জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতির মেয়াদ শেষ। সরকারের জায়গা থেকে কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরাই জুলাই সনদ প্রকাশ করব বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
রোববার (২৯ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে আমরা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উদযাপন করবো। দেখতে দেখতে একটি বছর পার হয়ে গেছে। আমাদের অনেক প্রাপ্তি যেমন আছে, তেমনি অপ্রাপ্তিও রয়েছে। জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক ৩৬ দিন স্মরণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি জানান, শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে পদযাত্রার সূচনা হবে। কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’। এটি দেশব্যাপী ঘুরে আবার ঢাকায় ফিরে আসবে।
এছাড়া আগামী ১৬ জুলাই ‘বৈষম্যবিরোধী শহীদ দিবস’ পালন করবে এনসিপি।
বাহ্যিক সৌন্দর্য রক্ষায় এবং তারকাখ্যাতি ধরে রাখতে শোবিজের মানুষদের নিরন্তর প্রচেষ্টা নতুন কিছু নয়। নিয়মিত ব্যায়াম, স্কিন ট্রিটমেন্ট থেকে শুরু করে বয়স লুকানোর ওষুধ—সবই যেন তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। ঠিক এমনই চর্চার মধ্যেই ছিলেন ভারতীয় মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা। তবে এবার গুঞ্জন উঠেছে, অ্যান্টি-এজিং ওষুধ গ্রহণ করাই হয়তো তার অকালমৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪০ বছর বয়সী শেফালি গত এক বছর ধরে যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এতে নিয়মিত ব্যবহার করা হতো ভিটামিন সি ও গ্লুটাথিয়নের মতো উপাদান, যা মূলত ত্বক উজ্জ্বল করা ও শরীর ডিটক্সিফাই করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে 'কসমেটিক ট্রিটমেন্ট' বলা হলেও অনেকে সন্দেহ করছেন, শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে এই ধরনের ওষুধ।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতের দিকে, যখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন শেফালি। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এখনো মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানো না হলেও, বয়স কমানোর ওষুধ এবং অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন ও জল্পনা।
শেফালি জারিওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসকরা বলছেন, গ্লুটাথিয়ন সাধারণত হৃদযন্ত্রে সরাসরি প্রভাব ফেলে না। তবে যেকোনো ধরনের ওষুধ শরীরে দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে অননুমোদিত বা নিয়মবহির্ভূত মাত্রায় গ্রহণ করলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।
শোবিজে ক্যারিয়ারের শুরুতে মডেলিং করেই খ্যাতি অর্জন করেন শেফালি। প্রায় ৩৫টি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন তিনি। বলিউডে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে ‘মুঝসে শাদি করোগে’ ছবির মাধ্যমে, যেখানে তিনি ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি ‘কাঁতা লাগা গার্ল’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
শেফালির মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেক সহকর্মী ও ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করে লিখেছেন—"সৌন্দর্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে জীবনটাই চলে গেল!"
রাজধানীর উত্তরায় ‘মব সৃষ্টি করে’ একটি আবাসিক হোটেল দখলের চেষ্টা চালানোর অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে র্যাব। এই ঘটনা ঘটেছে গতকাল শনিবার (২৮ জুন) উত্তরার হোটেল মিলিনা এলাকায়।
আজ রোববার (২৯ জুন) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১ এর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শফিক মোল্লা নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে প্রায় ২৪ জন লোক ১০টি মোটরসাইকেলে করে উত্তরার হোটেল মিলিনাতে এসে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। এই হোটেলের মালিক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পূর্বে একটি ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।
ঘটনার সময় র্যাব-১-এর একজন গোপন গোয়েন্দা সদস্য দূর থেকে ছবি তুলতে গেলে, ‘মব সৃষ্টি’কারীরা তাকে ঘেরাও করে এবং বাধা দেয়। খবর পেয়ে র্যাব-১ ও উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৯ জনকে আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিদের নাম: সাজ্জাদ হোসেন (২৮), শফিক মোল্লা (৩০), আরিফুল ইসলাম (৩০), তন্ময় হোসেন (২৭), রবিউল ইসলাম (২৫), আনোয়ার হোসেন (২৭), সাইফুল ইসলাম (২৭), জালাল খান (৩০) ও মো. আমির (২১)
র্যাব জানায়, আটককৃতদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধা, অবৈধ জমায়েত ও হোটেল দখলের চেষ্টার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে হেডফোন কানে দিয়ে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবকের নাম ফেহা হোসেন (২১)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার চকপ্রাণ এলাকার বাসিন্দা এবং বেলাল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেহা হোসেন রেললাইন ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন এবং তখন তাঁর কানে হেডফোন লাগানো ছিল। সেই সময় রাজশাহী থেকে চিলাহাটিগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন লাইনে প্রবেশ করে। ট্রেনটি সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, হেডফোন ব্যবহারের কারণে তিনি ট্রেনের আগমনী শব্দ শুনতে পাননি, যার ফলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
ওসি হাবিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে, এবং প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এই দুর্ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল যে, রেললাইন এলাকায় হেডফোন ব্যবহার কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা এমন ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।