গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর রাতভর হামলা, নিহত আরও ৩১ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় রাতভর ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় আরও ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত থেকে শুক্রবার (২ মে) ভোর পর্যন্ত চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ। আল জাজিরা ও আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, আহতদের অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪১৮ জনে। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মরদেহ ও আহত ব্যক্তি আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দিনভর এবং রাতভর ইসরায়েলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালায়। আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধি জানিয়েছে, ৬০ দিন ধরে চলমান অবরোধটি স্থানীয়দের ওপর “ইচ্ছাকৃত শ্বাসরোধ” হিসেবে কাজ করছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানান, গাজায় তাদের অভিযান “ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির জন্য নয়, বরং শত্রুদের পরাজিত করাই মূল লক্ষ্য।”
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং উপত্যকার অন্তত ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একইসঙ্গে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও চলছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে, যা কার্যকর থাকা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করেছে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ২৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৬ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
