জুলাই যোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে চাই: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আমরা জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে চাই। তাদের সম্মান জানানোর জন্য এই জুলাই-আগস্টেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’ উপলক্ষে ঘোষিত ৩৬ দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনের অনুষ্ঠান আয়োজনে ভেন্যু হিসেবে সম্মেলন কেন্দ্রটি নির্ধারণ করেছে বিএনপি।
রিজভী জানান, “আমরা ১ জুলাইকে কেন্দ্র করে যে কর্মসূচি শুরু করছি, তা শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।” তিনি আরও বলেন, “এই কর্মসূচি যেন যথাযথভাবে ও মর্যাদার সঙ্গে পালন করা যায়, সেজন্যই আজ ভেন্যু পরিদর্শনে এসেছি। শহীদ পরিবারের সদস্যরা যেন সুন্দরভাবে বসতে পারেন, অতিথিরা যেন যথাযোগ্য মর্যাদা পান— সেটিই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি বলেন, “জাতির অনেক অর্জনের মধ্যে জুলাই বিপ্লব একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটির প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমরা একটি স্মরণীয় আয়োজন করতে চাই। আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি, যে বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের স্বপ্ন, নিরাপত্তা, এবং অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।”
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “আমরা গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি— অর্থনৈতিক দুরবস্থা, সামাজিক অবক্ষয় এবং ‘মব কালচার’ আমাদের গ্রাস করছে। এসব সংকট থেকে মুক্তি পেতে হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য।”
নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন যেন দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
তিনি জানান, বর্ষপূর্তির অংশ হিসেবে আগামী ১ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠান। এতে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি মনে করে, এই আয়োজন কেবল অতীতের শহীদদের স্মরণ নয়, বরং ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের প্রেরণাও বয়ে আনবে।
