‘এনবিআরের প্রশাসনিক আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই’

ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কিছু কর্মকর্তার চলমান প্রশাসনিক দাবি ও আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার নিজেদের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকতে এ আন্দোলনের পেছনে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।
রবিবার এক বিবৃতিতে রিজভী বলেন, “সরকারের ব্যর্থতা ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা থেকে জনদৃষ্টি সরাতে প্রতিনিয়ত বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এনবিআরের কিছু কর্মকর্তা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও নীতিমালায় অসন্তুষ্ট হওয়ায় তারা কর্মসূচি পালন করছেন। এটি সম্পূর্ণভাবে তাদের প্রশাসনিক ইস্যু—এর সঙ্গে বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের প্রশাসনিক বিষয়কে রাজনৈতিক রঙ দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো অত্যন্ত দুঃখজনক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সরকার চায়—মূল সমস্যা চাপা পড়ে যাক এবং মানুষ বিভ্রান্ত হোক।”
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এনবিআরের কিছু কর্মকর্তা নানাবিধ প্রশাসনিক দাবি তুলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে নিয়োগ, পদায়ন ও প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত নানা বিষয়। আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে, তাদের দাবিগুলো আত্মরক্ষামূলক এবং স্বতঃস্ফূর্ত, এতে রাজনৈতিক প্ররোচনার কোনো স্থান নেই।
এদিকে সরকারি পর্যায় থেকে একাধিকবার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এই আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক মদদ থাকতে পারে। সেই প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “সরকার প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ সংকট ও অসন্তোষের দায় বিরোধী দলের ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছে—এটি সত্যের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।”
বিএনপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এই অস্থিরতা সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। চলমান সংকট নিরসনে দমনমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা উচিত।
রিজভী তাঁর বক্তব্যে শেষবারের মতো স্পষ্ট করে বলেন, “এটি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। বিএনপি এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত নয়। সরকার শুধুমাত্র ভুল বার্তা ছড়িয়ে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে চাচ্ছে, অথচ বাস্তব সংকট থেকেই যাচ্ছে অনসুলভ।”
এই অবস্থায় বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
