রবিবার, ৮ জুন ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নগরজুড়ে কোরবানির পশু জবাই, পরিচ্ছন্নতায় প্রস্তুত ২০ হাজারের বেশি কর্মী

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহার সকালে হালকা বৃষ্টি থাকলেও রাজধানীতে কোরবানির আমেজে কোনো ভাটা পড়েনি। জাতীয় ঈদগাহসহ নগরজুড়ে পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত প্রধান জামাতে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন।

ঈদের নামাজ শেষে শুরু হয় পশু কোরবানির উৎসব। এবার ঢাকা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোরবানি স্থানের ঘোষণা না থাকায় আগের মতোই অলিগলি ও রাস্তায় পশু জবাইয়ের দৃশ্য দেখা গেছে। আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সকালে বৃষ্টির বিড়ম্বনা না থাকায় নির্বিঘ্নে কোরবানি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

ঢাকায় এবার প্রায় ৭ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে উৎপন্ন হতে পারে প্রায় ৫০ হাজার টন বর্জ্য। এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য দ্রুত অপসারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সম্মিলিতভাবে প্রায় ২০ হাজার ২৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত রেখেছে, যাদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া জানিয়েছেন, “ঈদের দিন বিকাল থেকেই শুরু হবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুরো শহর পরিষ্কার করব।” তিনি আরও বলেন, “যথাযথ ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়ি।” দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে নাগরিকদের মাঝে প্রায় ১৩ লাখ ৯০ হাজার পলিব্যাগ বিতরণ করেছে এবং হটলাইন নম্বর ০১৭০৯-৯০০৮৮৮ ও ০২২২৩৩৮৬০১৪ চালু রেখেছে।

উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ঈদের দিনেই আমরা দিনের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করে শহর পরিষ্কার রাখব।” তিনি জানান, ডিএনসিসির ১০ হাজার কর্মী এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন এবং ২২৪টি ডাম্প ট্রাক, ৩৮১টি পিকআপ, ২৪টি পেলোডারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে। উত্তর সিটি করপোরেশন ধারণা করছে, কোরবানির পর প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিতরণ করা হয়েছে সাড়ে ১২ লাখ পলিব্যাগ, আড়াই হাজার বস্তা ব্লিচিং ও চার হাজার ক্যান স্যাভলন। এছাড়া, পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে আমিন বাজারে দুটি পরিখা খনন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর +৮৮০২৫৫০৫২০৮৪ ও ১৬১০৬ চালু রয়েছে নাগরিক সহায়তার জন্য।

এদিকে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে নাগরিকদের প্রতি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যত্রতত্র পশু জবাই ও বর্জ্য ফেলা পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ তৈরি করতে পারে বলে জানিয়ে, ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার, নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলা ও মাটিচাপা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া, মাংস বিতরণ ও বর্জ্য অপসারণে প্লাস্টিকের পরিবর্তে বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে।

সকলের সম্মিলিত সচেতনতাই পারে এই উৎসবের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ রাখতে—এটাই প্রশাসনের প্রত্যাশা।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তান-তুরস্ক-চীনের অদৃশ্য জোটে চাপে ভারত

ছবি: সংগৃহীত

নয়াদিল্লি যখন অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ও সামরিক পুনর্গঠনে মনোযোগ দিচ্ছে, তখন সমুদ্রপথে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন এক সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বিশ্লেষকদের মতে, ২০৪০ সালের মধ্যেই ভারতকে মোকাবিলা করতে হতে পারে চীন, তুরস্ক ও পাকিস্তানঘনিষ্ঠ এক ‘কার্যত নৌ জোট’-এর।

তিনটি দেশ যদিও কোনো আনুষ্ঠানিক সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ নয়, তবে সামরিক, প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সহযোগিতায় তারা একে অপরের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে। সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিদুঁর’ মহড়ার সময় এই বাস্তবতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যেখানে ভারতের সন্দেহ, পাকিস্তানের সঙ্গে নেপথ্যে তুরস্ক ও চীনও সক্রিয় ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতের যেকোনো যুদ্ধেই ভারতকে একা লড়তে হতে পারে, আর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারে বহুজাতিক সমন্বিত বাহিনী। ফলে শুধু সামরিক ভারসাম্য নয়, কূটনৈতিক কৌশলেও চাপে পড়তে পারে নয়াদিল্লি।

চীনের নৌবাহিনী ২০৪০ সালের মধ্যে ছয়টি বিমানবাহী রণতরী, শতাধিক ডুবোজাহাজ ও শতাধিক যুদ্ধজাহাজ নিয়ে সমুদ্রজয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দর কার্যত একটি সামরিক ঘাঁটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। তুরস্কও আধুনিক ডুবোজাহাজ, সশস্ত্র ড্রোন ও যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে জোর দিচ্ছে এবং এসব প্রযুক্তি পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতও নিজেদের শক্তি বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হয়েছে। ২০৪০ সালের মধ্যে তিনটি কেরিয়ার ব্যাটল গ্রুপ, ২০০টি যুদ্ধজাহাজ ও আধুনিক ডুবোজাহাজ ফ্লিট গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে নয়াদিল্লি। তবে একে বাস্তবে রূপ দিতে হলে আরও দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে—মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

নয়াদিল্লির আশঙ্কা, যথাযথ প্রস্তুতি না থাকলে পাকিস্তান-তুরস্ক-চীনের সম্ভাব্য জোট সমুদ্রের নিচে ভারতের কৌশলগত অবস্থান ডুবিয়ে দিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নয়: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৬ জুন) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মস্কোর আচরণই নির্ধারণ করবে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী অবস্থান।

ট্রাম্প জানান, রাশিয়া যদি রক্তপাত বন্ধে উদ্যোগ না নেয় এবং যুদ্ধবিরতির পথে না আসে, তবে পরিস্থিতি ভিন্নভাবে বিবেচনা করবেন তিনি।

এর আগে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত একটি বিল মার্কিন সিনেটে পাস হলেও, তা কার্যকরের জন্য প্রয়োজন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট এবং বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে খোলামেলা দ্বন্দ্বে জড়াতে চাইছেন না ট্রাম্প। এতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক প্রভাব হ্রাস পেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে কোরবানির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে রাজধানীজুড়ে। তবে এরই মাঝে আলোচনায় এসেছে কোরবানির মাংসের বাজারদর—যেখানে ৯৫০ থেকে ১১০০ টাকা খরচে প্রস্তুত হওয়া মাংসই বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০০-৬৫০ টাকায়!

ঈদের নামাজ শেষে সকাল থেকেই রাজধানীর অলিগলি, গ্যারেজ ও খোলা জায়গায় পশু কোরবানি দেন নগরবাসী। দুপুরের দিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে কোরবানির কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। তবে বিকেল হতেই দৃশ্যপট পাল্টায়। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, উত্তর বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও, সূত্রাপুর, ও জুরাইন রেলগেটসহ বেশ কিছু এলাকায় গড়ে ওঠে অস্থায়ী মাংসের বাজার।

মুলত গরিব, অসহায় ও ভিক্ষুকরা বিভিন্ন বাসা থেকে যে মাংস সংগ্রহ করেন, সেটাই বিক্রি করছেন এসব স্থানে। এ সুযোগে মৌসুমি কিছু ব্যবসায়ীও যুক্ত হয়েছেন। রামপুরা বাজারের এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী জানান, ‘‘আসল মাংস কিনতে গেলে কেজিতে ৭৫০ টাকা লাগে। এখন কম দামে সংগ্রহ করে কাবাব বা হালিম তৈরিতে কাজে লাগাবো।’’

বিকেল চারটার দিকে রামপুরা বাজারের সামনে দেখা যায়, অনেকে পলিথিন ব্যাগে ৮-১০ কেজি করে মাংস এনে বিক্রি করছেন। এক বিক্রেতা বলেন, “রান্না করে খাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তাই কিছুটা বিক্রি করে সংসার চালাই।”

তবে এখানেই উঠছে প্রশ্ন—এসব মাংস কতটা নিরাপদ? বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা, সংরক্ষণহীন পরিবেশে রাখা এবং ভ্যাপসা গরমে বিক্রি হওয়া এই মাংসের গুণগত মান নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট উদ্বেগ।

বিশেষ করে যখন এসব মাংস পরবর্তীতে রাস্তায় বিক্রি হওয়া হালিম, কাবাব বা অন্যান্য খাদ্যপণ্যে ব্যবহৃত হয়, তখন জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির আশঙ্কা আরও বাড়ে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তান-তুরস্ক-চীনের অদৃশ্য জোটে চাপে ভারত
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নয়: ট্রাম্প
রাজধানীতে কোরবানির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়
ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন ও মিসাইল হামলা
আরাফাতের ময়দানে হজের সময় সন্তানের জন্ম দিলেন টোগোর নারী
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২৬ জন, মোট মৃত্যু ২৩
রাজধানীতে কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত ৭৭ জন
ঈদ মৌসুমে টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টির পূর্বাভাস, সতর্ক থাকতে বলছে আবহাওয়া অফিস
ঈদের দিন গাজায় ৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত
পাকিস্তানের নেতৃত্ব খুবই শক্তিশালী : ট্রাম্প
ঢাকায় দেড় ঘণ্টায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি, ঈদের আনন্দে ব্যাঘাত নেই
কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
নগরজুড়ে কোরবানির পশু জবাই, পরিচ্ছন্নতায় প্রস্তুত ২০ হাজারের বেশি কর্মী
ঈদের দিন বন্ধ মেট্রোরেল, কাল থেকে ফের চলবে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ
কাশ্মীর হামলায় ভারতকে সমর্থন চীন-ইরানের, পাকিস্তানের ওপর বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ
দেশকে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে: ইশরাক হোসেন
লা লিগার সেরা রাফিনিয়া, অনূর্ধ্ব-২৩ বিভাগে ইয়ামাল
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে জাতির জন্য ভালো হবে: মির্জা ফখরুল
ঈদের দিনেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, ঝরল ৪২ প্রাণ