সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কারা আসছেন নতুন মন্ত্রিসভায়

ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর সকলের দৃষ্টি এখন নতুন মন্ত্রিসভার দিকে। কেমন হবে মন্ত্রিসভার আকার, কারা থাকছেন, কারা বাদ যাচ্ছেন বা নতুন কারা আসছেন। সচিবালয় থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, ব্যবসা-বাণিজ্যের অঙ্গনে এটিই এখন মুখ্য আলোচনার বিষয়।

এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২৯৯ আসনের মধ্যে ২২২ আসনে দলীয় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে আজ বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। এবারের মন্ত্রিসভায় তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে মন্ত্রিসভায় চমক নিয়ে আসছেন সংসদীয় দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এ মন্ত্রিসভায় তরুণদের পাশাপাশি পুরোনো মন্ত্রীরাও থাকছেন। এতে সম্ভাবনার দোলাচলে রয়েছেন অনেক মন্ত্রী ও নবনির্বাচিত এমপি।

এদিকে বর্তমান মন্ত্রীদের বেশিরভাগই আরেক মেয়াদের জন্য বহাল থাকবেন বলে আভাস মিলেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে অর্থ ও পররাষ্ট্রে নতুন মন্ত্রী আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী দেওয়া হবে। এটা অনেকটা নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে এ কে আব্দুল মোমেনকে অন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে। তবে শেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। বর্তমান মেয়াদে মন্ত্রণালয়ে ঠিকমতো ‘অফিস না করা’ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। এ নিয়ে সচিবালয় ও গণভবনসহ সব জায়গায় তার বাদ পড়ার গুঞ্জন চাউর হয়েছে।

আসছেন চার আমলা: প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হওয়া সাবেক দুই আমলা আবুল কালাম আজাদ, ড. মোহাম্মদ সাদিক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন বলে আভাস মিলেছে। আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব। ড. সাদিক সরকারের শিক্ষা সচিব ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ছিলেন। পরে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন সাদিক। সাজ্জাদুল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব। সৌরেন্দ্র নাথ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র সচিব। জনপ্রশাসনে থেকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা এই চারজনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে তাদের মন্ত্রিসভায় রাখতে চান শেখ হাসিনা।

আরও নতুন যারা: প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবের হোসেন চৌধুরী এবার মন্ত্রিসভায় ঢুকতে পারেন। সূত্র জানায়, আগে কোনো মন্ত্রী পায়নি—এমন জেলা থেকে এবার মন্ত্রী করবে আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে কক্সবাজার-৩ থেকে সাইমুম সরওয়ার কমল অথবা কক্সবাজার-২ থেকে আশেক উল্লাহ রফিককে মন্ত্রিসভায় রাখা হতে পারে। ফেনী-১ থেকে নির্বাচিত আলাউদ্দিন আহমদ চৌধুরী নাসিম এবং নড়াইল-২ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ছাড়া এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মাহমুদ হাসান রিপন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ড. সেলিম মাহমুদ, বাহাউদ্দিন নাছিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, আব্দুর রহমান, মাহবুবউল-আলম হানিফ, নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন।

সংখ্যালঘু থেকে তিনজন: জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও পার্বত্য তিন জেলা থেকে একজন মন্ত্রিসভায় থাকবেন। যিনি মন্ত্রী হবেন, তার হাতেই থাকবে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় থেকে নির্বাচিত দুজন এমপির গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের একজন সাবেক সিনিয়র সচিব নওগাঁ-৩ থেকে নির্বাচিত সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী। তবে তারা কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। ধারণা করা হচ্ছে, একজনকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হতে পারে।

পুরোনো যারা থাকছেন: বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম নতুন মন্ত্রিসভায়ও থাকছেন। তাদের মন্ত্রণালয় পরিবর্তনের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও নতুন মন্ত্রিসভায় থাকছেন। তাদের কে কোন মন্ত্রণালয় পাবেন, তা জানা সম্ভব হয়নি। পদোন্নতি পেতে পারেন নসরুল হামিদ বিপু ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বাদ পড়তে পারেন যারা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বাদ পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।

স্বতন্ত্র ও শরিকদের স্থান নেই: স্বতন্ত্র এমপিদের অনেকেই নিজেদের আওয়ামী লীগ দাবি করে দলে ভিড়ে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার চেষ্টা করলেও সে সুযোগ তারা পাচ্ছেন না। তাদের দলীয় এমপি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ সভাপতি। ফলে স্বতন্ত্র এমপিদের কাউকে মন্ত্রী করা হচ্ছে না- এটা অনেকটাই নিশ্চিত। ১৪ দলের শরিক থেকে জয়ী দুজনেরও মন্ত্রিসভায় জায়গা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। বর্তমান মন্ত্রিসভায়ও শরিকদের কাউকে রাখেননি শেখ হাসিনা।

গেজেট ও শপথ: সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিতদের তালিকা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর নতুন সংসদ সদস্যদের শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে সেই তালিকা পাঠানো হয়। গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই অনুযায়ী আজ বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যরা শপথ নেবেন। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে ডাকতে হবে সংসদ অধিবেশন। নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে অবহিত না করলে বা শপথ না নিলে সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে।

এবারের মন্ত্রিসভা কেমন হতে পারে, জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক জ্ঞানী মানুষ। দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা উনার ঠিক করা আছে। এটা উনি জানেন, কোথায় কাকে কখন নেওয়া দরকার। এটা প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঠিক করেন। সারা পৃথিবীতেও এটিই নিয়ম।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা গঠন হবে। এ মন্ত্রিসভা নতুন-পুরোনো মুখ নিয়ে হওয়ার কথা। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই চমক নিয়ে আসেন। আশা করি নতুন মন্ত্রিসভায়ও চমক নিয়ে আসবেন। তিনি যাকে ভালো মনে করবেন, তাকেই মন্ত্রিসভায় স্থান দেবেন।

Header Ad

ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায়ের ইঙ্গিত পেপ গার্দিওলার

পেপ গার্দিওলা। ছবি: সংগৃহীত

টানা চার মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার জয়ের ঐতিহাসিক রেকর্ডের পর ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা স্বীকার করেছেন এখন তিনি ক্লান্ত। এই ধরনের সাফল্যের পর নতুন কোন উদ্দীপনাও খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।

গতকাল রোববার প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের শেষ ম্যাচে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো শিরোপা জিতেছে সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এর আগে কোনো দল টানা চার শিরোপা জিততে পারেনি।

প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে রেকর্ড গড়ে অনেকটাই অপ্রত্যাশিত এক মন্তব্য করেন গার্দিওলা। সমর্থকদের চমকে দিয়ে ম্যানসিটি ছাড়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে এখনই নয়, ইতিহাদে আরও এক মৌসুম থাকবেন বলে জানিয়েছেন গার্দিওলা। ২০২৪-২৫ মৌসুম শেষ করে সিটিকে বিদায় জানাতে পারেন তিনি।

গার্দিওলার বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে, সিটির সঙ্গে নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চান না তিনি। চলমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই সিটিকে বিদায় বলবেন গার্দিওলা। ২০২৫ সালে চলমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ৫৩ বছর বয়সী এই কোচের।

গার্দিওলা বলেন, ‘বাস্তবতা হলো- আমি থাকার চেয়ে চলে যাওয়ার বেশি কাছে। আমি ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমার অনুভূতি হলো, আমি এখন থাকতে চাই। পরের মৌসুমেও থাকবো এবং সে মৌসুম চলাকালীন আমরা (ক্লাবের সঙ্গে) কথা বলবো। সেটা ৮ বছর শেষে নাকি ৯ বছর পরে, সেটা আমরা দেখবো।’

কেন সিটি ছাড়তে চান, সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন গার্দিওলা। জানান, গেল ৮ বছর ধরে কাজ করতে করতে এখন তিনি ক্লান্ত। তার বিশ্রাম দরকার। আর বিশ্রাম নিতেই সিটি ছাড়তে চান তিনি।

গার্দিওলা বলেন, ‘আমার একটি চুক্তি আছে। আমি এখনও এখানে আছি। কিছু মুহূর্তে আমি ক্লান্ত। কিন্তু এমন কিছু মুহূর্ত আছে, যা আমি ভালোবাসি এবং আমরা এখানে খেলা জিতেছি। নতুন খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকতেও ভালো লাগছে।’

সিটি কোচ বলেন, ‘আমি ভাবতেছি, কেউ টানা চারটি শিরোপা জিততে পারেনি। এটা এ কারণে যে, আমরা চেষ্টা করি না। আমি মনে করি, এখন এটি সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে কী করা যায়, সেটিই আমাদের ভাবতে হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সিটিতে যুক্ত হওয়ার পর ১৫টি বড় শিরোপা জিতেছেন গার্দিওলা। আগামী সপ্তাহে এই সংখ্যাকে ১৬-তে পরিণত করতে পারেন তিনি। সামনের ম্যাচে এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারাতে পারলেই সেটি সম্ভব হবে।

বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক হোসেনউদ্দীন আর নেই

লেখক হোসেনউদ্দীন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক ও গবেষক হোসেনউদ্দীন হোসেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২০ মে) বিকেলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

হোসেনউদ্দীন হোসেনের ছোট মেয়ে শাহানাজ রাহানা রত্না তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বাবার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। পরবর্তীসময়ে গল ব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে। এছাড়া তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। এরমধ্যে গত ১৪ মে বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিনই তাকে যশোর শহরের কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সিএমইচে স্থানান্তর করা হয়। সিটিস্ক্যান রিপোর্টে ব্রেন হ্যামারেজ ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। বেশিরভাগ সময় তিনি সেন্সলেস (চেতনাহীন) ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেলে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

হোসেনউদ্দীন হোসেন ১৯৪১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর ঝিকরগাছা ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৫৯ সালে সম্পন্ন করেন উচ্চ মাধ্যমিক। ১৯৫৫ সালে তার প্রথম কবিতা কলকাতার দৈনিক পত্রিকা লোকসেবকে প্রকাশিত হয়।

পরবর্তীসময়ে তার বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ঢাকা ও কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়া শুরু হয়। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নষ্ট মানুষ’, ‘অমৃত বৈদেশিক’, ‘সাধুহাটির লোকজন’, ‘ইঁদুর ও মানুষেরা’, ‘প্লাবন এবং একজন নুহ’, ‘ভলতেয়ার ফ্লবেয়ার কলসত্ব ত্রয়ী উপন্যাস ও যুগমানস’, ‘ঐতিহ্য আধুনিকতা ও আহসান হাবীব’, ‘বাংলার বিদ্রোহ’, ‘সমাজ সাহিত্য দর্শন প্রবন্ধ’, ‘রণক্ষেত্রে সারাবেলা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি’, ‘লোকলোকোত্তর গাঁথা কিংবদন্তি’, ‘বনভূমি ও অন্যান্য গল্প’, ‘অনন্য রবীন্দ্রনাথ’ প্রমুখ।

সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন তথা বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৫ জুন থেকে। ওই দিন বিকাল ৫টা থেকে জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার (২০ মে) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাজেট অধিবেশনে হওয়া এবারের অধিবেশন দীর্ঘ হবে বলে জানা গেছে। ৫ জুন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সংসদের কার্য উপদেষ্টা বৈঠকে সংসদ কত দিন চলবে—তা নির্ধারণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন চলতি মাসের ২ তারিখ হতে শুরু হয়ে ৯ মে শেষ হয়। ওই অধিবেশনে একটি বিল পাশ হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায়ের ইঙ্গিত পেপ গার্দিওলার
বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক হোসেনউদ্দীন আর নেই
সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন
টাঙ্গাইলে আনসার সদস্যদের নির্বাচনী ডিউটি দিতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণ পদক
রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম!
অস্ট্রেলিয়ায় কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাহিন
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে প্রথমবারের মতো ভোট দিলেন অক্ষয়
রাইসির মৃত্যুতে ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
৩০ ফ্রিল্যান্সিং দেশের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে!
বজ্রপাতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
আইপিএলের প্লে-অফের ম্যাচগুলো কবে-কখন-কার বিপক্ষে?
ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়, বললেন ইসি আলমগীর
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ২ জনসহ নিহত ৩
ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি মির্জা ফখরুলের
ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন আমার প্রিয় একটি ভাই : এরদোগান
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ: ওবায়দুল কাদের
ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার