মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করে সংসদে বিল পাস

ছবি: সংগৃহীত

বহুল আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ ধাপে ধাপে না বাড়িয়ে স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রণীত এ আইনটি স্থায়ী করতে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে ‘আইন–শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন)’ বিল পাস হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার যখন আইনটি করেছিল, তখন আপনারা (তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ) বলেছিলেন এটি নিপীড়নমূলক ও কালো আইন। এই আইনটা রাজনৈতিক কারণ বা সরকার চাইলে যে কোনো কারণে নাগরিককে হয়রানি করতে পারে। সে আইনটা আপনারা রেখেছেন। আমি জানি না কেন রেখেছেন?

চুন্নু বলেন, যখন আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন না, স্থায়ীভাবে আইনটা করবেন, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবেন, তখন উদ্দেশ্য তো ভালো নাও থাকতে পারে। আপনারা কি এটা বলতে চান বিএনপি যে আইনটা এনেছিল তা ভালো ছিল? এটাই আজকে স্বীকার করুন। সরকারের কাছে অনুরোধ যদি প্রয়োজন পড়ে এক-দুই বছর আইনের মেয়াদ বাড়ান। কিন্তু আইনটা স্থায়ী করবেন না, করলে ভবিষ্যতে একদিন আপনাদের এমন অবস্থা হবে, সেদিন আপসোস করবেন।

সংসদের বিরোধীদলের সমালোচনার জবাবে আইনটি করার সময় বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি ছিল বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সেসময় নানা ধরনের অপরাধ হতো, তাই হয়তো আইনটি তৎকালীন সরকার করেছিল। আমি মনে করি আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল তাৎক্ষণিকভাবে বিচার যেন মানুষ পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংসদ সদস্যরা অনেক সময় আমাদের কাছে পাঠান যেন এ আইনের মাধ্যমে বিচার হয়। শুধু সংসদ সদস্য না, অনেকেই আইনটি ব্যবহার করার জন্য আমাদের কাছে সুপারিশ পাঠান। কারণ একটাই যাতে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে অপরাধীরা শাস্তি পায়। সংসদ সদস্যদের কেউ বলেনি আইনটি বাতিল করে দেন। কেউ বলেননি আইনটি যথাযোগ্য নয়। তারা সময় বৃদ্ধি করে দিয়ে আইনটি চালু থাকার কথা বলেছেন। আইনটি একই রকম আছে আমরা কোনো রকম সংশোধন করি নাই। কাউকে ক্ষতি করার জন্য আইনটি হয়নি। কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারবেন না এ আইনের মাধ্যমে শাস্তি হয়েছে।

সংশোধনীর আলোচনায় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আইনটি ভালো। তাহলে বিএনপি যখন আইনটি করেছিল আপনারা তার বিরোধিতা করেছিলেন কেন? এখন ভালো হয়ে গেল?

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে প্রথম আইনটি করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। এরপর ৭ দফায় বাড়ে মেয়াদ। সবশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে বাড়ানো হয় মেয়াদ। যা শেষ হচ্ছে আগামী ৯ এপ্রিল।

এরমধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন মন্ত্রিসভায় বিলের খসড়া অনুমোদনের পর মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিল সংসদে পাস হলো। বিলে আইনটি স্থায়ী করা ছাড়া অন্য কোনো সংশোধনী আনা হয়নি।

Header Ad

খাবারের প্যাকেটে সাংবাদিকদের টাকা দিল ন্যাশনাল ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

ফের আলোচনায় নানা সমস্যায় জর্জরিত ন্যাশনাল ব্যাংক। দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া ন্যাশনাল ব্যাংকের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এখনই একীভূত হবে না, আর কোনো লুটপাট হবে না ন্যাশনাল ব্যাংকে। এক বছরের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াবে ব্যাংকটি। শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ব্যাংকের সম্পর্কে রহমান সাংবাদিকদের ইতিবাচক কথা লেখার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনের পরে সাংবাদিকদের একটি নাস্তার প্যাকেট দেওয়া হয়। তবে এর ভেতরে খাবারের পরিবর্তে ছিল টাকার একটি খাম। খামের ভেতরে ৫ হাজার করে টাকা ছিল। খাবারের প্যাকেটে টাকা দেখতে পেয়ে কয়েকজন সাংবাদিক সেটা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলে আসেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তৌহিদুল আলম খান।

দেশের অন্যতম পুরনো এই ব্যাংকটি ২০২২ সালে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা লোকসান করে। ২০২৩ সালে এই লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকায়। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা যা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ২৯ শতাংশ।

ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ১০ মে

ছবি: সংগৃহীত

রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সব কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।

শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ১০ মে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

তিনি জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

এছাড়া ৮ মে (বুধবার) বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু।

নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার বড় সমস্যা না : সিইসি

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। মঙ্গলবার (৬ মে) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে কোন দল থেকে কে দাঁড়াল সেটি ইসির দেখার বিষয় নয়। আমাদের কাজ নির্বাচন পরিচালনা করা।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা দেখছি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কেমন। দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কিনা সেটা আমরা দেখব না।

তিনি আরও বলেন, আইনে আছে নির্বাচনে যদি একজন প্রার্থী থাকেন তাহলে তিনি নির্বাচনে জয়ী ঘোষিত হবেন। কেউ যদি এভাবে বিজয়ী হয়ে থাকেন সেটা আইন অনুযায়ী।

সিইসি আরও বলেন, প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে ইসি বেকায়দায় নেই। এটা পুরাটাই রাজনৈতিক নৈতিকতার বিষয়।

এদিকে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ৬ থেকে ১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

এ ছাড়া ভোট উপলক্ষে বুধবার ১৪১টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

উল্লেখ্য, মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

খাবারের প্যাকেটে সাংবাদিকদের টাকা দিল ন্যাশনাল ব্যাংক
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ১০ মে
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার বড় সমস্যা না : সিইসি
যেভাবে জানা যাবে এসএসসি ও সমমানের ফল
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কভার্ডভ্যান-ট্রাক সংঘর্ষে একজন নিহত, যান চলাচল স্বাভাবিক
স্বাভাবিক রুটিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু
উপজেলা নির্বাচনে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা, দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
হজ ভিসায় সৌদি আরবের নতুন নিয়ম
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভয়ংকর ত্রুটির খোঁজ, নিরাপত্তাঝুঁকিতে শতকোটি ব্যবহারকারী
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হামাস
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: ওবায়দুল কাদের
গোবিন্দগঞ্জে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপনী
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আরও ৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি
আপাতত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন স্থগিত
প্রিমিয়ার লিগে বিধ্বংসী বোলিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন রাজা
দুদকের ‘ধাওয়ায়’ বিদেশ পালিয়েছেন বেবিচকের ৭ কর্মকর্তা
জনগণকে কবর দিয়ে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়: রিজভী
‘মঙ্গল গ্রহে গেলেও সেরা ক্লাব হবে রিয়াল মাদ্রিদ’