শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের ৮৪ বছর

সাংহাইয়ের ধ্বংসাবশেষে জাপানি সৈন্যরা

মানব সভ্যতার ইতিহাস যুদ্ধ-বিগ্রহের ইতিহাস। ইতিহাসের কালপরিক্রমায় আধুনিক বিশ্বের অন্যতম দুই পরাশক্তি চীন ও জাপান দুই দুইবার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। যা চীন-জাপান যুদ্ধ নামে পরিচিত। ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের আদ্যপান্ত তুলে ধরা হলো।

দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের সূত্র লুকিয়ে আছে ১৮৯৪-৯৫ সনের প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধে। সে যুদ্ধে চীনের কুইং রাজবংশ জাপানের কাছে হেরে গিয়ে তাইওয়ান ছেড়ে দিতে এবং কোরিয়ার স্বাধীনতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। কুইং রাজবংশের পতনের পর চীনে অনেক সামন্ত রাজার উত্থান ঘটে এবং বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে জাপান সাম্রাজ্য আধুনিক ও শক্তিশালী হতে থাকে। ধীরে ধীরে চীনের বিভিন্ন এলাকায় জাপান তার প্রভাব বলয় সৃষ্টি করতে থাকে।

১৯২০-৩০ এর দশকে চিয়াং কাই-শেক এর কুয়ো মিনটাং সরকার চীনকে একীভূত করতে শুরু করে। সেসময় সরাসরি জাপানের সাথে যুদ্ধ করার সামর্থ্য ছিল না চীনের। তবে চিয়াং কাই-শেক একে একে সামন্ত রাজাদের পরাজিত করতে থাকেন। অন্যদিকে তিনি চীনা কমিউনিস্টদের সাথেও গৃহযুদ্ধ শুরু করেন। হাতছাড়া হয়ে যাবার ভয়ে ১৯৩২ সালে জাপান উত্তর চীনের মাঞ্চুরিয়া প্রদেশ দখল করে ফেলে ও সেখানে পুতুল রাষ্ট্র মাঞ্চুকিয়ো স্থাপন করে।

নিজেদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য চীনারা একটি সিরিজ রেলপথ নির্মাণ শুরু করে যা আংশিকভাবে জাপানি লাইনকে ঘিরে ফেলে এবং হুলুদাওতে গিয়ে শেষ হয়। হুলুদাওতে একটি বন্দর চীনারা নির্মান করছিল। এদিকে মাঞ্চুরিয়ার শাসক ঝাং জুওলিন ১৯২৮ সালে জাপানি অফিসারদের দ্বারা নিহত হলে তার ছেলে ঝাং জুয়েলিয়াং চীনকে বিদেশী নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার জন্য কুওমিনতাং-এ (ন্যাশনালিস্ট পার্টি) যোগ দেন। মাঞ্চুরিয়াতে জাপানি বাহিনী আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের সকল পথ বন্ধ করে দেন।

এই অবস্থায় চীনারা শহরের কাছে দক্ষিণ মাঞ্চুরিয়া রেলপথের ট্র্যাকের কিছু অংশ উড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে জাপান ১৯৩১ সালের ১৮-১৯ সেপ্টেম্বর মুকডেন (বর্তমান শেনিয়াং) দখল করে নেয়। চীনের জাতীয়তাবাদী শক্তির সামান্য প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়ে, জাপানিরা ১৯৩২ সালে মাঞ্চুরিয়াতে একটি পুতুল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। এর পর জাপান সমগ্র চীনের ওপর তাদের আধীপত্য বিস্তারে মনোযোগি হয়। ১৯৩৪ সালের টোকিও থেকে একটি ঘোষণাপত্রে বলা হয় চীনের কোনও শক্তি জাপানের সম্মতি ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারে না। এতে সমস্ত চীনকে কার্যকরভাবে জাপানের অধীনস্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

জাপানি সাম্রাজ্যের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ

জাপানি সাম্রাজ্যের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ

১৯৩৫ সালে জাপানিরা হেবেই এবং চাহার (বর্তমানে মঙ্গোলিয়ার একটি অংশ) থেকে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর জাপান বিরোধী সদস্যদের প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। এর ফলে এই অঞ্চলগুলি আংশিকভাবে জাপানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং সুইয়ুয়ান, শানসি (শানঝি), এবং শান্তুং (শানডং) প্রভূতি অঞ্চল হুমকির সম্মুখীন হয়। চীনের জাতীয়তাবাদী নেতা চিয়াং কাই-শেক প্রকাশ্য এর বিরোধিতা করেননি। ১৯৩৬ সালের ডিসেম্বরে চিয়াং কাই-শেক তার নিজের জেনারেলদের ক্ষমতাচূত্য হন এবং জাপানের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্ট কমিউনিস্টদের সাথে মিত্র হতে বাধ্য হয়েছিলেন।

এই অবস্থায় চীন-জাপানের মধ্যে শীঘ্রই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৩৭ সালের ৭ জুলাই পেইপিং (বেইজিং) থেকে সামাস্য দূরে অবস্থিত মার্কো পোলো ব্রিজে চীনা ও জাপানি সৈন্যদের মধ্যে একটি ছোটখাটো সংঘর্ষের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় চিন-জাপান যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। জাপানিরা অনুভব করেছিল যে, যেহেতু চিয়াং এবং জাতীয়তাবাদী সরকার জাপানের কাছে নতি স্বীকার করবে না তাই তাদের অবশ্যই নির্মূল করতে হবে। তাছাড়া জাপানের বিরুদ্ধে চীনের ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী জোয়ার জাপানকে বিক্ষুদ্ধ করে তুলেছিল।

১৯৩৭ সালের জুলাই নাগাদ কার্যত সমস্ত চীনা আঞ্চলিক সামরিক ও রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী সরকার ও চিয়াং কাই-শেককে সমর্থন করার জন্য সমাবেশ করেছিল। কমিউনিস্টরা, যারা ১৯৩৫ সাল থেকে জাপানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল, তারা তাদের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং তাদের সেনাবাহিনীকে নামমাত্র সরকারের অধীনে রেখেছিল।

ছবি: জেনারেলিসিমো চিয়াং কাই-শেক, 1942 থেকে 1945 পর্যন্ত চীন থিয়েটারে মিত্রবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ

তবে জাপানের সামরিক শক্তি চীনের তুলনায় এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তার সেনাবাহিনী প্রাথমিকভাবে দ্রুত সাফল্য অর্জন করেছিল। দুই বছরের মধ্যে জাপান চীনের বেশিরভাগ বন্দর, প্রধান শহর যেমন সুদূর পশ্চিমে হ্যানকো (হানকো) এবং রেলপথের বড় অংশ দখল করে নেয়। পেপিং এবং তিয়েনসিন (তিয়ানজিন) অঞ্চল ১৯৩৭ সালের জুলাই মাসে দখল করা হয়। প্রচণ্ড যুদ্ধের পর ১৯৩৭ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি চীনা সেনাবাহিনীকে সাংহাই এলাকা থেকে বিতাড়িত করে জাপান। চীনের জাতীয়তাবাদীদের রাজধানী নানকিং-এর (নানজিং) ১৯৩৭ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পতন ঘটে। সেই শহরে জাপানিরা যে হত্যাযজ্ঞ চালায় তা নানজিং গণহত্যা হিসাবে পরিচিত হয়। নানজিং শহরে প্রায় ৩০০,০০০ চীনা বেসামরিক নাগরিক এবং আত্মসমর্পণকারী সেনা নিহত হয়েছিল। তাছাড়া জাপানি কমান্ডার মাতসুই ইওয়ানের নির্দেশে হাজার হাজার নারীকে ধর্ষণ করা হয়।

রাজধানী পশ্চিমে হ্যানকোতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৩৮ সালের অক্টোবরে জাপানীরা সেই শহরটিকে দখল করে নেয়। একই মাসে চীনারা ক্যান্টন (গুয়াংজু) হারায়। জাপানিরা পেপিং থেকে উত্তর ও পশ্চিম দিকে রেললাইন ধরে শানসি এবং অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ায় নজর দেয়। তারা শান্টুং-এ আধিপত্য বিস্তার করে এবং ইয়াংজি উপত্যকার নীচের অংশে পেইপিং-হ্যাঙ্কো, তিয়েনসিন-পিউ-কাউ এবং লুং-হাই রেলপথ দখল করে। সমুদ্রে তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। আকাশ যুদ্ধে জাপানিরা সবসময় এগিয়ে ছিল। আগে থেকেই তারা চীনা বিমান বাহিনীকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছিল এবং চীনা শহরগুলিতে ইচ্ছামতো বোমাবর্ষণ করেছিল। এই অবস্থায় চীনে ব্যপক প্রাণহানি ঘটেছিল।

এসবের পরেও চীনারা শেষ পর্যন্ত হারেনি। যুদ্ধ জাপানের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দীর্ঘায়িত হয়েছিল। চিয়াং কাই-শেক তার রাজধানী সেচওয়ানে (সিচুয়ান) থেকে ইয়াংজি গর্জেসের পশ্চিম প্রান্তে চুংকিং-য়ে (চংকিং) স্থানান্তরিত করেন। চীনের বেশিরভাগ নেতৃত্ব সেচওয়ান এবং ইউনানে (ইউনান) থেকে সুদূর পশ্চিমে চলে যান। দখলহীন চীন দীর্ঘ প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়। অধিকৃত চীনে জাপান যে সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল সেই সরকারে অনেক চীনাকে অন্তর্ভূক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এমনকি চীনের অধিকৃত অঞ্চলে জাপানের নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র শহর এবং রেললাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

এর বাইরে সাধারন মানুষ চীনের জাতীয়তাবাদী সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। তাছাড়া এসব অঞ্চলে জাপান চীনের গেরিলা যোদ্ধাদের দ্বারা ব্যপকভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছিল। কমিউনিস্টরা জাপানকে প্রতিরোধ করার জন্য গেরিলা পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশেষভাবে সফল হয়েছিল। এই গেরিলা আক্রমন দ্রুত জাপান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর রাজনৈতিক-সামরিক অবস্থানকে ভেঙে দেয়। কমিউনিস্ট সৈন্য এবং সংগঠকরা জাপানি নিয়ন্ত্রণের পেছনে বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকায় চলে যায়। তারা গ্রামীণ আত্মরক্ষা ইউনিট সংগঠিত করে। স্থানীয় সরকার গঠন করে এবং তাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী, অষ্টম রুট আর্মি এবং নিম্ন ইয়াংজি উপত্যকায় নিউ ফোর্থ আর্মি প্রসারিত করে।

কিছু সময়ের জন্য জাপান ব্রিটিশদের বার্মা (মিয়ানমার) থেকে ইউনানের কুন-মিং পর্যন্ত রাস্তাটি বন্ধ করে রাখে। পরে বার্মা রোডটি আবার চালু হয় এবং যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রসদ সরবরাহকারী লাইন হয়ে উঠে। এই অবস্থার কিছুকাল পরে ৭ই ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে জাপান আমেরিকার পাল হারবার আক্রমণ করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। চীনও আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে। সমন্বিত চীনা বাহিনী বার্মা এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেয়। জাপানিরা তাদের সামরিক শক্তি ও অনুকূল ভৌগলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে দ্রুত পূর্ব এশিয়ার উপকূলে নিজেদের প্রভাবশালী করে তোলে।

অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী চীন শক্তিশালী জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে গুরুতর অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সন্মূখীন হয়। তাদের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষা উপকরণের ঘাটতি, অপুষ্টি, এবং সরকার কর্তৃক রেজিমেন্টেশনের প্রচেষ্টা সবই একটি খারাপ প্রভাব ফেলেছিল।

এই যুদ্ধাবস্থা চীন সরকারকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। প্রতিরোধের প্রথম বছরগুলিতে চীন যে শক্তিশালী জনসমর্থন লাভ করেছিল তা হ্রাস পেয়ে তলানীতে ঠেকে। সরকারকে মূল্যস্ফীতি, দুর্নীতি এবং অতিরিক্ত কর আরোপের জন্য দায়ী করা হয়। কমিউনিস্টরা জনবিরোধী হিসাবে পুনরায় আবির্ভূত হতে শুরু করলে তারা জনগনের ওপর দমন নীতি প্রয়োগ করে। এই অবস্থার মধ্যেও চীন চিয়াং কাই-শেকের নেতৃত্বে জাপানের সাথে আত্মসমর্পণ বা আলোচনায় বসতে অস্বীকার করে।

সাত বছরের যুদ্ধ এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে চীনের জাতীয়তাবাদী সরকার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে এই অবস্থায় মাও সেতুং-এর নেতৃত্বে কমিউনিস্টদের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৯৪৫ সাল থেকে চীন আমেরিকার সাহায্যে অবরুদ্ধ এলাকা মুক্ত করতে শুরু করে। এরসাথে সোভিয়েত ইউনিয়নও যোগ দেয়। ১৫ই অগাস্ট ১৯৪৫, আণবিক বোমা বিস্ফোরণের সাথে সাথে জাপানের যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। ৯ই সেপ্টেম্বর জাপান আত্মসমর্পণ করে।

 

 অনুবাদক: শাহাদাত হোসেন

Source: The Editors of Encyclopaedia Britannica

/এএস

Header Ad

শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা। বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা’র ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান স্বরণীয় হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। প্রতিষ্ঠা হতো পাকিস্তান মডেলের গণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধু কন্যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক রাজনীতির দল নয়।দলগুলোর জন্ম হয়েছে সেনা শাসকদের হাতে। ঐদলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চাও নেই। এসময় গণতন্ত্র মানেই শেখ হাসিনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় চার নেতার প্রকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি ।পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

নওগাঁ নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুলসহ দলীয় নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র হজ পালন করতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত (১৬ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী। মোট ৬১টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১ টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্পডেস্কে তথ্যমতে, ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হবে ১০ জুন।

এ বছর হজে যেতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। প্রতি প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসাবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এর আগে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।

বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছেড়ে যান তারা।

শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, হস্টনের জর্জ বুস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বাংলাদেশ। দলের প্রথম ব্যস্ততা শুরু হবে বিশ্বকাপের সহ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। আগামী ২১ মে ,২৩ এবং ২৫ মে তিনটি টি-টোয়েন্টি হবে তাদের বিপক্ষে।

এরপর বিশ্বকাপের আগে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে তারা। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস এবং নেপাল। আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি খুব একটা নেই। মূলপর্বে প্রথম জয় এসেছিল ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এর ১৫ বছর পর ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে আরেকটি জয় পায় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে ৩৮ ম্যাচে জয় মাত্র ৯টি, এর ছয়টিই এসেছে বাছাই পর্বে।

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা: খাদ্যমন্ত্রী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিল শিবিরে দুঃসংবাদ
৫২৩ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে উধাও ২ এজেন্সি মালিক
কুমিল্লায় বাস খাদে পড়ে প্রাণ গেল ৫ জনের
নামাজের সময় তালা আটকে মসজিদে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি চালাতে নতুন বিধিমালা
প্রেমের বিয়ে, স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী!
শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: রাষ্ট্রপতি
সুস্থ থাকতে বিশ্বনবি (সা.) যে দোয়া পড়তেন
৪ বছর পর পেলেন স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি, যেভাবে মৃত্যু হবে তরুণীর
পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আলোচিত ‘শরীফ-শরীফার গল্প’
মিঠা পানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার তৈরি গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর
ক্রিকেট ছাড়লে আপনারা আমাকে আর দেখবেন না: কোহলি
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন কাদের মির্জা!
চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
কাক পোশাকে ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ভাবনা