রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১

নেই দেশের নাগরিক

‘কক’ করে উঠলেন! ছেড়া-ফাটা কাঁথা-কাপড়ের পোঁটলা-পুঁটুলির ভেতর থেকে শব্দটা কুঁকিয়ে বেরোল! সে শব্দ শুনে ডুকরে উঠলেন হালেমা, ‘ও আল্লাহ!’ ধড়মড় করে বৈঠাটাকে বাঁশের বাতিতে ঠেসে কোমর ঠেলে ঠেলে পুঁটুলির দিকে এগোল নুহু। সে ঘষটানির ঘষ ঘষ শব্দ অন্ধকার ফুঁড়ে কাতরাচ্ছে।

দুরুদুরু কণ্ঠে নুহু বলল, ‘আল্লাহর উপর ভরসা রাখ, আল্লাহ রহমানের রহিম’। ‘আর কী বা বাকি আছে, যে ভরসা রাখতে হবে! ভিটেমাটি, জমিজিরেত, আবাদপানি সবই তো চলে গেল! খবিশরা আমার ডুগডুগে বৌটাকে চোখের সামনে নেকড়ের মতো ছিড়ে খেল আর ভরসা… ।’

ভিজে গলা অভিমানি হয়ে ওঠে হালেমার। তার ভেতরের নাড়ি দুমড়ে মুচড়ে উঠছে। যেন আস্ত নাফ নদীটা তার চোখে এসে উথলে পড়ছে। এ কি জলের নদী, না যন্ত্রণার? মানুষের শরীরেও নদী থাকে। সে নদী যেমন ঝর্ণার মতো কুলকুল করে বয়, আবার ফোয়াত নদীর মতো কষ্টের ক্ষিরও হয়ে ওঠে। আল্লাহর প্রতি ভরসা একটু একটু করে মরতে বসেছে হালেমার। তার ক্ষোভ, ‘মাটি দিতে পারবেন না তো জন্ম দেওয়ার কী দরকার ছিল?’ পাথরের মতো নিশ্চল হয়ে বসে থাকেন হালেমা। কাঁথাটা ধুকপুক ধুকপুক করে নড়ছে। ভাবেন, মানুষটা এবার সত্যি সত্যি কাঁথা হয়ে যাবে! মানুষটার ঘাড়ের কাছে ছো মেরে বসে আছে মরণের ফেরেশতা আজরাইল! কখন খপ করে কলজে থেকে জানটা ছিনিয়ে নিল বলে! তাহলে কি মানুষটার শেষ ইচ্ছে পূরণ হবে না? চারপাশ ঘুলঘুল করে দেখলেন হালেমা। শুধু জল আর জল! কোত্থাও মাটির চিহ্ন নেই! জলের ওপর ঠেস মেরে বসে আছে ঘুটঘুটে আঁধার। হালেমা ভাবেন, এ আঁধার নয়, এ হল আজরাইলের ছায়া। সব্বাইকে একসঙ্গে গিলে খাওয়ার জন্যে ঘাপটি মেরে আছে। হাতের চুড়ি এবার ভাঙতে হবেই।

‘ধড়ফড় ধড়ফড় করছে, শ্বাসকষ্টটা মনে হয় বেড়ে গেছে!’ কাঁথার ভেতরে হাত পুরে বাপের নাড়ি টিপল নুহু। হাতে গরম ভাপ খেয়ে বলল, ‘গা’টা একেবারে পুড়ে যাচ্ছে গ!’
‘ওর সময় হয়ে এসেছে।’

‘মা, সবুর করো, আল্লাহ ঠিকই হেদায়েত করবেন।’ কান্নার দলা গলায় চেপে দুহাত আসমানের দিকে তুলল মতি। সে টাপার(ছৈ) মটকায় ওঠে, আরিফার শুকনো কাপড়টাকে টাপার পশ্চিমদিকের হলহলে মুখটাতে এঁটে বাঁধছে। হাওয়া একেবারে বেহুদ্দের মতো হুহু করে ঢুকে পড়ছে। খিলখিল করে দাঁত কেলাচ্ছে। মাঝেমধ্যে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মতো এমন ঝাঁকুনি দিচ্ছে যেন নৌকোটা ঠোঙার মতো পাক সাপ্টে উল্টে যাবে! বাঁশের একটা চাটাইকে টাপার মাথায় বেঁধে, কাপড়টাকে গিঁট মারছে মতি। পুয়ালের মতো তার দুবলা-পাতলা শরীরটাও হলহল করে নড়ছে। চামটা পেটটা পিঠের হাড়ের সঙ্গে যেন পোস্টার সাটা সেটে গেছে। পেট আর পিঠ যেন এক। হাড়ে হাড় পুঁতে আছে। অভাব আর অনাহার মানুষের শরীরের হাড়-মাংসে লাগলে সে মানুষের শরীর এমনই চাঁছি হয়ে ওঠে। মতির তামাটে রঙের পাকানো দেহটা হাওয়ার সঙ্গে যেন এঁটে উঠতে পারছে না। দমকা হাওয়ায় মাঝে মধ্যে ধনুকের মতো বেঁকে যাচ্ছে। তখন যেন মনে হচ্ছে, বাঁশের বাতার চেয়ে তার শরীরটাকেই যদি টাপার মাথায় বেঁধে দেওয়া হয়, তো টাপাটা আরও পোক্ত হয়। অনাহারের হাড়গিলে গতরটা যেন শুধু হাড়ের খোল! ভাত-রুটির অভাবে যেন আর কোনো রসকষ বাকি নেই! ফুঁ দিলেই যেন উড়ে যাবে।

‘পেটে বুকে খিল দিয়েই তো বেঁচে আছি রে ব্যাটা। খিলটা ভেঙে পড়লেই তো আর কিচ্ছু নেই। যেভাবে খালি হাতে এসেছি, সেভাবেই খালি হাতে চলে যাব। এ খিল আর ভর নিতে পারছে না। মানুষের শরীর তো আর লোহার কলকব্জা নয় যে বোঝার পর বোঝা ধরে রাখবে? এ যে রক্ত-মাংসের একটা খোল। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে একসময় রুহুটা ফুঁড়ুৎ করে উড়ে চলে গেলেই, ব্যস, এ দেহের সব হিসেবনিকেশ শেষ, তখন দেহটা শুধু একটা খোল, কখন পচবে তার অপেক্ষায় থাকবে। মাটির শরীর মাটি হয়ে যাবে।’ বিড়বিড় করে ওঠেন হালেমা। চোখের জল মুখের জল এক হয়ে যায়। হাতের তসবিহর দানাটায় আঙুলের জোর চাপ দিয়ে ‘লা-ইলাহা’ বলে ওঠেন। যেন এক দোয়া-কলেমা তেলওয়াতেই আল্লাহর দরবারে কান্নার সোর পড়ে যায়। হাই হাই করে ওঠে তামাম ফেরেস্তাকূল। আচানক টাপার উত্তরকোণা থেকে দমকা হাওয়ার মতো ভেসে এল, ‘কত দূর এলাম?’
‘চিন্তা নেই, জান কবজ করা আজরাইল ফেরেশতার নখের কাছে চলে এসেছি।’ ঠেস মেরে ওঠেন হালেমা।
‘মা, তুমি থামবে?’ ধমকে ওঠে নুহু।

‘মা’কে অমন করে বকছ ক্যানে? মা’র মাথা কি ঠিক আছে?’ ঝেঁঝিয়ে উঠল আরিফা। জ্বরে জুবুথুবু হয়ে বসে আছে সে। গতকালের পুরো বৃষ্টিটা তার গায়ের ওপর দিয়েই গেছে। সে বৃষ্টি জ্বর এনে তার গায়ে কামড় বসিয়েছে। গায়ে তাওয়া তাতা তাপ। হলহল করে হেলে উঠছে শরীর। একেবারে হাড়ে সেঁধিয়ে ঠকঠক করে ঠুকাচ্ছে কনকনানি।
‘উ!’ গোঙানিটা এবার কাঁথার সেলাই ফুঁড়ে নদীর জলে আছড়ে পড়ল। টাপার বাঁধনিতেও ঠক্কর মারল। নৌকোর তক্তায় গেঁথে নৌকোটাকেও খানিক হেলিয়ে দিল। ‘আব্বা!’ মুষড়ে উঠল নুহু। টাপার মটকা থেকে ধপাস করে ঝাঁপ মারল মতি। পা হড়কে মুখ খুঁচে পড়ল নৌকোর পাটাতনে। নৌকোটা ডান দিকে আলতো করে কাত হয়ে হেলে গেল। আর একটু হলে ডুবে যেত।

‘মুখে পানি দাও।’ কেঁদে উঠল নুহু। চোখের কোণে গোল হয়ে থাকা চিকচিকে অশ্রুটা গালে গড়িয়ে পড়ল। শিথেনের কাছে রাখা পিতলের ঘড়া থেকে কাঁসার গেলাসটায় জল ঢেলে, গেলাসটা বাপের মুখের ছমুতে ধরল মতি। নুহু থুত্থুরে ঠোঁটদুটো আলতো করে খুলে ধরল। দাঁতহীন ন্যাড়া মাড়িটা মিহি করে হাঁ করে উঠল। দাঁতপাটির চামটি মাংসগুলো গাবের আঠার মতো এঁটে লেগে আছে। গেলাসের কাণাটা বাঁকিয়ে কয়েকফোটা জল ঢেলে দিল মতি। বিছানাগত মানুষটা ঢোক গিললেন না। জলের ফোটাকটা জিভ চুইয়ে নলিতে গড়ে গেল। গেলার ক্ষমতাই নেই, তো গিলবেন কী করে। চুরাশি বছরের শতাব্দী প্রাচীন মানুষ জাফর আলি। বয়স তার শরীরে জেঁকে বসেছে। জড়ানো চামড়ার হাড়গিলে খুটোলে ঘোলা ডিমের মতো ঘুলঘুল করছে ছানিপড়া চোখ। বাপের কালেও ভাবেননি আল্লাহর ফেরেশতা আজরাইলের সঙ্গে দেখাটা হবে এই নাফ নদীর বুকে। আল্লাহর শেষ হুকুমটা হবে এই ভিটেমাটিহীন অথৈ সমুদ্রে। সারাজীবন আল্লাহর ইবাদত করে নসিবে এই ছিল? জীবনভর আমলনামার এই ফল? মরার পর এই রক্ত-মাংসের দেহটা এক মুঠো মাটি পাবে কি না তারও কোনো ঠিক নেই! জাফরের দুই চোখের কোণ দিয়ে ঝরঝর করে ঝরে পড়ছে অশ্রু।

মানুষটার আছেই বা আর কি? চোখের এই জলটুকু ছাড়া? আল্লাহর এত বড় দুনিয়ায় আজ যে তার একটুখানি মাথা গোঁজার ঠাঁইও নেই! সাদা ফেকাসে জিভটাকে সিরসির করে নড়তে দেখে, মতি জলের আরও দু ঢোক বাপটার মুখে ঢেলে দিল। আর কিছু না পাক, পানের জলটুকু তো পেল? যে মানুষ মরার সময় মুখে জল পায় না, তার মতো হতভাগা এই দুনিয়ায় কেউ নেই। কিন্তু মুখের জল না হয় দেওয়া গেল, আব্বার শেষ ইচ্ছেটা কি পূরণ করা সম্ভব হবে? আল্লাহ কি আব্বার মরা শরীরটার জন্যে সাড়ে তিন হাত মাটি লিখে রেখেছেন? কথাটা মনের কোটরে থক করে বাজতেই, মতি নৌকোর পেছন পানে চোখ ফেলল, ‘আমাদের মংডুর ঢিবিটা কি আর দেখা যাচ্ছে?’
‘কই, না তো। একটু আগেই সেনার লালবাতির সিগন্যালটা পিটপিট করে ভেসে আসছিল, এখন সেটাও চোখে সুজছে না!’ মিনমিন করল নুহু।

চলবে...

আরএ/

Header Ad

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অনিয়মের প্রতিবাদ ও মানবিক স্টোরি তুলে ধরে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই সংসদ সদস্য।

বর্তমানে এমপি হলেও আগের মতো নানা ইস্যুতে আওয়াজ তুলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই ধারাবাহিকতায় মানবিকতার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।

মিল্টন সমাদ্দার মানবিক কাজ দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। বর্তমানে তার মানবিক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, এ বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিৎ, যারা মানবিক কাজ করে মুখ দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে করে। মুখ দিয়ে মানবিক কাজ করলে নানা প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিন্তু হৃদয় থেকে করলে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না।

মানবিক কাজগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হলে সমাজে কী নীতিবাচক প্রভাব ফেলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, সমাজে নীতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফেলতে এই পর্যায়ে আমরা দাঁড়িয়েছি। আর পেছনের যাওয়ার সুযোগ নেই, সামনের দিকে যেতে হবে। আমরা নষ্ট হওয়ার শেষ পেরিয়ে গেছি। এর থেকে বেশি নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, দুস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের আশ্রয় ও সাহায্যের মতো মানবিক কাজের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত পান মিল্টন সমাদ্দার।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কাজের আড়ালে তার নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বুধবার এই মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানবপাচার, আশ্রয় দেওয়া অসহায়, দুস্থ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কিডনি বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান

ছবি: সংগৃহীত

চলমান ছাত্র বিক্ষোভে দমন-পীড়ন ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইরানি গণমাধ্যম ইরনার

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমন প্রসঙ্গে কানানি বলেছেন, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মিথ্যা রক্ষকদের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে দমন-পীড়নকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য সত্যকে বিকৃত করে শিক্ষার্থী ও একাডেমিক কর্মীদের প্রকৃত ক্ষোভ ও তাদের প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ হিসাবে বর্ণনা করছে মার্কিন সরকার।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল। বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সে সঙ্গে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতেও বিন্দুমাত্র পিছপা হননি তারা।

এমনকি পুলিশ এসে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে। গ্রেফতার করেছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে। তবে এতকিছু করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পুলিশ প্রশাসন। উলটো তা আরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ছাড়িয়ে এখন বৈশ্বিক রূপ ধারণ করেছে।

নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যেকোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অন্যুায়ী ব্যবস্থা নিবে।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহীর চার জেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদা সুলতানা একথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি পছন্দের প্রার্থী পক্ষে নেক দৃষ্টি দিয়ে সরকারের অতি সুবিধাভোগি কিছু ব্যক্তিরা (মন্ত্রী-এমপি) এ নির্বাচনে প্রভাব খানাটোর চেষ্টা করছেন। ওই সমস্ত পদে যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করবো- দয়া করে আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনি এলাকার ভোটার আপনি আসবেন ভোট দিবেন চলে যাবেন। আপনি যে পর্যায়ে আছেন- আপনি আপনার মান ইজ্জত রক্ষা করবেন। আপনার ইজ্জত আপনি যদি রক্ষা না করেন তাহলে কিন্তু যে কোন মুহুর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর দায় কিন্তু আমরা নিব না। আপনাই সেটা বহন করবেন। আপনারা নিজের মর্যাদায় আসিন থেকে দ্বায়ীত্ব পালন করবেন।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের সৌন্দর্য নেই, গ্রহনযোগ্যতা নেই, আনন্দও নেই। ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতা আর ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতার মধ্যে প্রার্থক্য আপনারাই বুঝতে পারবেন। তাই আপনার চিন্ত করেন, পরিবেশ নষ্ট করে ১০ শতাংশ ভোটে জিততে চান ভোটার না এনে; ৮০ শতাংশ ভোটে জিততে চান। আপনাদের উপর এই ভারটা ছেড়ে দিলাম সিদ্ধান্ত নেয়ার।

ইসি বলেন, ভোটের দিন কোন রকম উশৃঙখলতা, বিশৃঙখলাতা, সহিংস আচরণ, ভোট কেন্দ্র দখল করার মত কোন দুঃসাহস করবেন না। আপনার অবৈধভাবে যে ব্যালটই রাখেন না কেন আমাদের কাছে তথ্য গেলে প্রমান পেলে সেই ভোট বাতিল করে দিব যেকোন মুহুর্তে। আর অসাধুচারণ করেন, আচরন বিধি ভঙ্গ করেন আমরা কিন্তু নির্বাচনের মুহুর্তেও প্রার্থীতা বাতিল করে দিব। ভোটের দিন যে কোন নৈরাজ্য মূলক আচরণ করলে আমরা কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করবো, নির্বাচন বাতিল করবো, প্রার্থীতা বাতিল করবো।

তিনি আরও বলেন, গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগনের মনে যেন গেঁথে থাকে এমন একটি নির্বাচন হবে এবার। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিশন চায় না।

নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদেশ্যে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোন প্রার্থী জিতল কোন প্রার্থী জিতল না এ নিয়ে ইসির কোন মাথা বেথা নেই। নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা, আপনার সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, নিরপেক্ষতার সাথে দেখবেন, যে হাঙ্গামা করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে কমিশনার নির্দেশনা যিনি প্রতি পালন করবেন না তার দায়দায়িত্বও তিনি নিবেন। আপনাদের কৃতকর্মের দায় কমিশন বহন করবে না।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের উপজেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

সর্বশেষ সংবাদ

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে মার্কিন নার্সের ৭৬০ বছর কারাদণ্ড
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
দুবাইয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ পেলেন শাকিব খান
সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?
আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য