শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করে সংসদে বিল পাস

ছবি: সংগৃহীত

বহুল আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ ধাপে ধাপে না বাড়িয়ে স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রণীত এ আইনটি স্থায়ী করতে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে ‘আইন–শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন)’ বিল পাস হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার যখন আইনটি করেছিল, তখন আপনারা (তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ) বলেছিলেন এটি নিপীড়নমূলক ও কালো আইন। এই আইনটা রাজনৈতিক কারণ বা সরকার চাইলে যে কোনো কারণে নাগরিককে হয়রানি করতে পারে। সে আইনটা আপনারা রেখেছেন। আমি জানি না কেন রেখেছেন?

চুন্নু বলেন, যখন আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন না, স্থায়ীভাবে আইনটা করবেন, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবেন, তখন উদ্দেশ্য তো ভালো নাও থাকতে পারে। আপনারা কি এটা বলতে চান বিএনপি যে আইনটা এনেছিল তা ভালো ছিল? এটাই আজকে স্বীকার করুন। সরকারের কাছে অনুরোধ যদি প্রয়োজন পড়ে এক-দুই বছর আইনের মেয়াদ বাড়ান। কিন্তু আইনটা স্থায়ী করবেন না, করলে ভবিষ্যতে একদিন আপনাদের এমন অবস্থা হবে, সেদিন আপসোস করবেন।

সংসদের বিরোধীদলের সমালোচনার জবাবে আইনটি করার সময় বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি ছিল বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সেসময় নানা ধরনের অপরাধ হতো, তাই হয়তো আইনটি তৎকালীন সরকার করেছিল। আমি মনে করি আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল তাৎক্ষণিকভাবে বিচার যেন মানুষ পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংসদ সদস্যরা অনেক সময় আমাদের কাছে পাঠান যেন এ আইনের মাধ্যমে বিচার হয়। শুধু সংসদ সদস্য না, অনেকেই আইনটি ব্যবহার করার জন্য আমাদের কাছে সুপারিশ পাঠান। কারণ একটাই যাতে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে অপরাধীরা শাস্তি পায়। সংসদ সদস্যদের কেউ বলেনি আইনটি বাতিল করে দেন। কেউ বলেননি আইনটি যথাযোগ্য নয়। তারা সময় বৃদ্ধি করে দিয়ে আইনটি চালু থাকার কথা বলেছেন। আইনটি একই রকম আছে আমরা কোনো রকম সংশোধন করি নাই। কাউকে ক্ষতি করার জন্য আইনটি হয়নি। কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারবেন না এ আইনের মাধ্যমে শাস্তি হয়েছে।

সংশোধনীর আলোচনায় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আইনটি ভালো। তাহলে বিএনপি যখন আইনটি করেছিল আপনারা তার বিরোধিতা করেছিলেন কেন? এখন ভালো হয়ে গেল?

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে প্রথম আইনটি করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। এরপর ৭ দফায় বাড়ে মেয়াদ। সবশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে বাড়ানো হয় মেয়াদ। যা শেষ হচ্ছে আগামী ৯ এপ্রিল।

এরমধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন মন্ত্রিসভায় বিলের খসড়া অনুমোদনের পর মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিল সংসদে পাস হলো। বিলে আইনটি স্থায়ী করা ছাড়া অন্য কোনো সংশোধনী আনা হয়নি।

Header Ad
Header Ad

৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন

গোরখোদক মনু মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

মাটি খুঁড়ে মানুষের শেষ ঠিকানা গড়ে তোলা সেই নিঃস্বার্থ গোরখোদক মনু মিয়া চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। জীবনের প্রায় অর্ধশতক কাটিয়ে দেওয়া এই মানুষটি শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্দি ইউনিয়নের আলগা পাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

কিন্তু এই বয়সের প্রায় পুরোটা জুড়ে ছিল এক ব্যতিক্রমী ও মানবিক অধ্যায়। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করেন। এরপর ৪৯ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে নিজ হাতে খুঁড়েছেন ৩ হাজার ৫৭টি কবর—সবই নিঃস্বার্থভাবে, কোনো পারিশ্রমিক বা বখশিস গ্রহণ না করেই। মৃত্যু-পরবর্তী মর্যাদা রক্ষার এই কাজকে তিনি নিয়েছিলেন আত্মিক দায়িত্ব হিসেবে।

দূর-দূরান্তের খবর পেয়ে কবর খোঁড়ার কাজে ছুটে যেতে হতো তাকে প্রায়ই। যাতায়াত সহজ করতে নিজের ধানী জমি বিক্রি করে কেনেন একটি ঘোড়া। সেই ঘোড়ার পিঠেই যন্ত্রপাতি নিয়ে ছুটে যেতেন এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে, যেন মৃত্যুর শেষ ঠিকানার প্রস্তুতি নিতে কারও যেন দেরি না হয়।

মনু মিয়া ছিলেন এক নিঃস্বার্থ কর্মী, একজন নীরব সমাজসেবক। যার হাতে হাজার হাজার মানুষ তাদের চিরনিদ্রার ঘর পেয়েছেন সম্মান নিয়ে।

Header Ad
Header Ad

কলম্বো টেস্ট: ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

কলম্বো টেস্টে লজ্জার হারে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে ইনিংস ও ৭৮ রানে পরাজিত হয়েছে সাকিববিহীন বাংলাদেশ। গলেতে প্রথম টেস্ট ড্র করলেও কলম্বোতে পুরোপুরি পর্যুদস্ত ছিল টাইগাররা।

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে মাত্র ২৪৭ রান। সাদমান ইসলাম (৪৬), মুশফিকুর রহিম (৩৫), লিটন দাস (৩৪) এবং তাইজুল ইসলাম (৩৩) ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি।

জবাবে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে গড়ে তোলে ৪৫৮ রানের পাহাড়। পাথুম নিশাঙ্কার দারুণ ১৫৮ রানের ইনিংসের সঙ্গে চন্দিমাল (৯৩) এবং কুশল মেন্ডিসের (৮৪) দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলকে এনে দেয় ২১১ রানের বড় লিড।

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল আরও হতাশাজনক। ব্যাটাররা থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। মুশফিক সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন, শান্ত করেন ১৯। বাকিদের কেউই ত্রিশের ঘর ছুঁতে পারেননি।

শ্রীলঙ্কার স্পিনার প্রভাথ জয়াসুরিয়া আবারও বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনআপের জন্য হুমকিতে পরিণত হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন থারিন্দু রত্নায়েকে (২ উইকেট) ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (২ উইকেট)।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১৩৩ রানে, ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৪৪.২ ওভারে। চতুর্থ দিনের সকালে মাত্র ৩৩ বলের মধ্যে শেষ চারটি উইকেট হারিয়ে ইনিংস পরাজয় নিশ্চিত হয়।

এই জয়ে সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। গলেতে যেখানে বাংলাদেশ কিছুটা লড়াই করেছিল, কলম্বোতে তাদের পারফরম্যান্স ছিল একেবারেই নিষ্প্রভ। স্পিন-বান্ধব উইকেটে শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ স্পিনারদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি সফরকারীরা।

Header Ad
Header Ad

গাজায় আবারও রক্তক্ষয়, একদিনেই প্রাণ হারালেন ৭২ জন

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় রক্তে রঞ্জিত হলো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। শুক্রবার (২৭ জুন) দিনভর আক্রমণে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭২ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১৭৪ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর এ পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৩১ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৩২ জন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের সীমান্ত পেরিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা নিয়ন্ত্রিত গোষ্ঠী হামাস। হামলায় প্রাণ হারান প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নাগরিক এবং অপহৃত হন ২৫১ জন। ওই ঘটনার জের ধরেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ)।

চলমান মানবিক সংকটের মুখে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। তবে সে বিরতি টেকেনি। গত ১৮ মার্চ থেকে ফের শুরু হয় দ্বিতীয় দফার সামরিক অভিযান।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই অভিযানেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ৮ জন, আহত হয়েছেন ২০ হাজার ৫৯১ জন ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা এবং বাকি জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।

উল্লেখ্য, হামাসের হাতে অপহৃত ২৫১ জনের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্র গাজায় হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় আরও দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনা হয়েছে। তবে এখনো তা আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নেয়নি ইসরায়েল কিংবা হামাস।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন
কলম্বো টেস্ট: ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ
গাজায় আবারও রক্তক্ষয়, একদিনেই প্রাণ হারালেন ৭২ জন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা
আল নাসরে রোনালদোর নতুন চুক্তি: ঘণ্টায় পাচ্ছেন ৬৫ লাখ টাকা, বছরে কত?
বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা মারা গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন আজ
ই-অরেঞ্জ-এর সিইও ও যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ গ্রেপ্তার
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ৪
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়