বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্বাগত বাংলা নববর্ষ ১৪২৯

বছর ঘুরে আবার এলো বাংলা নববর্ষ। তবে এবারের নববর্ষ এসেছে নতুন প্রত্যাশা নিয়ে। বিশেষ করে টানা দুই বছর করোনা অতিমারির কারণে একরকম গৃহবন্দিত্বের পর এলো এবারের নববর্ষ।

এবারের নতুন বছর এমন সময়ে এলো যখন অফিস--আদালত সব খোলা। করোনার প্রভাবে প্রায় নিস্তব্ধ হয়ে আসা রাজপথে এখন গাড়ির চাপে আগের স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও অনেক বেশি ট্রাফিক জ্যাম। গত দুই বছরে যেমন ভাবতে হতো আবার কবে স্বাভাবিক সময়ের মতো চলাফেরা করা যাবে। এখন সেই জায়গায় ভাবতে হয় কবে ট্রাফিক জ্যাম যাবে। গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় এই রমজানে স্কুলে যাচ্ছে কোমলমতি শিশুরাও।

রাজধানীতে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছায়ানটের আয়োজনে রমনার বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রাও হচ্ছে এবার। পার্বত্য চট্টগ্রামে উদযাপন হয়েছে বৈশাবি উৎসবও।

সব মিলে করোনার যাঁতাকলে পড়ে যে দিনের আশায় দিনগুনছিলাম আমরা, সেই ‘আবার জমবে মেলা/বটতলা হাটখোলা’ সেই দিন যেন ফিরে এসেছে। প্রত্যাশা করার সময় এসেছে ‘অঘ্রাণে নবান্নের উৎসবে/সোনার বাংলা ভরে উঠেবে সোনায়/ বিশ্ববাসী চেয়ে রবে’ বলার।

তবে বৈশাখ জুড়ে যেমন নববর্ষ বা হালখাতার রেশ থাকে, তেমনি থাকে কালবৈশাখীর শঙ্কা। একইভাবে প্রাকৃতিক করোনাকাল শেষ হয়ে আসলেও আমাদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই ফিরে আসে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প। এই পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখেই সম্প্রতি আমরা প্রত্যক্ষ করছি কখনো টিপকাণ্ড, কখনো হিজাব নিয়ে বাড়াবাড়ি আবার কখনো বিজ্ঞান ও ধর্মকে মুখোমুখি করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আয়োজন।

তবুও নববর্ষকে স্বাগত জনিয়ে পয়লা বৈশাখের নতুন সূর্যকে সামনে রেখে আমরা গাইবো ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’। কারণ, পয়লা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। সব সংকীর্ণতা ঝেড়ে আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে আবার জাগ্রত হোক সেই বোধ।

বাঙালির এক সার্বজনীন লোকউৎসব চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ। দিনগুলো আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করা হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জানান দেওয়া হয়। বিগত দিনের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ। এদিন দেশের সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটি থাকে। দিনটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন। নববর্ষকে সামনে রেখে চৈত্র সংক্রান্তির দিনে বুধবার (১৩ মে) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া এই দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে অনলাইন ও প্রিন্ট গণমাধ্যম এবং টেলিভিশন-রেডিওগুলোতে থাকবে বিশেষ আয়োজন।

বাংলা নববর্ষ এক সময় পালিত হতো ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। যখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরবর্তীতে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনার শুরু হয়। হিজরি চন্দ্র সন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন বাংলা সন।

এক সময় বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল অর্থনৈতিক বিষয় হালখাতা। ব্যবসায়ীরা গ্রামে-গঞ্জে নববর্ষের শুরুতে তাদের পুরানো হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন।

১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে যা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।

বৃটিশ শাসনামলের পর পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায়। বিশেষ করে রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এ সময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এই উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে।

সাম্প্রতিক সময়ে নববর্ষ উদযাপনের জন্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কিছু কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও দেওয়া হয় বৈশাখী বোনাস।

১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। যা ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।

ঢাকাপ্রকাশ-এর পক্ষ থেকে দেশে–বিদেশে আমাদের সব পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা, শুভ নববর্ষ।

এমএ/এমএমএ/

Header Ad

বেঁকে যাওয়া রেললাইনে কচুরিপানা থেরাপি

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র তাপদাহে গাজীপুরে বেঁকে যাওয়া রেলপথ মেরামতে কচুরিপানা, কাঁদা ও পানি থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ইস্ট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু জাফর বলেছেন, সোমবার দুপুরে তীব্র তাপদাহে গাজীপুরের কালীগঞ্জে আড়িখোলা এলাকায় প্রায় ১৫ফুট পরিমাণ রেলপথ বেঁকে যায়।

এতে ওই পথে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পরে মেরামত করে প্রায় এক ঘন্টা পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু করে।

তিনি বলেন, রেলপথে তাপমাত্রা ৫০ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা তার উপরে উঠলে রেলপথ বেঁকে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। সেদিন সেখানকার রেললাইনে তাপমাত্রা ৫৫ডিগ্রি'র মতো ছিল। তাই ঢাকা-নরসিংদী রেলরুটের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়িখোলা এলাকায় রেল লাইন বেঁকে যায়।

এ ধরনের বেঁকে যাওয়া রেলপথ ঠিক করতে প্রথমেই রেলপথ ঠান্ডা করা দরকার হয়। একাজে ব্যবহারে সেখানে বরফ না পাওয়ায় বিকল্প হিসেবে জলাশয় থেকে কচুরিপানা, কাঁদা ও ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ কচুরিপানা বা কাঁদা দীর্ঘ সময় পানি/ঠান্ডা অবস্থা ধারণ করে রাখতে পারে। গাজীপুরেও ওইসব প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া গেছে।

উচ্চতাপ থাকা অবস্থায় রেললাইন চাপ প্রয়োগ করলে তা আরো বেঁকে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আর রেল লাইন ঠান্ডা হলে তা অনেকটাই আগের অবস্থায় চলে যায়। পরে প্রয়োজন হলে চাপ প্রয়োগ করে বাকি অংশ ঠিক করা সম্ভব হয়। উচ্চ তাপমাত্রা থেকে তাপমাত্রা ৩০/৩২ ডিগ্রিতে নেমে আসার পর চাপ প্রয়োগ করা হয়। গাজীপুরেও এ থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানের রেললাইন বেঁকে যায়। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস।

স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস বলেন, তীব্র গরমে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে অন্তত ১৫ ফুট রেললাইন বেঁকে যায়।

বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে প্রকৌশলীদের পরামর্শে রেলপথে পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তা মেরামত করা হয়। মেরামতের পর দুটি ট্রেন ঘটনাস্থল দিয়ে ধীর গতিতে গন্তব্যে চলে গেছে। ডাবল লাইনের অন্য লাইন দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের অধীনে কর্মরত কি-ম্যান (দড়িপাড়া-বড়নগর) মো. বাদশা মিয়া বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে। পরে আড়িখোলা-পূবাইল স্টেশনের মাঝখানে চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে টহলরত রেলওয়ে কর্মচারীরা রেলপথ বাঁকা দেখতে পান। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে, তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্ট্রেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

তিনি আরও বলেন, পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর এক ঘণ্টা পর ওই ট্রেনটি ধীর গতিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিকেল ৪টার দিকে তিতাস কমিউটার নামের আরও একটি ট্রেন ধীর গতিতে বেঁকে যাওয়া স্থান অতিক্রম করে।

এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন সেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলেই। বয়সটাও এখন ৪৩ ছুঁই ছুঁই। ব্যাট হাতে দেখা যায় শুধু আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। প্রতিবার দলের নেতৃত্বে থাকলেও এবার চেন্নাইকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন না, দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে। ব্যাটসম্যান হিসেবেও নিজের ভূমিকা বদলেছেন। উইকেটে আসেন হাতে গোনা কিছু বল বাকি থাকতে। এসেই ঝড় তোলেন।

যখনই ক্রিজে আসেন, চার-ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়িয়ে দেন। এই নতুন ভূমিকাতেও মহেন্দ্র সিং ধোনি পুরোপুরি সফল। মজার ব্যাপার হলো, এমন ‘হাইরিস্ক গেম’ খেলেও ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত আউট হননি।

ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৯টি, ব্যাটিং করেছেন ৭ ইনিংসে। ৭ ইনিংস ব্যাট করে খুব বেশি বল খেলেননি—৩৭টি। এই ৩৭ বলে রান করেছেন ৯৬, স্ট্রাইকরেট—২৫৯.৪৫। ছক্কা মেরেছেন ৮টি, চার ৯টি। বল খেলার সংখ্যাটা অবশ্যই খুব বেশি নয়। তবে মনে রাখতে হবে ধোনি এই ৩৭ বলের প্রায় প্রতিটিতেই খেলেছেন বাউন্ডারির জন্য। সে ক্ষেত্রে আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকে আরও বেশি।

ধোনি কয়েকটি বলের জন্য ক্রিজে এসে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, এমন উদাহরণও আছে। এই যেমন গত ১৪ এপ্রিল ‘আইপিএল ক্লাসিকো’য় মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে।

ইনিংসের ২০তম ওভারে উইকেট এসে ৪ বলে ৩ ছক্কায় করেন ২০ রান। সেই ম্যাচটি চেন্নাই শেষ পর্যন্ত ২০ রানেই জেতে। এরপরের ম্যাচেই লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে করেন ৯ বলে ২৮ রান।

সেদিন অবশ্য ম্যাচটি জিততে পারেনি চেন্নাই। তবে ম্যাচের শেষ ওভারে যেভাবে ১০১ মিটারের ছক্কা মেরেছিলেন ধোনি, তাতে তাঁর বয়সটা আসলেই ৪২ কি না, তা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ জেগেছিল! ধোনি এরপর আরও দুই ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন। এই ২ ম্যাচ মিলিয়ে খেলার সুযোগ হয়েছে মাত্র ৩ বল, তাতেই দুটি চার মেরেছেন।

গত মৌসুম থেকেই মূলত ধোনি চেন্নাইয়ের ইনিংসের একদম শেষভাগে ব্যাটিংয়ে নামতে শুরু করেন। গত আইপিএলে ১২ ইনিংসে বল খেলেছিলেন মাত্র ৫৭টি, রান করেছিলেন ১০৪। এবারও নিশ্চয় আরও কিছু বল খেলবেন ধোনি।

ফিনিশার হিসেবে ধোনি এমনিতেই কিংবদন্তি। তবে তাঁর ম্যাচ শেষ করার নিজস্ব একটা ধরন ছিল। শুরুতে কিছু সময় নিতে পছন্দ করতেন। এরপর শেষে গিয়ে সেটা পুষিয়ে দিতেন। তবে এখন ধোনি জানেন, সেই সুযোগটা তিনি পাবেন না। শরীরটাও হয়তো সায় দেবে না। তাই নতুন ভূমিকা বেছে নিয়েছেন। আর কীভাবে সেই ভূমিকায় সফল হতে হয়, সেটার প্রমাণ তো ম্যাচের পর ম্যাচ করেই যাচ্ছেন।

 

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান পাঁচ ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতার পাশাপাশি এর বাইরে কোনো বিষয়ে আগ্রহী কিনা-মতামত জানতে চেয়েছে ওয়াশিংটন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব (দ্বিপাক্ষিক-পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের চলমান অংশীদারিত্বের আরও ব্যাপ্ত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি ক্ষেত্র এবং এর বাইরে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে মতামত জানতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অনুরোধ করেছে।

ঢাকার এক দায়িত্বশীল কূটনীতিক বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে বলা আছে, দেশটির কোন কোন খাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতাম, সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা আলোচনা হয়েছে। এটা আসলে নতুন কিছু না। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব এনগেজমেন্ট আছে সেগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে বা নতুন করে কোনো বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা—সেগুলো আমরা আলোচনা করি বা কোনো কনসার্ন থাকলে সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি খাত সম্পর্কে এ কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে একটি অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানো, পরিবেশগত সুরক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন; এক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর বা বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। তৃতীয়ত, নিরাপত্তা সহযোগিতা—এটার মধ্যে এন্টি টেরোরিজম অ্যাসিসটেন্ট রয়েছে; পুলিশ-র‌্যাবের তহবিল রয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তার সংক্রান্ত অংশীদারত্ব ইস্যু রয়েছে। তারপর মানবিক সহায়তা বিষয় রয়েছে, যা মধ্যে রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয় যুক্ত। এছাড়া রাইটস ইস্যুস আছে; এর মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র বা লেবার রাইটস ইস্যু আছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভোট শেষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন জানায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। পরবর্তী সময়ে ভোট নিয়ে নিজেদের অনঢ় অবস্থানের জানান দিলেও বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশের কথা জানান খোদ ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ‘আলোচিত’ রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলনে একই বার্তা দেন।

তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার সরকার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাইডেনের চিঠির পর ওই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করেন তার (মার্কিন প্রেসিডেন্টের) বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ওই প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ছিলেন। আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল।

ওই সফরে এইলিন লাউবাখেরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠক শেষে ড. হাছান জানিয়েছিলেন, তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় এবং আমরাও চাই একটি নতুন সম্পর্ক। যেহেতু দুদেশেরই সদিচ্ছা আছে, সুতরাং এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, গভীরতর ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের উভয় দেশ উপকৃত হবে।

অন্যদিকে, বাইডেনের বিশেষ সহকারী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করছেন।

বাইডেনের সেই চিঠির প্রতিউত্তরের একটি কপি এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এছাড়া ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান হোয়াইট হাউজে ওই চিঠির মূল কপি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব এবং দুই দেশের নাগরিকদের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা করে।

সবশেষ, চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্ব এক‌টি প্রতি‌নি‌ধিদল নিয়ে ঢাকা সফর করে গেছেন।

মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবাস্তয়নে যে সব রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন সেসব রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ে কাজ করছে তারা। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই সিরিয়াস বিষয়। এই কৌশলে এবং একইসঙ্গে চীনকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের (২০২৩) মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে দেশটির অব্যাহত নজরদারির কথা বলা হয়। পরবর্তী সময়ে অব্যাহতভাবে দেশটি নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।

৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

গত ১৭ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।

সর্বশেষ সংবাদ

বেঁকে যাওয়া রেললাইনে কচুরিপানা থেরাপি
এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
নওগাঁয় মাঠে ধান কাটতে গিয়ে গরমে কৃষকের মৃত্যু
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী
মে দিবসের কর্মসূচিতে এসে গরমে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু
টাঙ্গাইলে সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা
ভারতের নির্বাচনি প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
পুলিশ হেফাজতে সালমান খানের বাড়িতে হামলার অস্ত্রদাতার আত্মহত্যা
দুই মাস পর ইলিশ ধরতে নেমেছেন জেলেরা
গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন? হতে পারে বড় বিপদ
নিজ এলাকায় জানাজায় গিয়ে মোবাইল হারালেন ধর্মমন্ত্রী
মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হচ্ছে!
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা
বিমানের খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী, দুইদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী