ইলন মাস্কের সঙ্গে ঝগড়া, নিজের টেসলা গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকদিন আগেও ছিলেন বন্ধু। ট্রাম্প যেখানে যেতেন সেখানে উপস্থিত থাকতেন মাস্ক। এমনকি গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করেন তিনি। এরপর ইলন মাস্ককে ট্রাম্প নতুন একটি দপ্তরের দায়িত্ব দেন। যেটির কাজ ছিল সরকারের ব্যয় কমানো।
এক সময় ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব, এখন খোলামেলা বিরোধ—বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক নাটকীয়ভাবে মোড় নিয়েছে। সম্পর্কের টানাপোড়েনে এবার টেসলা গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ইলন মাস্কের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বের জেরে ট্রাম্প তার ব্যবহৃত টেসলা গাড়ি বিক্রি করার পরিকল্পনা করছেন। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী মাস্কের সঙ্গে এই উত্তেজনার প্রভাব ইতিমধ্যেই বাজারে পড়তে শুরু করেছে। কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য একদিনেই ধসে পড়েছে প্রায় ১১৫ বিলিয়ন ডলার, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মাস্কের ব্যক্তিগত সম্পদেও।
ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্কের উষ্ণতা দেখা যায় গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়। ট্রাম্পের প্রচারণায় পাশে ছিলেন মাস্ক, এমনকি সরকারি ব্যয় হ্রাস বিষয়ক একটি নতুন দপ্তরের দায়িত্বও পেয়েছিলেন তিনি। তবে সময়ের সঙ্গে সেই সখ্যতায় ফাটল ধরে ট্রাম্পের কিছু নীতি ও ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মাস্কের প্রকাশ্য বিরোধিতায়।
সম্প্রতি এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মাস্ক ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এক যৌন হয়রানির অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ তোলেন। জবাবে ট্রাম্পও মাস্ককে আক্রমণ করে পাল্টা পোস্ট দেন। যদিও ট্রাম্প শুক্রবার (৬ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমি ইলনকে নিয়ে একটুও ভাবছি না।”
তবে বাজার বলছে ভিন্ন কথা। টেসলার শেয়ারে এই রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধের ছায়া স্পষ্ট। ট্রাম্প যদি সত্যিই নিজের টেসলা গাড়ি বিক্রি করেন, তা টেসলার ভাবমূর্তি ও বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আরও বড় প্রভাব ফেলতে পারে—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল ভোটারদের মধ্যে, যারা ট্রাম্পের প্রভাবাধীন।
