ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অত্যাধুনিক রকেট সিস্টেমসহ অন্যান্য অস্ত্র পাঠাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
শুক্রবার (২৪ জুন) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ইউক্রেনকে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের অস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) নতুন এই সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য নতুন এ সামরিক সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে নতুন হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমসহ অন্যান্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম রয়েছে।’
এ ছাড়াও এ সহায়তায় হাজার হাজার রাউন্ড আর্টিলারি গোলাবারুদ ও টহল বোট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি। জন কিরবি বলছেন, সর্বশেষ এ চালানের মাধ্যমে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১০ কোটি মার্কিন ডলারে।
অত্যাধুনিক এ রকেট সিস্টেমের প্রাথমিক চারটি ইউনিট ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত ইউক্রেনীয় সৈন্যদের অত্যাধুনিক ও অত্যন্ত নির্ভুল অস্ত্র চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করতেই প্রাথমিকভাবে সেগুলো পাঠানো হয়েছে।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা করেছে। যদিও তা নিয়ে বিষোদগার করেছে রাশিয়া। সেই সময় রাশিয়া এ যুদ্ধে তৃতীয় পক্ষের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছিল।
অত্যাধুনিক আর্টিলারি গোলাবারুদ ব্যবহার করে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এসব হামলায় নিয়মিতই ইউক্রেনের নান অঞ্চল দখলে নিচ্ছে রুশ বাহিনী।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এ হামলা শুরু করে।
মস্কো অবশ্য ইউক্রেনে তাদের এ আগ্রাসনকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে আখ্যায়িত করছে। এ ছাড়া যুদ্ধের শুরুতে পুরো ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড আক্রান্ত হলেও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মূল মনোযোগ এখন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায়।
এসএন