বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের ৮৪ বছর

সাংহাইয়ের ধ্বংসাবশেষে জাপানি সৈন্যরা

মানব সভ্যতার ইতিহাস যুদ্ধ-বিগ্রহের ইতিহাস। ইতিহাসের কালপরিক্রমায় আধুনিক বিশ্বের অন্যতম দুই পরাশক্তি চীন ও জাপান দুই দুইবার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। যা চীন-জাপান যুদ্ধ নামে পরিচিত। ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের আদ্যপান্ত তুলে ধরা হলো।

দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের সূত্র লুকিয়ে আছে ১৮৯৪-৯৫ সনের প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধে। সে যুদ্ধে চীনের কুইং রাজবংশ জাপানের কাছে হেরে গিয়ে তাইওয়ান ছেড়ে দিতে এবং কোরিয়ার স্বাধীনতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। কুইং রাজবংশের পতনের পর চীনে অনেক সামন্ত রাজার উত্থান ঘটে এবং বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে জাপান সাম্রাজ্য আধুনিক ও শক্তিশালী হতে থাকে। ধীরে ধীরে চীনের বিভিন্ন এলাকায় জাপান তার প্রভাব বলয় সৃষ্টি করতে থাকে।

১৯২০-৩০ এর দশকে চিয়াং কাই-শেক এর কুয়ো মিনটাং সরকার চীনকে একীভূত করতে শুরু করে। সেসময় সরাসরি জাপানের সাথে যুদ্ধ করার সামর্থ্য ছিল না চীনের। তবে চিয়াং কাই-শেক একে একে সামন্ত রাজাদের পরাজিত করতে থাকেন। অন্যদিকে তিনি চীনা কমিউনিস্টদের সাথেও গৃহযুদ্ধ শুরু করেন। হাতছাড়া হয়ে যাবার ভয়ে ১৯৩২ সালে জাপান উত্তর চীনের মাঞ্চুরিয়া প্রদেশ দখল করে ফেলে ও সেখানে পুতুল রাষ্ট্র মাঞ্চুকিয়ো স্থাপন করে।

নিজেদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য চীনারা একটি সিরিজ রেলপথ নির্মাণ শুরু করে যা আংশিকভাবে জাপানি লাইনকে ঘিরে ফেলে এবং হুলুদাওতে গিয়ে শেষ হয়। হুলুদাওতে একটি বন্দর চীনারা নির্মান করছিল। এদিকে মাঞ্চুরিয়ার শাসক ঝাং জুওলিন ১৯২৮ সালে জাপানি অফিসারদের দ্বারা নিহত হলে তার ছেলে ঝাং জুয়েলিয়াং চীনকে বিদেশী নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার জন্য কুওমিনতাং-এ (ন্যাশনালিস্ট পার্টি) যোগ দেন। মাঞ্চুরিয়াতে জাপানি বাহিনী আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের সকল পথ বন্ধ করে দেন।

এই অবস্থায় চীনারা শহরের কাছে দক্ষিণ মাঞ্চুরিয়া রেলপথের ট্র্যাকের কিছু অংশ উড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে জাপান ১৯৩১ সালের ১৮-১৯ সেপ্টেম্বর মুকডেন (বর্তমান শেনিয়াং) দখল করে নেয়। চীনের জাতীয়তাবাদী শক্তির সামান্য প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়ে, জাপানিরা ১৯৩২ সালে মাঞ্চুরিয়াতে একটি পুতুল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। এর পর জাপান সমগ্র চীনের ওপর তাদের আধীপত্য বিস্তারে মনোযোগি হয়। ১৯৩৪ সালের টোকিও থেকে একটি ঘোষণাপত্রে বলা হয় চীনের কোনও শক্তি জাপানের সম্মতি ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারে না। এতে সমস্ত চীনকে কার্যকরভাবে জাপানের অধীনস্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

জাপানি সাম্রাজ্যের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ

জাপানি সাম্রাজ্যের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ

১৯৩৫ সালে জাপানিরা হেবেই এবং চাহার (বর্তমানে মঙ্গোলিয়ার একটি অংশ) থেকে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর জাপান বিরোধী সদস্যদের প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। এর ফলে এই অঞ্চলগুলি আংশিকভাবে জাপানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং সুইয়ুয়ান, শানসি (শানঝি), এবং শান্তুং (শানডং) প্রভূতি অঞ্চল হুমকির সম্মুখীন হয়। চীনের জাতীয়তাবাদী নেতা চিয়াং কাই-শেক প্রকাশ্য এর বিরোধিতা করেননি। ১৯৩৬ সালের ডিসেম্বরে চিয়াং কাই-শেক তার নিজের জেনারেলদের ক্ষমতাচূত্য হন এবং জাপানের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্ট কমিউনিস্টদের সাথে মিত্র হতে বাধ্য হয়েছিলেন।

এই অবস্থায় চীন-জাপানের মধ্যে শীঘ্রই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৩৭ সালের ৭ জুলাই পেইপিং (বেইজিং) থেকে সামাস্য দূরে অবস্থিত মার্কো পোলো ব্রিজে চীনা ও জাপানি সৈন্যদের মধ্যে একটি ছোটখাটো সংঘর্ষের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় চিন-জাপান যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। জাপানিরা অনুভব করেছিল যে, যেহেতু চিয়াং এবং জাতীয়তাবাদী সরকার জাপানের কাছে নতি স্বীকার করবে না তাই তাদের অবশ্যই নির্মূল করতে হবে। তাছাড়া জাপানের বিরুদ্ধে চীনের ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী জোয়ার জাপানকে বিক্ষুদ্ধ করে তুলেছিল।

১৯৩৭ সালের জুলাই নাগাদ কার্যত সমস্ত চীনা আঞ্চলিক সামরিক ও রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী সরকার ও চিয়াং কাই-শেককে সমর্থন করার জন্য সমাবেশ করেছিল। কমিউনিস্টরা, যারা ১৯৩৫ সাল থেকে জাপানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল, তারা তাদের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং তাদের সেনাবাহিনীকে নামমাত্র সরকারের অধীনে রেখেছিল।

ছবি: জেনারেলিসিমো চিয়াং কাই-শেক, 1942 থেকে 1945 পর্যন্ত চীন থিয়েটারে মিত্রবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ

তবে জাপানের সামরিক শক্তি চীনের তুলনায় এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তার সেনাবাহিনী প্রাথমিকভাবে দ্রুত সাফল্য অর্জন করেছিল। দুই বছরের মধ্যে জাপান চীনের বেশিরভাগ বন্দর, প্রধান শহর যেমন সুদূর পশ্চিমে হ্যানকো (হানকো) এবং রেলপথের বড় অংশ দখল করে নেয়। পেপিং এবং তিয়েনসিন (তিয়ানজিন) অঞ্চল ১৯৩৭ সালের জুলাই মাসে দখল করা হয়। প্রচণ্ড যুদ্ধের পর ১৯৩৭ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি চীনা সেনাবাহিনীকে সাংহাই এলাকা থেকে বিতাড়িত করে জাপান। চীনের জাতীয়তাবাদীদের রাজধানী নানকিং-এর (নানজিং) ১৯৩৭ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পতন ঘটে। সেই শহরে জাপানিরা যে হত্যাযজ্ঞ চালায় তা নানজিং গণহত্যা হিসাবে পরিচিত হয়। নানজিং শহরে প্রায় ৩০০,০০০ চীনা বেসামরিক নাগরিক এবং আত্মসমর্পণকারী সেনা নিহত হয়েছিল। তাছাড়া জাপানি কমান্ডার মাতসুই ইওয়ানের নির্দেশে হাজার হাজার নারীকে ধর্ষণ করা হয়।

রাজধানী পশ্চিমে হ্যানকোতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৩৮ সালের অক্টোবরে জাপানীরা সেই শহরটিকে দখল করে নেয়। একই মাসে চীনারা ক্যান্টন (গুয়াংজু) হারায়। জাপানিরা পেপিং থেকে উত্তর ও পশ্চিম দিকে রেললাইন ধরে শানসি এবং অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ায় নজর দেয়। তারা শান্টুং-এ আধিপত্য বিস্তার করে এবং ইয়াংজি উপত্যকার নীচের অংশে পেইপিং-হ্যাঙ্কো, তিয়েনসিন-পিউ-কাউ এবং লুং-হাই রেলপথ দখল করে। সমুদ্রে তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। আকাশ যুদ্ধে জাপানিরা সবসময় এগিয়ে ছিল। আগে থেকেই তারা চীনা বিমান বাহিনীকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছিল এবং চীনা শহরগুলিতে ইচ্ছামতো বোমাবর্ষণ করেছিল। এই অবস্থায় চীনে ব্যপক প্রাণহানি ঘটেছিল।

এসবের পরেও চীনারা শেষ পর্যন্ত হারেনি। যুদ্ধ জাপানের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দীর্ঘায়িত হয়েছিল। চিয়াং কাই-শেক তার রাজধানী সেচওয়ানে (সিচুয়ান) থেকে ইয়াংজি গর্জেসের পশ্চিম প্রান্তে চুংকিং-য়ে (চংকিং) স্থানান্তরিত করেন। চীনের বেশিরভাগ নেতৃত্ব সেচওয়ান এবং ইউনানে (ইউনান) থেকে সুদূর পশ্চিমে চলে যান। দখলহীন চীন দীর্ঘ প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়। অধিকৃত চীনে জাপান যে সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল সেই সরকারে অনেক চীনাকে অন্তর্ভূক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এমনকি চীনের অধিকৃত অঞ্চলে জাপানের নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র শহর এবং রেললাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

এর বাইরে সাধারন মানুষ চীনের জাতীয়তাবাদী সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। তাছাড়া এসব অঞ্চলে জাপান চীনের গেরিলা যোদ্ধাদের দ্বারা ব্যপকভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছিল। কমিউনিস্টরা জাপানকে প্রতিরোধ করার জন্য গেরিলা পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশেষভাবে সফল হয়েছিল। এই গেরিলা আক্রমন দ্রুত জাপান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর রাজনৈতিক-সামরিক অবস্থানকে ভেঙে দেয়। কমিউনিস্ট সৈন্য এবং সংগঠকরা জাপানি নিয়ন্ত্রণের পেছনে বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকায় চলে যায়। তারা গ্রামীণ আত্মরক্ষা ইউনিট সংগঠিত করে। স্থানীয় সরকার গঠন করে এবং তাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী, অষ্টম রুট আর্মি এবং নিম্ন ইয়াংজি উপত্যকায় নিউ ফোর্থ আর্মি প্রসারিত করে।

কিছু সময়ের জন্য জাপান ব্রিটিশদের বার্মা (মিয়ানমার) থেকে ইউনানের কুন-মিং পর্যন্ত রাস্তাটি বন্ধ করে রাখে। পরে বার্মা রোডটি আবার চালু হয় এবং যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রসদ সরবরাহকারী লাইন হয়ে উঠে। এই অবস্থার কিছুকাল পরে ৭ই ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে জাপান আমেরিকার পাল হারবার আক্রমণ করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। চীনও আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে। সমন্বিত চীনা বাহিনী বার্মা এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেয়। জাপানিরা তাদের সামরিক শক্তি ও অনুকূল ভৌগলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে দ্রুত পূর্ব এশিয়ার উপকূলে নিজেদের প্রভাবশালী করে তোলে।

অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী চীন শক্তিশালী জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে গুরুতর অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সন্মূখীন হয়। তাদের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষা উপকরণের ঘাটতি, অপুষ্টি, এবং সরকার কর্তৃক রেজিমেন্টেশনের প্রচেষ্টা সবই একটি খারাপ প্রভাব ফেলেছিল।

এই যুদ্ধাবস্থা চীন সরকারকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। প্রতিরোধের প্রথম বছরগুলিতে চীন যে শক্তিশালী জনসমর্থন লাভ করেছিল তা হ্রাস পেয়ে তলানীতে ঠেকে। সরকারকে মূল্যস্ফীতি, দুর্নীতি এবং অতিরিক্ত কর আরোপের জন্য দায়ী করা হয়। কমিউনিস্টরা জনবিরোধী হিসাবে পুনরায় আবির্ভূত হতে শুরু করলে তারা জনগনের ওপর দমন নীতি প্রয়োগ করে। এই অবস্থার মধ্যেও চীন চিয়াং কাই-শেকের নেতৃত্বে জাপানের সাথে আত্মসমর্পণ বা আলোচনায় বসতে অস্বীকার করে।

সাত বছরের যুদ্ধ এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে চীনের জাতীয়তাবাদী সরকার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে এই অবস্থায় মাও সেতুং-এর নেতৃত্বে কমিউনিস্টদের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৯৪৫ সাল থেকে চীন আমেরিকার সাহায্যে অবরুদ্ধ এলাকা মুক্ত করতে শুরু করে। এরসাথে সোভিয়েত ইউনিয়নও যোগ দেয়। ১৫ই অগাস্ট ১৯৪৫, আণবিক বোমা বিস্ফোরণের সাথে সাথে জাপানের যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। ৯ই সেপ্টেম্বর জাপান আত্মসমর্পণ করে।

 

 অনুবাদক: শাহাদাত হোসেন

Source: The Editors of Encyclopaedia Britannica

/এএস

Header Ad

বেঁকে যাওয়া রেললাইনে কচুরিপানা থেরাপি

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র তাপদাহে গাজীপুরে বেঁকে যাওয়া রেলপথ মেরামতে কচুরিপানা, কাঁদা ও পানি থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ইস্ট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু জাফর বলেছেন, সোমবার দুপুরে তীব্র তাপদাহে গাজীপুরের কালীগঞ্জে আড়িখোলা এলাকায় প্রায় ১৫ফুট পরিমাণ রেলপথ বেঁকে যায়।

এতে ওই পথে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পরে মেরামত করে প্রায় এক ঘন্টা পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু করে।

তিনি বলেন, রেলপথে তাপমাত্রা ৫০ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা তার উপরে উঠলে রেলপথ বেঁকে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। সেদিন সেখানকার রেললাইনে তাপমাত্রা ৫৫ডিগ্রি'র মতো ছিল। তাই ঢাকা-নরসিংদী রেলরুটের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়িখোলা এলাকায় রেল লাইন বেঁকে যায়।

এ ধরনের বেঁকে যাওয়া রেলপথ ঠিক করতে প্রথমেই রেলপথ ঠান্ডা করা দরকার হয়। একাজে ব্যবহারে সেখানে বরফ না পাওয়ায় বিকল্প হিসেবে জলাশয় থেকে কচুরিপানা, কাঁদা ও ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ কচুরিপানা বা কাঁদা দীর্ঘ সময় পানি/ঠান্ডা অবস্থা ধারণ করে রাখতে পারে। গাজীপুরেও ওইসব প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া গেছে।

উচ্চতাপ থাকা অবস্থায় রেললাইন চাপ প্রয়োগ করলে তা আরো বেঁকে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আর রেল লাইন ঠান্ডা হলে তা অনেকটাই আগের অবস্থায় চলে যায়। পরে প্রয়োজন হলে চাপ প্রয়োগ করে বাকি অংশ ঠিক করা সম্ভব হয়। উচ্চ তাপমাত্রা থেকে তাপমাত্রা ৩০/৩২ ডিগ্রিতে নেমে আসার পর চাপ প্রয়োগ করা হয়। গাজীপুরেও এ থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানের রেললাইন বেঁকে যায়। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস।

স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস বলেন, তীব্র গরমে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে অন্তত ১৫ ফুট রেললাইন বেঁকে যায়।

বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে প্রকৌশলীদের পরামর্শে রেলপথে পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তা মেরামত করা হয়। মেরামতের পর দুটি ট্রেন ঘটনাস্থল দিয়ে ধীর গতিতে গন্তব্যে চলে গেছে। ডাবল লাইনের অন্য লাইন দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের অধীনে কর্মরত কি-ম্যান (দড়িপাড়া-বড়নগর) মো. বাদশা মিয়া বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে। পরে আড়িখোলা-পূবাইল স্টেশনের মাঝখানে চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে টহলরত রেলওয়ে কর্মচারীরা রেলপথ বাঁকা দেখতে পান। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে, তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্ট্রেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

তিনি আরও বলেন, পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর এক ঘণ্টা পর ওই ট্রেনটি ধীর গতিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিকেল ৪টার দিকে তিতাস কমিউটার নামের আরও একটি ট্রেন ধীর গতিতে বেঁকে যাওয়া স্থান অতিক্রম করে।

এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন সেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলেই। বয়সটাও এখন ৪৩ ছুঁই ছুঁই। ব্যাট হাতে দেখা যায় শুধু আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। প্রতিবার দলের নেতৃত্বে থাকলেও এবার চেন্নাইকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন না, দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে। ব্যাটসম্যান হিসেবেও নিজের ভূমিকা বদলেছেন। উইকেটে আসেন হাতে গোনা কিছু বল বাকি থাকতে। এসেই ঝড় তোলেন।

যখনই ক্রিজে আসেন, চার-ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়িয়ে দেন। এই নতুন ভূমিকাতেও মহেন্দ্র সিং ধোনি পুরোপুরি সফল। মজার ব্যাপার হলো, এমন ‘হাইরিস্ক গেম’ খেলেও ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত আউট হননি।

ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৯টি, ব্যাটিং করেছেন ৭ ইনিংসে। ৭ ইনিংস ব্যাট করে খুব বেশি বল খেলেননি—৩৭টি। এই ৩৭ বলে রান করেছেন ৯৬, স্ট্রাইকরেট—২৫৯.৪৫। ছক্কা মেরেছেন ৮টি, চার ৯টি। বল খেলার সংখ্যাটা অবশ্যই খুব বেশি নয়। তবে মনে রাখতে হবে ধোনি এই ৩৭ বলের প্রায় প্রতিটিতেই খেলেছেন বাউন্ডারির জন্য। সে ক্ষেত্রে আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকে আরও বেশি।

ধোনি কয়েকটি বলের জন্য ক্রিজে এসে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, এমন উদাহরণও আছে। এই যেমন গত ১৪ এপ্রিল ‘আইপিএল ক্লাসিকো’য় মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে।

ইনিংসের ২০তম ওভারে উইকেট এসে ৪ বলে ৩ ছক্কায় করেন ২০ রান। সেই ম্যাচটি চেন্নাই শেষ পর্যন্ত ২০ রানেই জেতে। এরপরের ম্যাচেই লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে করেন ৯ বলে ২৮ রান।

সেদিন অবশ্য ম্যাচটি জিততে পারেনি চেন্নাই। তবে ম্যাচের শেষ ওভারে যেভাবে ১০১ মিটারের ছক্কা মেরেছিলেন ধোনি, তাতে তাঁর বয়সটা আসলেই ৪২ কি না, তা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ জেগেছিল! ধোনি এরপর আরও দুই ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন। এই ২ ম্যাচ মিলিয়ে খেলার সুযোগ হয়েছে মাত্র ৩ বল, তাতেই দুটি চার মেরেছেন।

গত মৌসুম থেকেই মূলত ধোনি চেন্নাইয়ের ইনিংসের একদম শেষভাগে ব্যাটিংয়ে নামতে শুরু করেন। গত আইপিএলে ১২ ইনিংসে বল খেলেছিলেন মাত্র ৫৭টি, রান করেছিলেন ১০৪। এবারও নিশ্চয় আরও কিছু বল খেলবেন ধোনি।

ফিনিশার হিসেবে ধোনি এমনিতেই কিংবদন্তি। তবে তাঁর ম্যাচ শেষ করার নিজস্ব একটা ধরন ছিল। শুরুতে কিছু সময় নিতে পছন্দ করতেন। এরপর শেষে গিয়ে সেটা পুষিয়ে দিতেন। তবে এখন ধোনি জানেন, সেই সুযোগটা তিনি পাবেন না। শরীরটাও হয়তো সায় দেবে না। তাই নতুন ভূমিকা বেছে নিয়েছেন। আর কীভাবে সেই ভূমিকায় সফল হতে হয়, সেটার প্রমাণ তো ম্যাচের পর ম্যাচ করেই যাচ্ছেন।

 

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান পাঁচ ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতার পাশাপাশি এর বাইরে কোনো বিষয়ে আগ্রহী কিনা-মতামত জানতে চেয়েছে ওয়াশিংটন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব (দ্বিপাক্ষিক-পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের চলমান অংশীদারিত্বের আরও ব্যাপ্ত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি ক্ষেত্র এবং এর বাইরে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে মতামত জানতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অনুরোধ করেছে।

ঢাকার এক দায়িত্বশীল কূটনীতিক বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে বলা আছে, দেশটির কোন কোন খাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতাম, সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা আলোচনা হয়েছে। এটা আসলে নতুন কিছু না। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব এনগেজমেন্ট আছে সেগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে বা নতুন করে কোনো বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা—সেগুলো আমরা আলোচনা করি বা কোনো কনসার্ন থাকলে সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি খাত সম্পর্কে এ কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে একটি অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানো, পরিবেশগত সুরক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন; এক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর বা বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। তৃতীয়ত, নিরাপত্তা সহযোগিতা—এটার মধ্যে এন্টি টেরোরিজম অ্যাসিসটেন্ট রয়েছে; পুলিশ-র‌্যাবের তহবিল রয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তার সংক্রান্ত অংশীদারত্ব ইস্যু রয়েছে। তারপর মানবিক সহায়তা বিষয় রয়েছে, যা মধ্যে রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয় যুক্ত। এছাড়া রাইটস ইস্যুস আছে; এর মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র বা লেবার রাইটস ইস্যু আছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভোট শেষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন জানায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। পরবর্তী সময়ে ভোট নিয়ে নিজেদের অনঢ় অবস্থানের জানান দিলেও বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশের কথা জানান খোদ ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ‘আলোচিত’ রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলনে একই বার্তা দেন।

তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার সরকার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাইডেনের চিঠির পর ওই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করেন তার (মার্কিন প্রেসিডেন্টের) বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ওই প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ছিলেন। আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল।

ওই সফরে এইলিন লাউবাখেরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠক শেষে ড. হাছান জানিয়েছিলেন, তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় এবং আমরাও চাই একটি নতুন সম্পর্ক। যেহেতু দুদেশেরই সদিচ্ছা আছে, সুতরাং এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, গভীরতর ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের উভয় দেশ উপকৃত হবে।

অন্যদিকে, বাইডেনের বিশেষ সহকারী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করছেন।

বাইডেনের সেই চিঠির প্রতিউত্তরের একটি কপি এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এছাড়া ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান হোয়াইট হাউজে ওই চিঠির মূল কপি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব এবং দুই দেশের নাগরিকদের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা করে।

সবশেষ, চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্ব এক‌টি প্রতি‌নি‌ধিদল নিয়ে ঢাকা সফর করে গেছেন।

মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবাস্তয়নে যে সব রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন সেসব রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ে কাজ করছে তারা। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই সিরিয়াস বিষয়। এই কৌশলে এবং একইসঙ্গে চীনকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের (২০২৩) মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে দেশটির অব্যাহত নজরদারির কথা বলা হয়। পরবর্তী সময়ে অব্যাহতভাবে দেশটি নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।

৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

গত ১৭ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।

সর্বশেষ সংবাদ

বেঁকে যাওয়া রেললাইনে কচুরিপানা থেরাপি
এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
নওগাঁয় মাঠে ধান কাটতে গিয়ে গরমে কৃষকের মৃত্যু
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী
মে দিবসের কর্মসূচিতে এসে গরমে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু
টাঙ্গাইলে সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা
ভারতের নির্বাচনি প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
পুলিশ হেফাজতে সালমান খানের বাড়িতে হামলার অস্ত্রদাতার আত্মহত্যা
দুই মাস পর ইলিশ ধরতে নেমেছেন জেলেরা
গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন? হতে পারে বড় বিপদ
নিজ এলাকায় জানাজায় গিয়ে মোবাইল হারালেন ধর্মমন্ত্রী
মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হচ্ছে!
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা
বিমানের খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী, দুইদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী