রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে করা এক মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তার মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম সাহেদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। সাহেদের উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন আদালত।
সাহেদকে নির্দোষ দাবি করে সাহেদের আইনজীবী মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আর অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন কমিশন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
কমিশন ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দিয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে তিনি তা জমা না দেওয়ায় তাকে আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে এরপরও সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অনুসন্ধানের পর তার বিরুদ্ধে এ বছরের ১ জানুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরপর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর করছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (৭ মে) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এ পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি।
এদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি হস্তান্তর করেন।
এসময় সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, এতদিন তথ্যে নৈরাজ্য চলছিল, এখন অপঘাত ঘটছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এর মানে তা কী বার্তা দিচ্ছে। এখন ওখানে এমন কিছু ঘটছে, তা যদি জনসমক্ষে প্রকাশ পায় তাহলে বড় ধরনের নাশকতা হয়ে যাবে। এই নাশকতাকারীরা হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকরা।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ১৯৯০-এর দশক গণতন্ত্রের জন্য স্বর্ণযুগ ছিল। বর্তমানে সেটিকে বিশ্রুত মনে হয়। বর্তমানে তথ্য-উপাত্তে অপঘাত হয়েছে। আগে তথ্য-উপাত্তে দৃষ্টিশক্তির অভাব ছিল। এখন বৈকল্য এসেছে। এর সর্বশেষ প্রমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা। একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চাইলে এটা করতে পারে না। ঘরেই যদি না ঢোকা যায় তাহলে কী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে? এ থেকে বার্তা আসছে যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যেসব তথ্য-উপাত্ত থাকে সেগুলোর অবস্থা এমন যে, সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ পেলে বড় ধরনের নাশকতা হয়ে যেতে পারে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথ্য-উপাত্তের জন্য শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ছিল। অনেক তথ্য তাৎক্ষণিক পাওয়া যেতো। তার বিশ্বাসযোগ্যতাও ছিল। বিশেষ করে বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তুলনায় নির্ভরযোগ্য ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে নেয় তাহলে সুনামহানি ঘটবে, এতে সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, রপ্তানি হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালান্স অব পেমেন্টের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, টাকা আসছে না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে মানুষ তা জানে। এখন এই তথ্য বন্ধ করা হচ্ছে। এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্য নিয়ন্ত্রণ করা হলে সেটা সরকারের জন্য অপকারী। আর বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সময়ে এই উদ্যোগ নিয়েছে যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সরকারের সংস্কার উদ্যোগের ফলাফল বিশ্লেষণ করছে। সেসময় প্রবেশ নিষেধ, তার মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। এ আত্মসংরক্ষণমূলক পদক্ষেপ সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক নতুন ধরনের তথ্য সরকার প্রকাশ করতে শুরু করেছে। এতে দেশের গবেষকরা তথ্য-উপাত্ত প্রবাহে হঠাৎ আলোর ঝলকানি দেখছিলেন জানিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, আলোতে শুধু ঝলকানি থাকে না, তাতে তাপও থাকে। সেই তাপ অনেকে সহ্য করতে পারছেন না। এতে সবচেয়ে ক্ষতি হচ্ছে শুভ মনস্কামনাসম্পন্ন রাজনীতিবিদদের।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট বা ড্রোন হামলার আশঙ্কায় অন্তত চারবার সাইরেন বাজানো হয়েছে। ৩০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে এসব সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সরাসরি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সতর্কতার অর্থ হলো রকেট বা ড্রোন হামলা হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সেইসঙ্গে কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে শুরু গাজায় ৩৪ হাজারের বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছে ৭৮ হাজারের বেশি। অন্যদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছে ১২০০ জন, আহত তিন হাজারের বেশি।
এই যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা আক্রমণ চালাবে।