শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে অধ্যাপক, ছাত্র-ছাত্রী খুব কম

লেখা ও ছবি : নুরুল ইসলাম রুদ্র, শাবিপ্রবি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষার উচ্চতর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের গোলচত্বর ও ডি-বিল্ডিংয়ের মাঝে সুসজ্জিত, চোখ জুড়ানো এই চারতলা ভবন। ১৯৯০ সালে মোটে চারটি ঘরে, সামান্য বই নিয়ে অ্যাকাডেমিক ভবন ‘এ’তে চালু হয়েছে গ্রন্থাগারটি। এখন নিজেদের ভবনটি আছে। তার তৃতীয় ও চতুর্থ তলা জুড়ে লাইব্রেরি কার্যক্রম চলছে।

অনলাইনে আছে, মোট ৭৫ হাজার বই আছে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে। ছয় হাজার কপি জার্নাল ও সাময়িকী রয়েছে। প্রতিদিন ২৩টি সংবাদপত্র ব্যবহারকারীদের জন্য রাখা হয়। অনলাইন সেবা আছে গ্রন্থাগারটির। ২৫ হাজারের বেশি ই-জার্নাল ও ই-বুক এবং ই-গবেষণাপত্র আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে চুক্তিতে তাদের ই-লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারেন তারা। ইউজিসি ডিজিটাল লাইব্রেরির ৩৭ হাজার ৫শ ই-বইগুলো ব্যবহার করতে পারেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আইপিএস ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সেবাগুলো প্রদান করে। বিরাট এই গ্রন্থাগারের জন্য মোট আছেন ৩৮ জন অফিসার ও কর্মচার্রীর বিরাট দল। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কম্পিউটারাইজ সার্ভিস সেবা চালু করেছেন। এই গ্রন্থাগারের ই-লিংক হলো http://library.sust.edu. তাদের সিসিটিভি ব্যবস্থায় চালু থাকে সর্বক্ষণ। মোট ৩২টি ক্যামেরা আছে। মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার রয়েছে। তাতে মুক্তিযুদ্ধের বই, পোস্টারগুলো, মানচিত্রগুলো, ভিডিও, প্রমাণাদি আছে। ২০ হাজারের বেশি বই আছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোতে মোট নয় হাজার ছাত্র, ছাত্রী পড়ালেখা করেন। তাদের জন্য হাজারের বেশি অধ্যাপক আছেন। সবার বই পড়ার সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি। তাদের জন্য ১শর বেশি আসন আছে। পড়ালেখা ও গবেষণা কাজে ব্যবহারের জন্য শুক্র এবং শনিবার ছুটির দিন বাদে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মদিবসে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সর্বক্ষণ সেবা প্রদান করা হয়। ছাত্র, ছাত্রীরা গ্রন্থাগার সেবার সময় বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করেছেন। ফলে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে আটটার সময় বেড়ে হয়েছে রাত ১০টা। এই লেখাটির জন্য একটি সপ্তাহ টানা গ্রন্থাগার ভবন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ দিন রাত ৮টার পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ছাত্র, ছাত্রীরা থাকেন না। কোনো, কোনোদিন মোটে ৪ থেকে ৫ জন ছাত্র, ছাত্রী পড়ালেখা করছেন। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জনের বেশি ছাত্র, ছাত্রী এই গ্রন্থাগার ব্যবহার করছেন না। দিনে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতির সময় বেশিরভাগ ছাত্র, ছাত্রীর সামনে বই নেই। তারা পড়ালেখা করছেন না। অধ্যাপকদের দেওয়া ক্লাস শিট, নোট ও স্লাইড নিয়ে ক্লাসের পড়াই পড়ছেন। অনেকে মোবাইলে ব্যস্ত, ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন। বই পড়ছেন না কেন-এই প্রশ্নের জবাবে ছাত্র, ছাত্রীরা বলেছেন, আমাদের কোনো কোর্স কোনো নিদিষ্ট বই ধরে পড়ানো হয় না। অধ্যাপকরা একাধিক পাঠ্য বই মিলিয়ে পড়ান ও সেগুলো কিনে পড়তে পরামর্শ দেন। লাইব্রেরি থেকে সংগ্রহ করতে বলেন। তবে এই বিদেশী বইগুলোর অনেক দাম বলে কেনার সামর্থ্য বেশিরভাগেরই হয় না। আপডেট এই বইগুলো কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিও কোর্স এবং বিষয় ধরে রাখে না। ফলে কোনো বই কেনা হয় না। অধ্যাপকদের দেওয়া ক্লাস শিট ও তৈরি নোটই ভরসা থাকে। এজন্য সেগুলো এখানে পড়ালেখার জন্য নিয়ে আসেন তারা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীদের আরেকটি অভিযোগ হলো, বই ও খাতা-কলম বাদে ব্যক্তিগত আর কোনোকিছু গ্রন্থাগারে নিয়ে আসতে দেওয়া হয় না। তাতে তারা আর কিছু দরকার হলেও আনতে পারেন না। অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ তাদের সব বিভাগের গ্রন্থাগারেই এই ব্যবস্থা চালু আছে।
গ্রন্থাগার ব্যবহার করা ছাত্র, ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, আমাদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বেশিরভাগ বই হলো ইংরেজি ভাষার। বইগুলো পুরোনো। আমাদের ইংরেজি মাতৃভাষা নয় ও বইগুলো হাল আমলের নয় বলে পড়তে কষ্ট হয়। তারা জানিয়েছেন, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের টানা ২৫ বছরের কর্মস্থল এই গ্রন্থাগারে বাংলা ভাষার বই খুব আছে। যেগুলো রয়েছে, বেশিরভাগ সময় খুঁজে এনে দিতে পারেন না লাইব্রেরির স্টাফরা। তাতে পড়ার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষে। এই আলাপে বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাজকমের ছাত্র রুবিয়ান শান বলেছেন, ‘অনেক খুঁজেও আমাকে পড়ার মতো কোনো মানসম্পন্ন বাংলা বই একবার তারা এনে দিতে পারেননি। ফলে গ্রন্থাগারে আসতে ভালো লাগে না।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘সময়ের হাত ধরে ভালো মানের ইংরেজি ও বাংলা বইগুলো থাকলে আমাদের আসতে ইচ্ছে করবে, গ্রন্থাগারে পড়তে ভালো লাগবে।’ চাহিদার বইয়ের অভাব এবং বাইরের ভালো বই না নেবার নিয়মেও তাদের অনেকে গ্রন্থাগারে আসতে চান না।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব ভালো একটি নিয়ম হলো-এখানে চাকরির গাইড বা এমন কোনো বই নিয়ে আসা যায় না। সেখানে অ্যাকাডেমিক বইও নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কেবল ক্লাস নোট গ্রন্থাগারে বসে কেন পড়ছেন-এই প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র হাসিবুল কবীর শিমুল বলেছেন, ‘আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে গভীর জ্ঞানের চেয়ে পরীক্ষার ফলাফলকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের সবখানে। আমরা জানি, ক্লাসে শিক্ষকদের দেওয়া লেকচারের নোট নিয়ে, অ্যাসাইনমেন্ট করে মোটামুটি ভালো ফলাফল করা সম্ভব হয়। তাই জ্ঞানের খোঁজে বই না পড়ে অল্পতে ভালো ফল করতে, সময় কম দিয়ে শিট পড়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছি সবাই।’ তবে এই ছাত্রটি জানালেন, ‘ভালো মানের গবেষক হতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বলেছেন, ‘যারা বিদেশে গবেষণায় যেতে চান, তাদের অনেকে বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সেভাবে ক্যারিয়ার গড়েন।’
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সবচেয়ে বড় সুবিধাটির কথা জানালেন সমাজকমের ছাত্রী সানজিদা নওরিন সুবর্ণা, ‘আমাদের গ্রন্থাগারটি বাদে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভবনের কোথাও রিডিং রুম নেই। তবে এখানে কোর্সের, প্রচলিত ও আমাদের উপযোগী আধুনিক বইগুলো না থাকায় আমরা কেউ ভালোভাবে পড়ালেখা করতে পারি না।’
ছাত্র, ছাত্রীদের এই সমস্যাগুলোর সমাধান এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার নিয়ে বলতে গিয়ে প্রশাসক ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিজুল বাতেন ঢাকা প্রকাশের বিশ্ববিদ্যালয়র প্রতিনিধি ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নুরুল ইসলাম রুদ্রকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কেন্দ্রীয় নীতিমালা হলো-কোনো ছাত্র, ছাত্রী, অধ্যাপক সঙ্গে করে কোনো বই নিয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারবেন না। সাধারণ কিছু সমস্যা হয় বলে আগে থেকে নিয়মটি চালু আছে। কেন্দ্রীয়ভাবে পরিবর্তন করা না হলে প্রশাসক হিসেবে আমার পক্ষে সিদ্ধান্তটি পরিবতন করা সম্ভব নয়।’
অধ্যাপক ড. আজিজুল বাতেন ছাত্র, ছাত্রীদের চাহিদানুসারে বই অপ্রাপ্তির বিষয়ে বলেছেন, ‘প্রতি বছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে যেসব বই অর্ন্তভুক্ত করা হয়, সেগুলো বিভাগগুলোর মাধ্যমে আসে। গ্রন্থাগারের নিয়মে, প্রতিটি বিভাগকে তাদের ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকদের প্রতি বছরের চাহিদার বইগুলোর তালিকা দিতে অনুরোধ করা হয়। তাদের সেই বইগুলো আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে সবার জন্য কিনে রাখি। ফলে শিক্ষার্থীদের চাহিদাগুলো তাদের বিভাগগুলোতে বলতে হবে।’

ওএস।

Header Ad

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অনিয়মের প্রতিবাদ ও মানবিক স্টোরি তুলে ধরে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই সংসদ সদস্য।

বর্তমানে এমপি হলেও আগের মতো নানা ইস্যুতে আওয়াজ তুলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই ধারাবাহিকতায় মানবিকতার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।

মিল্টন সমাদ্দার মানবিক কাজ দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। বর্তমানে তার মানবিক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, এ বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিৎ, যারা মানবিক কাজ করে মুখ দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে করে। মুখ দিয়ে মানবিক কাজ করলে নানা প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিন্তু হৃদয় থেকে করলে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না।

মানবিক কাজগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হলে সমাজে কী নীতিবাচক প্রভাব ফেলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, সমাজে নীতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফেলতে এই পর্যায়ে আমরা দাঁড়িয়েছি। আর পেছনের যাওয়ার সুযোগ নেই, সামনের দিকে যেতে হবে। আমরা নষ্ট হওয়ার শেষ পেরিয়ে গেছি। এর থেকে বেশি নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, দুস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের আশ্রয় ও সাহায্যের মতো মানবিক কাজের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত পান মিল্টন সমাদ্দার।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কাজের আড়ালে তার নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বুধবার এই মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানবপাচার, আশ্রয় দেওয়া অসহায়, দুস্থ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কিডনি বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান

ছবি: সংগৃহীত

চলমান ছাত্র বিক্ষোভে দমন-পীড়ন ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইরানি গণমাধ্যম ইরনার

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমন প্রসঙ্গে কানানি বলেছেন, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মিথ্যা রক্ষকদের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে দমন-পীড়নকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য সত্যকে বিকৃত করে শিক্ষার্থী ও একাডেমিক কর্মীদের প্রকৃত ক্ষোভ ও তাদের প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ হিসাবে বর্ণনা করছে মার্কিন সরকার।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল। বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সে সঙ্গে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতেও বিন্দুমাত্র পিছপা হননি তারা।

এমনকি পুলিশ এসে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে। গ্রেফতার করেছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে। তবে এতকিছু করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পুলিশ প্রশাসন। উলটো তা আরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ছাড়িয়ে এখন বৈশ্বিক রূপ ধারণ করেছে।

নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যেকোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অন্যুায়ী ব্যবস্থা নিবে।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহীর চার জেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদা সুলতানা একথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি পছন্দের প্রার্থী পক্ষে নেক দৃষ্টি দিয়ে সরকারের অতি সুবিধাভোগি কিছু ব্যক্তিরা (মন্ত্রী-এমপি) এ নির্বাচনে প্রভাব খানাটোর চেষ্টা করছেন। ওই সমস্ত পদে যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করবো- দয়া করে আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনি এলাকার ভোটার আপনি আসবেন ভোট দিবেন চলে যাবেন। আপনি যে পর্যায়ে আছেন- আপনি আপনার মান ইজ্জত রক্ষা করবেন। আপনার ইজ্জত আপনি যদি রক্ষা না করেন তাহলে কিন্তু যে কোন মুহুর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর দায় কিন্তু আমরা নিব না। আপনাই সেটা বহন করবেন। আপনারা নিজের মর্যাদায় আসিন থেকে দ্বায়ীত্ব পালন করবেন।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের সৌন্দর্য নেই, গ্রহনযোগ্যতা নেই, আনন্দও নেই। ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতা আর ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতার মধ্যে প্রার্থক্য আপনারাই বুঝতে পারবেন। তাই আপনার চিন্ত করেন, পরিবেশ নষ্ট করে ১০ শতাংশ ভোটে জিততে চান ভোটার না এনে; ৮০ শতাংশ ভোটে জিততে চান। আপনাদের উপর এই ভারটা ছেড়ে দিলাম সিদ্ধান্ত নেয়ার।

ইসি বলেন, ভোটের দিন কোন রকম উশৃঙখলতা, বিশৃঙখলাতা, সহিংস আচরণ, ভোট কেন্দ্র দখল করার মত কোন দুঃসাহস করবেন না। আপনার অবৈধভাবে যে ব্যালটই রাখেন না কেন আমাদের কাছে তথ্য গেলে প্রমান পেলে সেই ভোট বাতিল করে দিব যেকোন মুহুর্তে। আর অসাধুচারণ করেন, আচরন বিধি ভঙ্গ করেন আমরা কিন্তু নির্বাচনের মুহুর্তেও প্রার্থীতা বাতিল করে দিব। ভোটের দিন যে কোন নৈরাজ্য মূলক আচরণ করলে আমরা কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করবো, নির্বাচন বাতিল করবো, প্রার্থীতা বাতিল করবো।

তিনি আরও বলেন, গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগনের মনে যেন গেঁথে থাকে এমন একটি নির্বাচন হবে এবার। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিশন চায় না।

নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদেশ্যে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোন প্রার্থী জিতল কোন প্রার্থী জিতল না এ নিয়ে ইসির কোন মাথা বেথা নেই। নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা, আপনার সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, নিরপেক্ষতার সাথে দেখবেন, যে হাঙ্গামা করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে কমিশনার নির্দেশনা যিনি প্রতি পালন করবেন না তার দায়দায়িত্বও তিনি নিবেন। আপনাদের কৃতকর্মের দায় কমিশন বহন করবে না।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের উপজেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

সর্বশেষ সংবাদ

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে মার্কিন নার্সের ৭৬০ বছর কারাদণ্ড
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
দুবাইয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ পেলেন শাকিব খান
সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?
আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য