ঢাকায় আসছেন ভারতীয় র্যাপার বাদশাহ। আগামী ১ মার্চ ‘টেকনো স্পার্ক-২০ সিরিজ মিউজিক ফেস্ট’ শিরোনামের কনসার্টে ঢাকায় গাইতে আসছেন তিনি।
মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেকনো নিজেদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে এ খবর।
এখনও টিকিটের মূল্য ও প্রক্রিয়া প্রকাশ না করলেও খুব শিগগিরই এর ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি), এক্সপো জোনে বাদশাহর সঙ্গে আরও পারফর্ম করবে ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস, প্রীতম হাসান, জেফার, ব্ল্যাক জ্যাং ও সঞ্জয়।
জনপ্রিয় ভারতীয় র্যাপার আদিত্য প্রতীক সিং, বাদশাহ নামে বেশি পরিচিত। বলিউডের এ সংগীত তারকা ভারতের বাইরেও বাংলাদেশের শ্রোতাদের কাছে সমধিক পরিচিত। এর আগেও ঢাকায় গাইতে আসেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাদশাহ ২০০৬ সালে ইয়ো ইয়ো হানি সিংয়ের সঙ্গে তার ব্যান্ড মাফিয়া মান্দিরে সংগীত কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১২ সালে হানি সিং থেকে আলাদা হয়ে স্বতন্ত্র হরিয়ানি গান ‘কার গায়ি চুল’ মুক্তি দেন। ২০১৬ সালের বলিউডের ‘কাপুর অ্যান্ড সন্স’ চলচ্চিত্রে গান ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া, ২০১৪ সালে ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’, ‘খুবসুরত’ সিনেমায় গান করে বেশ আলোচনায় আসেন।
মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের সিনেমা নির্বাণ। ছবি: সংগৃহীত
মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘নির্বাণ’।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) উৎসবের শেষ দিন মস্কোতে সিনেমাটির নির্মাতা আসিফ ইসলাম এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
আগেই জানা গেছে, বিশ্বের মর্যাদাসম্পন্ন এই উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘নির্বাণ’। উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে অংশ নিতে এবং প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকতে মস্কো চলে গিয়েছিলেন পরিচালক আসিফ ইসলাম ও অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি। পরবর্তীতে উৎসবের শেষের দুইদিন আগেই দেশে ফিরে আসেন অভিনেত্রী। তবে শেষ অবধি সব আয়োজনেই হাজির ছিলেন আসিফ।
মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আসরের এই অর্জন নিয়ে গণমাধ্যমকে আসিফ ইসলাম বলেন, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার সিনেমার মধ্যে অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নিয়েছে মাত্র ১১টি সিনেমা। সেই সিনেমার মধ্যে আমাদের সিনেমাটি স্পেশাল জুরি পুরস্কার জিতেছে। আমাদের সিনেমার নাম ঘোষণার পর আমি চমকে উঠি। পুরস্কার হাতে নেওয়ার পরও একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। স্বপ্নের মতো লাগছে।
মস্কোর আসরে ‘নির্বাণ’ সিনেমাটির দুইটি শো হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে নির্মাতা জানান, শুরু থেকেই উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকা সিনেমাগুলো নিয়ে মস্কোর দর্শক ও সমালোচকদের অন্যরকম আগ্রহ লক্ষ্য করেছি। আমার দুটি শো ছিলো হাউজফুল। সিনেমাটি দেখার পর সাধারণ দর্শক থেকে বোদ্ধা শ্রেণির এতো এতো প্রশংসা পেয়েছি, সেই অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
এদিকে মস্কোতে নির্বাণের পুরস্কার পাওয়ার খবরে সিনেমাটির অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি বলেন, আমি ভীষণ আনন্দিত। নির্বাণের পেছনে আমরা যে শ্রম দিয়েছে সেটা সার্থক হলো। মস্কো উৎসবের প্রথম দিনেই লাল গালিচায় হেঁটেছেন নজর কেড়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৪১তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকাল’ ছবিটি। সেবার দুটি ইনডিপেনডেন্ট জুরি পুরস্কার পেয়েছে ‘শনিবার বিকাল’ ছবিটি; রাশান ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস জুরি পুরস্কার আর অন্যটি কমেরসান্ত পুরস্কার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, বিকেল ৪টা ২ মিনিটে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জে কে এন্টারপ্রাইজ (ঢাকা-শেরপুর রুটে চলাচল করে) পরিবহনের একটি বাস বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পড়ে মোটরসাইকেলটি টেনে হিঁচড়ে বাসটি অনেক দূর নিয়ে আসে। এতে মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্কি বিস্ফোরণের কারণে বাসে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইসতিসকার নামাজ শেষে মুসল্লিদের অঝোরে কান্না। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও প্রখর রোদে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের জনজীবন। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফসল। নেমে গেছে সেচ পাম্পের পানির স্তর। প্রচন্ড রোদে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণীকুলের। কোথাও মিলছে না কোনো স্বস্তি।
অপরদিকে, বিদ্যুতের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভয়াবহ লোডশেডিং। এই বিপর্যয়ে আরও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ও হাসপাতালের রোগীরা।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন ইমাম, মুয়াজ্জিন পরিষদ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিশুসহ প্রায় দেড় হাজার মুসল্লিরা সমবেত হয়ে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করেছেন।
নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনায় ছিলেন- সিরাজগঞ্জের বন পাড়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মুফতি মঈনুল ইসলাম খান। ইসতিসকার নামাজ শেষে মোনাজাতে শিশুসহ মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা সকলে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
নামাজে অংশ নেয়া আমিনুল ইসলাম, হাফেজ তুষার আহমেদ ও আলীম মিয়াসহ একাধিক মুসল্লি বলেন, আমাদের জীবনে আমি এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি ও গরম এরআগে কখনো দেখি নাই। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কোথাও স্বস্তি মিলছে না। তাই এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে আজ বিশেষ (সালাতুল) ইসতিসকার নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ পাক যেন বৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশটা ঠান্ডা করে দেয়।
গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে ধরে সারাদেশেই প্রচন্ড গরম পড়েছে। এই গরম থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় আমরা মুসল্লিরা খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায়ের জন্য সমবেত হয়েছি। মহান আল্লাহর দরবারে আমরা শান্তি কামনায় ক্ষমা প্রার্থনা করছি। নিশ্চিয় মহান আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা কবুল করে রহমতের বর্ষণ প্রেরণ করবেন।
নামাজ শেষে মাওলানা মুফতি মঈনুল ইসলাম খান বলেন, প্রচন্ড তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহ তা’লার কাছে তওবা করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আকুতি ভরে বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে হয়। এই নামাজকে (সালাতুল) ইসতিসকার নামাজ বলে। বৃষ্টি ও শান্তি কামনার জন্য তাই আমরা মুসল্লিরা খোলা আকাশের নিচে তীব্র রোদকে উপেক্ষা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি।
এদিকে, একই দিন সকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী, টেপিবাড়ী, ঘাটান্দী ছাড়াও জেলার গোপালপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী, বাসাইল, নাগরপুর ও মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও শান্তি কামনায় (সালাতুল) ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন হাজার হাজার মুসল্লিরা। এতে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন অংশ নেন এবং মহান আল্লাহ তা’লার দরবারে দোয়া প্রার্থনা করেন।