজাম্মেল হক বর্তমানে বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার এবং ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের সদস্য এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেন। তার পেশাগত জীবনে চীনে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও মেক্সিকো ও যুদ্ধকবলিত লিবিয়ায় অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

Header Ad

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে প্রকাশিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় বিশেষ করে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একাধিক হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। এসব ঘটনায় দেশের প্রধান গণমাধ্যমে প্রমাণ্য তথ্য প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু মামলায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণের ওপর আক্রমণ করে। এতে শতাধিক নিরপরাধ শিক্ষার্থীসহ আরও অনেকের জীবন বিপন্ন হয়। এ বিষয়ে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। এছাড়াও, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার
আলোচিত সাবেক ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন আটক
বিরামপুরে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: দেশের চার বন্দরের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে
হাসপাতালেও দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
ঢাকায় আসছে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল
সচিবালয়ে ঢুকে পড়া অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আটক
দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়লেন কিউই ব্যাটার
সরকারকে সন্দেহের চোখে দেখছে জনগণ: রিজভী
রোমানিয়া থেকে ৯ মাসে ২৬৮ বাংলাদেশিকে ফেরত
৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
নেতানিয়াহুর বেডরুমে এবার হিজবুল্লাহর ড্রোনের আঘাত
ঢাবিতে কালো মুখোশ পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
কথা দিচ্ছি ‘কেজিএফ থ্রি’ অবশ্যই হবে: যশ
১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
দেশে নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হোক সেটা চায় না বিএনপি: নজরুল ইসলাম