শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

১৯৭১

"জানিস দাদুভাই! ভিষণ গোলাগুলি হচ্ছিল তখন। গেরিলা আক্রমণে আমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি শত্রুদের দিকে। ওরাও থেমে ছিলোনা। একেরপর এক খই ফোটার মতো গুলি করেই যাচ্ছে। এমন সময় আমাদের আবদুল ভাইয়ের বুকে গুলি লাগলো। অবস্থা বেগতিক। কমান্ডার শামসুল ভাইকে বললাম আবদুল ভাই সহ সবাইকে নিয়ে ফিরে যেতে। আমার সাথে দুটো মাইন। পাশাপাশি অস্ত্র আছে। এদিকটা আমি সামলে নিতে পারবো। যদিও মৃত্যু নিশ্চিত। পাকবাহিনী এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে। আমরা তখন অসহায়।"

বলেই একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললেন আহতাব রহমান। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। নিজের সাত বছর বয়সী নাতি আহনাফকে মুক্তিযু্দ্ধের সময়কার তার এক ভয়ংকর লড়াইয়ের গল্প শোনাচ্ছিলেন তিনি। সেদিন যদি সেই ছেলেটা দেবদূত হয়ে না আসতো তাহলে হয়তো আজ তিনি জীবিত থাকতে পারতেন না। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ নাতির নামও সেই ছেলেটার নামে রেখেছেন।
"ও দাদুভাই বলোনা। পরে কি হয়েছিলো?"

নাতির দিকে তাকিয়ে আবারও অতীতে ডুব দিলেন আহতাব।

১৯৭১ সাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে ঘোষণা দিলেন,
"রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম জয় বাংলা।"

বাঙালির রক্ত টগবগ করছে তখন। বহু বছরের পরাধীনতার জাল ছিঁড়ে বাঙালি মুক্তি চায়। স্বাধীনতা চায়। বঙ্গবন্ধুর ডাক যেন ছিল তারই প্রতিচ্ছবি। আহতাব একজন সরকারি কর্মকর্তা। উপস্থিত হয়েছেন রেসকোর্স ময়দানে। তারও রক্ত টগবগ করছে। মনে মনে একটাই চাওয়া। স্বাধীনতা। বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ২৫ শে মার্চের অতর্কিত হামলা। ৩০ বছরের আহতাব সদ্য বিবাহিত বউ নিয়ে ভিষণ ঝামেলায় পড়লেন। বাইরে হানাদার বাহিনীর হামলা। কি করবেন! কোথায় যাবেন! হতভম্ব হয়ে আছেন আহতাব। অতঃপর বহুকষ্টে প্রাণ বাঁচিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি পৌঁছালেন। হাতের উপর হাত দিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করলোনা তার। চারিদিকে হাহাকার, বর্বর পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞ। কয়েকজন মিলে চলে গেলেন ভারত ট্রেনিং করার জন্য। একে একে গেরিলা প্রশিক্ষণ, বন্দুক চালনা, মাইন ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে উঠলেন সকলে। একের পর এক ধ্বংস করতে লাগলেন শত্রুদের একেকটি বাঙ্কার। এমনই একদিন। শত্রুপক্ষের সাথে তুমুল যুদ্ধ হচ্ছে। চারিদিকে খই ফোটার মতো গুলির আওয়াজ। ওরা ছয়জন এগিয়ে যাচ্ছে শত্রুদের দিকে। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো তখনই। দুজন গুলি খেয়ে সাথে সাথে মারা গেলেন। তখনও চারজনে আক্রমণ চালাচ্ছেন। সবচেয়ে দক্ষ আবদুল রহমানের বুকে গুলি লাগতেই ঘাবড়ে গেলেন সকলে। তাছাড়া গুলিও কেবল কয়েকটা রয়েছে। এখনই ফিরে না গেলে নির্ঘাত প্রাণ যাবে। পাকবাহিনী বুঝতে পারলে মহা ঝামেলা হবে। কাউকে উপস্থিত থেকে তাদের ধোঁকার ভিতর রাখতে হবে। গুলি চালালে পাকবাহিনী দ্রুত আসবেনা এদিকটায়। আহতাব কমান্ডার শামসুলের উদ্দেশ্যে বললেন,
"ভাই, আপনি ওদের নিয়ে চলে যান। আমি এদিকটা সামলাচ্ছি। আবদুল ভাইকে নিয়ে ফিরে যান।"
"আহতাব এটা কি করে সম্ভব! তোমাকে ফেলে কি করে যাবো আমরা। তুমি দক্ষ একজন যোদ্ধা। এমনতেই আমরা দুজনকে হারিয়েছি।"

ভাঙা কন্ঠে বললেন শামসুল। পাকবাহিনী এগিয়ে আসছে। আহতাব চিৎকার করে বললো,
"ভাই, আমার চিন্তা না করে আপনারা ফিরে যান৷ আল্লাহর দোহাই।"

অবস্থা বেগতিক দেখে শামসুল বাধ্য হয়ে বাকি দুজনকে নিয়ে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় মাটিতে পড়ে থাকা দুটো লাশের দিকে তাকিয়ে বুকটা কেঁপে উঠলো তার। চোখ ফেটে এলো জল। দ্রুত চোখ মুছে প্রস্থান করলেন তিনি। আহতাব একা একাই গুলি চালাচ্ছে। একসময় ফুরিয়ে এলো গুলি। পাকবাহিনী ধরে ফেললো আহতাবকে। স্কুল মাঠের বাঙ্কারে বেঁধে নিয়ে চললো তাকে। কর্নেল ওসমানের সামনে হাজির করা হয় আহতাবকে। কর্নেল ঘৃণার দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রাজাকার মোল্লাকে উর্দুতে বললেন,
"ওকে বলো আস্তানার ঠিকানা বলতে। তাহলে ওকে ছেড়ে দেওয়া হবে।"

মোল্লা পান খাওয়া লাল দাঁত দিয়ে ভ্যাবলা হেসে বললেন,
"জ্বে, স্যার।"
"আহতাব মিয়া জলদি কইরা ঠিকানা কইয়া দাও স্যাররে।"

আহতাব বললেন,
"কিসের ঠিকানা?"
"তোমাগো আস্তানার।"
"মেরে ফেললেও বলবোনা।"

মোল্লা বিরক্তির সাথে তাকিয়ে আধাভাঙা উর্দুতে কর্নেল ওসমানকে বললেন,
"স্যার, আহতাব নাকি কহেগা নেহি।"

পাশে থাকা পানির গ্লাসটা আহতাবের মাথায় ছুড়ে মারলেন ওসমান। হুংকার ছাড়লেন। মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে অথচ আহতাব নির্বিকার। প্রচুর মারধর করা হলো তাকে। রাত দুইটায় নদীর পাড় নিয়ে গুলি করা হবে । বাঙ্কারের এককোনায় বেঁধে রাখা হলো তাকে। ক্লান্ত, ব্যথায় ক্লিষ্ট আহতাব নিবুনিবু চোখে নিজের মৃত্যুর অপেক্ষা করছেন। এমন সময় একটা আলো জ্বলে উঠলো চোখের সামনে। কে যেন এগিয়ে আসছে।
"এই যে। আপনি ঠিক আছেন? আপনি কি আহতাব রহমান?"
"হুম"

বলে আবার চোখ বুজলেন আহতাব। শরীরে প্রচুর ব্যথা। আস্তে আস্তে ব্যথাগুলো দূর হতে লাগলো। ক্লান্তি কেটে যাচ্ছে। শরীরে শক্তি ফিরে পাচ্ছেন আহতাব। আচমকা তিনি চোখ মেলে পাশে চিন্তিত এক যুবককে দেখতে পেলেন।
"কে? কে তুমি?"
"সেসব কথা পরে হবে আপনি আমার সাথে বাইরে চলুন।"

বলেই আহতাব সাহেবের হাতের বাঁধন খুলে দিলো ছেলেটি। আহতাব মুক্ত হলেন। আফসোস হচ্ছে মাইন দুটো নিয়ে নিয়েছে পাকবাহিনী। সাথে অস্ত্রও নেই। ফর্সা যুবকটা কাঁধের ব্যাগ হাতে নিয়ে কি যেন একটা বের করলো।

"এটা কি?"
"আপনাদের ভাষায় মাইন। তবে আরো শক্তিশালী।"

বলেই বাঙ্কারের মাটিতে পুঁতে দিলো মাইনটি। আহতাব অবাক হয়ে যুকটিকে দেখে যাচ্ছেন। এমন পোশাক পরিহিত মানুষ তিনি কখনো দেখেননি।
"আপনি এই অস্ত্রটি ধরুন।"

বন্দুকের মতো একটা অস্ত্র ছেলেটি ধরিয়ে দিলো আহতাব সাহেবের হাতে। আহতাব বিস্ময় নিয়ে বললেন,
"তুমি পাকবাহিনীর লোক?"
ছেলেটা একটু হাসলো। মাথা নেড়ে না জানালো।
"আপনি পরে আমাকে প্রশ্ন করবেন। আগে বাইরে চলুন। দশমিনিটের মাঝে মাইন ফেটে যাবে।"

বের হওয়ার কালে একজন সিপাহি দেখে ফেললো তাদের। ঘাবড়ে গেলেন আহতাব। যুবক ঘাবড়ালো না। বন্ধুক দিয়ে গুলি ছুড়লো। সোজা মাথায় লেগেছে সিপাহির। অথচ কোনো শব্দ হলোনা। সিপাহি আর্তনাদ করে পরে যেতেই দৌড়ে বাইরে বের হওয়ার কালে আবার বিপত্তি ঘটলো। আহতাবকে দেখে ফেললেন কর্নেল। হুংকার ছেড়ে দৌড়ে বের হতে নিতেই যুবক আবার গুলি করলো তাকে। আশেপাশে কোনো হানাদার নেই। তারা বেশিরভাগই অন্য বাঙ্কারে অবস্থান করছে। হাতে তখন পাঁচ মিনিট। মিনিমাম একশ মিটার দূরে না সরতে পারলে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত। বহুকষ্টে দৌড়ে বাইরে পালাতে সফল হলো তারা। আর পিছনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটলো। উড়ে গেলো হানাদারদের আস্তানা। আহতাব হাঁটুতে ধরে হাঁপাচ্ছিলেন। পাশের ছেলেটাকে ধন্যবাদ দিতে পাশ ফিরে দেখলেন একটা উজ্জ্বল আলোর ভিতর ছেলেটি হারিয়ে যাচ্ছে। তিনি ডাকলেন,
"এই ছেলে কে তুমি?"
"আহনাফ। আমি আহনাফ।"
বলেই ছেলেটা হারিয়ে গেলো। জ্ঞান হারালেন আহতাব।

দাদার মুখে প্রায়ই এই গল্পটা শুনতো আহনাফ। আজ সে ত্রিশ বছরের যুবক। দাদাজান বেঁচে নেই। একশত বছর জীবিত ছিলেন আহনাফের দাদাজান। আহনাফ নিজের ব্যাকপ্যাকটা রেডি করে নিলো প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে। তার দীর্ঘ পাঁচ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম সফল হয়েছে অবশেষে। টাইম ট্রাভেল আবিষ্কার করতে সে সফল। আহনাফ এখন ছুটে চলেছে ১৯৭১ সালে।




ডিএসএস/ 

Header Ad

থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা

ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান তিনি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

শুরুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেখানে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এসময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারী ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।

সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর করছেন।

আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের কাহারোলে পেট্রোল পাম্পে আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় জনতার হামলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুই সদস্য আহত হয়েছেন এবং পানিবাহী একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আহতরা হলেন- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের রেজাউল করিম ও গাড়িচালক মোতালেব হোসেন। আহতদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৮টার দিকে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের কাহারোল উপজেলার দশমাইল এলাকায় আরিফ ফিলিং স্টেশনে লরি থেকে রিজার্ভ ট্যাংকে পেট্রোল নামানোর সময় আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আরও ২টি ট্যাংকে আগুন লেগে পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাহারোল উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গেলেও মহাসড়কে প্রচণ্ড যানজটে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরি করে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সেখানে থাকা ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি লোহার অ্যাঙ্গেল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে পানি বহনকারী ট্রাকের ইন্সপেক্টর ও চালকসহ দুই সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়।

খবর পেয়ে কাহারোলের ইউএনও আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি জানান, লরি থেকে পেট্রোল নামানোর সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ারম্যানদের ওপর হামলা চালানোয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 

পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর ও ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী 

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ সংবাদ

থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা
আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩
মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে দেশে ফিরছে দুই প্রবাসীর লাশ
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা চলছে
পরিবারের অমতে বিয়ে, স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু