শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভিডিওতে হাজির হয়ে ফারজানা মুন্নীর ‘মেসেজ’ দেখালেন অপু বিশ্বাস

ছবি: সংগৃহীত

কয়েকদিন আগেই ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে গানবাংলার কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নীর একটি কল রেকর্ড ভাইরাল হয়।

এ ঘটনার বেশ কিছুদিন পর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফারজানা মুন্নী জানান, অপু বিশ্বাস তার অনুমতি না নিয়েই কলটি রেকর্ড করেছেন। শুধু তাই নয় মুন্নীর দাবি, অপু বিশ্বাস উদ্দেশ্যপ্রোণিতভাবে কল রেকর্ডটি ফাঁস করেছেন।

 

গণমাধ্যমে দেওয়া ফারজানা মুম্নীর এমন বক্তব্যের পরেই এবার এক ভিডিওবার্তায় কৌশিক হোসেন তাপসের স্ত্রীর সঙ্গে সেদিনের ফোনালাপ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অপু বিশ্বাস। রোববার ভোরে নিজের ফেসবুক পেজে ২৮ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন এই নায়িকা।

যেখানে তিনি ফারজানা মুন্নীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের চিত্র তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ‘ভাবি (ফারজানা মুন্নী) দাবি করেছেন, আমি তাকে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়েছি সে উত্তর দিয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে সে এ বিষয়ে শাকিব খানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলো কেন? আমার থেকে শাকিবের নম্বর সংগ্রহ করল কেন?’

 

ছবি: সংগৃহীত

ভিডিওর শুরুতেই অপু বলেন, আমি অত্যন্ত পছন্দ করি মুন্নী ভাবি ও তাপস ভাইয়াকে। আমার এত বছরের ক্যারিয়ারে কখনও তাদের সঙ্গে দেখা হয়নি। এমনকি গানবাংলা চ্যানেলটি কোথায় অবস্থিত সেটাও আমি চিনি না। তাদের সঙ্গে কথা হয়নি বা কাজ হয়নি। তবে হাতিরঝিল প্রাঙ্গণে অনেক বড় করে তারা একটি প্রোগ্রাম করেছিল। আমি যদি ভুল না করে থাকি, সেখানে বাংলাদেশের প্রত্যেক আর্টিস্ট পারফর্ম করেছে। খুবই ভালো কথা। কারণ, একজন আর্টিস্টের জন্য গানবাংলা উঁচু একটি প্ল্যাটফর্ম। আমার হয়ত কখনও সুযোগ হয়নি অথবা সুযোগের জায়গাটা খুঁজতে যাইনি যে, আমার গানবাংলার কাজ করা উচিত ছিল।

ফারজানা মুন্নীর সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একমাস আগে আপনারা দেখেছিলেন যে, মুন্নী ভাবি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। যার নামটা বলতে আমার ঘৃণা লাগে, কিন্তু নাম কিছু কিছু জায়গায় উল্লেখ না করলে বুঝতে অসুবিধা হয়। আজকে শুধুমাত্র আপনাদের ক্লিয়ার করার জন্য নামটা বলতে হচ্ছে। সেটি হচ্ছে বুবলী।

 

ছবি: সংগৃহীত

যোগ করে অপু বিশ্বাস বলেন, বুবলীর একটি কথা নিয়ে মুন্নী ভাবি স্ট্যাটাস দিয়েছিল এরকমভাবে যে, বুবলী অ্যান্ড তাপস হ্যাভিং রিলেশনশীপ। অপু বিশ্বাসের লাইফে যেভাবে ঝামেলা করেছে এবং যেভাবে বুবলী বাচ্চা পেটে নিয়েছে; সে মুন্নী ভাবি ও তাপস ভাইয়ার মাঝে এ রকমই একটি সম্পর্ক তৈরি করতে যাচ্ছে। সেটা (ফেসবুক স্ট্যাটাস) ছিল ১৩-১৫ মিনিটের মতো। তারপর স্ট্যাটাসটি উধাও হয়ে যায়। উধাও হওয়ার পর একটা গ্রুপ বলে যে, আমি হ্যাক করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি কিন্তু মুন্নী ভাবির সঙ্গে কখনও কথাই বলিনি। এমনকি তার নম্বরও জানি না। তাহলে রাত ৩টায় যখন তিনি স্ট্যাটাসটা দিলেন, আমি তো ওনাকে বলিনি যে, বুবলীর সঙ্গে তাপস ভাইয়ার সম্পর্কের মধ্যে আমার নাম ধরে স্ট্যাটাসটা দিতে। আমি কি বলেছি যে, অপু বিশ্বাসের লাইফটা নষ্ট করেছিল বুবলী। আমি তো তাকে বলিনি। তাহলে কেন ওই সময় আমার নামটা উল্লেখ করে লিখলেন!

মুন্নীর সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে অপু বলেন, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার একটি পর্যায়ে তাকে বললাম, মুন্নী ভাবির নম্বরটা কি আমাকে দিতে পারবে? কারণ, আমি আসলে কিছু ফোনকল বুঝতে পারছিলাম। মুন্নী ভাবির সঙ্গে আমার সরাসরি কথা বলার সুযোগ হয়নি। কিন্তু তিনি যে পাওয়ারফুল পারসোনালিটি, আমি সত্যিই পছন্দ করি। দেখুন বেলা শেষে, প্রত্যেকটা মেয়েই তার স্বামীকে ভালোবাসে। আজকের ভিডিওর মাধ্যমে মুন্নী ভাবিকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই, কারণ তিনি ফার্স্ট প্রায়োরিটি ফ্যামিলিকে দিয়েছেন। আপনি যে কথাগুলো বলেছেন, তা নিয়ে আমার কষ্ট বা মন খারাপ নেই। অবশ্যই প্রত্যেকটা মানুষ তার সংসার বাঁচাতে চায়।

তিনি আরও বলেন, এই যে তার (ফারজানা মুন্নী) সংসারে টানাপোড়েন, সেই একই তৃতীয় পক্ষ। যে তৃতীয় পক্ষ আমার সংসারটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরি টু সে ভাবি; আপনি যেমন একটি ইনফরমেশন দিয়েছেন যে, একটি ফোন এসেছে রাত ৩টায়। সেখানে অপু বিশ্বাস লেখা। কাইন্ড ইওর ইনফরমেশন, ট্রু-কলারে যে নামটা দিয়ে রেজিস্ট্রার করা হয়, সে নামটা ভেসে আসে। আমার নম্বরটি থেকে যদি আপনার নম্বরে কল যায়, তাহলে ওখানে নাম উঠবে আব্রাম খান। কারণ, আমার ওইভাবে রেজিস্ট্রি করা। মুন্নী ভাবি আমাকে প্রথমে ফোন করেছিল মোবাইল ফোনে। তখন তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করতে বলি। কারণ, বিষয়টি সেনসেটিভ। আমার সঙ্গে কিন্তু ওনার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে মুন্নী জানিয়েছিলেন, তিনি কেবল অপুর কথার পরিপ্রেক্ষিতে কথাগুলো বলেছেন, যে কল রেকর্ড পরে ফাঁস হয়। এ প্রসঙ্গে অপু বলেন, উনি (ফারজানা মুন্নী) এতটা ডিস্টার্ব ছিল যে, আমার কোনো কথাই বলতে হয়নি। নিজেই বলছিল। তিনি আমাকে বলেছেন ‘আমি আর এই সংসারে থাকব না’। আমি তখন তাকে বলেছি, ভাবি আপনি আমাকে অপু ডেকেছেন না! আমাকে আদর করেছেন না! ওই মহিলার (বুবলী) ইনটেনশন হচ্ছে, প্রতিটা সংসার ভাঙানো। শাকিব অত্যন্ত সরল-সোজা একজন মানুষ। সেই সরল-সোজা মানুষকে যা-তা করে ইউজ করতে পেরেছে সাইনবোর্ডের মতো। আমি আপনার ক্ষেত্রে এমনটা হতে দেব না। দরকার হলে বলেন, আমি ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলব। আপনি ভাইয়াকে ছেড়ে যাবেন, এটা স্বপ্নে চিন্তা করবেন না। আপনি যদি এই কাজ করেন, তাহলে এখনই ফোনটা কেটে দেব। আমি যখন তাকে বললাম, আমি ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলি। তখন ভাবি বলল, অপু তোমাকে সে তার কাছে এতটা খারাপ বানিয়েছে যে, তুমি কীভাবে কথা বলবা। সেই স্পেসটাই তো রাখেনি। আমার বাচ্চাকে নিয়ে সে (বুবলী) বাজে মন্তব্য করেছে।

 

ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, ভাবি (ফারজানা মুন্নী) বলছিল, আমি তাকে প্রশ্ন করছিলাম। সে উত্তর দিচ্ছিল। ভাবি আপনি স্ট্রং পারসোনালিটির মানুষ। আমি এখনও আপনাকে রেসপেক্ট করি। তাহলে অযথা কেন আমার মতো নির্দোষ মেয়ের সম্মানহানি করবেন!

ফারজানা মুন্নির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদান-প্রদানের চিত্র দেখিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে অপু বলেন, ভাবি তো শুধু আমাকে না। তিনি শাকিবকে ফোন করছিলেন। শাকিব ফোন ধরছিল না। তখন ভাবি আমাকে বলছিল, শাকিব আমার নম্বর ধরছে না। তখন তাকে বারবার শাকিবের নম্বর মিলিয়ে দিয়েছি। শাকিবকে মেসেজ পাঠিয়েছি তার সঙ্গে কথা বলার জন্য।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সংগৃহীত গম বাংলাদেশে আমদানি হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করতে যাচ্ছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে এই গম আমদানিতে জড়িত বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানও জানাবে দেশটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের ভারতস্থ রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক জানান, বাংলাদেশ সরকারকে বারবার সতর্ক করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। তার ভাষায়, "আমরা একাধিকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি, কিন্তু কোনো জবাব পাইনি। ফলে এখন বিষয়টি ইইউতে তোলা হবে।"

রাষ্ট্রদূতের দাবি, রাশিয়ার কিছু কোম্পানি ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল থেকে শস্য সংগ্রহ করে তা রাশিয়ার উৎপাদিত গমের সঙ্গে মিশিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করছে—যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেআইনি এবং 'অর্থনৈতিক লুটপাটের' শামিল।

রয়টার্সের হাতে থাকা নথিতে বলা হয়, ইউক্রেনের নয়াদিল্লি দূতাবাস এ বছর বাংলাদেশ সরকারের কাছে একাধিক চিঠিতে ১.৫ লাখ টনের বেশি ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার কফকাজ বন্দর থেকে এই গমগুলো আমদানি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল কৃষিভূমি ও ক্রিমিয়া দখল করার পর থেকেই ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ। ২০২২ সালের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। তবে রাশিয়ার দাবি, ওই অঞ্চল এখন তাদের ভূখণ্ড এবং সেখানকার শস্য রপ্তানি বৈধ।

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাংলাদেশ কখনোই চুরি করা গম আমদানি করে না। রাশিয়ার অধিকৃত কোনো এলাকা থেকে গম আনার প্রশ্নই ওঠে না।”

Header Ad
Header Ad

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ অপসারণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি দুর্গা মন্দির ধ্বংসের অভিযোগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

তবে প্রকৃত ঘটনা হলো- গত বছর দুর্গাপূজার সময় পূর্বানুমতি ছাড়াই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জমিতে অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করেছিল। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ শর্তে অনুমতি দেয় যে পূজা উদযাপন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজকরা অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলবেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পূজা শেষ হওয়ার পর আয়োজকরা পারস্পরিক শর্ত লঙ্ঘন করে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা সেখানে একটি ‘মহাকালী’ (কালী মূর্তি) স্থাপন করে।

বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরেও দুর্ভাগ্যবশত তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে মণ্ডপটিকে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, মণ্ডপের আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন রেললাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে নির্মিত শত শত দোকান এবং রাজনৈতিক দলের অফিসসহ সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের জন্য একটি পাবলিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মূলত বিদ্যমান রেললাইনের পূর্ব দিক থেকে ২০০ ফুট দূরে কেবল বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ সেকশন ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় আরও দুইটি রেল ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইন সম্পন্ন করার জন্য এ জমির খুব প্রয়োজন ছিল।

বিগত মাসগুলোতে অবৈধ ভূমি দখলকারীদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করা হয়। গত ২৪ ও ২৫ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে অবশেষে সবাইকে সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয়, যার মধ্যে পূজা আয়োজকদের অস্থায়ীভাবে নির্মিত মণ্ডপটি অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে ২৬ জুন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে খিলক্ষেত এলাকার রেল ট্র্যাক বরাবর সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলাকালীন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে যথাযথ শ্রদ্ধার সঙ্গে অস্থায়ী মণ্ডপের প্রতিমা নিকটবর্তী বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণ একটি নিয়মিত এবং আইনসম্মত প্রশাসনিক কার্যক্রম।

যদিও দেশের আইন অনুসারে নির্মিত কোনো ধর্মীয় স্থাপনার সঙ্গে বৈষম্য না করে সমস্ত উপাসনালয়ের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবুও কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়। অস্থায়ী মণ্ডপের আয়োজকরা তাদের নিজস্ব অঙ্গীকার লঙ্ঘন করে রেল কর্তৃপক্ষের আস্থা এবং সদিচ্ছাকে স্পষ্টতই কাজে লাগিয়েছেন।

বাংলাদেশ সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে উপাসনালয়ের সুরক্ষা। বাংলাদেশকে তার সমন্বিত ঐতিহ্য বজায় রাখতে কখনও বাধা দেয়নি যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাস বা বিশ্বাস নির্বিশেষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উন্মুক্ত সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশ সবাইকে তথ্য এবং বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

আসাদুজ্জামান আলী। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদুজ্জামান আলী নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এনসিপির এ পদে একজন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতার অন্তর্ভুক্তিকে ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক ও সমালোচনা।

গত ২১ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কুমারখালী উপজেলা শাখার ১২ সদস্যের সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষর করেন। এই কমিটিতেই আসাদুজ্জামান আলীকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আসাদুজ্জামান আলী কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং এক সময় কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেন। তবে নানা অভিযোগে তাকে সেখান থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলী ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, মামলা ও ঘুষ বাণিজ্য, সেল্টার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি তার বাবা আবদুর সামাদ পাখির বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আছে।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলীকে পদচ্যুত করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে এনসিপির কমিটিতে আলীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, অতীতের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জানা সত্ত্বেও কীভাবে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এনসিপির মতো একটি দলে নেতৃত্বের জায়গা পেলেন, তা নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জবাবদিহি প্রয়োজন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসাদুজ্জামান আলী খান। তিনি বলেন, “আমি আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে সক্রিয় ছিলাম। সরকার পতনের আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।”

তিনি আরও দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে চাইছে। “আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অপকর্ম প্রমাণ করতে পারলে আমি কুমারখালী ছেড়ে চলে যাব,” বলেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট