সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইউক্রেন ইস্যুতে যে কারণে সামরিক হস্তক্ষেপ করেননি বাইডেন

ইউক্রেন সংকট নিশ্চিতভাবেই বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সবচেয়ে গুরুতর সংকট। রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ এমন অভিযোগে এর আগে ইরাক, আফগানিস্তান, ইউগোস্লাভিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। তবে রাশিয়ার মতো এক পরাশক্তিকে মোকাবিলায় সামরিক হস্তক্ষেপ করা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে মার্কিন প্রশাসন।

সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে বাইডেন আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাশিয়া যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক এটা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধার করতেও কোনো মার্কিন সেনা যে পাঠানো হবে না, সেটাও তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন। এমনকি ইউক্রেনে যে অল্প কয়েকজন মার্কিন সামরিক উপদেষ্টা এবং পর্যবেক্ষক ছিল তাদেরও তিনি ফিরিয়ে এনেছেন।


সামরিক হস্তক্ষেপ না করার কয়েকটি কারণ সামনে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক বিশ্লেষণে। সেখানে বলা হয়, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো জাতীয় নিরাপত্তা, বা অর্থনৈতিক স্বার্থ নেই। আর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

ইউক্রেন আমেরিকার ধারে-কাছের কোনো দেশ নয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী কোনো দেশও নয়। আর ইউক্রেনে আমেরিকার কোনো সামরিক ঘাঁটিও নেই। ইউক্রেনের এ রকম বিশাল তেলের মজুদ নেই, যেখানে তাদের কোনো কৌশলগত স্বার্থ থাকতে পারে। আর ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সেরকম বড় কোন বাণিজ্যিক অংশীদারও নয়।

তবে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা এমন অনেক যুদ্ধে জড়িয়েছেন, যেখানে তারা অন্যদেশের পক্ষে অনেক রক্ত এবং সম্পদ ক্ষয় করেছেন। ইউগোস্লাভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, ১৯৯৫ সালে সেই যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। ২০১১ সালে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে একই কাজ করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সেখানে ছিল মানবিক বিবেচনা এবং মানবাধিকারের দোহাই।

১৯৯০ সালে ইরাক যখন কুয়েত দখল করে নিল, তখন সেখানে যুদ্ধে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ তখন‌ ‘জঙ্গলের আইনের‌’ বিরুদ্ধে আইনের শাসনের কথা বলে এই যুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যখন শান্তি এবং আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার নীতিকে রাশিয়া কীভাবে হুমকিতে ফেলছে, সে কথা বলছিলেন, তখন প্রায় একই ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন। তবে রাশিয়ার এই হুমকি মোকাবিলায় কোনো সামরিক অভিযানের কথা তারা বলছেন না, পরিবর্তে তারা কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাশিয়াকে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। যা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বাইডেনের সমর্থকরা প্রায়ই বলে থাকেন, তিনি সামরিক হস্তক্ষেপের নীতিতে বিশ্বাসী নন। অথচ গাজায় ইসরায়েলি সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে তার প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ১৯৯০ এর দশকে বলকান অঞ্চলে যে জাতিগত যুদ্ধ চলছিল, তখন সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপকে তিনি সমর্থন করেছিলেন। ইরাকের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের মার্কিন আগ্রাসনেও তিনি সমর্থন দিয়েছিলেন।



অর্থনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরেকটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের বোঝা বহন করা সম্ভব নয়। চীনের সঙ্গে কথিত বাণিজ্য যুদ্ধে নাকাল মার্কিন বাহিনী। এ পরিস্থিতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতিতে কম গুরুত্ব পাচ্ছে।

সাম্প্রতিক এক জরিপে (এপি-এনওআরসি‌র পরিচালিত) বলা হয়, ৭২ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের এই সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকাই নেওয়া উচিত নয়, বা নিলেও সেটা হওয়া উচিত খুবই গৌণ। মার্কিন জনগণ এখন তাদের নিজেদের পকেটের অবস্থা নিয়েই বেশি চিন্তিত। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়েই তাদের উদ্বেগ বেশি।

মার্কিন কংগ্রেসের সবচেয়ে কট্টরপন্থী বলে পরিচিত সিনেটর বা আইনপ্রণেতারা চান না আমেরিকা যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাক বা রাশিয়ার সঙ্গে গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ুক। টেড ক্রুজের মতো কট্টর রিপাবলিকান সেনেটররাও রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘাতের বিরুদ্ধে। আরেকজন রিপাবলিকান সেনেটর মার্কো রুবিও একই অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ কারও জন্যই ভালো হবে না।’

প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার ভাষণে একাধিকবার বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ আর মার্কিন সেনারা পরস্পরের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে একটি বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করুক, সেটা তিনি চান না।

এর যুক্তি দিয়ে এনবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, ‘এখানে তো আমরা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের মোকাবিলা করছি না। আমরা এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এক সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করছি। এটি খুবই কঠিন এক পরিস্থিতি এবং এ পরিস্থিতি যে কোনো সময় বিপজ্জনক মোড় নিতে পারে।’


উল্লেখ্য, ইউক্রেনের সঙ্গে আমেরিকার এমন কোনো চুক্তি নেই যে, তাদের এ রকম একটা লড়াইয়ের ঝুঁকি নিতে হবে। ন্যাটো সামরিক চুক্তির আর্টিকেল পাঁচে বলা আছে, যে কোনো সদস্য দেশের উপর আক্রমণ সব দেশের উপর আক্রমণ বলে গণ্য করা হবে এবং চুক্তি-বলে প্রত্যেক দেশ আক্রান্ত দেশকে রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ; কিন্তু ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। তাদের বেলায় সে রকম কোনো দায় নেই।

তবে ইউক্রেনকে ঘিরে এই সংঘাতের মূলে রয়েছে ন্যাটো ইস্যু। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি–ইউক্রেন যেন ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দিতে না পারে, সেই নিশ্চয়তা। অথচ ন্যাটো বা মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেই নিশ্চয়তা দিতে রাজি নয়।

এ প্রসঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ স্টিফেন ওয়াল্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো যে এ রকম নিশ্চয়তা দিতে চাইছে না, তার কোনো মানে হয় না। কারণ তারা তো সামরিক শক্তি নিয়ে ইউক্রেনের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেও না।’

 

এসএ/
Header Ad

নওগাঁয় মেয়াদ পুর্ণ হওয়ার পরও গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় মেয়াদ পুর্ণ হওয়ার পরও গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জমাকৃত টাকা পেতে গ্রাহকরা দিনের পর দিন ওই অফিসে ধর্না দিতে হচ্ছে। ভবিষ্যতের জন্য জমাকৃত টাকা নিয়ে বীমা প্রতিষ্ঠানটি উধাও হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় দিন পার করছেন গ্রাহকরা।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

জানা গেছে- ২০১৪ সাল থেকে নওগাঁ শহরের হোটেলপট্টিতে আমিন মার্কেট এর তৃতীয় তলায় প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর অফিস। ভবিষ্যতের জন্য শত শত গ্রাহক এই প্রতিষ্ঠানটিতে টাকা সঞ্চয় বা জমা করেছিল। অনেকের বাৎসরিক মেয়াদ পূরণ হয়েছে আবার অনেকের এখনও মেয়াদ পূরণ হয়নি। যাদের মেয়াদ পূরণ হয়েছে তারা তাদের সঞ্চয়কৃত টাকা নেয়ার জন্য অফিসে প্রতিদিনই গ্রাহকরা গিয়ে ধর্না দিচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করা হচ্ছে। আজ নয় কাল বলে সময় পার করছে অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে করে গ্রাহকরা বিড়ম্বনা ও ভোগান্তীরা মধ্যে পড়তে হয়েছে।

জেলার রানীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামে কৃষক সাজেদুল ইসলাম। ভবিষ্যতে সংসারে উন্নয়নের জন্য এ বীমাতে টাকা জমানো শুরু করেছিলেন। গত ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর তার মেয়াদ পূর্ণ হয়। বীমাতে জমাকৃত টাকা পাওয়ার আশায় দিনের পর দিন অফিসে গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ভুক্তভোগী সাজেদুল ইসলাম বলেন- বছরে ১০ হাজার ৩৭৩ টাকা হিসেবে ১২ বছর মেয়াদী বীমা করেছি। যেখানে আমার প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার মতো জমা হয়েছে। মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে আরো প্রায় ১ বছর ৫ মাস আগে। মেয়াদ পূরন হওয়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অফিসে আসতে বলা হয়। তারপর থেকে অফিসে এসে জমাকৃত টাকা পেতে ধর্না দিতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে এসে অফিস বন্ধ থাকে। অফিস থেকে বলা হচ্ছে আরো এক বছর পরে আসার জন্য। নিজের জমাকৃত টাকা পেতে এতো ঘুরতে হবে কেন। ভবিষ্যতে সংসারে উন্নয়নের জন্য অনেক কষ্ট করে টাকাগুলো জমিয়েছি। এখন ভয় হচ্ছে যদি অফিস সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায় তাহলে কি হবে।

আরেক ভুক্তভোগী নওগাঁ শহরের চকদৌলত মধ্য সাহপাড়া মহল্লার বাসিন্দা শাহাজান বাদশা। তিনি বলেন- মা সাজেদা বেগমের নামে বছরে ৪ হাজার ৪৫০ টাকা হিসেবে ১২ বছরের জন্য বীমা করা আছে। মেয়াদ পূরণ হয়েছে ২০২৩ সালের মে মাসে। প্রায় ৫৫ হাজার টাকা জমা হয়েছে। জমাকৃত টাকা পাওয়ার জন্য ব্যাংকে হিসাব খুলতে বলা হয়েছিল। একটি ব্যাংকে হিসাব খুলে হিসাব নম্বরটি বীমা অফিসে দেয়া হয়। আজ নয় কাল বলে মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে। অফিস থেকে বলা হচ্ছে টাকা নাই এখন দেয়া যাবে না। আরো কিছুদিন পরে আসেন। আমাদের সাথে প্রতারণা করার কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। আমার মতো অনেক গ্রাহক এসে হয়রানি হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক রাহিদুল ইসলাম বলেন- ২০১৪ সাল থেকে শহরের হোটেলপট্টিতে আমিন মার্কেট এর তৃতীয় তলায় বীমার কার্যক্রম করা হচ্ছে। তবে তার আগে শহরের পাঁর-নওগাঁয় অফিস দিয়ে সেখানে কার্যক্রম করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের আগে গ্রাহকদের টাকা দিতে কোন সমস্যা হয়নি। তবে পরবর্তী সময় থেকে সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা উত্তোরণে আমাদের সুযোগ দিতে হবে।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড নওগাঁ সার্ভিসিং সেল এর সহকারি পরিচালক (এএমডি) রহিদুল ইসলাম বলেন- এ অফিসের অধীনে প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রাহক রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানি কোন ফান্ড (অর্থ) দিচ্ছে না। ফান্ড পেলে দ্রুত গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। তবে অফিস পালিয়ে যাওয়ার কোন ভয় নেই। করোনা ভাইরাসের পর থেকে প্রতিষ্ঠান অর্থনেতিক ভাবে দুর্দিন যাচ্ছে এবং ভাল সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন- যেসব গ্রাহকদের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে তাদের বিষয় অফিসকে অবগত করা হয়েছে। ফান্ড না পাওয়া পর্যন্ত পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬ মে থেকে আম সংগ্রহ শুরু

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬ মে ২ জ্যৈষ্ঠ থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। সোমবার (১৩ মে) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে আম সংগ্রহের সময়কাল নির্ধারণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সভায় জেলা প্রশাসন, কৃষি কর্মকর্তা ও আম বাগান মালিক এবং আম ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা, চুয়াডাঙ্গা জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মহলদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, আম ব্যবসায়ী কাজল, আয়ুব আলী, লাজুক, শামসুল মাষ্টার ও মিজানুর রহমান মিজান। জেলা বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ও জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭২০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২২০ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৭৩৯ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৬২৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছে। জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন। ১৬ মে ২ জ্যৈষ্ঠ থেকে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের, ২৪ মে ১০ জ্যৈষ্ঠ থেকে হিমসাগর, ৩০ মে ১৭ জ্যৈষ্ঠ থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন ২৭ জ্যৈষ্ঠ আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন ১ আষাঢ় থেকে ফজলি জাতের , ১ জুলাই ১৭ আষাঢ় থেকে আশ্বিনা / বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ শুরু হবে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, কোন অবস্থাতেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া যাবে না। এছাড়া আম পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য কোন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুদ করা হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০০৯ এবং নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, জেলাব্যাপী আম সংগ্রহের যে সূচি দেওয়া হয়েছে তার বাইরে কেউ অপরিপক্ক আম পাড়তে পারবে না। কেউ যদি এর ব্যত্যয় ঘটায় তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ

২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার ঠিক এক মাসের মাথায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় জাহাজটি নোঙর করে। জাহাজের ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কুতুবদিয়ায় চুনাপাথরের কিছু চালান খালাস করে জাহাজটি ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করার পর বন্দর জেটিতে আসবে এমভি আব্দুল্লাহ। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত নাবিকদের লাইটার জাহাজে মঙ্গলবার সরাসরি সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই তাদের বরণ করা হবে।

তিনি বলেন, নাবিকদের জেটিতে বরণ করার জন্য কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। নাবিকদের স্বজনদের কেউ কেউ এ সময় জেটিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গেছে। তারা নাবিকদের বরণ করে নেবেন।

জাহাজটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন একটি নাবিক দল। বর্তমান নাবিকরা দীর্ঘ ভ্রমণ ও জিম্মিদশার ট্রমা কাটিয়ে ওঠার জন্য ছুটিতে যাবেন। তবে তারা মঙ্গলবারেই ছুটি পাচ্ছেন কি না এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর থেকে নানা শঙ্কায় ছিলেন জিম্মি নাবিকদের স্বজনরা। দীর্ঘদিন পর তাদের অপেক্ষার প্রহর ফুরাল।

শিপিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজের নাবিকরা সুস্থ আছেন। কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। জাহাজে বর্তমানে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের আগামীকাল মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে। সেখানে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ জাহাজটি ২৩ নাবিকসহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর মুক্তিপণ নিয়ে ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় তারা। এরপর আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে জাহাজটি আরেকটি বন্দরে নতুন পণ্য বোঝাই করে। সেখান থেকে রওনা দেওয়ার পর গত শনিবার জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় আসে।

এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে নাবিকসহ ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় মেয়াদ পুর্ণ হওয়ার পরও গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬ মে থেকে আম সংগ্রহ শুরু
২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ
মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
ঢাকাসহ ৭ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
বিভাজন থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসা উচিত : মির্জা ফখরুল
ভোটারকে থাপ্পড় মারায় এমপির গালে ভোটারের পাল্টা থাপ্পড়, ভিডিও ভাইরাল
শিশু জায়েদকে মামার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
কেউ পাস করেনি বিরামপুরের খয়েরবাড়ী মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসায়
বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় অর্ধশতাধিক মার্কিন অধ্যাপক গ্রেপ্তার
প্রেম করলে শরীর ও মন ভালো থাকে: মন্দিরা
এবার একীভূত হলো সোনালী ব্যাংক-বিডিবিএল
১৩ শিক্ষকের বিদ্যালয়ে ১৪ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল, প্রধান শিক্ষককে শোকজ
ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত মিসরের
নিজের রেকর্ড ভেঙে ২৯ বার এভারেস্ট জিতলেন রিতা শেরপা
বাড়ি ফেরার পথে গরুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক পুলিশ সদস্য
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে মা পেলেন জিপিএ ৪.৫৪, মেয়ে ২.৬৭
ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ায় নিহত ১৫
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা মঙ্গলবার দুপুরে