বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রবীর মিত্রের মুসলিম হওয়ার খবর নিয়ে যা বললেন তার ছেলে

অভিনেতা প্রবীর মিত্র। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে ঢাকাই সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এরইমধ্যে অনেকেই নিজেদের সোশ্যাল হ্যান্ডেল থেকে অভিনেতার ছবি পোস্ট করে বিষয়টি জানাচ্ছেন।

তবে কি সত্যিই মুসলিম হয়েছেন প্রবীর মিত্র? বিষয়টি নিয়ে তার ছেলে মিঠুন মিত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে ছড়িয়ে পড়া খবরটি সত্য নয়। মিথুন বলেন, আমার বাবা মুসলিম হননি। মানুষ বানোয়াট খবর ছড়াচ্ছেন। আমার মা মুসলিম ছিলেন। যারা এমন খবর ছড়াচ্ছেন তারা ঠিক কাজ করছেন না। বাবার মতো একজন অভিনেতার নামে এমন গুঞ্জন গ্রহণযোগ্য নয়। আমি সবার কাছে অনুরোধ করছি, না জেনে কোনো তথ্য ছড়াবেন না।

প্রবীর মিত্র ও তার ছেলে মিথুন (ডানে)

 

এদিকে বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন প্রবীর মিত্র। সারাদিন বাসায় সময় কাটে। নানারকম অসুখ বাসা বেঁধেছে শরীরে। এ প্রসঙ্গে মিথুন তিনি জানান, বাবা অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। নতুন করে যোগ হয়েছে স্মৃতি ভুলে যাওয়ার সমস্যা। প্রায়ই তিনি কিছু মনে করতে পারেন না। বাবার শ্রবণশক্তিও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। উচ্চস্বরে কথা বললে উত্তর দিতে পারেন। হৃদরোগের জটিলতাও রয়েছে।

এর আগেও একাধিকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবীর মিত্রের মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছিল। যা সবই পরে মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। এবারও অভিনেতাকে ঘিরে নতুন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় পরিবারের মানুষও বেশ বিরক্ত হয়েছেন।

ব্যক্তিজীবনে অজান্তা মিত্রকে বিয়ে করেছিলেন প্রবীর মিত্র। তার স্ত্রী ২০০০ সালে মারা যান। অভিনেতার সংসারে তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা হলেন মিঠুন মিত্র, ফেরদৌস পারভীন, সিফাত ইসলাম, সামিউল ইসলাম। এর মধ্যে সামিউল মারা গেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক

আটক আব্দুল কাদের রোমান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে ভুয়া সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে রাস্তায় ছিনতাই করার সময় আব্দুল কাদের রোমান (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে সেনাবাহিনীর ভুয়া পরিচয় পত্র ওয়াকি-টকি, তিনটি মোবাইল, একটি ম্যানিব্যাগ ও একটি চশমা উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা-বিরামপুর আঞ্চলিক সড়কের মাহমুদপুর শান্তিমোড় এলাকায়।

আটক আব্দুল কাদের রোমান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের খিয়ারমামুদপুর এলাকার রফিতুল্লাহ মন্ডলের ছেলে।

বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃত যুবক এক সময় আনসার বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।

থানা সূত্রে জানা যায়,গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাটলা-বিরামপুর আঞ্চলিক সড়কের শান্তিমোড় এলাকায় থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান কার্যক্রম চলছিল। এসময় শান্তিমোড় এলাকায় শফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে কয়েকজন যুবক সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে রাস্তার লোকজনদের তল্লাশি করছিলেন। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে দুজন পালিয়ে গেলেও আব্দুল কাদের রোমানকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর ভুয়া পরিচয়পত্র ও ওয়াকি টকি ব্যবহার করে রাস্তায় ছিনতাইয়ের বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করে।

বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক জানান,ভুয়া সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্র ও ওয়াকি-টকি ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের অভিযোগে আব্দুল কাদের রোমান নামের এক যুবককে আটক করা হলেও অন্য দুই সদস্য পালিয়ে গেছে। আটক যুবকের বিরুদ্ধে মামলাপূর্বক অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, শুধু শেখ হাসিনার বিচার নয়, তাকে 'খুনি হাসিনা'তে পরিণত করতে যারা ভূমিকা রেখেছে, তাদের বিচারও নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় এক বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এই কর্মসূচির মূল দাবি ছিল আওয়ামী লীগের বিচার, রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, দলটির সংস্কার, এবং একটি নতুন গণপরিষদের নির্বাচন আয়োজন।

সারজিস আলম অভিযোগ করেন, "খুনি হাসিনার দোসররা আবার ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছে। তারা ইতিহাস থেকে 'খুনি' শব্দটিই মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।"
তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার নেই।

জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে হাসিনার বিচারের দাবি জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, "যদি তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তবে জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের রুখে দেবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা আগামী নির্বাচনের আগেই খুনি হাসিনার বিচার দেখতে চাই।"

সংগঠক সারজিস আলম বলেন, যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ যেন মূল্যহীন না হয়। "দেড় হাজারের বেশি শহীদের জীবনের বিনিময়ে আমরা এই জায়গায় এসেছি। অথচ এখনো কেউ কেউ কেবল নির্বাচনের কথা বলছে—তাদের লক্ষ্য শহীদের রক্ত নয়, কেবল ক্ষমতা।"

তিনি দেশের রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য সকলে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক সপ্তাহের টানা আন্দোলন, আমরণ অনশন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখে অবশেষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃপক্ষ ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে। একই সঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি আবাসিক হল।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে অনুষ্ঠিত কুয়েটের ১০২তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ মাছুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিকেল থেকেই শিক্ষার্থীদের জন্য হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ১৪ এপ্রিলের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে ৪ মে এবং হল খোলা হবে ২ মে। তবে আজকের সভায় তা পরিবর্তন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দ্রুত স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেই হলগুলো আগেভাগেই খুলে দেওয়া হচ্ছে।

১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকেই আহত হন। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি কুয়েট কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দোষীদের তথ্য থাকা সত্ত্বেও পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নেয় এবং নির্দোষ অনেকে শাস্তির সম্মুখীন হন। সেই প্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়, যা নতুন করে আন্দোলনের জন্ম দেয়।

বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আন্দোলনে গতি আনেন তারা। ২১ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন এবং উপাচার্যের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার হন।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার জানান, “শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। যাঁরা প্রকৃত দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ সময় তার সঙ্গে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক
হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু
ইতিহাস গড়ল জিম্বাবুয়ে, ঘরের মাঠে লজ্জার হার বাংলাদেশের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটে প্রথম আব্দুল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: প্রধান আসামি মেহরাজ গ্রেপ্তার
তুরস্কের ইস্তানবুলে একের পর এক ভূমিকম্প
এবার সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন পরীমণি
দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা
আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার
স্বৈরাচারের দোসররাই ভাস্কর মানবেন্দ্রর বাড়িতে আগুন দিয়েছে: রিজভী
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে লাগবে না অনুমতি
সিলেট টেস্ট চলাকালে হার্ট অ্যাটাক, বিসিবি কর্মকর্তার মৃত্যু
আমাকে দেখলেই মানুষ বলে ‘শাকিব খানের বউ’: টিকটকার রিমু
ভয়েস অফ আমেরিকা বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা আটকে দিলেন মার্কিন বিচারক
এসএসসি পাসেই বিমানে চাকরি, নেবে ৬৬২ জন
সৌদি সফর কাটছাঁট করে দেশে ফিরেই কঠোর হুঁশিয়ারি মোদির (ভিডিও)