মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা

 

সোহওয়ার্দী উদ্যানের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন আরেফিন। তিনি ছাড়া উদ্যানে আর দ্বিতীয় মানুষ নেই। ভরদুপুরে উদ্যানে আরো মানুষ থাকার কথা। অনেকেই গরমের উত্তাপ সইতে না পেরে উদ্যানে গাছের ছায়ায় জিরিয়ে নেয়। তরুণ ছেলেমেয়েরাও প্রেম করতে যায় উদ্যানে। আজ কেন নেই তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি চোখ বন্ধ করে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি তার নিজের জীবন, তার স্ত্রীর জীবন এবং সংসার জীবন নিয়ে ভাবেন।

দাম্পত্য জীবনে পা দেয়ার পর তার মনে হয়, জীবনটা একেবারে শেকলে বাঁধা। বাধাধরা জীবন। এই জীবন তার জন্য নয়। কেন তিনি শুধু শুধু একটা মেয়েকে ভালোবাসলেন; তাকে বিয়ে করলেন! বিয়ের আগেও যদি কোনোভাবে বুঝতে পারতেন তাহলে তিনি বিয়েই করতেন না।

আরেফিন ভাবেন, তিনি একটা ছোট পরিবারের সন্তান। তার বাবা প্রকৃত অর্থেই চাষা। তার মা পড়ালেখা না জানা এক গৃহিনী। তিনি ছাড়া পরিবারের আর কারো অক্ষরজ্ঞান নেই। গণ্ডমুর্খ বললেও ভুল বলা হবে না। আরেফিন গোবরে পদ্মফুলের মতো। স্রেফ মেধার গুণে উতরে গেছেন। তার উচিত ছিল, ছোট পরিবারের একটা মেয়েকে বিয়ে করা। তা না করে তিনি বিয়ে করেছেন বড় ঘরের মেয়েকে। শুধু বড় ঘরে বললে ভুল হবে, দুই পরিবারের মধ্যে ব্যবধান আকাশ আর পাতাল।

মোহিনীর বাবা মোহসীন আহমেদ ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী। ঢাকা শহরের তার তিনচারটা বাড়ি। বেশ কয়েকটা ফ্ল্যাট। গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক। তবে পরিবারটাকে দেখলে বোঝা যায় না। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে মোহিনীর সঙ্গে তার পরিচয়। মোহিনী কেন জানি আরেফিনকে ভালোবেসে ফেলে। আরেফিনের আপত্তি সত্ত্বেও তিনি তাকে বিয়ে করেন। মোহিনীকে বার বার তার পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে বলতে চেয়েছেন। কিন্তু মোহিনী কোনো কথা শুনতে চাননি। তিনি বলেছেন, আমি তো তোমাকে বিয়ে করব। তোমার পরিবারকে নয়। পরিবার দেখে কি লাভ?

আরেফিন বিয়ের পর থেকে অস্বস্তিবোধ করতে থাকে। বিয়ের পর মোহিনীকে নিয়ে যে গ্রামে যাবে তা হয়ে ওঠেনি। কারণ আরেফিনের মা-বাবা কিংবা ওর ঘরবাড়ি দেখলে মোহিনীর কি প্রতিক্রিয়া হবে তা চিন্তা করেই তার অস্থির সময় কাটে। নিজেকে বড় ছোট মনে হয় আরেফিনের। মোহিনীর পাশে তাকে বড়ই বেমানান মনে হয়। তাছাড়া সে যে চাকরি করে সেটাও মোহিনীদের স্ট্যাটাসের সঙ্গে যায় না।

মোহিনী আরেফিনকে কয়েকবারই বলেছিলেন, তাদের সু ফ্যাক্টরিতে তাকে যোগ দিতে। কিন্তু মোহিনী যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সে প্রতিষ্ঠানে তিনি সাধারণ একজন কর্মকর্তা হয়ে কি করবেন? তাই তিনি যোগ দেননি। যদিও মোহিনী বলেছিলেন, তোমাকে প্রথমে কাজটা শিখতে হবে। ব্যবসাটা বুঝতে হবে। আত্মস্থ করতে হবে। নিজের আয়ত্তে নিতে হবে। ব্যবসাটাকে নিজের মনে করতে হবে। তারপর তোমাকে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে আমরা নিয়োগ দিতে পারি। তার আগে নয়।

মোহিনীর এই প্রস্তাবে রাজি হননি আরেফিন। তিনি বলেছেন, আমি আসলে ব্যবসা বুঝি না। ব্যবসায় মন বসাতে পারব না। লাভক্ষতির হিসাব আমার ভালো লাগে না। আমি আমার নিজের মতো করেই কাজ করি। দেখি আমি কতটা কি করতে পারি।

আরেফিনের অগ্রগতি মন্থর। তিনি আগাচ্ছেন খুব ধীরে। এতে তার ভেতরে হতাশা তৈরি হয়। তিনি হীনমন্নতায় ভোগেন। নিজেকে বড় ছোট মনে হয় তার। আরেফিন যে ফ্ল্যাটটিতে থাকেন সেটি মোহিনীর কেনা। বনানীতে আড়াই হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটটি দুজনের জন্য বেশ বড়ই বলা চলে। তাদের একটি গাড়ি আছে। সেটিও মোহিনীর কেনা। বাসার বাজার আসে মোহিনীদের বাসা থেকে।
মোহিনীর বাবা মোহসীন আহমেদ প্রতি মাসে নিজের এবং মেয়ের জন্য বাজার করেন। ফলে বাসার ব্যাপারে আরেফিনকে মোটেই ভাবতে হয় না। এটাই যেন আরেফিনের কাল হয়েছে। কথায় বলে না, অধিক সুখ সবার কপালে সয় না। আরেফিনও অধিক সুখে কেমন যেন হয়ে গেছে। ছোট পরিবার থেকে উঠে এলে মনটাও বুঝি ছোটই থাকে। ছোটলকিপনা থেকেই যায়।

আরেফিন নীচু মানসিকতার গণ্ডি থেকে বের হতে পারছেন না। চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন, সবকিছু ভুলে মোহিনীকে মনেপ্রাণে ভালোবাসবেন। তাকে গভীর ভালোবাসায় আগলে রাখবেন। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন দূরত্ব বাড়ছে। এটা আরেফিনের ইচ্ছাকৃত না নয়। মানসিক দূরত্ব থেকে শারীরিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে তারা কেউ কাউকে আদর করেন না। গভীর আবেগ জড়িয়ে ধরেন না। ঠোটে ঠোট, শরীরে শরীর মেলান না। অথচ তাদের এখন ভরা যৌবন।

আরেফিন হাত পা ছড়িয়ে মাঠের মধ্যে বসেছেন। সিগারেট ধরিয়ে কয়েকটা টান দিয়ে আকাশের দিকে কুন্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া ছাড়ছেন। তারপর আবার চুপচাপ বসে আছেন। সিগারেট দুই আঙুলের ফাঁকে চেপে ধরে আছেন। ধীরে ধীরে সিগারেট জ্বলছে। হঠাৎ এক পাগলা ধরনের লোক এসে তার সামনে দাঁড়িয়েছে। তার মাথায় দুটি বিশালাকারের জট। মুখভর্তি দাড়ি। জীবনে কখনো সেভ করেছে কি না কে জানে। দেখে মনে হয় না। গায়ে কাপড় খুব একটা নেই। হয়তো কখনো গোসলও ঠিকমতো করে না।

লোকটা আরেফিনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বলল, কিরে তোর সিগারেট তো পুড়ছে। মনটাকেও ওভাবে পোড়াচ্ছিস? এমন করে মন পুড়ে কি হবে? যা যা! বাড়ি যা। মনটাকে শান্ত কর।
আরেফিন বিস্ময়ের দৃষ্টিতে লোকটার দিকে তাকিয়ে আছেন। তার মনে প্রশ্ন, লোকটা তার মনের খবর জানে কিভাবে? তা কি সত্যিই কোনো ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে।

আরেফিন কি মনে করে যেন লোকটার দিকে হাতের সিগারেটটা এগিয়ে দেয়। ততক্ষণে লোকটা ওর সামনে থেকে উধাও। চারদিকে তাকায় সে। কোথাও নেই। নেই তো নেই। কোথায় গেলো লোকটা? চোখের সামনে এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল! আর এখন নেই!

আরেফিন মনে মনে ভাবেন, আমি কি ভুল দেখলাম! না তো!

আরেফিন আবার সিগারেট টানে। একটার পর একটা সিগারেট শেষ করে। কিন্তু মন কিছুতেই স্থির হয় না। ভেতরে ভেতরে কেমন যেন ছটফটানি। হঠাৎ হঠাৎ সবকিছু কেমন খালি খালি লাগে। মাথাটা শূন্য হয়ে যায়।

কিছু সময় পর আরেকজন লোক আরেফিনের সামনে এসে দাঁড়ায়। তার ভাবসাব দেখে মনে হয় কিছু বলতে চায়। কিন্তু আরেফিন তার কথা শুনতে চান না। তিনি আরেকদিকে তাকিয়ে থাকেন। আরেফিন যেদিকে তাকান লোকটা সেদিকে গিয়ে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে বলে, ভাই পকেটে টাকা হবে?

আরেফিন এবার বিস্ময়ের দৃষ্টিতে লোকটার দিকে তাকান। লোকটা তখন তাকে বিনয়ের সঙ্গে বলে, আমি চাইলে আপনার কাছ থেকে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিতে পারি। কিন্তু আমি তা করতে চাই না। কারণ, আপনাকে দেখে বড় অসহায় লাগছে।

আরেফিনের চোখেমুখে আরো বিস্ময়। তার বিস্ময় দেখে লোকটা আবার বলে, আমার ভীষণ ক্ষুধা লাগছে। টানা তিনদিন পেটে কোনো দানাপানি পড়েনি। আর চলতে পারছি না। আমাকে কিছু টাকা দেবেন। ভাত খাবো।
আরেফিন কোনো বাক্য ব্যয় না করে মানিব্যা
গ থেকে পাঁচশ’ টাকার একটি নোট বের করে লোকটার সামনে এগিয়ে দিলেন। লোকটা টাকা হাতে নিয়ে মুচকি হেসে বলল, ধন্যবাদ।

টাকা হাতে পেয়ে লোকটা টিএসসির দিকে চলে গেলো। আরেফিনও আর সেখানে থাকলেন না। তিনি ধীরে ধীরে শাহবাগের দিকে রওয়ানা হলেন। পাগলা লোকটার কথা তার বার বার মনে পড়ছে। লোকটা হঠাৎ এলো আবার চোখের পলকে চলে গেলো। কিন্তু সে যা বলে গেলো তা সত্যিই বিস্ময়কর। আগে কোনোদিন এ ধরনের লোক চোখে পড়েনি।

আরেফিন মনে মনে ভাবেন, ইশ! লোকটাকে যদি পেতাম! যে মনের খবর জানে তার কাছে নিশ্চয়ই মন ভালো করার ওষুধও আছে। আমি যাকে বিয়ে করেছি তার সঙ্গে কি আমার সংসারটা টিকবে? কি জানি। না টিকলে আর কী করা! জোড়াতালি দিয়ে তো আর সংসার টিকানো যায় না।

আরেফিন দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে আবার হাঁটতে থাকেন।

আরেফিনের এক বন্ধু সওগাত আলী ঢাকা ক্লাবের সদস্য। তার মোবাইলে ফোন দিয়ে বললেন, সওগাত, তুই আছিস তো! আমি কিন্তু আসছি।

সওগাত আলীর সঙ্গে কথা শেষ করে মোবাইল বন্ধ করলেন। পরপর পকেটে ঢুকিয়ে ঢাকা ক্লাবের দিকে এগিয়ে গেলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি ঢাকা ক্লাবে গিয়েছেন। কিন্তু সেগুলো ছিল লাঞ্চ কিংবা ডিনার পার্টি। আজ যাচ্ছেন মদ খেতে। সওগাতকে আগে থেকেই তিনি বলে রেখেছেন। সওগাত আলীও প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন।

সওগাত আলী আরেফিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু। লেখাপড়া শেষ করে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। এখন বেশ কয়েকটা গার্মেন্টসের মালিক। ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্লাবের সদস্য। টাকা পয়সা প্রচুর। প্রতিদিন সন্ধ্যায় কোনো না কোনো ক্লাবে তিনি আড্ডায় বসেন। সেই বন্ধু অনেকবার আরেফিনকে ক্লাবে দাওয়াত দিয়েছেন। তিনি যাননি। আজ নিজেই তিনি বন্ধুর কাছে ক্লাবে আসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সওসাত আলী ক্লাবে আরেফিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এরমধ্যে কয়েকবার ফোনে তাদের যোগাযোগ হয়েছেন। ক্লাবে গিয়ে অভ্যর্থনার সামনে দাঁড়াতেই সওগাত আলী তার কাছে এগিয়ে যান। তাকে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানান। দুজন করমর্দন ও কোলাকুলি দুই-ই করেন। তারপর ক্লাবে ঢোকেন। দুই বন্ধু গল্প করেন আর মদ গেলেন। আরেফিন একে বলে পাগলা পানি। সেই পাগলা পানি উদরে পড়তে না পড়তেই অল্প কথা বলার মানুষ আরেফিনের মুখে যেন খই ফোটে। অবাক বিস্ময়ে সওগাত আলী আরেফিনকে দেখেন। আর মনে মনে বলেন, আমার বন্ধু হঠাৎ এতো কথা বলছে! হুম! বুঝেছি, পেটে মদ পড়লে বন্ধুর হুঁশ থাকে না। মুখ দিয়ে শুধু কথা বের হয়।

সওগাত আলী বন্ধুর কাছে জানতে চান মোহিনী সম্পর্কে। কেমন চলছে মোহিনী আর আরেফিনের সংসারজীবন। তারা সুখে আছে নাকি দুঃখে। এরমধ্যেই দুজনের অবস্থা ঢুলু ঢুলু। পাগলা পানির প্রভাব শুরু হয়ে গেছে। মাথাটা কেমন ঘুরতে শুরু করে। পেটের কথা কী আর পেটে থাকে! মোহিনীর সঙ্গে তার খারাপ সম্পর্কের কথা জানায় বন্ধুকে। শুরু থেকেই যে তাদের বনিবনা হচ্ছে না তা সবিস্তারে বলতে থাকেন। সওগাত আলী নিজের স্ত্রীর বিষয়ে নানা কথা বলে। উভয়েই উভয়ের স্ত্রীর বিষয়ে বলে যেন সীমাহীন আনন্দ উপভোগ করেন।

অন্যের কাছে স্ত্রীর বদনাম করে যে এতো আনন্দ পাওয়া যায় তা আরেফিন আজ প্রথম টের পেলেন।

 

চলবে...

 

আরও পড়ুন:

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

 

 

Header Ad

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ বছরও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৩ জুন আলোচনা সভায় নেতাদের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা আমাদের সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও দাওয়াত করা হবে। তবে বাস্তবতার কথা বিবেচনা করেই আমরা চিন্তাভাবনা করছি বিদেশি অতিথিদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না।’

তিনি বলেন, ‘বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আমরা পার্টির হীরকজয়ন্তী উদযাপন করব। ব্যাপকভাবে এটা সংগঠিত করার চিন্তাভাবনা করছি। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে থাকবে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি। বিদ্যুতের সংকটের কথা বিবেচনা করে আলোকসজ্জা বাদ দিয়েছি। আনন্দ র‍্যালি করবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৩ জুন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা হবে। আলোচনা সভার আগে আধাঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দুপুরে সব ধর্মালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সবুজ ধরিত্রী কর্মসূচি নিয়েছি। সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত।’

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৭ মে সকালে নেতাদের সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা হবে। দুপুরে সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা হবে। বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস কার্যালয়ে আলোচনা সভা করা হবে। আগের দিন ১৬ মে দুপুরে অসচ্ছল গরিব মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে আলোকসজ্জার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়েছে।’

যারা দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, সময় মতো তাদের শাস্তি পেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের নিবৃত্ত করতে দলের সাংগঠনিক বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তারা সক্রিয় উদ্যোগে রয়েছেন। যারা ডিসিপ্লিন ভাঙবে, সময় মতো তাদের কোনো না কোনো শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের একশন কোনো না কোনোভাবে থাকেই। ৭০ জনের বেশি সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন না দেওয়া, আগের মন্ত্রিপরিষদের ২৫ জনকে নতুন কেবিনেটে না রাখা কি এর উদাহরণ নয়?’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধ্বংস করেছে তারা। প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ভুয়া ভোটার, হ্যাঁ-না ভোট তো তাদেরই সৃষ্টি। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার কাজ শেখ হাসিনাই করেছেন। বিএনপি মাগুরা মার্কা আর ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছে। গণতন্ত্রে কোনোদিন তাদের আগ্রহ ছিল না।’

গোবিন্দগঞ্জে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপনী

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) আয়োজনে ৫দিন ব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপনী শেষে সাটিফিকেট বিতরন করা হয়।

সোমবার দুপুরে কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদ কায্যলয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক গাইবান্ধা এজিএম রবিনচন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্পাসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল ফৈরদাউস,রেজওয়ানুল ইসলাম প্রমুখ। ৫দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ শেষে ২৫ জন উদ্যোক্ত কে সাটিফিকেট বিতরন করা হয়।

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আরও ৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেওয়ায় আরও তিনজনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার করা তিনজন হলেন- ময়মনসিংহ বিভাগের মো. নুর সালাম সরকার (ভাইস চেয়ারম্যান), ঢাকা বিভাগের এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া (ভাইস চেয়ারম্যান) ও রংপুর বিভাগ মো. তহিদুল আলম মন্ডল সুমন (চেয়ারম্যান)।

 

এর আগে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১৪২ জনকে ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ৬২ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: ওবায়দুল কাদের
গোবিন্দগঞ্জে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপনী
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আরও ৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি
আপাতত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন স্থগিত
প্রিমিয়ার লিগে বিধ্বংসী বোলিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন রাজা
দুদকের ‘ধাওয়ায়’ বিদেশ পালিয়েছেন বেবিচকের ৭ কর্মকর্তা
জনগণকে কবর দিয়ে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়: রিজভী
‘মঙ্গল গ্রহে গেলেও সেরা ক্লাব হবে রিয়াল মাদ্রিদ’
আমার জীবনের পাঁচটা বছর আমি গাঁজা খেয়ে নষ্ট করেছি : হানি সিং
মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের গৃহকর্মীর বাসায় টাকার পাহাড়
স্বামীকে মাঠে খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু
এক ফোনে ২ সিম ব্যবহার করলেই গুণতে হবে বাড়তি খরচ
অসহায়দের সেবা না দিয়ে টাকা ব্যাংকে জমাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন
সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন ৫০ ফিলিস্তিনি ছাত্রী
সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
হিট স্ট্রোকে ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও সমাবেশ
টাইটানিকের সেই ক্যাপ্টেন বার্নার্ড হিল আর নেই