রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’: দেবপ্রিয়

‘মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠা‌নে বক্তব্য রাখছেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবা‌দিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মানে সেখানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’—এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বেসরকা‌রি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর পল্ট‌নে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে ‘মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠা‌নে এসব কথা ব‌লেন তি‌নি।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, এতদিন তথ্যে নৈরাজ্য চল‌ছিল, এখন অপঘাত ঘট‌ছে। বাংলা‌দেশ ব্যাংকে সাংবা‌দিক প্রবেশ কর‌তে দি‌চ্ছে না। এর মা‌নে তা কী বার্তা দি‌চ্ছে। এখন ওখা‌নে এমন কিছু ঘট‌ছে, তা য‌দি জনসমক্ষে প্রকাশ পায় তাহ‌লে বড় ধর‌নের নাশকতা হ‌য়ে যা‌বে। এই নাশকতাকারীরা হ‌চ্ছে বাংলা‌দে‌শের অর্থনৈ‌তিক বিটের সাংবা‌দিকরা।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ১৯৯০-এর দশক গণতন্ত্রের জন্য স্বর্ণযুগ ছিল। বর্তমানে সেটিকে বিশ্রুত মনে হয়। বর্তমানে তথ্য-উপাত্তে অপঘাত হয়েছে। আগে তথ্য-উপাত্তে দৃষ্টিশক্তির অভাব ছিল। এখন বৈকল্য এসেছে। এর সর্বশেষ প্রমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা। একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চাইলে এটা করতে পারে না। ঘরেই যদি না ঢোকা যায় তাহলে কী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে? এ থেকে বার্তা আসছে যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যেসব তথ্য-উপাত্ত থাকে সেগুলোর অবস্থা এমন যে, সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ পেলে বড় ধরনের নাশকতা হয়ে যেতে পারে।

‘মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠা‌নে বক্তব্য রাখছেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথ্য-উপাত্তের জন্য শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ছিল। অনেক তথ্য তাৎক্ষণিক পাওয়া যেতো। তার বিশ্বাসযোগ্যতাও ছিল। বিশেষ করে বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তুলনায় নির্ভরযোগ্য ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে নেয় তাহলে সুনামহানি ঘটবে, এতে সন্দেহ নেই।

তিনি বলেন, রপ্তানি হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালান্স অব পেমেন্টের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, টাকা আসছে না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে মানুষ তা জানে। এখন এই তথ্য বন্ধ করা হচ্ছে। এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্য নিয়ন্ত্রণ করা হলে সেটা সরকারের জন্য অপকারী। আর বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সময়ে এই উদ্যোগ নিয়েছে যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সরকারের সংস্কার উদ্যোগের ফলাফল বিশ্লেষণ করছে। সেসময় প্রবেশ নিষেধ, তার মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। এ আত্মসংরক্ষণমূলক পদক্ষেপ সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সাম্প্রতিক সময়ে অনেক নতুন ধরনের তথ্য সরকার প্রকাশ করতে শুরু করেছে। এতে দেশের গবেষকরা তথ্য-উপাত্ত প্রবাহে হঠাৎ আলোর ঝলকানি দেখছিলেন জানিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, আলোতে শুধু ঝলকানি থাকে না, তাতে তাপও থাকে। সেই তাপ অনেকে সহ্য করতে পারছেন না। এতে সবচেয়ে ক্ষতি হচ্ছে শুভ মনস্কামনাসম্পন্ন রাজনীতিবিদদের।

Header Ad

ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল, ফেঁসে যাচ্ছেন এএসআই

ছবি: সংগৃহীত

বাদীপক্ষের কাছে টাকা দাবি ও বিবাদীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ে দরকষাকষির অডিও ক্লিপ ভাইরালের পর ফেঁসে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার আসমানখালী পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলতাফ হোসেন। এ ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ। 

এর আগে গত ১৩ মে এএসআই আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের আফরোজা খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী নারী। এরপরই পুলিশ সুপার অভিযোগটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

ভুক্তভোগী নারী আফরোজা খাতুন বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর যাবত আমার স্বামী আতিয়ার হোসেন অসুস্থতার জন্য কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। তিন ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। কখনো দর্জির কাজ ও পাড়া-মহল্লার বাড়ির কাঁথা সেলাই করে সংসার চালিয়েছি। গত ১০ মাস যাবত স্থানীয় একটি বেসরকারি এনজিওতে (বীজ) রান্নার কাজ করছি। এ কাজ করি বিধায় আমার দেবর আক্তার আলী ও মেজো ভাশুর হাশেম আলী আমাকে নিয়ে স্বামীকে বিভিন্নভাবে ভুল বোঝাতে থাকেন। তারা আমার স্বামীকে বলেন, আফরোজার জন্য আমাদের মানসম্মান চলে গেল, সে খারাপ কাজ করে বেড়ায়। তাদের কথা শুনে আমার স্বামীও আমাকে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকেন। এ ঘটনার জের ধরে গত ৯ মে আমার দেবর ও মেজো ভাশুর হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে আসেন। প্রাণ রক্ষার্থে আমিসহ দুই নাবালক সন্তান আরেফিন রহমান (১৭) ও আল মেরাজকে (১২) নিয়ে ঘরের দরজা আটকে দিই। পরে ঘরে ঢুকতে না পেরে চাইনিজ কুড়াল ও হাঁসুয়া দিয়ে টিনের বেড়া এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যান তারা। 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১০ মে আমার বড় ছেলে আরেফিন বাড়িতে এসে তার বাবাকে বিষয়টি নিয়ে বলছিল। আমিসহ আমার অপর দুই সন্তান উপস্থিত ছিলাম। এ সময় আমার দেবর ও মেজো ভাশুর লোহার রড, লোহার পাইপ নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। আমাকেসহ আমার তিন সন্তানকে বেধড়ক মারপিট করেন। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মেজো ছেলেকে ভর্তি করি এবং আমার বড় ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার দিন ১০ মে আমার স্বামী, দেবর ও মেজো ভাসুরের বিরুদ্ধে আসমানখালী ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দায়ের করি। ক্যাম্পের পুলিশ উভয় পক্ষকে ডেকে আপস-মীমাংসা করে দেয়। এরপর আমি আমার সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিবাদীরা আমাদেরকে ঢুকতে দেননি। দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় খেয়ে না খেয়ে দুইদিন ঘুরেছি। আমার বড় ছেলে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। সামনে তার এইচএসসি পরীক্ষা। এমন অবস্থায় তার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

আফরোজা খাতুন বলেন, গত ১৩ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসানখালী ক্যাম্পের এএসআই আলতাফ হোসেন আমার বাড়িতে এসে আমাকে না পেয়ে আমার বড় জা, তার পুত্রবধূ ও তার মেয়ের সঙ্গে আমার নামে অশালীন ভাষায় কথাবার্তা বলেন এবং নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসমানখালী ক্যাম্পে দেখা করার জন্য বলেন। আমি একজন অসহায় গরিব মানুষ, আমার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। সে কারণে সঠিক বিচারের আশায় বড় স্যারের (পুলিশ সুপার) নিকট অভিযোগ করেছি।

এদিকে এ ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অডিও ক্লিপটিতে এএসআই আলতাফ হোসেন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজনের কণ্ঠ শোনা যায়। এএসআই আলতাফ হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘এই মানুষই ভালো করে, আবার এই মানুষই খারাপ করে। আমি যেভাবে বলব সেভাবে হবে।’ এমন কথা বলার পর ৫০ হাজার টাকা দাবি করতে শোনা যায় এএসআই আলতাফ হোসেনকে। এ নিয়ে দর-কষাকষি হতে থাকে। 

এএসআই আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমার একটা পাওয়ার আছে, সার্কেল স্যার আমার কাছের লোক (চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান)। তাকে আমি বুঝ দিতে পারব। আমার ব্যাকআপ কিন্তু সে।’   

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এএসআই আলতাফ হোসেন ঢ বলেন, ঘটনাটি সত্য নয়। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। 

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযোগটির তদন্ত চলছে। ভাইরাল অডিও ক্লিপটিতে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত এএসআই আলতাফ হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার দাবি অডিও ক্লিপটি এডিট করা। প্রয়োজন হলে আমরা অডিও ক্লিপটি ফরেনসিকে পাঠাব। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের নিকট জমা দেওয়া হবে।

দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার

ছবি: সংগৃহীত

দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার। রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকা জোলফায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা। তবে প্রেসিডেন্ট রইসি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

সংবাদমাধ্যম এপি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রইসির সাথে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুলাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নরও ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই সেখানে পৌঁছায় উদ্ধারকর্মীরা। তবে তীব্র ‍বৃষ্টি ও বাজে আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়।

ইব্রাহিম রইসি একটি বাঁধ উদ্বোধনের জন্য আজারবাইজান গিয়েছিলেন। এসময় বহরে আরও ৩টি হেলিকপ্টার ছিল বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজন চেয়ারম্যান প্রার্থী: টিআইবি

ছবি: সংগৃহীত

মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবুও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের অংশগ্রহণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে প্রথম ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন হলেন- নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ, কুমিল্লা সদরে আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই গোলাম সারওয়ার, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় নূর মোহাম্মদের ভাই নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় জিল্লুল হাকিমের চাচাতো ভাই ইহসানুল হাকিম সাধন, দৌলতপুর উপজেলায় রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই বুলবুল আহমেদ টোকন।

নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলায় মাশরাফি বিন মুর্তজার চাচা শ্বশুর ফয়জুল হক রোম, চুয়াডাঙ্গা সদরে সুলাইমান হক জোয়ারদারের ভাইয়ের ছেলে নাঈম হাসান জোয়ারদার, শরীয়তপুর সদরে ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া, বগুড়ার আমদিঘি উপজেলায় মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মেহেদির পিতা সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় মোরশেদ আলমের পুত্র সাইফুল ইসলাম দীপু, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আলী আজম মুকুলের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় রুমানা আলীর বড় ভাই জামিল হাসান দুর্জয়, সিলেটের উহাবল উপজেলায় মোহাম্মদ আবু জাহিরের শ্যালক আখতারুজ্জামান, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মোহাম্মদ মকবুল হোসেনের পুত্র গোলাম হাসনাইন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নুর উদ্দিন চৌধুরীর ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুর জামান।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় টিআইবি।

দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পেয়েছে টিআইবি।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানায়, কোথাও কোথাও সংসদ সদস্যদেরও সম্পদ বৃদ্ধিতে পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা। এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৭১ শতাংশ প্রার্থীই ব্যবসায়ী।

টিআইবি তাদের বিশ্লেষণে জনায়, পদে না থাকাদের তুলনায় থাকাদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে অনেক বেশি। ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ রয়েছে। প্রতি চারজন প্রার্থীর একজন ঋণগ্রস্ত প্রার্থী রয়েছেন। মোট প্রার্থীর মধ্যে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রার্থী বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণে টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে পাঁচ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এক্ষেত্রে দেখা যায় অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজার ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ।

টিআইবি আরও জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী এক হাজার ৮১১ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১৬৭ জন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জনসহ মোট ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংসদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একদলীয় প্রভাব রয়েছে। অধিকাংশ প্রার্থী এক দলের। এটাকে সুস্থ গণতন্ত্র বলা যায় না।

তিনি বলেন, রাজনীতির সঙ্গে সম্পদ বৃদ্ধি সম্পর্কিত- সেটা দেখা গেছে, যে কারণে সবাই ভোটে জিততে চান।

সর্বশেষ সংবাদ

ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল, ফেঁসে যাচ্ছেন এএসআই
দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজন চেয়ারম্যান প্রার্থী: টিআইবি
দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, আইন-শৃংখলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ব্রিফিং
মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ: নিপুণ
পুকুর খননের মাটির ভেতর থেকে মিলল কষ্টি পাথরের লক্ষ্মী-নারায়ন মূর্তি
ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ
কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী
যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে
বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল