মন্ত্রী-উপদেষ্টার পদত্যাগ প্রজ্ঞাপন হলে কার্যকর: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

২০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:০১ এএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৮ এএম


মন্ত্রী-উপদেষ্টার পদত্যাগ প্রজ্ঞাপন হলে কার্যকর: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

টেকনোক্র্যাট দুইজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, প্রজ্ঞাপন জারি হলে তাদের পদত্যাগ কার্যকর হবে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গেজেট প্রকাশের আগে পদত্যাগপত্র জমা দেয়া এসব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। প্রজ্ঞাপন জারির আগে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

রোববার (১৯ নভেম্বর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দেন। তারা তিনজনই টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) কোটায় মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী, মন্ত্রিসভার এক-দশমাংশ টেকনোক্র্যাট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যায়।

ওই তিনজনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারাও পদত্যাগ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। মোট কতজন পদত্যাগ করেছেন ও পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। 'আপনারা জানেন, পদত্যাগপত্র দিলেও তা কার্যকর করার জন্য একটা পদ্ধতি আছে, সেই প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই তা কার্যকর হবে। '

কোন তিন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন- প্রশ্নে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা (ড. মশিউর রহমান), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা (ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা (ড. গওহর রিজভী)।

পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এক মন্ত্রী অফিস করছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন গেজেট প্রকাশ করে পদত্যাগ কার্যকর করা হবে, তখন থেকে তারা অফিস করবেন না। এখন তাদের অফিস করতে বাধা নেই। কবে গেজেট হবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হওয়ার পরে।

প্রক্রিয়া শেষ হতে সাধারণত কতদিন লাগে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে ধরা বাঁধা কোনো আইন নেই যে এত দিনের মধ্যে করতে হবে। এটার একটা প্রক্রিয়া আছে।

তারা পদত্যাগ করলে ওই পদগুলো শূন্য হয়ে যাচ্ছে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে নির্দেশনা কী- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে তাদের পদত্যাগ গ্রহণ হবে এবং গেজেট হবে। তারপরে প্রসঙ্গটা আসবে। যেহেতু মন্ত্রণালয় ভাগ করে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, তখন তিনি সেটা বিবেচনা করবেন।

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার বিষয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ থেকে যাদের নিয়োগপ্রক্রিয়া করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলছি। তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের প্রসঙ্গটা হলো তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একেবারে অবৈতনিক।


রোনালদোর নামে ফ্লোরিডার আদালতে মামলা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৮ এএম


রোনালদোর নামে ফ্লোরিডার আদালতে মামলা
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ছবি: সংগৃহীত

পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে বিতর্কিত ডিজিটাল মুদ্রা বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিনান্সের প্রচারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এই বিনিয়োগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দাবি করে গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) ফ্লোরিডার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এই মামলা করেন তিন ভুক্তভোগী।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ডিজিটাল বাণিজ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কয়েনটেলিগ্রাফ। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলা বাদীরা বলেছেন– রোনালদো অস্বীকৃত ‘বিনান্স’ প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা, বিনিয়োগ কিংবা কাজে সহায়তা করেছেন। এই ফুটবল তারকার প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ হয়েই ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন বলে জানিয়েছেন তারা। যার ফলে তারা নাকি ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছেন!

সংবাদমাধ্যম কয়েনটেলিগ্রাফ বলছে, পর্তুগিজ তারকার বিরুদ্ধে মামলার বাদী হয়েছেন মিখায়েল সিজমোর, মিকি ভোংদারা এবং গর্ডন লুইস। তারা সবাই বিনান্সে বিনোয়াগ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে রোনালদো তার নিজস্ব এনএফটির (নন ফাঞ্জিবল টোকেনস বা একধরনের ডিজিটাল সম্পত্তি) প্রচারণা চালাতে বিনান্সের সঙ্গে চুক্তি করেন।

একইসঙ্গে বিনান্স–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না জানানোয় বাদীরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। তারা বলছেন, বিনান্সের অনিবন্ধিত ক্রিপ্টো সিকিউরিটিজের বিক্রি সম্পর্কে রোনালদো জানতেন অথবা তার জানানো উচিৎ ছিল। কেননা বিনিয়োগে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৮৫ কোটির মতো অনুসারীও আছে তারকা ফুটবলালের। কিন্তু বাইরে থেকে পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ থাকার পরও রোনালদো তার অনুসারীদের বিনান্স–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রচারণায় তারকাদের পেমেন্ট গ্রহণের তথ্য প্রকাশের জন্য সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন যে সতর্কবার্তা দিয়েছিল, সেটিও মানেননি তিনি।

রোনালদোর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানটি বড় অঙ্ক হাতিয়ে নিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রোনালদোর বড় অঙ্কের অনলাইন অনুসারীও নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। বাদীরা বলছেন, এনএফটি বিনিয়োগের মাধ্যমে অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিষ্ঠানটি সফল হয়েছে, কেবল এক সপ্তাহেই বিনান্সকে অনলাইনে খোঁজার প্রবণতা বেড়েছে অন্তত ৫০০ গুন।

 


২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:১২ এএম


২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০ টি আসনের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল বিএনপি। দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের পার্টির অফিসে এ ঘোষণা করেন। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮০টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি।

ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন। বাকি আসনগুলোতে পরবর্তী সময়ে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের পার্টির অফিসে এ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিবো। বাকি ২০ জনের নাম রাতের মধ্যেই আমরা ফাইনাল করবো। আমাদের ৫০০ টির বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এখনও যে কেউ চাইলে মনোনয়ন কিনতে পারেন।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কোনও কোনও আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছি যাদেরকে তাদের কর্মকাণ্ড দেখে পরবর্তীতে ফাইনাল করবো।"

তৈমূর আলম খন্দকার আরও বলেন, "প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে আমরা দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ পরিবারের লোকজন, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। যারা সমাজের জন্য বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।"

তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন


পলকের আসনে নির্বাচন করতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:১৩ এএম


পলকের আসনে নির্বাচন করতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ও শফিকুল ইসলাম শফিক। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শফিকুল ইসলাম শফিক। সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম। তবে এই আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলককে মনোনয়ন দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন উত্তোলন করেন শফিক।

এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, দলীয়ভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়ায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শফিক বলেন, সিংড়ার জনগণের ভালোবাসায় একবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। সিংড়ার জনগণের দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশা করছি এবার বঞ্চিত মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটবে। জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।

প্রসঙ্গত, শফিকুল ইসলাম শফিক সিংড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ১৯৯৬ সালে সিংড়া সরকারি গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৯৮ সালে একই কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালে সিংড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর টানা দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শফিক।

অনুসরণ করুন