রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

বেনজীরের পাসপোর্টেও মহা জালিয়াতি

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ নিজের পাসপোর্ট করতে নজিরবিহীন জালিয়াতি করেছেন। পুলিশ পরিচয় আড়াল করে পাসপোর্টে নিজেকে ‘বেসরকারি চাকরিজীবী’ পরিচয় দিয়ে নিয়েছেন সাধারণ পাসপোর্ট। সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট করেননি তিনি। সুযোগ থাকার পরও নেননি ‘লাল পাসপোর্ট’।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের আলোচিত দুই ভাই হারিস আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ জোসেফ যে প্রক্রিয়ায় পাসপোর্ট করেছিলেন, ঠিক সেই একই কায়দায় পাসপোর্ট নেন বেনজীর।

চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা গেছে।

জানা যায়, বেনজীর তার পুরনো হাতে লেখা পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর। রহস্যজনক কারণে নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট না নিয়ে সাধারণ পাসপোর্ট নেন তিনি। এ সময় আসল পরিচয় আড়াল করে নিজেকে বেসরকারি চাকরিজীবী বলে পরিচয় দেন। আবেদন ফরমে পেশা হিসাবে লেখেন ‘প্রাইভেট সার্ভিস’।

নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর বেনজীরকে নবায়নকৃত এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) দেওয়া হয় (নম্বর এএ১০৭৩২৫২)। মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছিল ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর। মেয়াদপূর্তির আগেই ২০১৪ সালে ফের তিনি পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন। কিন্তু এবারও যথারীতি নিজেকে বেসরকারি চাকরিজীবী বলে পরিচয় দেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেনজীর তখন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার। এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেই তিনি অফিশিয়াল পাসপোর্ট নেননি। তার দ্বিতীয় দফায় নবায়নকৃত পাসপোর্টের মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (পাসপোর্ট নম্বর বিসি ০১১১০৭০)। পরে ২০১৬ সালে তিনি ফের পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন জমা দেন। এ সময় তিনি ছিলেন র‌্যাব মহাপরিচালক। এবারও যথারীতি তিনি বেসরকারি পাসপোর্টের আবেদন করেন। তখনই ধরা পড়ে তার তথ্য গোপন ও জালিয়াতির ঘটনা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বেনজীর নিজে পাসপোর্ট অফিসে হাজির হননি। আবেদন ফরম নিয়ে আসেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা। কিন্তু র‌্যাব মহাপরিচালকের বেসরকারি পাসপোর্ট দেখে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালকের নজরে আনা হলে বেনজীরের আবেদনপত্র আটকে যায়। তখন বেনজীরকে বিভাগীয় অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দাখিল করতে বলা হয়। কিন্তু এনওসি জমা না দিয়ে পাসপোর্ট নবায়নের চাপ দেন বেনজীর।

সূত্র জানায়, সন্দেহজনক বিবেচনায় বেনজীরের বেসরকারি সাধারণ পাসপোর্ট গ্রহণের পক্ষে যথাযথ ব্যাখ্যা চেয়ে র‌্যাব সদর দপ্তরে চিঠি দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। কিন্তু এতে কাজ হয়নি। ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে তার উদ্দেশ্য হাসিলের পক্ষে চিঠি দেওয়া হয়। র‌্যাব সদর দপ্তরের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল মন্ডল অবিলম্বে তার পাসপোর্ট প্রতিস্থাপনের অনুরোধ করে চিঠি দেন। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেনজীরকে পাসপোর্ট দিতে বাধ্য হয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি)। যার নম্বর বিএম০৮২৮১৪১।

যে কারণে বেনজীর লাল পাসপোর্ট নেননি?

২০২০ সালে ৩০তম আইজিপি হিসাবে পুলিশবাহিনীর প্রধান পদে দায়িত্ব নেন বেনজীর। নিয়মানুযায়ী সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা হিসাবে তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি মর্যাদাপূর্ণ লাল পাসপোর্টও নেননি। আইজিপি হয়েও তিনি ফের বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করেন। কিন্তু ততদিনে দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ায় বেনজীরের আবেদন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়।

সূত্র জানায়, এ সময় বেনজীর আহমেদ আশ্রয় নেন নজিরবিহীন প্রতারণার। চলাচলে অক্ষম হিসাবে গুরুতর অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে ডিআইপির মোবাইল ইউনিট চেয়ে পাঠান। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তার বাসায় গিয়ে ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ নেওয়াসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন। অতিগোপনে করা হয় এসব কাজ। ২০২০ সালের ৪ মার্চ তার আবেদনপত্র জমা হয়ে যায়। ১ জুন বেনজীরের নামে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় (নম্বর বি০০০০২০৯৫)। একই প্রক্রিয়ায় সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিস আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ জোসেফের পাসপোর্ট করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিথ্যা তথ্যে পাসপোর্ট দেওয়া ছাড়াও বেনজীরের পাসপোর্টে আরও কয়েকটি বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে। যেমন: সরকারি চাকরিজীবীদের ৫ বছরের বেশি মেয়াদের পাসপোর্ট দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও তাকে দেওয়া হয়েছে ১০ বছর মেয়াদি। এছাড়া আইজিপির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তার নামে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যুর আগে বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানোর কথা থাকলেও তা মানা হয়নি।

পাসপোর্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নিয়মানুযায়ী যে কোনো সরকারি চাকরিজীবী চাইলে অফিশিয়াল পাসপোর্টের বদলে সাধারণ পাসপোর্ট নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন বাধ্যতামূলক। পেশা হিসাবে সরকারি চাকরিজীবী কথাটি উল্লেখ করতে হয়। সরকারি চাকরি করে কোনোভাবেই বেসরকারি চাকরি বা অন্য কোনো পেশা উল্লেখ করার সুযোগ নেই। এছাড়া পুলিশ প্রধানের মতো দায়িত্বশীল পদে থেকে ‘বেসরকারি চাকরিজীবী’ পরিচয়ে পাসপোর্ট নেওয়া রীতিমতো বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

সূত্র বলছে, সরকারি চাকরি করেও নানা কারণে অনেকে সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে থাকেন। এর একটি বড় কারণ ভিন্ন কোনো দেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার সুবিধা নেওয়া। কারণ, সরকারি পাসপোর্ট থাকলে অন্য কোনো দেশে বসবাস বা নাগরিকত্ব গ্রহণ বেশ জটিল। এছাড়া অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীদের দেশের বাইরে যেতে হলেও বিশেষ আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে বহির্গমনসংক্রান্ত অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু বেসরকারি পাসপোর্টে এসব জটিলতা কম। তাছাড়া সাধারণ পাসপোর্টে বিদেশ গমন অনেকটা বাধাহীন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাসপোর্ট কর্মকর্তা বলেন, আইজিপি হয়েও বেনজীরের মর্যাদাপূর্ণ কূটনৈতিক পাসপোর্ট না নেওয়া অস্বাভাবিক। এর ভিন্ন কারণ থাকতে পারে। হয়তো ইতোমধ্যে তিনি ভিন্ন কোনো দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এ কারণে ইচ্ছা থাকলেও তিনি লাল পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারেননি। এছাড়া যে কোনো সময় দেশ ত্যাগের সুযোগ খোলা রাখতে হয়তো তিনি সাধারণ পাসপোর্ট নেওয়াকে নিরাপদ মনে করেছেন।

এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটা ন্যক্কারজনক প্রতারণা ও জালিয়াতি। যারা জালিয়াতিপূর্ণ পাসপোর্ট ইস্যু করেছে, তারাও দায় এড়াতে পারেন না। তারা তো বেনজীর আহমেদকে চেনেন না, এমন নয়। কাজেই দুপক্ষের যোগসাজশেই এটা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতিসহ বহুমাত্রিক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রক হিসাবে পাওয়া বিশেষজ্ঞ নলেজ তিনি অপরাধ সংঘটনের কাজে ব্যবহার করেছেন। সরকারি কর্মকর্তারা পূর্বানুমোদন ছাড়া বিদেশে যেতে পারেন না। এটা এড়ানোর জন্য সরকারি চাকরির তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট নেওয়াটা একটা কারণ। অন্য কারণ হচ্ছে- বেসরকারি চাকরিজীবী হিসাবে তিনি যতটা সহজে বিদেশে ভ্রমণ, বিনিয়োগ ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাবেন, সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে অফিশিয়াল পাসপোর্ট করলে সেই সুযোগ পাবেন না। কাজেই ভয়াবহ ধরনের অপরাধের পরিকল্পনা যে তার শুরু থেকেই ছিল, এটা তারই পরিচায়ক।

Header Ad
Header Ad

অ্যান্টি-এজিং ওষুধেই মৃত্যু? রহস্যে ঢাকা শেফালি জারিওয়ালার অকালপ্রয়াণ

শেফালি জারিওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত

বাহ্যিক সৌন্দর্য রক্ষায় এবং তারকাখ্যাতি ধরে রাখতে শোবিজের মানুষদের নিরন্তর প্রচেষ্টা নতুন কিছু নয়। নিয়মিত ব্যায়াম, স্কিন ট্রিটমেন্ট থেকে শুরু করে বয়স লুকানোর ওষুধ—সবই যেন তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। ঠিক এমনই চর্চার মধ্যেই ছিলেন ভারতীয় মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা। তবে এবার গুঞ্জন উঠেছে, অ্যান্টি-এজিং ওষুধ গ্রহণ করাই হয়তো তার অকালমৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪০ বছর বয়সী শেফালি গত এক বছর ধরে যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এতে নিয়মিত ব্যবহার করা হতো ভিটামিন সি ও গ্লুটাথিয়নের মতো উপাদান, যা মূলত ত্বক উজ্জ্বল করা ও শরীর ডিটক্সিফাই করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে 'কসমেটিক ট্রিটমেন্ট' বলা হলেও অনেকে সন্দেহ করছেন, শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে এই ধরনের ওষুধ।

ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতের দিকে, যখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন শেফালি। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এখনো মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানো না হলেও, বয়স কমানোর ওষুধ এবং অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন ও জল্পনা।

 

শেফালি জারিওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকরা বলছেন, গ্লুটাথিয়ন সাধারণত হৃদযন্ত্রে সরাসরি প্রভাব ফেলে না। তবে যেকোনো ধরনের ওষুধ শরীরে দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে অননুমোদিত বা নিয়মবহির্ভূত মাত্রায় গ্রহণ করলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।

শোবিজে ক্যারিয়ারের শুরুতে মডেলিং করেই খ্যাতি অর্জন করেন শেফালি। প্রায় ৩৫টি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন তিনি। বলিউডে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে ‘মুঝসে শাদি করোগে’ ছবির মাধ্যমে, যেখানে তিনি ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি ‘কাঁতা লাগা গার্ল’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।

শেফালির মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেক সহকর্মী ও ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করে লিখেছেন—"সৌন্দর্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে জীবনটাই চলে গেল!"

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় হোটেল দখলের চেষ্টা, ‘মব সৃষ্টি’র ঘটনায় আটক ৯ জন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় ‘মব সৃষ্টি করে’ একটি আবাসিক হোটেল দখলের চেষ্টা চালানোর অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। এই ঘটনা ঘটেছে গতকাল শনিবার (২৮ জুন) উত্তরার হোটেল মিলিনা এলাকায়।

আজ রোববার (২৯ জুন) র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১ এর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শফিক মোল্লা নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে প্রায় ২৪ জন লোক ১০টি মোটরসাইকেলে করে উত্তরার হোটেল মিলিনাতে এসে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। এই হোটেলের মালিক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পূর্বে একটি ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।

ঘটনার সময় র‌্যাব-১-এর একজন গোপন গোয়েন্দা সদস্য দূর থেকে ছবি তুলতে গেলে, ‘মব সৃষ্টি’কারীরা তাকে ঘেরাও করে এবং বাধা দেয়। খবর পেয়ে র‌্যাব-১ ও উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৯ জনকে আটক করে।

আটককৃত ব্যক্তিদের নাম: সাজ্জাদ হোসেন (২৮), শফিক মোল্লা (৩০), আরিফুল ইসলাম (৩০), তন্ময় হোসেন (২৭), রবিউল ইসলাম (২৫), আনোয়ার হোসেন (২৭), সাইফুল ইসলাম (২৭), জালাল খান (৩০) ও মো. আমির (২১)

র‌্যাব জানায়, আটককৃতদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধা, অবৈধ জমায়েত ও হোটেল দখলের চেষ্টার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সান্তাহারে কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত যুবক

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে হেডফোন কানে দিয়ে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবকের নাম ফেহা হোসেন (২১)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার চকপ্রাণ এলাকার বাসিন্দা এবং বেলাল হোসেনের ছেলে।

এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে সান্তাহার রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন রেললাইনে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেহা হোসেন রেললাইন ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন এবং তখন তাঁর কানে হেডফোন লাগানো ছিল। সেই সময় রাজশাহী থেকে চিলাহাটিগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন লাইনে প্রবেশ করে। ট্রেনটি সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয়দের ধারণা, হেডফোন ব্যবহারের কারণে তিনি ট্রেনের আগমনী শব্দ শুনতে পাননি, যার ফলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

ওসি হাবিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে, এবং প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এই দুর্ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল যে, রেললাইন এলাকায় হেডফোন ব্যবহার কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা এমন ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অ্যান্টি-এজিং ওষুধেই মৃত্যু? রহস্যে ঢাকা শেফালি জারিওয়ালার অকালপ্রয়াণ
উত্তরায় হোটেল দখলের চেষ্টা, ‘মব সৃষ্টি’র ঘটনায় আটক ৯ জন
সান্তাহারে কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত যুবক
ভিজিট ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ সৌদি প্রবাসীদের জন্য সুখবর
আ.লীগ নেতার অপকর্ম বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে: রিজভী
৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল করল সরকার
ঢাকায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার
সরকার ব্যর্থ হয়েছে: নাহিদ ইসলাম
উত্তরায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ওপর উঠে গেলো ট্রাক, নিহত ৩
আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানের ১৩ সেনাকে হত্যা করেছে ভারত!
৫ বছর পর মেসির পারিশ্রমিক পরিশোধ করল বার্সেলোনা
দুপুরের মধ্যেই ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
বাকৃবি ডিবেটিং সংঘের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল, সম্পাদক শুভ্র
কুমিল্লায় আলোচিত ধর্ষণের মামলার মূলহোতা গ্রেফতার
কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার ৩
গাজায় ইসরাইলি হামলা, ২৪ ঘণ্টায় ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত
ড. ইউনূসের জন্মদিনে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা
পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চলছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর
খামেনির প্রাণ বাঁচালাম, ধন্যবাদটুকুও দিলো না: ট্রাম্প