সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পাকিস্তান এনএবি'র 'সীমাহীন ক্ষমতা' ও 'বিতর্কিত কর্মকাণ্ড'

ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো বা এনএবি। বিশ্বব্যাপী এই নামটি এখন ব্যাপক আলোচিত। সম্প্রতি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাজধানীর ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করার পর আলোচনায় উঠে এসেছে এনএবি'র নাম। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, এনএবি কী, তাদের কাজ কী এবং তারা কতটা শক্তিশালী।

শুরুর কথা
এনএবি গঠন করা হয় ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর। সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের হাত ধরে এই সংস্থার যাত্রা শুরু। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের বিনাশ ঘটাতে গঠিত এ সংস্থার প্রধান (চেয়ারম্যান) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান। এটি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা। স্বায়ত্তশাসিত এ সংস্থার সদরদপ্তর অবস্থিত রাজধানী ইসলামাবাদে এবং করাচি, লাহোর, পেশোয়ার, কোয়েটা, রাওয়ালপিন্ডি, মুলতান ও শুক্কুর শহরে এর আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।

জানা যায়, প্রতিষ্ঠাকালে এনএবি চেয়ারম্যান ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ আমজাদ। বর্তমানে এনএবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাজির আহমেদ ভুট্টো। তিনি ২০১৮ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান এবং ২০২৩ সালের ৪ মার্চ চেয়ারম্যান হিসেবে এনএবিতে যোগদান করেন। যদিও এনএবি'র সরকারি ওয়েবসাইটে তার সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া নেই, তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন চৌকস ও জাঁদরেল কর্মকর্তা।

উন্মুক্ত জ্ঞানকোষ উইকিপিডিয়া থেকে জানা গেছে, এনএবি গঠনের পর মোশাররফ বলেছিলেন, ''আমি ক্ষমতায় আসার আগে পাকিস্তান 'ব্যর্থ রাষ্ট্র' ঘোষিত হবার দ্বারপ্রান্তে ছিল, তাই দুর্নীতিবাজদের মধ্যে ঈশ্বরের ভয় টিকিয়ে রাখতে এনএবি গঠন করা হয়েছে।''

কাজের ধরন এবং ক্ষমতা
এনএবি'র কার্যপদ্ধতিতে দুইজন প্রধান ব্যক্তি রয়েছেন। একজন চেয়ারম্যান, যিনি সকল অনুসন্ধান ও পুরো কার্যপদ্ধতির তদারকি করেন এবং অপরজন একজন প্রধান আইন কর্মকর্তা (প্রসিকিউটর জেনারেল), যিনি অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করাসহ সকল বিচারকার্য পরিচালনা করেন। প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। চেয়ারম্যানের মেয়াদকাল ৪ বছর এবং প্রসিকিউটর জেনারেলের মেয়াদকাল ৩ বছর।

বর্তমানে এনএবি'র প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন লাহোর হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আসগর হায়দার। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ইংরেজি সংবাদমাধ্যম 'ডন' সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আসগর ২০১৮ সালে এনএবি'র প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। তিন বছরের মেয়াদকাল শেষে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে পুনরায় প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

এনএবি'র অধ্যাদেশে উল্লেখ ছিল 'মেয়াদ বৃদ্ধি হবে না শর্তে একজন প্রসিকিউটর জেনারেল কেবল এক মেয়াদকাল দায়িত্ব পালন করতে পারবেন'। তবুও তার মেয়াদকাল বৃদ্ধি হওয়ায় তখন ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভি একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে উল্লিখিত বিধানটি সংশোধন করেন। সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুসারে, 'প্রসিকিউটর জেনারেল তিন বছরের জন্য পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন এবং একই বা একাধিক মেয়াদের জন্য পুনরায় নিয়োগের জন্য যোগ্য হবেন।'

রাষ্ট্রের মূল বিচার ব্যবস্থা থেকে এনএবি'র বিচার ব্যবস্থা আলাদা এবং সংস্থাটি নিজস্ব আদালত পরিচালনা করে। এর নিজস্ব তদন্তকারী দল এবং যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের লাগামহীন ক্ষমতা রয়েছে। এমনকি গ্রেপ্তারকৃতদের আটকে রাখার জন্য আলাদা কারাগারও রয়েছে। যার সব কিছুই পাকিস্তানের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত।

২০১৩ সালে এনএবি বিপুল সংখ্যক তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় এবং ইসলামাবাদের COMSATS বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। চাকরির বাইরে ৭ মাস এবং চাকরিরত অবস্থায় ২ মাসের প্রশিক্ষণ সফলভাবে সমাপ্ত করার পরে, দেশের বিভিন্ন কার্যালয়ে তাদের পদায়ন করা হয়।

পাকিস্তানের আইন মন্ত্রণালয়ের মতে, এনএবি'র দায়িত্ব হল বলপ্রয়োগ, প্রসিকিউশন, সচেতনতা এবং প্রতিরোধের মাধ্যমে দুর্নীতি দূর করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।

তদন্ত এবং পরবর্তী বিচারকার্যে কয়েক মাস সময় এমনকি বছর গড়াতে পারে এবং বিচারকার্য শেষ হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের আটকে রাখতে পারে এনএবি।

পাকিস্তানের অধিকাংশ পাবলিক রেকর্ড এখনো ইলেকট্রনিকভাবে আর্কাইভ না করা বা কেন্দ্রীয় ডাটাবেসে সংযুক্ত না করার কারণে বিচারযোগ্য প্রমাণ সংগ্রহে অসুবিধা এবং ধীরগতির বিচারিক প্রক্রিয়ার কারণে এনএবি'র কার্যক্রম এখনো বেশ চ্যালেঞ্জিং।

তদন্ত ও অর্জন
এনএবি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সংস্থাটি ৪ হাজার ৭৪৭টি তদন্ত পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে আদালতে ৩ হাজার ৫৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলার ফলস্বরূপ ১ হাজার ১৯০টি মামলায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, ৭৭১টি মামলা খালাস হয়েছে এবং ১০০ মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এনএবি সূত্রে আরও জানা যায়, সৃষ্টির পর থেকে সংস্থাটি দেশের অভিজাত রাজনীতিবিদ, আমলা, প্রাক্তন সামরিক অফিসার এবং কর্পোরেট অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্বারা সংঘটিত দুর্নীতি থেকে ২৪০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির বা প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি পুনরুদ্ধার করেছে।

২০২০ সালে ইমরান খানের আমলে বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে গ্রেপ্তার করে বেশ কয়েক মাস আটকে রেখেছিল এনএবি। এ ছাড়াও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ সকল প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে তদন্ত, বিচার এবং কারাগারে পাঠিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বড় ভাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এবং তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ ২০১৮ সালে এনএবি আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। পরে অবশ্য একটি উচ্চ আদালত মরিয়ম নওয়াজের বিরুদ্ধে হওয়া রায় বাতিল করেন।

বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং সর্বোচ্চ আদালতের ভর্ৎসনা
শুরু থেকেই সংস্থাটির কর্মকাণ্ড বিতর্কিত। প্রধানত এর লাগামহীন ক্ষমতার এবং যে কোনো ব্যক্তিকে তদন্ত করে কলঙ্কিত করলেও পরে তাদের নির্দোষ বলার কারণে।

কাগজে-কলমে এনএবি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং রাজনীতিবিদদের মতে, সংস্থাটিকে প্রায়ই দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক বিরোধী দলকে দমন করার একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যদিও, ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে এনএবি।

যদিও দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে সবাই একমত। তবে বিশ্লেষকদের দাবি, সে দিক থেকে সংস্থাটির খুব বেশি সাফল্য নেই। বরং এনএবি'র তদন্তের ভয় এত বেশি যে সরকারি কর্মকর্তারা প্রকল্পগুলো স্বচ্ছ রাখতে কাজে ধীরগতির অবতারণা করেন।

আইন অনুযায়ী সংস্থাটি শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে। তবে পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বেশ কিছু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে যে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত এবং বিচার চালিয়েছে এনএবি।

অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনার কারণে সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার সংস্থাটির সমালোচনা করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজা 'দর কষাকষি' করার জন্য সংস্থাটির সমালোচনা করেছেন এবং এটিকে 'প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি' বলে আখ্যায়িত করেছেন।

বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজার 'দর কষাকষি' মন্তব্য সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলেন, সংস্থাটি প্রথমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে এবং আদালতের বাইরে মামলা নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা করে। তদন্ত ও বিচার থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে এনএবি দ্বারা নির্ধারিত 'খরচ' দিতে হয়।

আদালতের কার্যক্রম চলাকালীন বিচারপতি খাজা আরও বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন, কিছু এনএবি কর্মকর্তা প্রভাবশালী সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের আগে সতর্ক করে দেয় যাতে তারা পালানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়।

গেল মঙ্গলবার (৯ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে তুলে নিয়ে যায় এনএবি। বিষয়টিকে বেআইনি ঘোষণা করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এনএবি'র এহেন কর্মকাণ্ডকে দেশের বিচারিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বড় অসম্মান বলে মন্তব্য করেন দেশটির প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। প্রধান বিচারপতি তার মন্তব্যে এনএবি-কে ভর্ৎসনা করে বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি যে ইমরান খানের গ্রেপ্তার বেআইনি ছিল' এবং একইসঙ্গে 'আদালত প্রাঙ্গণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হবে না' বলে নির্দেশ দেন তিনি।

সংশোধনী
চলতি বছরের মার্চ মাসে, পিটিআই ব্যতীত দেশের সমগ্র রাজনীতিবিদরা সংস্থাটির ক্ষমতা সীমিত করার লক্ষ্যে আইন সংশোধন করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। পূর্বে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জামিনবিহীন ৯০ দিন পর্যন্ত আটকে রাখতে পারত এনএবি, বর্তমানে সে আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ সময়কাল করা হয়েছে ১৪ দিন। এ ছাড়া সংস্থাটিকে একটি মামলা এক বছরের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

তবে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না থাকলেও পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী যে পরোক্ষভাবে জড়িত এনএবি'র সীমাহীন ক্ষমতা তারই উদাহরণ এবং ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক সহিংসতা ইস্যুতে আইএসপিআর-এর দেওয়া বিবৃতি সেদিকেই ইঙ্গিত করে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

তথ্যসূত্র: জিও নিউজ, ডন, উইকিপিডিয়া এবং এনএবি'র সরকারি ওয়েবসাইট

/এএস

Header Ad

দুদকের ‘ধাওয়ায়’ বিদেশ পালিয়েছেন বেবিচকের ৭ কর্মকর্তা

ছবি: সংগৃহীত

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী মানব পাচার, টেন্ডার, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি বেবিচকের ৩৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়মের বিষয়ে অবহিত করে বেবিচক চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। দুদক থেকে নিজেদের রক্ষা করতে কেউ কেউ বিভিন্ন দপ্তরে জোর তদবির চালাচ্ছেন। আবার কেউ পালিয়েছেন বিদেশে। এরইমধ্যে অন্তত সাত কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশ ছেড়ে গেছেন।


জানা গেছে, নানা অনিয়ম করে এরইমধ্যে দেশ ছেড়ে গেছেন বেবিচকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল খালেক। তিনি প্রায় একশ কোটি টাকা হাতিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়েছেন কানাডায়। আর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুজ্জামানও দেড়শ কোটি টাকা নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে।

এ বিষয়ে দুদকের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বেবিচকের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিজেদের রক্ষা করতে কেউ কেউ তদবির করছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।’

জানা গেছে, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেবিচকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু কুমার গোস্বামীসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও তলব করেছে দুদক। তা ছাড়া বেবিচকের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুজ্জামান, মো. মোকাব্বর আলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী কাজী বায়েজিদ আহমেদকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেবিচকে কী কী প্রকল্পের কাজ হয়েছে তার তালিকা, এই দুই অর্থবছরে কেনাকাটা খাতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ, একই সময়ে নির্মাণ ও সংস্কার খাতে কত ব্যয় হয়েছে তার বিবরণ, আইটি খাতে কত বরাদ্দ ছিল এবং কী কী কাজ করা হয়েছে জানতে চেয়েছে দুদক।

মিজানুর রহমান। বেবিচকের নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা। চাকরির আড়ালে মানব পাচারসহ নানা অপরাধ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। গত ২১ এপ্রিল মিজানের দুর্নীতির বিষয়ে দুদক চিঠি পাঠায় বেবিচক চেয়ারম্যানের কাছে। এই মিজানের মতোই অন্তত ৩৭ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের বিষয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক।

তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকৌশল বিভাগ, হিসাব শাখা, লাইসেন্স নবায়ন শাখা, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, সম্পত্তি শাখা, পুরনো মালামাল ক্রয়-বিক্রয় শাখা, কল্যাণ শাখায় অনিয়ম হচ্ছে। পাশাপাশি রাডার মেরামত, কেলিব্রেশন, এক্সপ্রোসিভ ডিটেনশন সিস্টেম স্থাপন, বোর্ডিং ব্রিজের স্পেয়ার পার্টস ক্রয়, খান জাহান আলী বিমানবন্দর উন্নয়ন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নয়ন, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ওভারলেকরণ, কক্সবাজার বিমানবন্দর, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়ে ওভারলেকরণ, প্যারালাল টেক্সিওয়ে, রানওয়ে সম্প্রসারণ এবং বিদ্যমান টার্মিনালের সম্প্রসারণ, কক্সবাজার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ এবং উন্নয়ন-সংক্রান্ত মেগা প্রকল্পে অনিয়ম হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বেবিচক কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা আছে কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ অর্জন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা-সংক্রান্ত কোনো ধরনের বিভাগীয় অনুমোদন গ্রহণ করা হয়েছে কি না তা জানতে চাওয়া হয়। তা ছাড়া সাত ধরনের প্রকল্পের কাজসহ ৯ ধরনের নথিপত্র তলব করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রকৌশল বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নানা অনিয়মে জড়িত আছেন। আর এ কারণে তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম, কমিটির সিদ্ধান্ত, কার্যাদেশ ও পরিশোধিত অর্থের বিল ভাউচার, টার্মিনাল ভবনের ছাদে ওয়াটার প্রুফ কাজের অনুমোদিত প্রাক্কলন, দরপত্র, বিজ্ঞপ্তি (পেপার কাটিং), দাখিলকৃত দরপত্র, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত কার্যাদেশ, বেবিচকের কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদিত প্রাক্কলন, দরপত্র বিজ্ঞপ্তিগুলো (পেপার কাটিং), দাখিলকৃত দরপত্রগুলো, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত কার্যাদেশ, বেবিচকের এমটি ভবন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদিত প্রাক্কলন, দরপত্র বিজ্ঞপ্তিগুলো (পেপার কাটিং), দাখিলকৃত দরপত্রগুলো, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত, কার্যাদেশ, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমপোর্ট কার্গো ভবনের পার্কিং শেড নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদিত প্রাক্কলন, বিজ্ঞপ্তি (পেপার কাটিং), ঠিকাদার কর্তৃক দাখিলকৃত দরপত্রসমূহ, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত, কার্যাদেশ, বেবিচকের নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদিত প্রাক্কলন ও দরপত্র বিজ্ঞপ্তি কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার নীতি জিরো টলারেন্স। যারা অপরাধ করবে তারা শাস্তি পাবেই। দুদক যে কোনো সহযোগিতা চাইবে তাদের সবধরনের সহায়তা করা হবে। বেবিচকে শুদ্ধি অভিযান চালানো হচ্ছে। সব বিভাগে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

বেবিচক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই বেবিচক ও বিমানের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান করে আসছে দুদক। কোন কোন খাতে বেশি দুর্নীতি হয় সেই তথ্য উদঘাটন করে সংস্থাটি। এর মধ্যে বেবিচকে ৩৬টি খাত নিয়ে বেশি অভিযোগ ওঠায় এসব তদন্ত শুরু হয়েছে। সেবাকে বাণিজ্য বানিয়ে কেউ কেউ অর্থ কামাচ্ছেন।

এরইমধ্যে দুদক একটি তালিকা করেছে। তালিকায় বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার কন্ডিশনার ডাক্ট স্থাপন, এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম আপগ্রেডেশন, বিমানবন্দরে কাউন্টার এবং কনভেয়ার বেল্ট স্থাপন, তার যন্ত্রাংশ সরবরাহ, নতুন বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপন, পুরাতন বোর্ডিং ব্রিজে যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও স্থাপন, বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে এলইডি লাইট কেনা ও ফিটিংস, বাগান আলোকসজ্জা, এইচটি এবং এলটি সুইচগিয়ার স্থাপনকাজের নামে অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে। তা ছাড়া বিমানবন্দরের ফ্লোর মাউন্টেড এবং ওয়াল মাউন্টেড প্যানেল স্থাপন, বিমানবন্দরে বিভিন্ন সাইজের পাওয়ার কেবল সরবরাহ, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপন, রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, অ্যাপ্রোন লাইট ও লাইট ফিটিংস সরবরাহ, আবাসিক ভবনে ইন্টারনাল ইলেকট্রিফিকেশন কাজ, সিএএবির নতুন সদর দপ্তরের ভবনের বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট সরবরাহসহ ইএম-সংক্রান্ত কাজ, টার্মিনাল বিল্ডিংসহ বিমানবন্দরের অন্যান্য ভবনের ডেকোরেশেন-সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইএম কাজ, বিভিন্ন স্থানে অ্যাপ্রোন মাস্ট লাইট স্থাপন, সিসিআর বিল্ডিং-সংশ্লিষ্ট সব ইএম কাজ, রানওয়ে লাইটিংয়ের জন্য বিভিন্ন সাইজের কেবল সরবরাহ ও সংস্থাপন কাজেও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।

বেবিচকের কয়েকজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নানা অভিযোগ ওঠায় বেবিচকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ প্রোফাইল তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব ইন্টেলিজেন্সের পাশাপাশি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে প্রোফাইল তৈরি হচ্ছে। চাকরির তথ্যের পাশাপাশি তাদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, অপরাধ, মামলা-মোকদ্দমার তথ্য থাকবে ওই প্রোফাইলে।

জনগণকে কবর দিয়ে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনা সরকার গোটা জনগণকে কবরস্থ করে ক্ষমতা দখলে রাখতে চান ব‌লে মন্তব‌্য কা‌রে‌ছেন বিএন‌পির সি‌নিয়র যুগ্ন মহাস‌চিব অ্যাডভোকেট রুহুল ক‌বির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্র দাম বাড়ছে। মানুষ ঠিক মতো তিনবেলা খেতে পাচ্ছে না। মায়ের গর্ভ থেকে যে শিশুটা আজ জন্মগ্রহণ করছে, তার ঋণও এক লক্ষ টাকার বেশি। তারপরও শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে ঋণ নিতে চাচ্ছেন।

সোমবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লা‌বের সাম‌নে হাবীব উন নবী খান সো‌হেল মু‌ক্তি প‌রিষ‌দের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খা‌লেদা জিয়া, বিএন‌পির যুগ্ম মহাস‌চিব হাবীব উন নবী খান সো‌হেল, সেচ্ছা‌সেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কা‌দির ভূঁইয়া জ‌ি‌য়েলসহ সব রাজবন্দীর মিথ‌্যা মামলা প্রত‌্যাহার ও মু‌ক্তির দা‌বি‌তে এক মানববন্ধ‌নে তি‌নি এ সব কথা ব‌লেন।

‌রিজভী ব‌লেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেশি কথা বলছেন। তার কথা শুনে মনে হচ্ছে, তিনি বিএনপির জন্য খুব মায়া কান্না কাঁদছেন। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়া কান্না করে, ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম। তিনি মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন, বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে। বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ এবং নেতারা সবাই বিদেশ চলে যাচ্ছেন। ঘটনা কিন্তু উল্টো, তারা যে ভিতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে-সেটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলছেন।

এ সরকার বারবার জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নিচ্ছে। আর এই কারণে তাদের জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী, ঋণ খেলাপি এবং বাজার সিন্ডিকেটের লোকজন আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করে, তারা সবাই গণশত্রু।

রিজভী বলেন, তাদের সাথে তো দেশের জনগণ থাকে না। তারাই যদি এই সরকার এবং শেখ হাসিনার সাথে থাকে তাহলে তো তারা জনগণের সমর্থন পাবে না। জনগণের সমর্থন পাবে না জেনে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারছে। টিনের বক্সে যদি মুড়ি না থাকে, তাহলে সেই টিন যেমন ঝনঝন করে বেশি- তেমনি আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন।

উপজেলা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা আবার একটি দামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায়, সেজন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছে প্রধানমন্ত্রীর তো ২০-২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছে। তারা যদি দাঁড়ায় দাঁড়াতে পারে তাহলে আমরা বাদ যাব কেন?

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সাজানো এই উপজেলা নির্বাচনে জনগণ তো যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের কারণে অন্য কেউ চান্সই পাচ্ছে না। অধিকাংশ আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী-আত্মীয়স্বজন এবং ব্যবসায়ীরা নমিনেশন কিনেছে। দলের সংকট হলে তারা তো থাকবে না কিন্তু তারাই এখন দখল করে আছে।

রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনার দল যে শূন্য মুড়ির টিন হয়ে গেছে, সেই টিন আগে ভরেন, তারপর বিএনপিকে নিয়ে কথা বলুন। বিএনপি দুর্বল নাকি হতাশ এটা তো টের পান প্রতি মুহূর্তে। বিএনপিকে মোকাবিলা করার সাহস আওয়ামী লীগের নাই, এজন্যই পুলিশ দিয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণকে দমন করে এত জোর গলায় আজ কথা বলছেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাঙা কলসি বাজে বেশি। আপনাদের আওয়ামী লীগ এখন ভাঙা কলসি। তাই আপনারা বাজছেন বেশি করে। জনগণকে যা দেখিয়েছেন, যা বলেছেন, সব মিথ্যা। এইবার বাজেটে লাখ কোটি টাকার ঋণ চাচ্ছেন কেন? জনগণের গলায় পাড়া দিয়ে বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির বিল বাড়াচ্ছেন কেন? আজ দেশে গণতন্ত্রের শাসন নাই বলে, বৈধ সংসদ নাই বলে আপনারা জনগণের টুঁটি চেপে ধরে বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি থেকে বেশি বিল নিচ্ছেন।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুণীর হত্যার বিচার বিষয়ে তিনি বলেন, সাগর-রুণীর হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন আজ পর্যন্ত জমা দিতে পারেনি। ১০৯ বার এই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করার পরেও জমা দিতে পারেনি, তারিখ শুধু পিছাচ্ছে। সাংবাদিক দম্পতির ভয়ংকর হত্যার বিচার এখন পর্যন্ত করতে পারেননি। কেন পারেননি এটা দেশের জনগণ জানে। এরকম একটি ঘটনা নিয়ে অমীমাংসিত নামের একটি সিনেমা করা হয়েছিল, সেটা সেন্সর থেকে আটক করে দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীতে যত চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনা ঘটেছে সবগুলোরই সিনেমা হয়েছে। সেন্সর বোর্ড এতটাই মূর্খ যে তারা বলেছে এই মামলা বিচারাধীন আছে। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনই জমা দেওয়া হয়নি অথচ তারা বলছে এটার মামলা চলমান এই কারণে আমরা মুক্তি দিতে পারলাম না। কত মূর্খ তারা। অর্থাৎ এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ক্ষমতাবানরা জড়িত এই কারণে ওইটা আড়াল করতে চাচ্ছে সবাই মিলে।

তিনি বলেন, এই সরকার কথিত পক্ষেই ব্যর্থ সরকার। ষড়যন্ত্রকারী সরকার। এই সরকার এদেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে আসেনি। আমাদের অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে একেবারে সাজানো মামলায়। এমনকি তার উন্নত চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে রাখা হয়েছে। তারপরও তিনি এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়, জনগণকে তার মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ঢাকা মহানগর দ‌ক্ষি‌ণ সেচ্ছা‌সেবক দ‌লের সা‌বেক সধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নো‌মা‌নের সভাপ‌তি‌ত্বে মানববন্ধ‌নে আরও বক্তব‌্য রা‌খেন বিএন‌পির সেচ্ছা‌সেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদ‌লের সাধারণ সম্পাদক না‌সির উ‌দ্দিন না‌সির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, সাদরুজ্জামান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

‘মঙ্গল গ্রহে গেলেও সেরা ক্লাব হবে রিয়াল মাদ্রিদ’

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

৩৬তম লিগ শিরোপা জয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা রিয়াল মাদ্রিদ। বার্নাব্যুতে জড়ো হয়েছেন হাজারো সমথর্ক। যোগ্য দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লস ব্লাঙ্কোস মনে করছেন কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। এবার ১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপায় চোখ বিশ্বের সবচেয়ে সফল ক্লাবটির।

লিগ শিরোপা পুনরূদ্ধার করবে রিয়াল মাদ্রিদ তা নিশ্চিত ছিলো। জিরোনার কাছে বার্সেলোনার হার আর কাদিজের বিপক্ষে জয়ে চার ম্যাচ আগেই শিরোপা উল্লাসের সুযোগ পেয়েছে মাদ্রিদ। সেন্ট্রাল মাদ্রিদের সিবেলেস ফাউন্টেইন স্কয়ারে ভক্ত সমর্থকদের ভিড়। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে স্কার্ফ উড়িয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ উদযাপন সমর্থকদের।

নেচে গেয়ে স্মরণীয় করে রাখলো ৩৬তম লিগ টাইটেল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লা লিগা জয় বার্সেলোনার। তাও সেটা রিয়ালের চেয়ে ৯ শিারোপা কম। স্পেনের সফলতম ক্লাবের সমর্থক হতে পেরে গর্বিত বার্নাব্যুর বাইরে ভিড় করা অসংখ্য মানুষ। যাদের অনেকের কাছে এমন উপলক্ষ্য স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেকে আবার বার্সেলোনাকে খোঁচা দিতেও ভোলেননি। কাতালানদের কোচ হিসেবে পরের মৌসুমেও চেয়েছেন জাভিকে।

রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থক বলেন, সত্যি বলতে লিগ শিরোপা জয় আমাদের জন্য সাধারণ ব্যাপার। এটা এখন আর আমাদের খুব বেশি আনন্দ দেয়না। বরং আমি তাকিয়ে আছি চ্যাম্পিয়নস লিগের দিকে। আরেক ভক্ত বলেন, রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থক হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। শুধু বিশ্ব নয়, আমার মনে হয় মঙ্গল গ্রহে গেলেও সেরা ক্লাব হবে এটি। ১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় আমাদের আনন্দের পূর্ণতা দেবে।

বার্নাব্যুর বাইরের উল্লাসের উপলক্ষ লসব্লাঙ্কোদের মাঠের পারফরম্যান্স। ফুটবলারদের উপর দারুণ খুশি কোচ কার্লো আনচেলোত্তি।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় আমরা যেমন পারফর্ম করেছি লিগ শিরোপাটা আমাদের প্রাপ্যই ছিলো। মাদ্রিদিস্তারা যেভাবে সবসময় আমাদের পাশে ছিলো সত্যি অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তবে আমার ধারণা তারা ট্রেবল জয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই লিগ শিরোপার আনন্দকে পাশে রেখে আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।

সর্বশেষ সংবাদ

দুদকের ‘ধাওয়ায়’ বিদেশ পালিয়েছেন বেবিচকের ৭ কর্মকর্তা
জনগণকে কবর দিয়ে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়: রিজভী
‘মঙ্গল গ্রহে গেলেও সেরা ক্লাব হবে রিয়াল মাদ্রিদ’
আমার জীবনের পাঁচটা বছর আমি গাঁজা খেয়ে নষ্ট করেছি : হানি সিং
মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের গৃহকর্মীর বাসায় টাকার পাহাড়
স্বামীকে মাঠে খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু
এক ফোনে ২ সিম ব্যবহার করলেই গুণতে হবে বাড়তি খরচ
অসহায়দের সেবা না দিয়ে টাকা ব্যাংকে জমাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন
সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন ৫০ ফিলিস্তিনি ছাত্রী
সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
হিট স্ট্রোকে ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও সমাবেশ
টাইটানিকের সেই ক্যাপ্টেন বার্নার্ড হিল আর নেই
সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যানরা: টিআইবি
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মেনোত্তি মারা গেছেন
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা আমান