শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে তদবিরের মেসেজ, ভুয়া রাষ্ট্রপতি গ্রেপ্তার

ভুয়া রাষ্ট্রপতি গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

একটি অপরিচিত নম্বর থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের মোবাইলে দুই নার্সকে বদলির সুপারিশ করা হয়। মন্ত্রী মেসেজগুলো ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কাছে পাঠান। পরবর্তীতে ডিবি তদন্ত করে দেখে সেগুলো ভুয়া। এরপর অভিযান চালিয়ে পাবনার সুজানগর থেকে সিরাজ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির পরিচয় দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ফোনে দুটি এসএমএস করেন মো. সিরাজ। তার বাড়ি পাবনায়। এসএমএস দেখে সন্দেহ হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে জানান।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের এডিসি সাইফুর রহমান আজদ জানান, সিরাজকে গ্রেপ্তার করতে ডিবি তার বাড়িতে গেলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

তদন্ত সূত্র জানায়, নার্স বদলির আদেশ দেওয়া এসএমএস দুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে পাঠান। ডিবি বিষয়টি তদন্ত করে দেখে, রাষ্ট্রপতির ফোন নম্বর অথবা রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে এই এসএমএস যায়নি।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নবীনা খাতুন ও পারভীন আক্তারকে বদলির জন্য রাষ্ট্রপতি পরিচয় দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন প্রতারক সিরাজ। বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডিবি পুলিশকে জানান। ঘটনার তদন্তে নেমে ডিবি ভুয়া রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার করেছে।

জানা গেছে, সাভার এলাকার বাসিন্দা দুই নার্স সিলেট মেডিকেল থেকে গাজীপুরের কোনো একটি মেডিকেলে বদলি হতে কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সিরাজ তাদের বদলি করিয়ে দেওয়ার জন্য আড়াই লাখ টাকা চুক্তি করেন। এ ছাড়া তিনি সচিবালয় এলাকায় ঘোরাফেরার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে প্রতারণা করতেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পরিচয় দেওয়া গ্রেপ্তার সিরাজ একাধিক এমপির ভুয়া ডিও লেটার দিয়েছেন। ডিও লেটার দিয়ে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলির জন্য তদবির করতেন। সিরাজ অষ্টম শ্রেণি পাস। তিনি বিয়ে করেছেন তিনটি। তার এক স্ত্রী নার্স ও অন্যজন শিক্ষক। আট মাস আগে তিনি আরেকটি বিয়ে করেন। রাষ্ট্রপতি ছাড়াও সিরাজ বিভিন্ন এমপি ও মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। মোবাইল সিম কেনার পর ট্রুকলারে সিরাজ নম্বর সেভ করতেন রাষ্ট্রপতির নামে। সিরাজ যে সিম দিয়ে তদবির করতেন বা এসএমএস দিতেন, কাজ শেষ হওয়ার পর সেটি ফেলে দিতেন। এর পর সিম হারানোর নাটক সাজিয়ে ডিজি করতেন থানায়। সেটা দিয়ে আবার নতুন সিম কিনে একই প্রতারণা করতেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

সিরাজ রাষ্ট্রপতির নাম কেন ব্যবহার করলেন– এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তিনি কেন রাষ্ট্রপতির নাম ব্যবহার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া এমপি, মন্ত্রী এমনকি সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির নাম ব্যবহার করে যারা প্রতারণা করেছেন এমন সবাইকে ডিবি আইনের আওতায় এনেছে।’

Header Ad

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবিতে নেওয়া ওই তিন সমন্বয়ক হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

নাহিদ, আসিফ ও আবু বাকের তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে এই তিনজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নাহিদ হাসপাতালের সপ্তম তলার ৭০৩ নম্বর কক্ষে আর আসিফ তৃতীয় তলার ৩১১ নম্বর কক্ষে ভর্তি ছিলেন। নাহিদের সঙ্গে তার স্ত্রী আর আসিফের সঙ্গে বাকের ছিলেন।

আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। ফলে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। বিপাকে পড়েছেন এসব ইউজাররা। যদিও দিন দুয়েক আগে চালু করা হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কম। সীমিত পরিসরে চালু হওয়া এই ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের সুবিধা অনেকেরই নেই।

এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে গত সপ্তাহে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, রবি-সোমবারের মধ্যেই চালু হবে কাঙ্ক্ষিত মোবাইল ইন্টারনেট।

প্রতিমন্ত্রী পলক আশ্বাস দিয়েছেন, রবি সোমবারের মধ্যেই দেশে পুরোদমে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হবে।

তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা যাবে কি না সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

এদিকে দেশে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করতে গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজি অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি)।

জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

এর আগে, পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা মিলছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে কলকাতায় গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে কেউ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার।

মমতার এমন মন্তব্যে আপত্তিও জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পৌঁছে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবহিত। আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি আমি অন্যদের থেকে ভালো জানি। আমাকে শেখানোর দরকার নেই। বরং সঠিক নিয়মগুলো ওরাই শিখে নিক।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটায় তাহলে আমি তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেবো। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উদ্বাস্তু হলে তাকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা, উত্তেজনাতে না যাই। ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আপত্তি জানায়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ধরনের মন্তব্যে বিভ্রান্তি বাড়বে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল জানিয়ে দেন, অন্য কোনও রাষ্ট্র সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন।

সর্বশেষ সংবাদ

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট
'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে