শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিচ্ছেদের সুর অভিষেক-ঐশ্বরিয়া দম্পতির

ফাইল ছবি

নভেম্বর মাস পড়তে না পড়তেই বলিপাড়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে দীপাবলি উদ্‌যাপন। রবিবার খ্যাতনামী পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্রের বাড়িতে দীপাবলী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বড় পর্দার তাবড় তারকাদের উপস্থিতিতে জ্বলজ্বল করছিল পার্টি। সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বলি অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও। তবে তিনি ছিলেন একা। ঐশ্বর্যার পাশে দেখা যায়নি অভিষেক বা বচ্চন পরিবারের অন্য কাউকে।

দিপাবলির অনুষ্ঠানে একা ঐশ্বরিয়া

 

২০০৭ সালে অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ঐশ্বর্যা। তার পর থেকে অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হিসাবেও পরিচিতি পান তিনি। অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের পর বলিপাড়ার এমন কোনও অনুষ্ঠান হয়নি যেখানে ঐশ্বর্যা একা উপস্থিত ছিলেন। সব সময় অভিষেকের সঙ্গে দেখা যেত তাঁকে। ছবিশিকারিদের কাছেও আলাদা ভাবে পোজ় দিতেন এই তারকাযুগল।

বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, তারকাখচিত কোনও অনুষ্ঠানে অভিষেক যেতে না পারলে ঐশ্বর্যাও নাকি সেখানে যেতেন না। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে একাধিক অনুষ্ঠানে একাই যাচ্ছেন ঐশ্বর্যা। এমনকি বচ্চন পরিবারের কোনও সদস্যকেও তাঁর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে না। রবিবার মণীশের বাড়ির পার্টিতে ক্রিমসন এবং গোলাপি রঙের কুর্তি-পালাজ়োয় দেখা গেল ঐশ্বর্যাকে। পার্টিতে একা যাওয়ার পর তাড়াতাড়ি সেখান থেকে বেরিয়েও যান তিনি।

মণীশের পার্টিতে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তাঁর ননদের কন্যা নব্যা নভেলি নন্দাও। কিন্তু ঐশ্বর্যার সঙ্গে ক্যামেরায় ধরা দেননি তিনি।

নব্যা নভেলি নন্দা

 

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে নামী ব্র্যান্ড দ্বারা আয়োজিত ফ্যাশন শো উপলক্ষে প্যারিস যান ঐশ্বর্যা। সেখানে ফ্যাশন সরণিতে হেঁটে সকলের মন জয় করেন অভিনেত্রী।

প্যারিসের ফ্যাশন শোয়ে দর্শকাসনে দেখা যায় জয়া বচ্চন এবং শ্বেতা নন্দাকেও। কিন্তু ঐশ্বর্যার শোয়ে ছিলেন না তাঁরা। দু’জনেই হাজির ছিলেন নব্যার শোয়ে। ফ্যাশন সরণিতে প্রথম হাঁটলেন নব্যা। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতেই জয়া এবং শ্বেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শোয়ের পর তিন জনকে প্যারিসের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গিয়েছে। জয়া, শ্বেতা এবং নব্যার ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও কোনও ছবিতেই ঐশ্বর্যাকে দেখা যায়নি। অথচ সেই সময় প্যারিসেই উপস্থিত ছিলেন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ।

অন্য দিকে নব্যাকে শুভেচ্ছা জানাননি ঐশ্বর্যাও। অমিতাভের জন্মদিনে ছবি পোস্ট করার সময়ও প্রায় একই রকম ঘটনা লক্ষ করা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে পারিবারিক ছবি থেকে বাদ পড়েছিলেন ঐশ্বর্যা। শ্বশুরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর সময় কন্যা আরাধ্যার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছিল ঐশ্বর্যাকে।

১ নভেম্বর ৫০ বছরে পা দিলেন ঐশ্বর্যা। কিন্তু বচ্চন পরিবারের সদস্যেরা যেন অদ্ভুত ভাবে নীরব থাকলেন। ইনস্টাগ্রামের পাতায় ঐশ্বর্যার একটি সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে অভিষেক শুধু লিখেছিলেন, ‘‘শুভ জন্মদিন।’’ জন্মদিন পালন করতে কন্যা আরাধ্যাকে নিয়ে এক অনুষ্ঠানে কেক কাটতে দেখা গিয়েছিল ঐশ্বর্যাকে। সেখানে অভিষেক ছিলেন না। ছিলেন না বচ্চন পরিবারের কোনও সদস্যও। ছিলেন শুধু অভিনেত্রীর মা বৃন্দা রাই।

বলিপাড়ায় মাঝেমধ্যেই কানাঘুষো শোনা যায়, শাশুড়ি জয়া এবং ননদ শ্বেতার সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক ঐশ্বর্যার। তিক্ততার সেই ছাপ কি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও এসে পড়েছে?

ঐশ্বর্যার সঙ্গে যে মাঝেমধ্যেই তাঁর ঝগড়া লাগে, সে কথা স্বীকার করেছিলেন খোদ অভিষেক। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তখন অভিষেক-ঐশ্বর্যার সম্পর্কের বয়স তিন বছর। ২০১০ সালে দেওয়া এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানিয়েছিলেন যে ঐশ্বর্যার সঙ্গে তাঁর প্রায়ই ঝগড়া হয়। এবং সব সময় ক্ষমা চান অভিষেকই।

অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে মূলত বাদানুবাদ হয়, বড় কোনও অশান্তি নয়। তা ছাড়া আমরা রাগ করে ঘুমোতে যেতে পারি না। রাতে ঘুমোনোর আগে সব অশান্তি মিটিয়ে নিই।’’

তবে ঝগড়ার পর মিটমাট করার দায়িত্ব নাকি শুধুমাত্র অভিষেকের। ঐশ্বর্যা এগিয়ে আসেন না একেবারেই। অভিনেতার কথায়, ‘‘অশান্তি মেটানোর প্রথম পদক্ষেপ ছেলেদের করতে হয়। পুরুষ তাড়াতাড়ি তাঁদের ভুল মাথা পেতে নিলে আর কোনও অশান্তিই থাকবে না। হতেই পারে তুমি ঠিক, তবে সেটা মহিলাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’’

যদিও পুরোটাই মজার ছলে বলেছিলেন অভিষেক। ১৩ বছর আগে বলা সেই কথাগুলি কি সত্যি হয়ে গেল? অভিষেক-ঐশ্বর্যার সম্পর্কে কি সত্যি সত্যিই চিড় ধরল, সত্য জানেন কেবল তাঁরাই।

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সংগৃহীত গম বাংলাদেশে আমদানি হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করতে যাচ্ছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে এই গম আমদানিতে জড়িত বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানও জানাবে দেশটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের ভারতস্থ রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক জানান, বাংলাদেশ সরকারকে বারবার সতর্ক করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। তার ভাষায়, "আমরা একাধিকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি, কিন্তু কোনো জবাব পাইনি। ফলে এখন বিষয়টি ইইউতে তোলা হবে।"

রাষ্ট্রদূতের দাবি, রাশিয়ার কিছু কোম্পানি ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল থেকে শস্য সংগ্রহ করে তা রাশিয়ার উৎপাদিত গমের সঙ্গে মিশিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করছে—যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেআইনি এবং 'অর্থনৈতিক লুটপাটের' শামিল।

রয়টার্সের হাতে থাকা নথিতে বলা হয়, ইউক্রেনের নয়াদিল্লি দূতাবাস এ বছর বাংলাদেশ সরকারের কাছে একাধিক চিঠিতে ১.৫ লাখ টনের বেশি ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার কফকাজ বন্দর থেকে এই গমগুলো আমদানি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল কৃষিভূমি ও ক্রিমিয়া দখল করার পর থেকেই ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ। ২০২২ সালের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। তবে রাশিয়ার দাবি, ওই অঞ্চল এখন তাদের ভূখণ্ড এবং সেখানকার শস্য রপ্তানি বৈধ।

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাংলাদেশ কখনোই চুরি করা গম আমদানি করে না। রাশিয়ার অধিকৃত কোনো এলাকা থেকে গম আনার প্রশ্নই ওঠে না।”

Header Ad
Header Ad

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ অপসারণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি দুর্গা মন্দির ধ্বংসের অভিযোগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

তবে প্রকৃত ঘটনা হলো- গত বছর দুর্গাপূজার সময় পূর্বানুমতি ছাড়াই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জমিতে অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করেছিল। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ শর্তে অনুমতি দেয় যে পূজা উদযাপন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজকরা অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলবেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পূজা শেষ হওয়ার পর আয়োজকরা পারস্পরিক শর্ত লঙ্ঘন করে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা সেখানে একটি ‘মহাকালী’ (কালী মূর্তি) স্থাপন করে।

বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরেও দুর্ভাগ্যবশত তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে মণ্ডপটিকে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, মণ্ডপের আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন রেললাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে নির্মিত শত শত দোকান এবং রাজনৈতিক দলের অফিসসহ সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের জন্য একটি পাবলিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মূলত বিদ্যমান রেললাইনের পূর্ব দিক থেকে ২০০ ফুট দূরে কেবল বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ সেকশন ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় আরও দুইটি রেল ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইন সম্পন্ন করার জন্য এ জমির খুব প্রয়োজন ছিল।

বিগত মাসগুলোতে অবৈধ ভূমি দখলকারীদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করা হয়। গত ২৪ ও ২৫ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে অবশেষে সবাইকে সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয়, যার মধ্যে পূজা আয়োজকদের অস্থায়ীভাবে নির্মিত মণ্ডপটি অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে ২৬ জুন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে খিলক্ষেত এলাকার রেল ট্র্যাক বরাবর সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলাকালীন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে যথাযথ শ্রদ্ধার সঙ্গে অস্থায়ী মণ্ডপের প্রতিমা নিকটবর্তী বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণ একটি নিয়মিত এবং আইনসম্মত প্রশাসনিক কার্যক্রম।

যদিও দেশের আইন অনুসারে নির্মিত কোনো ধর্মীয় স্থাপনার সঙ্গে বৈষম্য না করে সমস্ত উপাসনালয়ের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবুও কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়। অস্থায়ী মণ্ডপের আয়োজকরা তাদের নিজস্ব অঙ্গীকার লঙ্ঘন করে রেল কর্তৃপক্ষের আস্থা এবং সদিচ্ছাকে স্পষ্টতই কাজে লাগিয়েছেন।

বাংলাদেশ সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে উপাসনালয়ের সুরক্ষা। বাংলাদেশকে তার সমন্বিত ঐতিহ্য বজায় রাখতে কখনও বাধা দেয়নি যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাস বা বিশ্বাস নির্বিশেষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উন্মুক্ত সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশ সবাইকে তথ্য এবং বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

আসাদুজ্জামান আলী। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদুজ্জামান আলী নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এনসিপির এ পদে একজন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতার অন্তর্ভুক্তিকে ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক ও সমালোচনা।

গত ২১ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কুমারখালী উপজেলা শাখার ১২ সদস্যের সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষর করেন। এই কমিটিতেই আসাদুজ্জামান আলীকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আসাদুজ্জামান আলী কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং এক সময় কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেন। তবে নানা অভিযোগে তাকে সেখান থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলী ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, মামলা ও ঘুষ বাণিজ্য, সেল্টার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি তার বাবা আবদুর সামাদ পাখির বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আছে।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলীকে পদচ্যুত করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে এনসিপির কমিটিতে আলীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, অতীতের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জানা সত্ত্বেও কীভাবে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এনসিপির মতো একটি দলে নেতৃত্বের জায়গা পেলেন, তা নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জবাবদিহি প্রয়োজন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসাদুজ্জামান আলী খান। তিনি বলেন, “আমি আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে সক্রিয় ছিলাম। সরকার পতনের আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।”

তিনি আরও দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে চাইছে। “আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অপকর্ম প্রমাণ করতে পারলে আমি কুমারখালী ছেড়ে চলে যাব,” বলেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট