ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে পড়ল ইয়েমেনের ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইল

ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে পড়ল ইয়েমেনের ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইল। ছবি: সংগৃহীত
ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ব্যস্ততম বিমানবন্দর বেন গুরিওন-এ আঘাত হেনেছে। রোববার (৪ মে) সকালের এই হামলায় বিমানবন্দরের রানওয়ের একটি অংশ এবং একটি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হয়েছেন অন্তত চারজন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করতে তারা একাধিকবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। ঘটনার তদন্ত এখনও চলমান। হামলার পরপরই ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে সাইরেন বেজে ওঠে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার পরপরই বেন গুরিওন বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত প্রবেশপথ ও ট্রেন চলাচল। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি বিমানবন্দরের সংযোগ সড়কে আঘাত হানে এবং আশপাশে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে সাম্প্রতিক সময়ে গাজা যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় তারা ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে।
অন্যদিকে, হুথিদের দমন করতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে প্রতিদিন বিমান হামলা চালাচ্ছে। আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, রোববার ভোরে মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো আল-জাওফে ১০টি ও মারিবে ৩টি বিমান হামলা চালায়।
ইসরায়েল রেজিলিয়েন্স পার্টির নেতা বেনি গ্যান্টজ এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে বলেন, "ইরানই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে এবং তাদের এর জবাব দিতে হবে।"
বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার গোলান বলেন, "দেশজুড়ে আবারও আতঙ্ক, মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে, গাজায় বন্দি ইসরায়েলিরা মরছে, জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয় — এটা নেতানিয়াহুর সরকারের বড় ব্যর্থতা। যুদ্ধ থামাতে এবং অপহৃতদের ফিরিয়ে আনতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।"
