শনিবার, ৭ জুন ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঈদের দিনেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, ঝরল ৪২ প্রাণ

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহার দিনও শান্তি ফিরল না গাজা উপত্যকায়। ধর্মীয় এই আনন্দের দিনেও ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় রক্তাক্ত হলো ফিলিস্তিন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সারাদিনে চালানো এসব হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪২ জন, যাদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুস, গাজা সিটি, উত্তর গাজা ও দেইর আল বালাহ–এই চারটি এলাকায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর গোলাবর্ষণে নিহতদের মরদেহ পৌঁছেছে স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গাজার বাসিন্দা ও আলজাজিরার স্থানীয় প্রতিনিধি তারেক আবু আজুম ঈদের দিনে বোমা বর্ষণের এ বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করে বলেন, “পৃথিবীর মুসলিমরা যেখানে ঈদ উদযাপন করছে, গাজার ঈদ মানেই কান্না, ক্ষতি আর মৃত্যু। প্রতি ঈদ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—আমরা কী হারিয়েছি।”

এই হামলায় নিহত সাংবাদিককে যুক্ত করে গাজায় চলমান সংঘাতে গত দেড় বছরে নিহত সংবাদকর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৬ জনে, জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস সংঘাত এখনো থামেনি। হামাসের আকস্মিক হামলার পর প্রতিশোধ নিতে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৭৭ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ।

এছাড়া মার্চ থেকে গাজায় কার্যত অবরোধ জারি রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। খাদ্য, পানি, ওষুধ—সবকিছুতেই রয়েছে চরম সংকট। আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো বারবার হুঁশিয়ারি দিলেও তা উপেক্ষিত।

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি গাজায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যেখানে এর প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন, সেখানে হামাস এখনও তা অনুমোদন দেয়নি। এরইমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের হাতে থাকা ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে এখনও ৩৫ জন জীবিত থাকতে পারেন—যাদের উদ্ধারে অভিযান চলবে বলেই ঘোষণা এসেছে।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন গাজায় সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে এলেও নেতানিয়াহুর সাফ ঘোষণা—হামাস পুরোপুরি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান থামবে না।

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে কোরবানির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে রাজধানীজুড়ে। তবে এরই মাঝে আলোচনায় এসেছে কোরবানির মাংসের বাজারদর—যেখানে ৯৫০ থেকে ১১০০ টাকা খরচে প্রস্তুত হওয়া মাংসই বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০০-৬৫০ টাকায়!

ঈদের নামাজ শেষে সকাল থেকেই রাজধানীর অলিগলি, গ্যারেজ ও খোলা জায়গায় পশু কোরবানি দেন নগরবাসী। দুপুরের দিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে কোরবানির কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। তবে বিকেল হতেই দৃশ্যপট পাল্টায়। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, উত্তর বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও, সূত্রাপুর, ও জুরাইন রেলগেটসহ বেশ কিছু এলাকায় গড়ে ওঠে অস্থায়ী মাংসের বাজার।

মুলত গরিব, অসহায় ও ভিক্ষুকরা বিভিন্ন বাসা থেকে যে মাংস সংগ্রহ করেন, সেটাই বিক্রি করছেন এসব স্থানে। এ সুযোগে মৌসুমি কিছু ব্যবসায়ীও যুক্ত হয়েছেন। রামপুরা বাজারের এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী জানান, ‘‘আসল মাংস কিনতে গেলে কেজিতে ৭৫০ টাকা লাগে। এখন কম দামে সংগ্রহ করে কাবাব বা হালিম তৈরিতে কাজে লাগাবো।’’

বিকেল চারটার দিকে রামপুরা বাজারের সামনে দেখা যায়, অনেকে পলিথিন ব্যাগে ৮-১০ কেজি করে মাংস এনে বিক্রি করছেন। এক বিক্রেতা বলেন, “রান্না করে খাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তাই কিছুটা বিক্রি করে সংসার চালাই।”

তবে এখানেই উঠছে প্রশ্ন—এসব মাংস কতটা নিরাপদ? বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা, সংরক্ষণহীন পরিবেশে রাখা এবং ভ্যাপসা গরমে বিক্রি হওয়া এই মাংসের গুণগত মান নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট উদ্বেগ।

বিশেষ করে যখন এসব মাংস পরবর্তীতে রাস্তায় বিক্রি হওয়া হালিম, কাবাব বা অন্যান্য খাদ্যপণ্যে ব্যবহৃত হয়, তখন জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির আশঙ্কা আরও বাড়ে।

 

Header Ad
Header Ad

ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন ও মিসাইল হামলা

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ‘অপারেশন স্পাইডারস ওয়েব’-এর জবাবে এবার বড় ধরনের পাল্টা হামলা চালিয়েছে মস্কো। শুক্রবার (৬ জুন) রাতভর চালানো এই ভয়াবহ ড্রোন ও মিসাইল হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত তিনজন এবং আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

শনিবার (৭ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে রাজধানী কিয়েভসহ লুৎস্ক শহর ও টারনোপিল অঞ্চলে একযোগে চালানো হয় হামলাগুলো। এতে কিয়েভে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় অন্তত ২ হাজারের বেশি বাড়িঘর।

তবে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভ। সেখানে প্রাণ হারান অন্তত তিনজন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন। শহরটির ওপর একযোগে চালানো হয় ড্রোন, মিসাইল ও বোমা হামলা, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

খারকিভ ছাড়াও রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খারসন, দিনিপ্রো ও লুটস্ক অঞ্চল। এসব এলাকায় হতাহত ও ধ্বংসযজ্ঞের পরিমাণ অনেক বেশি বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, এই হামলাগুলো ছিল ১ জুন রুশ ভূখণ্ডে চালানো কথিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ। মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্রাগার ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়া এই হামলায় ব্যবহার করেছে প্রায় ৪০০টি ড্রোন এবং ৪০টিরও বেশি মিসাইল। তিনি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এই বর্বর হামলায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক পাল্টা পাল্টি হামলার কারণে যুদ্ধ পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এর ফলে কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।

Header Ad
Header Ad

আরাফাতের ময়দানে হজের সময় সন্তানের জন্ম দিলেন টোগোর নারী

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র হজ পালনকালে সৌদি আরবের আরাফাতের ময়দানে এক টোগোলিজ নারী সন্তান প্রসব করেছেন। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ টোগো থেকে প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হজ পালনে এসে এই নারী এমন এক অবিস্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী হন।

শুক্রবার (৬ জুন) গালফ নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকালে হজের আনুষ্ঠানিক খুতবা শোনার সময় হঠাৎ করে প্রসব বেদনা শুরু হয় তার। সঙ্গে সঙ্গে একটি বিশেষায়িত মেডিকেল টিমের সহায়তায় সেখানে সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সৌভাগ্যক্রমে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, এই টোগোলিজ নারী ‘কাস্টোডিয়ান অব দ্য টু হোলি মস্ক প্রোগ্রাম ফর হজ, উমরাহ অ্যান্ড ভিজিটেশন’-এর আওতায় হজে অংশগ্রহণকারী ১০০ দেশের ২ হাজার ৪৪৩ জন হজযাত্রীর একজন। সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, দাওয়াহ ও গাইডেন্স মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

সৌদি ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় জানায়, হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে মানবিক ও প্রযুক্তিগত সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যা সৌদি নেতৃত্বের দিকনির্দেশনায় কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এছাড়া সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর ১৬ লাখের বেশি হজযাত্রী নির্বিঘ্নে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। কোনো বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত বা নিরাপত্তাজনিত ঘটনা ছাড়াই আরাফাতে অবস্থান সম্পন্ন হয়েছে।

হজযাত্রীদের মক্কা ও মিনার বিভিন্ন স্থান থেকে আরাফাতের ময়দানে স্থানান্তরের কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে "ইউনিফাইড জয়েন্ট অপারেশনস অ্যান্ড ডিসপ্যাচিং সেন্টার"-এর মাধ্যমে, যারা রিয়েল-টাইমে নিয়ন্ত্রণ ও সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজধানীতে কোরবানির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়
ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন ও মিসাইল হামলা
আরাফাতের ময়দানে হজের সময় সন্তানের জন্ম দিলেন টোগোর নারী
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২৬ জন, মোট মৃত্যু ২৩
রাজধানীতে কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত ৭৭ জন
ঈদ মৌসুমে টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টির পূর্বাভাস, সতর্ক থাকতে বলছে আবহাওয়া অফিস
ঈদের দিন গাজায় ৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত
পাকিস্তানের নেতৃত্ব খুবই শক্তিশালী : ট্রাম্প
ঢাকায় দেড় ঘণ্টায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি, ঈদের আনন্দে ব্যাঘাত নেই
কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
নগরজুড়ে কোরবানির পশু জবাই, পরিচ্ছন্নতায় প্রস্তুত ২০ হাজারের বেশি কর্মী
ঈদের দিন বন্ধ মেট্রোরেল, কাল থেকে ফের চলবে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ
কাশ্মীর হামলায় ভারতকে সমর্থন চীন-ইরানের, পাকিস্তানের ওপর বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ
দেশকে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে: ইশরাক হোসেন
লা লিগার সেরা রাফিনিয়া, অনূর্ধ্ব-২৩ বিভাগে ইয়ামাল
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে জাতির জন্য ভালো হবে: মির্জা ফখরুল
ঈদের দিনেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, ঝরল ৪২ প্রাণ
ঈদের ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড়, খালি নেই হোটেল-রিসোর্ট
ইলন মাস্কের সঙ্গে ঝগড়া, নিজের টেসলা গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের