শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

৭ উইকেটে হেরে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের

বর্ণিল হলো না তামিম ইকবালের ৩৩দম জন্মদিন। হয়নি সিরিজ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করা। দুইটি লক্ষ্যই ছিল এক সূতায় গাঁথা। তার জন্য প্রয়োজন ছিল দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ জেতা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তা করা সম্ভব হয়নি। হেরে গেছে ৭ উইকেটে। বাংলাদেশের ৯ উইকেটে করা ১৯৪ রান দক্ষিণ আফ্রিকা অতিক্রম করে ৩৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৫ রান করে। সিরিজ জেতার পরিবর্তে সমতা। তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচ সিরিজ নির্ধারনি অলিখিত ফাইনাল। ২৩ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়ের ভেন্যু সেই সেঞ্চুরিয়ানই অনুষ্ঠিত হবে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচটি।

জোহানেসবার্গের যে উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছটফট করেছেন, সেই উইকেটেই স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা বিচরন করেছেন স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা প্রোটিয়াদের পেস আক্রমণের সামনে পড়ে হা-হুতাশ করেছেন। ৩৪ রান ফিরে যান যান ৫ ব্যাটসম্যাস তামিম ইকবাল ১, লিটন দাস ১৫, সাকিব ০, মুশফিক ১১, ইয়াসির আলী ২। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার যারাই ব্যাট করতে নেমেছেন তারাই রানের দেখা পেয়েছেন। মালান-ডি কক মিলেই উদ্বোধনী জুটিতে ৮৬ রান এনে বাংলাদেশকে কোনো রকমের লড়াই করারই সুযোগ দেননি। মালান ৪০ বলে ২৬ রান করলেও ওডি কক সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমিই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মাত্র ৪১ বলে ৬২ রান করে আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ২ ছক্কা ৯ চার। মালানকে মিরাজ ও ডি কককে সাকিব ফিরিয়ে দেন। ৮ রানের ব্যবধানে দুই জন ফিরে গেলেও পরে আসা দুই ব্যাটসম্যান ভেরেন্নি ও দলপতি টেম্বা বাভুমা মিলে যোগ করেন ৮০ রান। বাভুমাকে ৩৭ রানে আফিফ ফিরিয়ে দেয়ার পর ভেরেন্নি ডসনকে নিয়ে জয়ের বাকি কাজ সারেন। ভেরেন্নি ৭৭ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৮ রানে ও ডসন ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের তিন পেসার তাসকিন, শরিফুল, কোন প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি। তাদের উপর চড়াও হয়ে খেলেছেন স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা। দুই পেসাররা এতোই বাজেবোলিং করেন যে তাসকিন ও শরিফুলকে দিয়ে ৪ ওভারের বেশি বোলিংই করাননি তামিম ইকবাল। শরিফুল ২৯ ও তাসকিন ৪১ রান দেন। দুই পেসারের এমন ব্যর্থতায় তামিম ইকবাল তৃতীয় পেসার মোস্তাফিজকে দিয়ে ৩ ওভার বোলিং করেন। যদিও মোস্তাফিজ শরিফুল ও তাসকিনের মতো খরুচে ছিলেন না। রান দেন ১৩। পেসারদের মানের এ রকম অবনতির কারণে তামিম ইকবাল স্পিনারদের উপর ভরসা করেন। সাফল্যও এনে দেন তারাই। মিরাজ ১০ ওভারে একটু বেশি ৫৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেও সাকিব ১০ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দেন ১ উইকটে। পরে তামিম আফিফ ও মাহমুদউল্লাহকে আক্রমণে নিয়ে আসেন। এখানে সফল হন আফিফ। তিনি ৫ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। মাহমুদউল্লাহ ১.২ ওভারে ৮ রান দেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সময় উইকেটের চরিত্র ছিল সম্পূর্ণ ব্যাটিং বান্ধব। যা বাংলাদেশের ইনিংসের পুরো বিপরীত। তবে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে ব্যাটিং বান্ধব হয়ে উঠতে থাকে। যে কারণে মাত্র ১২.৪ ওভারে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যানকে হারানোর পরও বাংলাদেশ অলআউট হয়নি। দুইটি বড় জুটি হয়েছে। একটি ষষ্ট উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজ ৬০ ও এবং আফিফ ও মিরাজ সপ্তম উইকেটি জুটিতে ৮৬ রান যোগে করেন। আফিফ খেলেন ১০৭ বলে ৯ চারে ৭২ রানের ইনিংস।

স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের ৯ উইকেটে ১৯৪ রান দেখে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আবার ৩৪ রানে টপ অর্ডারর ৫ ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর এই সংগ্রহ অনেকে বেশি। অন্তত বোলারদের লড়াই করার মতো। যদিও তাার মোটেই লড়াই করতে পারেননি।
জোহানেসবার্গের পেস স্বর্গরাজ্য উইকেটে তামিম ইকবালের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করতে মোটেই সময় নেননি প্রোটিয়া পেসাররা। শুরুটা বার্থডে বয় তামিম ইকবালকে দিয়ে। মুহূর্তে তা পরিণত হয় ৩৪ রানে ৫ উইকেট। শুরুটা করেন এনগিডি। পরে ভয়ংকর রুপে আবির্ভত হন রাবাদা। যে কারণে ৩০০ বলের ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ডট বল দিয়েছেন ১৮৯টি। ছয় ছিল ২টি। আর বাউন্ডারি ১৬টি।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মূলত পরাস্ত হয়েছেন পেসারদের গতি আর বাউন্সের কাছে। ৩৪ রান ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের শতরান পার হওয়াই শঙ্কায় ছিল। সে শঙ্কা দূর করেন আফিফ ৭২ রানের ইনিংস খেলে। সঙ্গি হিসেবে পেয়ে যান মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজকে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রান আসে ৬০। মাহমুদউল্লাহ ২৫ রান করে সামসির বলে ফিরে যাওয়ার পর আফিফ ও মিরাজ সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৮৬ রান। এই দুই জনকে যখন কিছুতেই ফেরানো যাচ্ছে না, তখন আবার আক্রমণে এসে রাবাদা একই ওভারে ফিরিয়ে দেন প্রথমে আফিফ ও পরে মিরাজকে। আফিফ ৭৯ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করার পর ১০৭ বলে ৯ চারে ৭২ রান করে আউট হন বাভুমার হাতে ধার পড়ে। মিরাজকে ৩৮ রান ক্যাচ ধরেন মালান। রাবাদা ৩৯ রানে নেন ৫ উইকটে। ১টি করে উইকেট নেন এনগিডি, পার্নের, ডসন ও সামসি।

 

এমপি/

Header Ad

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশিদের জন্য ভিসা ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে যেকোনো ধরনের ভিসায় সৌদি আরব গেলেই বিদেশিরা ওমরাহ পালনের অনুমতি পাবেন।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় সৌদি আরবে আগতরা এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম ও ই-ভিসাসহ সব ভিসাধারী ব্যক্তিরা এ সুযোগ পাবেন। এছাড়া ওমরাহ পালনের অনুমতি ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ের জন্য ‘নুসুক’ অ্যাপ ব্যবহার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাহযাত্রীদের জীবনমান সহজ করবে। তাদের হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করবে। মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে এর মাধ্যমে। বিশেষ করে কখন তারা কোন বিধান পালন করবে, সে বিষয়ে সতর্ক করা হবে।

নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

নিহত জাওহার আমিন লাদেন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জাওহার আমিন লাদেন (১৮) নামে আরও এক কলেজছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন প্রাণ হারালেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ এ চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়

নিহত জাওহার বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে।

জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যায় তিন ভাই। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হন তারা। পথে বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামাতো ভাই আকিব হাসান (১৫) ও খায়রুল বাশার ছাগির (১৭) মারা যায়। বুধবার রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক ভাই জাওহারের মৃত্যু হয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার ধামানিয়াপাড়া গ্রামে মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিন মামাতো-ফুফাতো ভাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনই মারা গেছেন।

জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপরই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রটি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কয়েকশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ঢাবি শিক্ষার্থী ও তিনজন পরীক্ষার্থী।

ডিবি জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বসে এ পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতেন তারা। পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো উত্তরপত্র।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাবি শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) এবং পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মণ্ডল (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ডিবিপ্রধান বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা করে সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, কীভাবে এবং কখন তার মোবাইলে উত্তরপত্র এসেছে। মাদারীপুরে গ্রেপ্তার হওয়া পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই জামিনে বের হয়ে যান। ঘটনাটি তদন্তের জন্য মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলমের অনুরোধে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ তদন্তে নামে।

মাঠে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্রকে। তারা দুজনেই ঢাবির জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

তারা গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, পরীক্ষার আগেই তারা প্রশ্ন সমাধানের জন্য পেয়েছেন। এ প্রশ্ন সমাধানের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতির্ময় গাইনের চাচা অসিম গাইনের মাধ্যমে।

প্রশ্ন প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদের দিয়ে প্রশ্ন সমাধান করান অসিম। এ প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে তারা প্রশ্নের সমাধান করে পাঠান। অসিম তার ভাতিজা জ্যোতির্ময় গাইনকে প্রশ্ন সামাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, তিনি পরীক্ষার দুই থেকে তিন মাস আগেই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে যাদের চাকরির বয়স শেষের পথে, এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করতেন।

পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন অসিম গাইন। তাদের সমাধান করে দেওয়া প্রশ্নের মধ্যে ৭২ থেকে ৭৫টিই মিলেছে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত যে প্রমাণ পেয়েছি, তাতে এ চক্রের হোতা অসিম গাইন। তার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। তিনি আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। তিনি অল্পদিনে কয়েকশ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। এ টাকা দিয়ে তার গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকা অসিমের মানবপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা রয়েছে। যেখানে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করে আয় করা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তাকে গ্রেপ্তার করলে কীভাবে প্রশ্নগুলো পান, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব।

এ ঘটনায় দুজনকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। যারা প্রশ্নের সমাধান করেছেন, আদালতে তারাও স্বীকার করেছেন। যারা প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাও স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ জানানো হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমরা এ মামলার তদন্তে নেমে যা যা পেয়েছি সবকিছুই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষা বাতিল করবেন না-কি বহাল রাখবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়