বুধবার, ২২ মে ২০২৪ | ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৪

অঘ্রানের অন্ধকারে

টেবিলের ওপর মগে আমার প্রিয় কফি। সুন্দর গন্ধ পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। কফির গন্ধে মনে চনমনে ভাব আসে। আমার মন যথেষ্ট চনমন করছে। কম্পিউটারে ‘তুরির নোটবুক’ লেখা ফাইল ওপেন করলাম। তুরিকে নিয়ে লেখা গল্পটা আরও খানিকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে। যতদূর লিখেছি তারপর লিখলাম, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এসে শাবিন ভড়কে গেল। এটা ঢাকার কাছাকাছি, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জাইল্লা গ্রামে। পরিচালনা করেন একজন ব্রাদার। নাম ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল। ২৫ বছর বয়সে শিক্ষকতা করার উদ্দেশ্যে আমেরিকা ছেড়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। পরে গড়ে তুলেছেন এই মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র। নাম দিয়েছেন আপনগাঁও। তিন একর জায়গার ওপর ওপর প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে। বিশাল খোলা প্রান্তর। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। আদিগন্ত ধানক্ষেত। মাঝখানে দুটো দালান।
শাবিন ভেবেছিল এখানে হাসপাতালের মতো সিঙ্গেল কেবিনের ব্যবস্থা থাকবে। এসে দেখে বড়ো একটা ঘরে ৭০ জনকে রাখা হয়েছে। সারি সারি বিছানা।
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে শাবিন নিজ ইচ্ছেতে এসেছে। তুরি তাকে আদর করে বলল, তুমি পুন্নিকে ভালোবাসো?
হ্যাঁ বাসি।

বিয়ে করতে চাও পুন্নিকে?
তুমি তো সব ভণ্ডুল করে দিলে।
তুরি এখন ঘরে শাবিনের সঙ্গে ফেনসিডিল খায়। ফেনসিডিল কেনার পয়সা তুরি দেয়। শাবিন কিনে নিয়ে আসে। এই ঘটনা শাবিনের মা জানেন না।
শাবিন তার বন্ধুদের সঙ্গে মেশা কমিয়ে দিয়েছে। সে প্রায় সবসময় ঘরে থাকে। সারাদিন ঘুমায়। মাঝেমধ্যে বাইরে গেলে অনেক রাতে বাড়িতে ফেলে। তুরি জানে শাবিন সেদিন পুন্নির কাছে যায়।
তুরি আর শাবিন বসে একসঙ্গে ফেনসিডিল খাচ্ছে। তুরি বলল, একজনের দুই বউ থাকতেই পারে। তুমি পুন্নিকে বিয়ে করো। আমি তুমি আর পুন্নি তিনজন একসঙ্গে থাকব।
শাবিন অবাক হয়ে হাসছে। হাসতে হাসতে বলল, অ্যাই, তোমার নেশা হয়ে গেছে। আর খেয়ো না।
আমার নেশা হয়নি। বলো, তুমি পুন্নিকে বিয়ে করবে?
মা রাজি হবে?
মাকে আমি রাজি করাব। মায়ের শরীর ভালো নেই। তোমাকে নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তা করেন।
আমাকে নিয়ে না, বাবাকে নিয়ে।
আমার ধারণা বাবা কোথায় আছেন, মা জানেন। তুমি সুস্থ হয়ে উঠলে মা তোমাকে বাবার ঠিকানা দেবেন।
আমি সুস্থ হয়ে উঠব। এই মাল ছুঁয়ে বলছি আগামীকাল থেকে সব বাদ। আর নেশা করব না।
একা একা নেশা ছাড়া যায় না। কষ্ট হয়।
তুমি আছ।
চলো রিহ্যাবে যাই। ওখানে থাকলে তুমি ভালো হয়ে যাবে।
অনেক টাকা লাগবে।
তোমাকে ছয় মাস থাকতে হবে না। পঁচিশ দিন থাকবে।
তাতেও অনেক টাকা দরকার। তিরিশ হাজার টাকার মামলা। পুন্নি চেয়েছিল। ওর জন্য খোঁজ নিয়েছিলাম।
মায়ের জন্য, তোমার আর পুন্নির জন্য টাকা আমি দেব।
শাবিন সকালে তুরির সঙ্গে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চলে এলো। জায়গাটা ভালো লাগল শাবিনের। গ্রামের ভেতর। চারদিকে ধানক্ষেত। চারদিকে ঘন সবুজ। জানালা দিয়ে হু হু করে বাতাস ঢোকে। বাইরে তাকালে মন ভালো হয়ে যায়।
শাবিনকে রেখে তুরি চলে যাচ্ছে। শাবিন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। তার মন খারাপ হয়ে গেল। সে বিষণœ চোখে তাকিয়ে থাকল। তুরি মাথা নিচু করে হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছে। সরু মাটির রাস্তা। শাবিন এতক্ষণ খেয়াল করেনি। এখন দেখল তুরি আজ শাড়ি পরেছে। তার পরনে সবুজ শাড়ি। তুরির হেঁটে যাওয়া দেখতে অপূর্ব লাগছে। শাবিনের চোখ ভরে পানি চলে এলো।

ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে। এখানে প্রার্থনা ঘর আছে। সেখানে সবাই গোল হয়ে বসেছে। প্রার্থনা হচ্ছে। অনেক ধরনের প্রার্থনা হয়। যেমন ক্ষমাদানের প্রার্থনা, প্রশান্তির প্রার্থনা, খাবারের প্রার্থনা, আশির্বাদের প্রার্থনা।
এখন আশির্বাদের প্রার্থনা হচ্ছে। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, তুমি সকল আসক্তিদের আশির্বাদ করো। যে যেখানে থাকুক না কেন সেই সমস্ত হতভাগ্য, যাদের আজ সত্যিকারভাবে সুস্থ হওয়া প্রয়োজন, তাদের প্রতি তুমি সহানুভূতিশীল হও, দয়া করো এবং এই সুন্দর পথ দ্বারা পরিচালিত করো, যেমন তুমি আমাকে ও আরও অনেককে সাহায্য করেছ। আশির্বাদ করো, যারা আজ সুস্থ এবং এই সুস্থতার পথ দ্বারা এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রভু, তুমি বিশেষভাবে সহানুভূতিশীল হও, দয়া করো যারা আজ সত্যিকারভাবে অসহায় এবং এখনো জানে না তারা তাদের মুক্তির পথ। আমিন।


শাবিনের পো উঠে গেছে। তার অস্থির লাগছে। হাতপা আড়ষ্ট হয়ে আসছে। নিজের হাত কামড়াচ্ছে। এক হাত দিয়ে আরেক হাত মোচড়াচ্ছে। নাক দিয়ে ঝরঝর করে সর্দি ঝরছে।
শাবিনের মনে হচ্ছে ধারালো কিছু পেলে সে নিজের হাত কেটে ফেলত। ধারালো কিছু পাওয়া গেল না। শাবিন ঘরের দেয়ালের সঙ্গে হাতপা আর শরীর ঘষতে থাকল।
একজন এসে তাকে তিনটা সিগারেট দিয়েছে। সিগারেটের নাম হলিউড। সস্তা দামের সিগারেট। খেতে জঘন্য। সকালে এই সিগারেট দেওয়া হয় তিনটা, বিকালে দুটো। দিনে মোট পাঁচটা। শুধু হলিউড না। সানমুন, ডারবি, পাইলট, শেখ নামের সিগারেটও দেওয়া হয়। সবগুলোই সস্তা দামের সিগারেট আর খেতে একইরকমের বিচ্ছিরি।
সিগারেট খেতে হয় বারান্দায় গিয়ে। সময় পাওয়া যায় ছয় মিনিট। সিগারেট রেখে দেওয়া যায় না। অন্য কাউকে দেওয়াও যায় না। অনেক নিয়ম এখানে। একা টয়লেটে যেতে দেয় না। সঙ্গে কেউ যায়।
লাল রঙের জ্যাকেট পরে একজন দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে। শাবিন জিগ্যেস করল, ওর কী হয়েছে?
সঙ্গে যে ছিল সে বলল, শাস্তি হচ্ছে। এখানে শাস্তি হয় কঠিন। তুমি নিয়ম না মানলে তোমাকে তিন ঘণ্টা দেয়ালের দিকে মুখ করে বসিয়ে রাখবে। খাবার বন্ধ করে দেবে। কেউ তোমার সঙ্গে কথা বলবে না। তুমি কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবে না। এটা হচ্ছে কুল আপ। খারাপ কাজের তিরস্কার। আর ভালো কাছের পুরস্কার হচ্ছে পুল আপ।
শাবিনকে খাতা দেওয়া হয়েছে তাতে তার অনুভূতি লেখার জন্য। শাবিন লিখল,
এক দুই তিন
চলে গেল দিন
চার বাদে পাঁচ
ছয় আর সাত
চলে এলো রাত।

ভোর হয়। প্রার্থনা দিয়ে শুরু হয় দিন। তারপর লাইন ধরে ব্রাশে পেস্ট নিয়ে দাঁত মাজা, রুটি-ডাল দিয়ে নাস্তা করা। প্রশিক্ষক বললে নাস্তা শুরু করতে হয়। প্রশিক্ষক যতক্ষণ না বলবেন ততক্ষণ নাস্তা খাওয়া শুরু করা যাবে না।
রুটি বেশি হয়েছে। শাবিনের খেতে ইচ্ছে করছে না। সে বলল, আমি একটা রুটি কাটতে চাই।
এটাই নিয়ম এখানে। পাশেরজনের দরকার হলেও কেউ তাকে রুটি বা ভাত দিতে পারবে না। লিডারকে বলতে হবে। তখন যার প্রয়োজন তাকে লিডার সেই রুটি বা ভাত কিংবা তরকারি পৌঁছে দেবেন।


নিয়ম মেনে চলতে হয়। সবাইকে ‘ভাই’ আর ‘আপনি’ বলে কথা বলতে হয়। রাতের শিফটে গ্রুপ ভাগ করে পাহারার ব্যবস্থা থাকে। অনেকগুলো গ্রæপ আছে। কিচেন গ্রুপ, তরিতরকারি রেডি করা গ্রুপ, টয়লেট পরিষ্কার করা গ্রুপ। গ্রুপের কাজ প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। কিচেন গ্রæপকে ভোরবেলা উঠে চুলা জ্বলিয়ে রুটি বানাতে হয়। ঘুরেফিরে সবাই সব কাজ করে।


বেলা এগারোটায় চা-মুড়ি। বারোটায় মাদক গ্রহণের কুফল নিয়ে ক্লাস। ভাত রান্নার চাল বেছে পরিষ্কার করা লাগে। সেই চালে ভাত রান্না হয়। খাওয়ার সময় প্রার্থনা করা লাগে। খাবারের প্রার্থনা। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, এই সুন্দর সকালে/দুপুরে/রাতে যে খাবার তুমি আমাদের দিয়েছ তার জন্য তোমাকে জানাই ধন্যবাদ...।
ভাত খেয়ে বিশ্রাম। ঘর পরিষ্কার করা, ব্যায়াম সেরে বিকাল তিনটায় গোসল। গোসলের সময় দুই মিনিট। বিকেলে গান-বাজনা করা যায়। রাতে টিভি দেখে প্রার্থনার পর ঘুম। সপ্তাহে একদিন ফুটবল খেলতে দেয়।

চলবে..

 

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রকে ১৫৪ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

আবারও ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। এক হৃদয় ছাড়া ভালো করতে পারেননি আর কোনো টপ অর্ডার ব্যাটার। হৃদয়ের ফিফটিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিপক্ষে মাঝারি পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ১৫৪ রানের টার্গেট দিয়েছে টাইগাররা।

মঙ্গলবার (২১ মে) হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস।

তবে এরপরই খেই হারায় সৌম্য-লিটন। দলীয় ৩৪ রানে সাজঘরে ফিরে যান তারা। এখানেও ব্যর্থ লিটন। ১৫ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি। লিটনের বিদায়ের পর পরই ১৩ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য।

এই দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। তবে সুবিধা করতে পারেননি শান্ত। দলীয় ৫১ রানে ১১ বলে ৩ রান করে আউট হন এই টাইগার অধিনায়ক।

শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন হৃদয়। তবে দলীয় ৬৮ রানে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন সাকিব।

১২ বলে ৬ রান করে আউট হন সাকিব। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন হৃদয়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ।

৪০ বলে ফিফটি করেন হৃদয়। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৬৭ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। তবে দলীয় ১৩৫ রানে ২২ বলে ৩১ রানে করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন হৃদয়। ৪৭ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে স্টিভেন টেইলর নেন ২টি উইকেট।

ইতালিতে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য সুখবর!

ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, ইতালি আগামীতে ৭ লাখ কর্মী নিতে পারে এবং বৈধভাবে দেশটিতে দক্ষ জনবল প্রেরণ করা হবে। এ বিষয়ে দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ তার জনবলকে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।

তিনি বলেন, প্রবাসী কর্মীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ইতালি দক্ষ জনবলের চাহিদাপত্র দেবে, সেই পত্রের বিপরীতে কম খরচে কর্মী প্রেরণ করা হবে। ইতালি সরকার চাইলে আমাদের টিটিসিগুলোতে তাদের চাহিদা মতো জনবল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।

তবে ইতালি কত বছরে কোন কোন খাতে কর্মী নেবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানাননি মন্ত্রী।

ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো জানান, ‌‘ইতালি ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য ইতালিতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের কাজের সুযোগ তৈরি করতে আগ্রহী। ইউরোপে বৈধভাবে অনেক বাংলাদেশি যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অবৈধভাবে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বৈধ পথে কীভাবে মাইগ্রেশন করা যায় সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। দক্ষ জনশক্তিকে ভিসা দিতে আমরাও আগ্রহী কিন্তু কখনো কখনো ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করা হয়। ফলে ভিসা দেওয়া সম্ভব হয় না।’

ইতালি যেতে দালালদের অর্থ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো।

তিনি বলেন, ‘দালালেরা আবেদনকারীদের কাছ থেকে বেশি অর্থ নেয়, যা কখনো কাম্য নয়। দ্রুত ভিসা দিতে আমরা বেশ কিছু বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিচ্ছি। তাই সবাইকে আহ্বান জানাই দালালদের অর্থ দেবেন না।’

২৫০ জনের টিম নিয়ে হজে যাচ্ছেন অনন্ত জলিল

ছবি: সংগৃহীত

হাতে একাধিক বিগ বাজেটের সিনেমার কাজ অনন্ত জলিলের। ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমার কিছু অংশের শুট করলেও বাকি অংশের শুটিং ঈদের পর ইউরোপে হবার কথা। এরপর শুরু করবেন ‘চিতা’ সিনেমার কাজ। এরমধ্যেই খবর, পবিত্র হজ পালনে যাচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত এ তারকা। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অনন্ত জলিল নিজেই।

সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ২৫০ জনের টিম নিয়ে মক্কার উদ্দেশে রওনা হবেন এ তারকা। অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমরা বড় একটা টিম যাচ্ছি হজে। ২৫০ জনের একটা টিম। সঙ্গে অনেক হাজি যাচ্ছেন। জানি না কার দোয়া কবুল হবে! তাই হাজিদের সঙ্গে যাওয়াই ভালো।’

 

ছবি: সংগৃহীত

গত বছর শেষদিকে সপরিবারে ওমরাহ পালন করেন অনন্ত জলিল। সেসময় এক ফেসবুক পোস্টে বর্ষা লিখেছিলেন, ‘আলহামদুল্লিলাহ, অবশেষে আসতে পারলাম। ঘুরে দেখলাম মদিনা। মুগ্ধ হয়ে গেলাম সবকিছু দেখে, সুবহানল্লাহ। সবাই দোয়া করবেন, আমার সন্তানদের জন্য।’

এদিকে, বর্তমানে অনন্ত-বর্ষা দু’জনেই ব্যস্ত আছেন ব্যবসায়িক কাজে। গত ৩০ মার্চ রাজধানীর নিউমার্কেটে ‘এজে ভাই’ নামে একটি শোরুম উদ্বোধন করেছেন অনন্ত। আর বর্ষাও চলতি মাসে নতুন ব্যবসা করার ঘোষণা দিয়েছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রকে ১৫৪ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
ইতালিতে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য সুখবর!
২৫০ জনের টিম নিয়ে হজে যাচ্ছেন অনন্ত জলিল
রোনালদোকে নিয়েই পর্তুগালের শক্তিশালী দল ঘোষণা
মা হারালেন ভিডিও নির্মাতা নাদির নিবরাস
সাগরে লঘুচাপের আভাস, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে
ঢাবিতে গোলাম মাওলা রনির গাড়িতে হামলা
যুদ্ধবিমানের বহর নিয়ে ইরান যাচ্ছেন পুতিন
আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন ওবায়দুল কাদের
বিরামপুরে ধান-চাল-সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক
আখাউড়ায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই, পুকুর থেকে উদ্ধার
১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাইসির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা, ক্ষুব্ধ ইসরায়েল
উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
নিষেধাজ্ঞায় তাদের অপকর্ম থামেনি: ফখরুল
দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার
আজ চা প্রেমীদের দিন
সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কেন্দ্র দখল ও ভোটে কারচুপি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তাবরিজে রাইসির শেষ বিদায়ে হাজারও মানুষের ঢল